সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আবহাওয়া ও জলবায়ু, উপজেলা প্রশাসন, কুমারখালি, কুষ্টিয়া, খুলনা, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ
পানিশূন্য গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের খাল
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৩:৩৬:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫ ৬ বার পড়া হয়েছে
হৃদয় রায়হান,কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।
পদ্মা নদীতে চর ও পানির স্তর নেমে যাওয়ায় দেশের অন্যতম বৃহত্তম সেচ প্রকল্প কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্প খালে এবারও পানি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই অনিশ্চয়তায় পড়েছেন এই মৌসুমের বোরো চাষিরা। জানা গেছে, ১৫ জানুয়ারি সেচ প্রকল্পের আওতায় থাকা সব খালে পানি আসার কথা ছিল। কিন্তু জানুয়ারি শেষ হয়ে গেলেও পানির দেখা মেলেনি। কৃষকদের দাবি, জিকে সেচখালের পানি দিয়ে চাষাবাদ করতে খরচ হয় বিঘাপ্রতি মাত্র ৩০০ টাকা। অন্যদিকে ডিজেলচালিত শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে চাষাবাদে খরচ ১০-১২ হাজার টাকা। বিপুল খরচের কারণে অনেক জমি অনাবাদি থেকে যাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জিকে সেচ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ৪ জেলার ১৩টি উপজেলার প্রায় পৌনে ৫ লাখ একর জমি।
ভেড়ামারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা সুলতানা জানান, জিকে প্রজেক্টের আওতায় ভেড়ামারার দুটি ইউনিয়ন চাঁদগ্রাম ও বাহিরচরের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি পড়েছে। যার পরিমাণ ১ হাজার ৫৩০ হেক্টর। এর মধ্যে বোরো ধানের আবাদ ৬৩৫ হেক্টর, সরিষা আবাদ ১১৯ হেক্টর। বাদবাকি ভুট্টা, গমসহ অন্যান্য ফসল। তিনি জানান, আমরা ইতোমধ্যে কৃষকদের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছি। অনেককেই বিএডিসি সেচ প্রকল্পের আওতায় এনেছি। ভেড়ামারার জিকে পাম্প হাউসের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ অক্টোবর এই সেচ প্রকল্পের কাজ চলে। এটি মূলত পদ্মা নদীর পানি দ্বারা পরিচালিত হয়। বর্তমানে নদীর পানির লেভেল ৫ দশমিক ৫ মিটার। ৪ দশমিক ৫ মিটারের নিচে সেচ কার্যক্রম সম্ভব নয়। এ ছাড়া নদীতে বড় আকারের চর পড়েছে। আমরা ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান রেখেছি। পানির লেভেল যদি ঠিক থাকে এবং ড্রেজিংয়ের কাজ সুসম্পন্ন হলে, আশা করি ফেব্রুয়ারির মধ্যে সেচ প্রকল্প শুরু করতে পারব।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