ঢাকা ১২:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
ঈর্ষান্বিত হয়ে কুচক্রীমহল পরিকল্পিতভাবে ভয়েজ এডিট করে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে: মান্নান নারায়ণগঞ্জে  সাপ্তাহিক ‘ক্লিনিং ডে’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক মিট দ্যা প্রেস’এ তার বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচারের উপযুক্ত জবাব দিলেন মাসুদুজ্জামান বিদেশ থেকে ফিরেই সাবেক এমপি কালামের বাড়িতে ছুটে গেলেন মাসুদুজ্জামান তোলারাম কলেজে তোপের মুখে বিকেএমইএ সভাপতি হাতেম নাসিক সিইও জাকির হোসেনের বদলি আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন টেকনাফ এসিল্যান্ডের অভিযান রঙ্গিখালী খাল উদ্ধার  কক্সবাজারে র‍্যাবের অভিযানে গাঁজা ও ফেন্সিডিলসহ আটক-১ না ফেরার দেশে বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র না’গঞ্জে যুবলীগ কর্মীকে গ্রেপ্তারের ৩ দিনের মাথায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর মৃত্যু, প্যারোলে জানাজায় টেকনাফে কোস্টগার্ডের অভিযান: সিএনজিসহ ১০ হাজার ইয়াবা জব্দ আটক-১ রায়পুরায় এক হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার-১ কুষ্টিয়ায় শহিদুল ইসলামকে বিএনপির প্রার্থী করার দাবিতে মহাসড়কে বিক্ষোভ টঙ্গীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার হয়ে চার আঙুল হারালো যুবক ইসলামী দল মানুষের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারে না: মাও. মিজানুর রহমান দেশের ২৯ জেলায় ডিসি নিয়োগ; এদের মধ্যে ২১ জনই নতুন মুখ রাজধানীতে পৃথক স্থানে দুটি বাসে আগুন মৌলভীবাজারে বিএনপি’র বৈঠকে “জয় বাংলা”শ্লোগানে তোলপাড়  গাইবান্ধায় বিএনপির ‘দুই নেতার সংঘর্ষের আভাসে ১৪৪ ধারা জারি  ফের ১৪ জেলায় নতুন ডিসি নন-এমপিও শিক্ষকদের ঘেরাও কর্মসূচীতে পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামান আইভীর ৫ মামলায় হাইকোর্টে জামিন লাভ, কারামুক্তিতে আর বাঁধা থাকলো না অবশেষে গিয়াসউদ্দিনের কাছে দোয়া নিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ এর বিএনপির মনোনিত প্রার্থী মান্নান বিজয় ও রাশমিকা মান্দানার বিয়ের গুঞ্জন বিশ্বজুড়ে চাউর ৮ ডিসিকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদায়ন ঈশ্বরদীতে শাহ্ সুফি কালাচাঁদ ফকিরের ১৪তম ওফাত দিবসে ওরশ মোবারক মোংলার পশুর নদীতে ইঞ্জিন চালিত বোট উল্টে  আমেরিকা প্রবাসী নারী পর্যটক নিখোঁজ সেন্টমার্টিনের ছেড়া দ্বীপে কোস্ট গার্ডের অভিযান: ট্রলিং বোট ও থাই জালসহ ১৯ জেলে আটক চকরিয়ায় হাইয়েস গাড়ি নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৪ ডাকাত গ্রেফতার দেশের ১৫ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দিয়ে মধ্যরাতে প্রজ্ঞাপন জারি শীতলক্ষ্যা নদীতে নিখোঁজের ১২ ঘন্টা পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার অঘোষিত নারায়ণগঞ্জ-৪, আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিতে মরিয়া শাহ্ আলম সোনারগাঁয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ: এটি পারিবারিক বিবাদ,এর দায় বিএনপি নিবেনা: মান্নান “এআই যুগে মানুষের সৃজনশীলতার নতুন সংজ্ঞা”–সাদিয়া ইসলাম ইরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ডন হারুন টেকনাফে প্রকাশ্যে দেদারসে ঘুরে বেড়াচ্ছে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে সাবেক এমপি কালামপুত্র আশা’র নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র‍্যালী জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে মাসুদুজ্জামানের পক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত শরণখোলায় শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভায় বিএনপি নেতা ড.