ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
নির্দেশনা পেলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত: কর্নেল শফিকুল দৌলতপুরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত মৌলভীবাজার সীমান্তে শিশুসহ ৭১ বাংলাদেশীকে ফেরত দিলো বিএসএফ শ্রীমঙ্গলে অনিয়ম-দুর্নীতি ঢাকতে নতুন কারসাজিতে ও ঠিকাদার ব্যর্থ মৌলভীবাজারে জামিনের প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক গ্রেপ্তার জুড়ীর কৃতি সন্তান শরীফ বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে প্রথম আ’লীগের সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার ৩৩ ডেপুটি জেলারকে একযোগে বদলি আমি জনগণের সেবক হতে চাই, কারো প্রতিযোগী না: মাসুদুজ্জামান জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে মর্গ্যান স্কুলের সংকট নিরসন মাদরাসার দুই শিক্ষার্থীর একই সাথে মৃত্যু;  শিক্ষক সমিতির শোক দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রথমবার কৃত্রিম বৃষ্টি এক নতুন দিগন্ত ভেড়ামারায় পদ্মায় তীব্র ভাঙন, আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে নদীপাড়ের বাসিন্দারা ভৈরবের পূর্বকান্দা সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক’কে অফিসে ডুকে মারধরের অভিযোগ সুন্দরবনে বিপুল পরিমাণ হরিণ শিকারের ফাঁদ জব্দ কুমিল্লায় ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত বিচারের দাবিতে মহিলা পরিষদের মানববন্ধন আজ ব্যাংক হলিডে, ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে সব লেনদেন বন্ধ জুলাই অভ্যুত্থানে বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের শহীদ হয়েছে ৭৩৪ নওগাঁয় অতিরিক্ত ধান-চাল মজুদ: দুই মিল ম্যানেজারের অর্থদন্ডসহ জেল নারায়ণগঞ্জে র‍্যাবের অভিযানে অস্ত্র-মাদক ও বিদেশি মুদ্রাসহ আটক-২ ফতুল্লায় আবির ফ্যাশনে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনায় বিক্ষোভে ৮ কারখানা বন্ধ সুন্দরবনে হরিণের ফাঁদসহ আটক-১ শিকারী  খোলপেটুয়া নদীরচর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার শরণখোলায় ৪নং সাউথখালী ইউপি’র উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা বিমানবন্দরে চেকিংয়ে ম্যাগজিন পাওয়ার বিষয়ে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ না’ঞ্জকে সবুজে ঘেরা পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলা।”-জেলা প্রশাসক ৫ আগস্টের পর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ১৩ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত না’গঞ্জে ‘আ’লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে সাবেক বিএনপি নেতাকে ‘মারধর’সহ হেনস্তা না’গঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে মাদক-অস্ত্রসহ আটক-২ নারী কারবারি কুষ্টিয়ায় মাদক কারবার নিয়ে বিরোধে যুবককে কুপিয়ে হত্যা কুষ্টিয়ায় বাসচাপায় পুলিশ সদস্য নিহত শরণখোলায় লাগসই প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত আমার শিকড় এই মাটির অনেক গভীরে: মাসুদুজ্জামান মাসুদ ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ আজ না ফেরার দেশে ‘কাঁটা লাগা’ গার্লখ্যাত শেফালি জারিওয়ালা নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে মাসুদ-পন্টি পরিষদ বিজয়ী ধর্ষণচেষ্টা মামলায় শিক্ষক আটক, পাঠানো হলো কারাগারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চালকদের ডাটাবেজ করছে না’গঞ্জ জেলা প্রশাসন ডিএমপির ৬ ডিসির দায়িত্বে রদবদল কুষ্টিয়ায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতের হানা, লাশের শরীর তল্লাশি গাইবান্ধায় এইচএসসি পরীক্ষার ১ম দিনে ১২ জন বহিষ্কার, ৪২৯ অনুপস্থিত কুষ্টিয়ায় মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী দিবস পালিত রায়পুরায় ছয় দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি শরণখোলায় পার্টনার স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম সবুজের মায়ের ১ম  মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া অনুষ্ঠিত আজ থেকে শুরু এইচএসসি পরীক্ষা,পরীক্ষার্থীদের মানতে হবে বিশেষ গাইডলাইন নারায়ণগঞ্জে জোড়া খুন; সাবেক কাউন্সিলর হান্নান ও দুই পুত্রসহ আটক-৪ ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় খালাস পেলেন কুষ্টিয়ার দুই সাংবাদিক গ্লোবাল টিভির সাংবাদিক মনিরুল আলমকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি ‘মব জাস্টিস’ এক হিংস্র উন্মাদনা: তারেক রহমান দেশের সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা ফতুল্লায় তিতাসের অভিযান: অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ অর্থদন্ড রোটারি ক্লাব অব নারায়ণগঞ্জ মিডটাউনের বর্ষ সমাপ্তি সভা অনুষ্ঠিত ‘মব’ ঠেকাতে কঠোর বার্তা, ব্যর্থ হলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার সাবেক সিইসিকে ‘মব’ সৃষ্টি করে হেনস্থাকারী স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মুজাম্মেল আটক স্রোতের তোড়ে ২৮ যাত্রী নিয়ে মেঘনায় ডুবলো স্পিডবোট কর,কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগ‘ কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা এনসিপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত-৪ প্রধান উপদেষ্টাসহ দুদককে উকিল নোটিশ পাঠালেন টিউলিপ সিদ্দিক বিশ্ব পরিবেশ দিবসে মহিলা পরিষদের বৃক্ষরোপণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে ছদ্মবেশে গ্রেপ্তার করল পুলিশ সোনারগাঁয়ে প্রবাসীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার হুমকিদাতা বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার ‘মব’ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কড়া হুশিয়ারী দিলো সরকার সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন গ্রেপ্তার সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে ঘিরে ‘মব’ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার সাবেক আরেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার না’গঞ্জের প্রবেশমুখে স্থাপত্যশৈলীর ছোয়ায় নির্মিত হবে ‘গেট অব ড্যান্ডি’ শামীম ওসমানের ২টি প্লট ক্রোকসহ ২৯ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ সাবেক সিইসি কেএম নুরুল হুদা ডিবি হেফাজতে মুন্সিগঞ্জের সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লব গ্রেপ্তার বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করবে: মোস্তফা জামান কুষ্টিয়ায় পাউবোর জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না’গঞ্জে অটোরিকশার স্ট্যান্ড দখল নিতেই বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, নিহত-২ আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল, গ্রেপ্তার নয়: মেঘনা আলম  এডিসির সঙ্গেও অনৈতিক সম্পর্ক ছিল বিশ্বপ্রেমিক ডিসি আশরাফের নারায়ণগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জোড়া খুন দুই মাসেও ডিবি প্রধানের শূন্য পদ পূর্ণ হয়নি কর্মস্থলে অনুপস্থিত শরীয়তপুরের বিতর্কিত ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন ভিডিও বার্তায় প্রেমিকাকে যা বললেন শরীয়তপুরের সমালোচিত ডিসি আইআরজিসির কাছে যুদ্ধকালীন ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন খামেনি পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ইকবাল বাহার ডিবি হেফাজতে পরিবেশ সংরক্ষণে জেলা প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন: জনপ্রশাসন সচিব বঙ্গোপসাগরে বৈরী আবহাওয়ায় মাছ ধরতে পারছে না জেলেরা: নিরাপদ আশ্রয় ফিশিং ট্রলার শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল না’গঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় মাদক-ছিনতাই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ নারায়ণগঞ্জে মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতনের শিকার বাবা-মার হাতেই পুত্র খুন সেনা অভিযানে তিন সপ্তাহে ৫৬ অবৈধ অস্ত্রসহ ৯৯৬ অপরাধী গ্রেপ্তার কমলগঞ্জে ৩ কেজি গাঁজাসহ দুই কারবারি পুলিশের জালে আদমজী বিহারি ক্যাম্পে সেনা অভিযান, অস্ত্রসহ ২ নারী আটক কুষ্টিয়ায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু কুষ্টিয়ায় ছাত্রাবাসে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে রহস্যের ধূম্রজাল শরণখোলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সেনাবাহিনীর হাতে আটক হওয়ায় পিতার সংবাদ সম্মেলন কমলগঞ্জে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা কুলাউড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার দেশজুড়ে থেমে থেমে বজ্রসহ বৃষ্টি ও ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস ট্রাম্পের হুমকির পর আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ির পাল্টা জবাব ‘যুদ্ধ শুরু হলো’ নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজে দুর্ধর্ষ চুরি সোনারগাঁয়ে খালপাড় বেড়িবাঁধ থেকে যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার নারায়ণগঞ্জে মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার ফতুল্লায় ড্রেন থেকে বস্তাবন্দি যুবকের মরদেহ উদ্ধার

মুন্সিগঞ্জের বেদে সম্প্রদায় বছরের পর বছর নাগরিক সেবা হতে বঞ্চিত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৩:৫৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫ ১৫৭ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
দারিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম হলো বেদেঁ সম্প্রদায়।সাধারণত মাছ ধরে ও বিভিন্ন মেলামাইন সামগ্রী চুরি,ফিতা বিক্রি করে সংসার চলে তাদের। দারিদ্র এ জনগোষ্ঠীর অর্ধ শতাধিকেরও বেশি পরিবার বাস করে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজার সরকারি ডাক বাংলোর সংগস্নগ্ন খালে।
