সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আবহাওয়া ও জলবায়ু, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, পাবনা, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ
চালের দাম বাড়ার যৌক্তিকতা না থাকলে আইনগত ব্যবস্থা: ডিসি তৌফিকুর রহমান
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৬:৫৫:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ ১৩ বার পড়া হয়েছে
হৃদয় রায়হান,কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।
লাগাতার দাম বৃদ্ধির কারণে কুষ্টিয়ায় চালের বাজার তদারকিতে নেমেছেন জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান। টাস্কফোর্স কমিটি বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে শহরের বড়বাজার ঘুরে চালের দাম যাচাই ও মুনাফার হার তদারকি করেন। এর পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের পাইকারী ও খুচরা ক্রয়-বিক্রয় মূল্যর রশিদ মনিটরিং করেন। সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার মোকামে উৎপাদিত সব ধরনের চাল মিলগেটে কেজি প্রতি এক টাকা করে কমিয়ে বিক্রির ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক। এর আগে এক মতবিনিময় সভায় মিলমালিকেরা এই দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সিদ্ধান্তের পরেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। মিল গেট থেকে খুচরা বাজার আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সব রকম চালের দাম। বরং কমানো তো দুরে থাক চালের বাজার আরো উর্দ্ধমুখী হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আগের দামেই মিল গেটে বিক্রয় হচ্ছে চাল। এ নিয়ে বাজারে আসা সাধারণ ক্রেতারাও প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তবে ভরা মৌসুমে এভাবে চালের দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে মনে করলেও ধানের দাম বৃদ্ধিকে দোষারোপ করছেন মিল মালিকরা। বাজার তদারকি শেষে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অতিরিক্ত দাম নিলে কঠোর ব্যবস্থা জানিয়ে জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান বলেন, মিল গেটে দাম বেশি নাকি খুচরা পর্যায়ে দাম বেশি। চালের বাজারের প্রকৃত চিত্রটি বের করতে চাচ্ছি। কোথায় অসামঞ্জস্য, কেন দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ আসছে। সেজন্য খুচরা পর্যায়ে ও মিলগেটে তদারকির মাধ্যমে ক্রস চেক করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বাজারে আমদানি করা চালের দাম কম। তাহলে আদৌও চালের দাম বাড়ার কোন যৌক্তিকতা আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি তদারকিতে চালের দাম বাড়ার যৌক্তিকতা না থাকে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক আরো বলেন,অনিয়ম আছে কিনা আমি এখনি তা বলতে চাচ্ছি না। ম্যাজিস্ট্রেটরা ভাউচার সংগ্রহ করেছেন। তারা ক্রস চেক করার পর আমরা বুঝতে পারবো কেউ আসলে কারসাজি করেছে কিনা কিংবা কোন সিন্ডিকেট আছে কি নেই। যদি প্রমাণ খুঁজে পাই তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা এবং দৃশ্যমান আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসময় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) পার্থ প্রতীম শীল, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আল্ ওয়াজিউর রহমান ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