ওবায়দুল ইসলাম বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ফরিদপুর জেলা পশ্চিমের শাখা প্রতিনিধি বৈঠক অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়ি থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার সেনাপ্রধান ও নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার, যা জানালো সেনাবাহিনী সেনাপ্রধানকে ঘিরে মিথ্যা অপপ্রচারণা: সতর্ক করলো সেনাবাহিনী শিক্ষা আলো ছড়িয়ে দিতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে ল্যাপটপ উপহার দিলেন জেলা প্রশাসক  বাইউস্টে অনুষ্ঠিত হলো “সি.এস.ই ফল ফেস্ট  পানির ট্যাঙ্কে লুকিয়েও রক্ষা হলো না সাবেক ছাত্রদল নেতা এনামুল হক মোল্লার স্বপ্ন পূরণে দুই প্রমিলা ফুটবলারের পাশে ডিসি জাহিদুল ইসলাম মিঞা  বন্দরের মুছাপুরে ধানের শীষের পক্ষে মাসুদুজ্জামানের জনসংযোগে জনতার ঢল নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদল নেতা ও বাবার নেতৃত্বে সংবাদকর্মীর ওপর হামলা জনসংযোগে হামলা: চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, নিহত-১ অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে দেশ স্থিতিশীল হবে: সেনাসদরের বার্তা না’গঞ্জ জেলা প্রশাসকের তথ্য ব্যবহার করে প্রতারণার দায়ে যুবক আটক টেকনাফে সাবেক ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার গাইবান্ধার ৫টি আসনে ধানের শীষ নিয়ে লড়বেন যারা নরসিংদীর পাঁচ আসনের ৪টিতে বিএনপি’র মনোনয়ন পেলেন যারা টেকনাফের গহীন পাহাড়ে নারী-শিশুসহ ২৫ জন উদ্ধার,২ পাচারকারী আটক ভাঙ্গায় স্কুল পড়ুয়া মেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় মায়ের ট্রেনে নিচে আত্মহনন কুষ্টিয়ার রেলসেতুর নিচ থেকে দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার আমার মনোনয়ন আপাতত ‘অন হোল্ড’ রয়েছে: রুমিন ফারহানা বেগম জিয়াসহ ধানের শীষের মনোনয়ন পেলেন ১০ নারী বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নাম নেই যেসব আলোচিত হেভিওয়েট নেতাদের মনোনয়ন ঘোষণার পর সহিংসতা, মধ্যরাতে বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার নারায়ণগঞ্জে পাঁচটির আসনের মধ্যে ৪টিতে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা নারায়ণগঞ্জ-৫’এ বিএনপির চুড়ান্ত মনোনয়ন পেলেন মাসুদুজ্জামান মীরসরাইয়ে শিশুধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি উখিয়া থেকে গ্রেফতার আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে অন্তর্বর্তী সরকার নারায়ণগঞ্জ-৫’এ বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে মাসুদুজ্জামান দালালের ছত্রছায়ায় কক্সবাজার পাসপোর্ট অফিস, ফাইল চলে ‘গোপন টিপস’-এ গাইবান্ধায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ টেকনাফে যৌথবাহিনীর অভিযানে ২০ হাজার ইয়াবাসহ ২ পাচারকারী আটক টেকনাফে বিজিবির চেকপোস্টে ‘মেঘলার’ ঘ্রাণেই সনাক্ত চোলাই মদ,আটক-১ নরসিংদীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চাচা হাতে ভাতিজা খুন  টেকনাফে শীর্ষ সন্ত্রাসী মোহাম্মদ আমিন গ্রেফতার জান্নাতের টিকেট বিক্রি কইরেন না, জান্নাত এতো সস্তা না: মাসুদুজ্জামান কুষ্টিয়ায় নারীর মরদেহ উদ্ধার, আলামতে পুলিশের সন্দেহ ধর্ষণের পর হত্যা প্যারোলে মুক্তি পেয়ে স্ত্রী জানাজায় অঝোরে কাঁদলেন সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মতি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণীকে হেনস্তাকারী বাসের হেলপার গ্রেপ্তার নির্বাচনী প্রচারণায় প্রথম প্রকাশ্যে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যবসায়ী শাহ্ আলম টেকনাফে কোস্টগার্ডের পৃথক অভিযানে ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার টেকনাফ সরকারি কলেজে অধ্যক্ষের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত অসহায়দের মাঝে ১ টাকায় গরুর গোশত বিক্রি করলেন মুফতি রায়হান জামিল না’গঞ্জ ৩’শ শয্যা হাসপাতালের দৈনন্দিন সেবা কার্যক্রম তুলে ধরতে ডিজিটাল ডিসপ্লের উদ্বোধন সিআইডির অ্যাডিশনাল এসপি মশিউর গ্রেপ্তার না’গঞ্জ আদালতে বাদীর পরিবারকে মারধর,অবশেষ ৩ দিন পর মামলা নিলো পুলিশ নারায়ণগঞ্জের মাদকস্পট খ্যাত চাঁদমারীতে যৌথ অভিযান, আটক-১৬ বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের পাশে দাঁড়ানোই মানবতার প্রকৃত রূপ”: ডিসি  আদালত থেকে আগাম জামিন পেতে মরিয়া সামিরা বাজার সিন্ডিকেটের ফলে আমরা মানুষের আস্থার জায়গা তৈরি করতে পারছি না: ডিসি পুলিশের পাশাপাশি মাদক স্পটগুলোতে যৌথ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে: তারেক আল মেহেদী কুষ্টিয়ায় পদ্মায় ভাসছিল যুবকের লাশ,শরীরে কোপের আঘাত গাইবান্ধায় স্ত্রীর ওপর অভিমান করে যুবকের আত্মহননের চেষ্টা বর্ণাঢ্য আয়োজনে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)-এর ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন চট্টগ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, যুবক নিহত বিচারক ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে দুদকের অনুমতি লাগবে না কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে দুদক ও স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান, অবরুদ্ধ আরএমও না’গঞ্জবাসীর মেট্রোরেলের দাবি যথাযথ ও অবশ্যই যৌক্তিক: ফাহিমুল ইসলাম জুলাই আন্দোলনে ভুয়া মামলায় ৩৭২ জনকে অব্যাহতি, রিভার জামিন নামঞ্জুর শামীম ওসমানের অন্যতম সহযোগী আজিজ গ্রেপ্তার রেলওয়ের যাত্রীসেবায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে শ্রীমঙ্গলে অনিয়ম প্রতিরোধে অভিযান মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাডের আঘাতে নিহত যুবক কালাম নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধসহ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশবক্স স্থাপন করা হবে

মুন্সিগঞ্জের বেদে সম্প্রদায় বছরের পর বছর নাগরিক সেবা হতে বঞ্চিত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৩:৫৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫ ৩১৫ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
দারিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম হলো বেদেঁ সম্প্রদায়।সাধারণত মাছ ধরে ও বিভিন্ন মেলামাইন সামগ্রী চুরি,ফিতা বিক্রি করে সংসার চলে তাদের। দারিদ্র এ জনগোষ্ঠীর অর্ধ শতাধিকেরও বেশি পরিবার বাস করে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজার সরকারি ডাক বাংলোর সংগস্নগ্ন খালে।
জলে ভাসা পদ্ম আমি শুধু পেলাম ছলনা।কালজয়ী এই বাংলা গানের মতই এই বেদে পলিস্নর বেদেদের জীবন।নাগরিক অধিকার থাকলে নেই নাগরিক সুুবিধা।বিগত কয়েকে বছরে দেশ জুড়ে অনেক হতদরিদ্র মানুষের আবাসন ব্যবস্থা হলেও এই এলাকার একটি বেদেঁ পরিবারও পাননি কোন আবাসন সুবিধা।তাছাড়া তারা বঞ্চিত শিড়্গা ও সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা হতেও।সাধারণ অসুখে এ বেদেদের ভরসা তালতলা বাজারের ফার্মেসী । ফার্মেসী হতে ওষুধ কিনে খেয়েই সাধারণ রোগের চিকিৎসা চলে তাদের। আর একটু অসুস্থ কিংবা সন্তান প্রস্রাবের সময় তারা চিকিৎসা নেন বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্লিনিকে।সরেজমিনে ওই বেদেঁ পলিস্নতে গেলে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে না যাওয়ার বিভিন্ন কারণ তুলে ধরেন তারা।এর মধ্যে অবহেলা আর অযত্নের কথাই তুলে ধরেন তারা।তাছাড়া সরকারি হাসপাতালে কিছু ঔষধ পাওয়া গেলেও ওই হাসাপাতালে গেলে বাইরে থেকেই ঔষধ কিনে খেতে বলেন দেন না কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা বলেও তাদের অভিযোগ।