জলে ভাসা পদ্ম আমি শুধু পেলাম ছলনা।কালজয়ী এই বাংলা গানের মতই এই বেদে পলিস্নর বেদেদের জীবন।নাগরিক অধিকার থাকলে নেই নাগরিক সুুবিধা।বিগত কয়েকে বছরে দেশ জুড়ে অনেক হতদরিদ্র মানুষের আবাসন ব্যবস্থা হলেও এই এলাকার একটি বেদেঁ পরিবারও পাননি কোন আবাসন সুবিধা।তাছাড়া তারা বঞ্চিত শিড়্গা ও সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা হতেও।সাধারণ অসুখে এ বেদেদের ভরসা তালতলা বাজারের ফার্মেসী । ফার্মেসী হতে ওষুধ কিনে খেয়েই সাধারণ রোগের চিকিৎসা চলে তাদের। আর একটু অসুস্থ কিংবা সন্তান প্রস্রাবের সময় তারা চিকিৎসা নেন বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্লিনিকে।সরেজমিনে ওই বেদেঁ পলিস্নতে গেলে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে না যাওয়ার বিভিন্ন কারণ তুলে ধরেন তারা।এর মধ্যে অবহেলা আর অযত্নের কথাই তুলে ধরেন তারা।তাছাড়া সরকারি হাসপাতালে কিছু ঔষধ পাওয়া গেলেও ওই হাসাপাতালে গেলে বাইরে থেকেই ঔষধ কিনে খেতে বলেন দেন না কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা বলেও তাদের অভিযোগ।ওই বেদেঁ পলিস্নর সকলে জানেন সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা এলাকায় সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। তবে ওই স্থানে বসবাস করা বেদেঁ সম্প্রদায়ের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী কখনো জীবনে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে যাননি বলে জানান।এদের মধ্যে অনেকে গেলেও যথাযথ স্বাস্থ্য সেবা না পাওয়ায় একবারের পর আর জাননি বলে জানান অনেকে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তালতলা বাজার সংগস্নগ্ন খালে এখনো নৌকায় বসবাস করছেন প্রায় অর্ধশত বেদে পরিবার।বিগত কয়েক বছর আগেও ওই স্থানে কয়েকশত বেদেঁ পরিবার বসবাস করতো বলে জানান ওই স্থানের বেদেঁরা।তবে বর্তমানে জলাশয়ের পরিমাণ কমে যাওয়ায় এবং খাল বিলে আগের মতো মাছ পাওয়া না যাওয়ায় তার উঠে আসছেন ডাঙায়।বাসা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করতে শুরম্ন করেছেন। যুগের পর যুগ ধরে ওই তালতলা বজারসহ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে রয়েছে তাদের বসবাস।গ্রামে গ্রামে ঘুরে চুড়ি ফিতা ফেরি করে বিক্রি আর নদীতে মাছ ধরে কোনো রকম ভাবে সামান্য উপার্জন দিয়ে চলছে বেদে পলিস্নর বেদেদের জীবন।মূলত স্থায়ী আবাসনের অভাবে বেদে সন্তানদের পড়ালেখার তেমন কোনো সুযোগ নেই।তাই বেদে বহরের সদস্যরা স্থায়ী আবাসনের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।স্থায়ী আবাসন হলে দীর্ঘদিনের ভাসমান জীবন থেকে বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক ও স্থায়ী জীবনযাপনে যুক্ত হতো তারা।তাদের সত্মানরা শিক্ষা,স্বাস্থ্যের মত মৌলিক চাহিদা পূরণে সক্ষম হতো।জানাগেছে,মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় ৮টি ইউনিয়নেই রয়েছে বেদেদের বসবাস।উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজার ডাক বাংলোর পার্শ্ববর্তী ইছামতি নদীর তীর ঘেঁষে বেদে পলিস্ন বা বাইদ্যা পট্টি অবস্থিত।প্রায় ৫০/৫৫ টি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠা এই পলিস্নতে বসবাস করে ৩ শতাধিক বেদে।জানা যায়,তারা এই এলাকায় প্রায় অর্ধশত বছরের বেশি সময় ধরে এই এলাকায় বসবাস করে আসছে।তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে ভোট প্রদান করে আসছে।আর তাদের ভোটাধিকার দেওয়া হলেও দেওয়া হয়নি কোন নাগরিক সুবিধা।আকেফ নিয়ে অনেকেই বলেন আমরা ভোট দিতে পারলেও সরকার ভূমিহীনদের জায়গা ও ঘর দিলেও আমরা কেউ পাইনি ।