সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, ইসলাম ও জীবন, উপজেলা প্রশাসন, ক্যাম্পাস নিউজ, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, পটুয়াখালী, বরিশাল, বাউফল, বাংলাদেশ, শিক্ষাঙ্গন
বাউফল ধুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৫:২৯:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫ ১০ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।।
বরিশাল পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে আইসিটি বিষয়ের প্রভাষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এনটিআরসিএ ওই কলেজের আইসিটি বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে ভরত কুমার বিশ্বাসকে ২০২৪ সালের ১৫ এপ্রিলের মধ্যে যোগদানের নির্দেশ দেয়। কিন্তু ভরত কুমার নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২০ দিন পর একই বছরের ০৪ মে যোগদানের জন্য কলেজে যান। তখন গভর্নিং বডি নিয়মবহির্ভূত ভাবে ভরত কুমারকে নিয়োগপত্র দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ অবস্থায় এনটিআরসিএ’তে কলেজের তৎকালীন গভর্নিং বডি ভরত কুমারের যোগদানের জন্য সময় বৃদ্ধির আবেদন করেন। ওই সময় গভর্নিং বডির সভাপতিকে পাশ কাটিয়ে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, সরকারি অর্থ আত্মসাত ও সরকারি কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালসহ নানা কারনে বরখাস্ত হওয়া কলেজের অধ্যক্ষ এস এম জহিরুল ইসলামকে ম্যানেজ করে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ভরত কুমার ২০২৪ সালের ০৮ এপ্রিল প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর ০৯ এপ্রিল ভরত কুমার কলেজে এসে চলে যান।
ওই সময়ে কলেজের দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহবুবা আক্তার বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের ২০ দিন পর ভরত কুমার আমার কাছে যোগদানের জন্য আসেন। আমি তার সুপারিশপত্র রিসিভ করে রেখে দেই। তখন গভর্নিং বডি ভরত কুমারের নিয়োগের বৈধতা দেওয়ার জন্য সময় চেয়ে এনটিআরসিএতে আবেদনের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে কবে কখন কিভাবে তার নিয়োগ হয়েছে তা আমি জানিনা। অনিয়ম ও জালিয়াতির বিষয়টি নিয়ে কলেজের গর্ভনিং বডির তৎকালীন সভাপতি শাহ আলম মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের পরিচালকের বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন।
গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি শাহ আলম বলেন, আমি সভাপতি থাকাকালীন একজন শিক্ষককে সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত ভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ এস এম জহিরুল ইসলাম জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে এ কাজটি করেছেন। আমি জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক ভরত কুমারের এমপিও বাতিলের দাবি করছি। আর জালিয়াতির সঙ্গে সম্পৃক্ত অধ্যক্ষ এসএম জহিরুল ইসলামের শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে জানার জন্য শিক্ষক ভরত কুমারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
কলেজের অধ্যক্ষ এস এম জহিরুল ইসলাম বলেন, ভরত কুমারকে নিয়ম কানুন মেনে বৈধ ভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এসব অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