ওই বেদেঁ পলিস্নর সকলে জানেন সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা এলাকায় সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। তবে ওই স্থানে বসবাস করা বেদেঁ সম্প্রদায়ের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী কখনো জীবনে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে যাননি বলে জানান।এদের মধ্যে অনেকে গেলেও যথাযথ স্বাস্থ্য সেবা না পাওয়ায় একবারের পর আর জাননি বলে জানান অনেকে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তালতলা বাজার সংগস্নগ্ন খালে এখনো নৌকায় বসবাস করছেন প্রায় অর্ধশত বেদে পরিবার।বিগত কয়েক বছর আগেও ওই স্থানে কয়েকশত বেদেঁ পরিবার বসবাস করতো বলে জানান ওই স্থানের বেদেঁরা।তবে বর্তমানে জলাশয়ের পরিমাণ কমে যাওয়ায় এবং খাল বিলে আগের মতো মাছ পাওয়া না যাওয়ায় তার উঠে আসছেন ডাঙায়।বাসা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করতে শুরম্ন করেছেন। যুগের পর যুগ ধরে ওই তালতলা বজারসহ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে রয়েছে তাদের বসবাস।গ্রামে গ্রামে ঘুরে চুড়ি ফিতা ফেরি করে বিক্রি আর নদীতে মাছ ধরে কোনো রকম ভাবে সামান্য উপার্জন দিয়ে চলছে বেদে পলিস্নর বেদেদের জীবন।মূলত স্থায়ী আবাসনের অভাবে বেদে সন্তানদের পড়ালেখার তেমন কোনো সুযোগ নেই।তাই বেদে বহরের সদস্যরা স্থায়ী আবাসনের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।স্থায়ী আবাসন হলে দীর্ঘদিনের ভাসমান জীবন থেকে বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক ও স্থায়ী জীবনযাপনে যুক্ত হতো তারা।তাদের সত্মানরা শিক্ষা,স্বাস্থ্যের মত মৌলিক চাহিদা পূরণে সক্ষম হতো।জানাগেছে,মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় ৮টি ইউনিয়নেই রয়েছে বেদেদের বসবাস।উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজার ডাক বাংলোর পার্শ্ববর্তী ইছামতি নদীর তীর ঘেঁষে বেদে পলিস্ন বা বাইদ্যা পট্টি অবস্থিত।প্রায় ৫০/৫৫ টি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠা এই পলিস্নতে বসবাস করে ৩ শতাধিক বেদে।জানা যায়,তারা এই এলাকায় প্রায় অর্ধশত বছরের বেশি সময় ধরে এই এলাকায় বসবাস করে আসছে।তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে ভোট প্রদান করে আসছে।আর তাদের ভোটাধিকার দেওয়া হলেও দেওয়া হয়নি কোন নাগরিক সুবিধা।আকেফ নিয়ে অনেকেই বলেন আমরা ভোট দিতে পারলেও সরকার ভূমিহীনদের জায়গা ও ঘর দিলেও আমরা কেউ পাইনি ।স্থায়ী আবাসনের অভাবে বেদে সন্তানদের পড়ালেখার তেমন কোনো সুযোগ নেই। তাই বেদে বহরের সদস্যরা স্থায়ী আবাসনের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।স্থায়ী আবাসন হলে দীর্ঘ দিনের ভাসমান জীবন থেকে বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক ও স্থায়ী জীবনযাপনে যুক্ত হতে পারবে তারা।তাদের সন্তানরা শিক্ষা,স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক চাহিদা পূরণে সড়্গম হবে।হতদরিদ্র এই পরিবারগুলো যখন নিজেরা আর্থিক দীনতায় ভুগছেন তখন সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত তারা।তাদের অভিযোগ সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা পান না তারা।তাই তাদের বহরের পাশের তালতলা বাজারের ঔষধ আর সিজার সহ অন্যান্য চিকিৎসা সেবানীতে তারা ছুটেন সিরাজদিখানের হোসনেয়ারাসহ কয়েকটি ক্লিনিকে।বেদে পলিস্নতে নারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় এখনো তাদের অধিকাংশ সন্তানই সিজারের মাধ্যমে জন্ম গ্রহণ করে।আর অন্যান্য রোগ বালাইতো রয়েছেই।সিজাররের মতো জটিল এই অপারেশনের জন্য তাদের প্রয়োজন হয় ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।