স্থায়ী আবাসনের অভাবে বেদে সন্তানদের পড়ালেখার তেমন কোনো সুযোগ নেই। তাই বেদে বহরের সদস্যরা স্থায়ী আবাসনের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।স্থায়ী আবাসন হলে দীর্ঘ দিনের ভাসমান জীবন থেকে বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক ও স্থায়ী জীবনযাপনে যুক্ত হতে পারবে তারা।তাদের সন্তানরা শিক্ষা,স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক চাহিদা পূরণে সড়্গম হবে।হতদরিদ্র এই পরিবারগুলো যখন নিজেরা আর্থিক দীনতায় ভুগছেন তখন সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত তারা।তাদের অভিযোগ সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা পান না তারা।তাই তাদের বহরের পাশের তালতলা বাজারের ঔষধ আর সিজার সহ অন্যান্য চিকিৎসা সেবানীতে তারা ছুটেন সিরাজদিখানের হোসনেয়ারাসহ কয়েকটি ক্লিনিকে।বেদে পলিস্নতে নারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় এখনো তাদের অধিকাংশ সন্তানই সিজারের মাধ্যমে জন্ম গ্রহণ করে।আর অন্যান্য রোগ বালাইতো রয়েছেই।সিজাররের মতো জটিল এই অপারেশনের জন্য তাদের প্রয়োজন হয় ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।আর এ টাকা জোগাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়।সিরাজদিখানের আরাফাত আর হোসনেয়ারা ক্লিনিকে সিজার করেন তারা।সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হয় তাদের।সিজারের অর্থের যোগানের বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,বেদেঁ পরিবারের স্বামী স্ত্রী উভয়ই কাজ করে থাকেন।এর মধ্যে বেদে পরিবারের স্বামীরা সাধারণত মাছ ধরার কাজ করেন আর স্ত্রীরা গায়ে গায়ে হেঁটে থালা-বাসন বিক্রি করে থাকেন।তবে বর্তমানে খাল বিলে যেমন কমেছে মাছের সংখ্যা অন্যদিকে তেমনি থালা-বাসন বিক্রিও কমে যাওয়ায় পরিবারগুলো চরম হতাশায় রয়েছে।এরমধ্যে রোগবালাই পড়লে নিতে হচ্ছে তাদের স্বাস্থ্যসেবা আর তা নিচ্ছেন তারা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে।এ ব্যাপারেই বেদে পলিস্নর লাকি বলেন,জীবনে কোনোদিন সরকারি হাসপাতালেই যাই নাই।আমিসহ আমার সত্মানদের তালতলা বাজারের পাশে চৌধুরি বাড়িতে ডাক্তার দেখাই।ঢাকা থেকে ডাক্তার আসে।সরকারি হাসপাতাল কোথায় তা চিনি না।চারটি সন্তান আছে তাদেরকেও টাকা দিয়ে ডাক্তার দেখাই।তিনি বলেন আমরা ছোটবেলা হতেই নৌকায় বড় হয়েছি।এখনো আমার ৪ সন্তান মিলে আমার পরিবারের ৬ সদস্য। দিন দিন আমাদের পরিবারের সদস্য বাড়ছে অথচ আমরা পানিতে বসবাস করলেও খাল বিল শুকিয়ে পানির স্থান অনেক কমে গেছে।এখন আমার চার সন্তান নৌকায় রাখতে হলে কয়েকটি নৌকার প্রয়োজন।এতো নৌকা রাখার মত জায়গা নাই।তাই নৌকা ছেড়ে অন্য বাড়িতে ভাড়া থাকি। ২০০০ টাকা মাসে ভাড়া দিতে হয়।আমার স্বামী লাবু মাছ ধরে বছরে ৮-৯ মাস মাছ পায় ওই মাছ বিক্রি করে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পাওয়া যায় আর আমি গ্রামে গ্রামে কাঁচের মেলামাইন জিনিস বিক্রি করি।কিন্তু এখন মানুষ আর জিনিসপত্র কিনতে চায় না।কত আর কিনব ২০ বছর যাবত জিনিসপত্র বিক্রি করতেছি মানুষ আমাদের কাছ থেকে কিনতে কিনতে শোকজ ভরে গেছে এখন কিনা আর রাখবো কোথায়।এ ব্যাপারে রূপালী বেগম বলেন, আমরা বেদে পলিস্নর বাসিন্দা আমরা অসুস্থ হলে সাধারণত আমাদের পাশের তালতলা বাজার হতেই ওষুধ কিনে খাই।