আর এ টাকা জোগাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়।সিরাজদিখানের আরাফাত আর হোসনেয়ারা ক্লিনিকে সিজার করেন তারা।সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হয় তাদের।সিজারের অর্থের যোগানের বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,বেদেঁ পরিবারের স্বামী স্ত্রী উভয়ই কাজ করে থাকেন।এর মধ্যে বেদে পরিবারের স্বামীরা সাধারণত মাছ ধরার কাজ করেন আর স্ত্রীরা গায়ে গায়ে হেঁটে থালা-বাসন বিক্রি করে থাকেন।তবে বর্তমানে খাল বিলে যেমন কমেছে মাছের সংখ্যা অন্যদিকে তেমনি থালা-বাসন বিক্রিও কমে যাওয়ায় পরিবারগুলো চরম হতাশায় রয়েছে।এরমধ্যে রোগবালাই পড়লে নিতে হচ্ছে তাদের স্বাস্থ্যসেবা আর তা নিচ্ছেন তারা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে।এ ব্যাপারেই বেদে পলিস্নর লাকি বলেন,জীবনে কোনোদিন সরকারি হাসপাতালেই যাই নাই।আমিসহ আমার সত্মানদের তালতলা বাজারের পাশে চৌধুরি বাড়িতে ডাক্তার দেখাই।ঢাকা থেকে ডাক্তার আসে।সরকারি হাসপাতাল কোথায় তা চিনি না।চারটি সন্তান আছে তাদেরকেও টাকা দিয়ে ডাক্তার দেখাই।তিনি বলেন আমরা ছোটবেলা হতেই নৌকায় বড় হয়েছি।এখনো আমার ৪ সন্তান মিলে আমার পরিবারের ৬ সদস্য। দিন দিন আমাদের পরিবারের সদস্য বাড়ছে অথচ আমরা পানিতে বসবাস করলেও খাল বিল শুকিয়ে পানির স্থান অনেক কমে গেছে।এখন আমার চার সন্তান নৌকায় রাখতে হলে কয়েকটি নৌকার প্রয়োজন।এতো নৌকা রাখার মত জায়গা নাই।তাই নৌকা ছেড়ে অন্য বাড়িতে ভাড়া থাকি। ২০০০ টাকা মাসে ভাড়া দিতে হয়।আমার স্বামী লাবু মাছ ধরে বছরে ৮-৯ মাস মাছ পায় ওই মাছ বিক্রি করে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পাওয়া যায় আর আমি গ্রামে গ্রামে কাঁচের মেলামাইন জিনিস বিক্রি করি।কিন্তু এখন মানুষ আর জিনিসপত্র কিনতে চায় না।কত আর কিনব ২০ বছর যাবত জিনিসপত্র বিক্রি করতেছি মানুষ আমাদের কাছ থেকে কিনতে কিনতে শোকজ ভরে গেছে এখন কিনা আর রাখবো কোথায়।এ ব্যাপারে রূপালী বেগম বলেন, আমরা বেদে পলিস্নর বাসিন্দা আমরা অসুস্থ হলে সাধারণত আমাদের পাশের তালতলা বাজার হতেই ওষুধ কিনে খাই।তবে আমাদের বেদেঁ পলিস্নর সন্তান এখনো সিজারের মাধ্যমেই জন্ম গ্রহণ করে। এ জন্য আমরা সিরাজদিখানের আরাফত ও হোসনেয়ারা ক্লিনিকে যাই।গ্রাম ঘুরে চুড়ি ফিতা পেস্নট বিক্রি করে সিরাজরের জন্য আগেই টাকা জোগাড় করে রাখি।স্বাস্থ্য কমপেস্নক্রে ডাক্তাররা ঠিকমতো কেয়ার নেয়না।তাই সরকারি হাসপাতালে যাই না।একটি সšত্মান সিজার করাতে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়।সোনা মিয়া বলেন আমরা অসুস্থ হলে পাশেই চিকিৎসা নিয়ে আমরা সরকারি হাসপাতালে যাই না স্থানীয় তালতলা বাজারেতেই চিকিৎসা নিয়ে আমরা।আবুল হোসেন বলেন,আগে অনেক পরিবার এখানে বসবাস করতাম।এখন সবাই ওপরে উঠে গেছে।আমরা ৫০ টার মত পরিবার পানিতেই বসবাস করছি।অসুখ হলে আমরা তালতলা বাজার হতে ওষুধ কিনে খাই। শুনছি ইছাপুরা সরকারি স্বাস্থ্য হাসপাতাল আছে ওখানে কোনোদিন যাই নাই।বেদে পল্লির মোহাম্মদ আব্বাস বলেন অসুস্থ হলে মাঝেমধ্যে সরকারি হাসপাতালে যাই।গেলে লম্বা ছিড়িয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।লম্বা সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকার পর হাসপাতাল হতে দু-একটি ঔষধ পেলেও অধিকাংশ কিনে খেতে হয়।যার কারণে এত ঝামেলা হওয়াতে যাই না।আমি ছেলেকে নিয়ে মুসলমানি করার জন্য গিয়েছিলাম ডাক্তার বলছে এখানে হয় না।বেবি আক্তার বলেন,আমি মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। পাঁচ বছর আগে অটো হতে পরে ব্যথা পেয়েছিলাম । আমার হাত ভেঙ্গে গিয়েছিল পড়ে আমাকে চার-পাঁচজন ধরে ইছাপুরা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়।নিয়ে যাওয়ার পরে আমাকে কয়েকটা ওষুধ লিখে দিয়া বলে এগুলি খান গিয়ে।কোন এক্ররেও করলো না।আমরা এখন আর সরকারি হাসপাতালে যাই না অসুস্থ হলে বাড়ির পাশ হতে ওষুধ কিনে খাই।এ ব্যাপারে সিরাজদিখান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.জামশেদ ফরিদি বলেন,আমাদের সরকারি হাসপাতালে সিজার এবং নরমালি ডেলিভারি করানো হয়।আমরা নভেম্বর মাসে ১৬টি এবং ডিসেম্বর চলতি মাসে এ পর্যšত্ম ১৫টি সিজার ও ৩৬টি নরমাল ডেলিভারি করিয়েছি।আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তার আলোকে আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করছি।সমাজকল্যাণ এর অর্থায়নে রোগী কল্যাণ সমিতি নামের একটি সংস্থা রয়েছে আমরা তার সাথে সমৃক্ত হওয়ার চেষ্টা করছি।সমৃক্ত হতে পারলে সিজারের সব ধরনের ঔষধ আমরা এখান হতে দিতে পারবো।মার্চ মাসের দিকে সরকারি স্বাস্থ্য সেবায় সিরাজদিখানে আরো কয়েকটি প্রজেক্ট যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে ওগুলো যুক্ত হলে ব্যাপক আকারে সিজার করানো সম্ভব হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

ট্যাগস:-

মুন্সিগঞ্জের বেদে সম্প্রদায় বছরের পর বছর নাগরিক সেবা হতে বঞ্চিত

আপডেট সময়- ০৩:৫৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
দারিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম হলো বেদেঁ সম্প্রদায়।সাধারণত মাছ ধরে ও বিভিন্ন মেলামাইন সামগ্রী চুরি,ফিতা বিক্রি করে সংসার চলে তাদের। দারিদ্র এ জনগোষ্ঠীর অর্ধ শতাধিকেরও বেশি পরিবার বাস করে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজার সরকারি ডাক বাংলোর সংগস্নগ্ন খালে।
জলে ভাসা পদ্ম আমি শুধু পেলাম ছলনা।কালজয়ী এই বাংলা গানের মতই এই বেদে পলিস্নর বেদেদের জীবন।নাগরিক অধিকার থাকলে নেই নাগরিক সুুবিধা।বিগত কয়েকে বছরে দেশ জুড়ে অনেক হতদরিদ্র মানুষের আবাসন ব্যবস্থা হলেও এই এলাকার একটি বেদেঁ পরিবারও পাননি কোন আবাসন সুবিধা।তাছাড়া তারা বঞ্চিত শিড়্গা ও সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা হতেও।সাধারণ অসুখে এ বেদেদের ভরসা তালতলা বাজারের ফার্মেসী । ফার্মেসী হতে ওষুধ কিনে খেয়েই সাধারণ রোগের চিকিৎসা চলে তাদের। আর একটু অসুস্থ কিংবা সন্তান প্রস্রাবের সময় তারা চিকিৎসা নেন বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্লিনিকে।সরেজমিনে ওই বেদেঁ পলিস্নতে গেলে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে না যাওয়ার বিভিন্ন কারণ তুলে ধরেন তারা।এর মধ্যে অবহেলা আর অযত্নের কথাই তুলে ধরেন তারা।তাছাড়া সরকারি হাসপাতালে কিছু ঔষধ পাওয়া গেলেও ওই হাসাপাতালে গেলে বাইরে থেকেই ঔষধ কিনে খেতে বলেন দেন না কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা বলেও তাদের অভিযোগ।ওই বেদেঁ পলিস্নর সকলে জানেন সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা এলাকায় সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। তবে ওই স্থানে বসবাস করা বেদেঁ সম্প্রদায়ের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী কখনো জীবনে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে যাননি বলে জানান।এদের মধ্যে অনেকে গেলেও যথাযথ স্বাস্থ্য সেবা না পাওয়ায় একবারের পর আর জাননি বলে জানান অনেকে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তালতলা বাজার সংগস্নগ্ন খালে এখনো নৌকায় বসবাস করছেন প্রায় অর্ধশত বেদে পরিবার।বিগত কয়েক বছর আগেও ওই স্থানে কয়েকশত বেদেঁ পরিবার বসবাস করতো বলে জানান ওই স্থানের বেদেঁরা।তবে বর্তমানে জলাশয়ের পরিমাণ কমে যাওয়ায় এবং খাল বিলে আগের মতো মাছ পাওয়া না যাওয়ায় তার উঠে আসছেন ডাঙায়।বাসা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করতে শুরম্ন করেছেন। যুগের পর যুগ ধরে ওই তালতলা বজারসহ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে রয়েছে তাদের বসবাস।গ্রামে গ্রামে ঘুরে চুড়ি ফিতা ফেরি করে বিক্রি আর নদীতে মাছ ধরে কোনো রকম ভাবে সামান্য উপার্জন দিয়ে চলছে বেদে পলিস্নর বেদেদের জীবন।মূলত স্থায়ী আবাসনের অভাবে বেদে সন্তানদের পড়ালেখার তেমন কোনো সুযোগ নেই।তাই বেদে বহরের সদস্যরা স্থায়ী আবাসনের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।স্থায়ী আবাসন হলে দীর্ঘদিনের ভাসমান জীবন থেকে বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক ও স্থায়ী জীবনযাপনে যুক্ত হতো তারা।তাদের সত্মানরা শিক্ষা,স্বাস্থ্যের মত মৌলিক চাহিদা পূরণে সক্ষম হতো।জানাগেছে,মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় ৮টি ইউনিয়নেই রয়েছে বেদেদের বসবাস।উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজার ডাক বাংলোর পার্শ্ববর্তী ইছামতি নদীর তীর ঘেঁষে বেদে পলিস্ন বা বাইদ্যা পট্টি অবস্থিত।প্রায় ৫০/৫৫ টি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠা এই পলিস্নতে বসবাস করে ৩ শতাধিক বেদে।জানা যায়,তারা এই এলাকায় প্রায় অর্ধশত বছরের বেশি সময় ধরে এই এলাকায় বসবাস করে আসছে।তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে ভোট প্রদান করে আসছে।আর তাদের ভোটাধিকার দেওয়া হলেও দেওয়া হয়নি কোন নাগরিক সুবিধা।আকেফ নিয়ে অনেকেই বলেন আমরা ভোট দিতে পারলেও সরকার ভূমিহীনদের জায়গা ও ঘর দিলেও আমরা কেউ পাইনি ।স্থায়ী আবাসনের অভাবে বেদে সন্তানদের পড়ালেখার তেমন কোনো সুযোগ নেই। তাই বেদে বহরের সদস্যরা স্থায়ী আবাসনের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।স্থায়ী আবাসন হলে দীর্ঘ দিনের ভাসমান জীবন থেকে বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক ও স্থায়ী জীবনযাপনে যুক্ত হতে পারবে তারা।তাদের সন্তানরা শিক্ষা,স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক চাহিদা পূরণে সড়্গম হবে।হতদরিদ্র এই পরিবারগুলো যখন নিজেরা আর্থিক দীনতায় ভুগছেন তখন সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত তারা।তাদের অভিযোগ সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা পান না তারা।তাই তাদের বহরের পাশের তালতলা বাজারের ঔষধ আর সিজার সহ অন্যান্য চিকিৎসা সেবানীতে তারা ছুটেন সিরাজদিখানের হোসনেয়ারাসহ কয়েকটি ক্লিনিকে।বেদে পলিস্নতে নারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় এখনো তাদের অধিকাংশ সন্তানই সিজারের মাধ্যমে জন্ম গ্রহণ করে।আর অন্যান্য রোগ বালাইতো রয়েছেই।সিজাররের মতো জটিল এই অপারেশনের জন্য তাদের প্রয়োজন হয় ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।আর এ টাকা জোগাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়।সিরাজদিখানের আরাফাত আর হোসনেয়ারা ক্লিনিকে সিজার করেন তারা।সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হয় তাদের।সিজারের অর্থের যোগানের বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,বেদেঁ পরিবারের স্বামী স্ত্রী উভয়ই কাজ করে থাকেন।এর মধ্যে বেদে পরিবারের স্বামীরা সাধারণত মাছ ধরার কাজ করেন আর স্ত্রীরা গায়ে গায়ে হেঁটে থালা-বাসন বিক্রি করে থাকেন।তবে বর্তমানে খাল বিলে যেমন কমেছে মাছের সংখ্যা অন্যদিকে তেমনি থালা-বাসন বিক্রিও কমে যাওয়ায় পরিবারগুলো চরম হতাশায় রয়েছে।এরমধ্যে রোগবালাই পড়লে নিতে হচ্ছে তাদের স্বাস্থ্যসেবা আর তা নিচ্ছেন তারা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে।এ ব্যাপারেই বেদে পলিস্নর লাকি বলেন,জীবনে কোনোদিন সরকারি হাসপাতালেই যাই নাই।আমিসহ আমার সত্মানদের তালতলা বাজারের পাশে চৌধুরি বাড়িতে ডাক্তার দেখাই।ঢাকা থেকে ডাক্তার আসে।সরকারি হাসপাতাল কোথায় তা চিনি না।চারটি সন্তান আছে তাদেরকেও টাকা দিয়ে ডাক্তার দেখাই।তিনি বলেন আমরা ছোটবেলা হতেই নৌকায় বড় হয়েছি।এখনো আমার ৪ সন্তান মিলে আমার পরিবারের ৬ সদস্য। দিন দিন আমাদের পরিবারের সদস্য বাড়ছে অথচ আমরা পানিতে বসবাস করলেও খাল বিল শুকিয়ে পানির স্থান অনেক কমে গেছে।এখন আমার চার সন্তান নৌকায় রাখতে হলে কয়েকটি নৌকার প্রয়োজন।এতো নৌকা রাখার মত জায়গা নাই।তাই নৌকা ছেড়ে অন্য বাড়িতে ভাড়া থাকি। ২০০০ টাকা মাসে ভাড়া দিতে হয়।আমার স্বামী লাবু মাছ ধরে বছরে ৮-৯ মাস মাছ পায় ওই মাছ বিক্রি করে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পাওয়া যায় আর আমি গ্রামে গ্রামে কাঁচের মেলামাইন জিনিস বিক্রি করি।কিন্তু এখন মানুষ আর জিনিসপত্র কিনতে চায় না।কত আর কিনব ২০ বছর যাবত জিনিসপত্র বিক্রি করতেছি মানুষ আমাদের কাছ থেকে কিনতে কিনতে শোকজ ভরে গেছে এখন কিনা আর রাখবো কোথায়।এ ব্যাপারে রূপালী বেগম বলেন, আমরা বেদে পলিস্নর বাসিন্দা আমরা অসুস্থ হলে সাধারণত আমাদের পাশের তালতলা বাজার হতেই ওষুধ কিনে খাই।তবে আমাদের বেদেঁ পলিস্নর সন্তান এখনো সিজারের মাধ্যমেই জন্ম গ্রহণ করে। এ জন্য আমরা সিরাজদিখানের আরাফত ও হোসনেয়ারা ক্লিনিকে যাই।গ্রাম ঘুরে চুড়ি ফিতা পেস্নট বিক্রি করে সিরাজরের জন্য আগেই টাকা জোগাড় করে রাখি।স্বাস্থ্য কমপেস্নক্রে ডাক্তাররা ঠিকমতো কেয়ার নেয়না।তাই সরকারি হাসপাতালে যাই না।একটি সšত্মান সিজার করাতে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়।সোনা মিয়া বলেন আমরা অসুস্থ হলে পাশেই চিকিৎসা নিয়ে আমরা সরকারি হাসপাতালে যাই না স্থানীয় তালতলা বাজারেতেই চিকিৎসা নিয়ে আমরা।আবুল হোসেন বলেন,আগে অনেক পরিবার এখানে বসবাস করতাম।এখন সবাই ওপরে উঠে গেছে।আমরা ৫০ টার মত পরিবার পানিতেই বসবাস করছি।অসুখ হলে আমরা তালতলা বাজার হতে ওষুধ কিনে খাই। শুনছি ইছাপুরা সরকারি স্বাস্থ্য হাসপাতাল আছে ওখানে কোনোদিন যাই নাই।বেদে পল্লির মোহাম্মদ আব্বাস বলেন অসুস্থ হলে মাঝেমধ্যে সরকারি হাসপাতালে যাই।গেলে লম্বা ছিড়িয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।লম্বা সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকার পর হাসপাতাল হতে দু-একটি ঔষধ পেলেও অধিকাংশ কিনে খেতে হয়।যার কারণে এত ঝামেলা হওয়াতে যাই না।আমি ছেলেকে নিয়ে মুসলমানি করার জন্য গিয়েছিলাম ডাক্তার বলছে এখানে হয় না।বেবি আক্তার বলেন,আমি মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। পাঁচ বছর আগে অটো হতে পরে ব্যথা পেয়েছিলাম । আমার হাত ভেঙ্গে গিয়েছিল পড়ে আমাকে চার-পাঁচজন ধরে ইছাপুরা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়।নিয়ে যাওয়ার পরে আমাকে কয়েকটা ওষুধ লিখে দিয়া বলে এগুলি খান গিয়ে।কোন এক্ররেও করলো না।আমরা এখন আর সরকারি হাসপাতালে যাই না অসুস্থ হলে বাড়ির পাশ হতে ওষুধ কিনে খাই।এ ব্যাপারে সিরাজদিখান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.জামশেদ ফরিদি বলেন,আমাদের সরকারি হাসপাতালে সিজার এবং নরমালি ডেলিভারি করানো হয়।আমরা নভেম্বর মাসে ১৬টি এবং ডিসেম্বর চলতি মাসে এ পর্যšত্ম ১৫টি সিজার ও ৩৬টি নরমাল ডেলিভারি করিয়েছি।আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তার আলোকে আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করছি।সমাজকল্যাণ এর অর্থায়নে রোগী কল্যাণ সমিতি নামের একটি সংস্থা রয়েছে আমরা তার সাথে সমৃক্ত হওয়ার চেষ্টা করছি।সমৃক্ত হতে পারলে সিজারের সব ধরনের ঔষধ আমরা এখান হতে দিতে পারবো।মার্চ মাসের দিকে সরকারি স্বাস্থ্য সেবায় সিরাজদিখানে আরো কয়েকটি প্রজেক্ট যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে ওগুলো যুক্ত হলে ব্যাপক আকারে সিজার করানো সম্ভব হবে।