তবে আমাদের বেদেঁ পলিস্নর সন্তান এখনো সিজারের মাধ্যমেই জন্ম গ্রহণ করে। এ জন্য আমরা সিরাজদিখানের আরাফত ও হোসনেয়ারা ক্লিনিকে যাই।গ্রাম ঘুরে চুড়ি ফিতা পেস্নট বিক্রি করে সিরাজরের জন্য আগেই টাকা জোগাড় করে রাখি।স্বাস্থ্য কমপেস্নক্রে ডাক্তাররা ঠিকমতো কেয়ার নেয়না।তাই সরকারি হাসপাতালে যাই না।একটি সšত্মান সিজার করাতে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়।সোনা মিয়া বলেন আমরা অসুস্থ হলে পাশেই চিকিৎসা নিয়ে আমরা সরকারি হাসপাতালে যাই না স্থানীয় তালতলা বাজারেতেই চিকিৎসা নিয়ে আমরা।আবুল হোসেন বলেন,আগে অনেক পরিবার এখানে বসবাস করতাম।এখন সবাই ওপরে উঠে গেছে।আমরা ৫০ টার মত পরিবার পানিতেই বসবাস করছি।অসুখ হলে আমরা তালতলা বাজার হতে ওষুধ কিনে খাই। শুনছি ইছাপুরা সরকারি স্বাস্থ্য হাসপাতাল আছে ওখানে কোনোদিন যাই নাই।বেদে পল্লির মোহাম্মদ আব্বাস বলেন অসুস্থ হলে মাঝেমধ্যে সরকারি হাসপাতালে যাই।গেলে লম্বা ছিড়িয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।লম্বা সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকার পর হাসপাতাল হতে দু-একটি ঔষধ পেলেও অধিকাংশ কিনে খেতে হয়।যার কারণে এত ঝামেলা হওয়াতে যাই না।আমি ছেলেকে নিয়ে মুসলমানি করার জন্য গিয়েছিলাম ডাক্তার বলছে এখানে হয় না।বেবি আক্তার বলেন,আমি মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। পাঁচ বছর আগে অটো হতে পরে ব্যথা পেয়েছিলাম । আমার হাত ভেঙ্গে গিয়েছিল পড়ে আমাকে চার-পাঁচজন ধরে ইছাপুরা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়।নিয়ে যাওয়ার পরে আমাকে কয়েকটা ওষুধ লিখে দিয়া বলে এগুলি খান গিয়ে।কোন এক্ররেও করলো না।আমরা এখন আর সরকারি হাসপাতালে যাই না অসুস্থ হলে বাড়ির পাশ হতে ওষুধ কিনে খাই।এ ব্যাপারে সিরাজদিখান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.জামশেদ ফরিদি বলেন,আমাদের সরকারি হাসপাতালে সিজার এবং নরমালি ডেলিভারি করানো হয়।আমরা নভেম্বর মাসে ১৬টি এবং ডিসেম্বর চলতি মাসে এ পর্যšত্ম ১৫টি সিজার ও ৩৬টি নরমাল ডেলিভারি করিয়েছি।আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তার আলোকে আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করছি।সমাজকল্যাণ এর অর্থায়নে রোগী কল্যাণ সমিতি নামের একটি সংস্থা রয়েছে আমরা তার সাথে সমৃক্ত হওয়ার চেষ্টা করছি।সমৃক্ত হতে পারলে সিজারের সব ধরনের ঔষধ আমরা এখান হতে দিতে পারবো।মার্চ মাসের দিকে সরকারি স্বাস্থ্য সেবায় সিরাজদিখানে আরো কয়েকটি প্রজেক্ট যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে ওগুলো যুক্ত হলে ব্যাপক আকারে সিজার করানো সম্ভব হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

মুন্সিগঞ্জের বেদে সম্প্রদায় বছরের পর বছর নাগরিক সেবা হতে বঞ্চিত

আপডেট সময়- ০৩:৫৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
দারিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম হলো বেদেঁ সম্প্রদায়।সাধারণত মাছ ধরে ও বিভিন্ন মেলামাইন সামগ্রী চুরি,ফিতা বিক্রি করে সংসার চলে তাদের। দারিদ্র এ জনগোষ্ঠীর অর্ধ শতাধিকেরও বেশি পরিবার বাস করে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজার সরকারি ডাক বাংলোর সংগস্নগ্ন খালে।
জলে ভাসা পদ্ম আমি শুধু পেলাম ছলনা।কালজয়ী এই বাংলা গানের মতই এই বেদে পলিস্নর বেদেদের জীবন।নাগরিক অধিকার থাকলে নেই নাগরিক সুুবিধা।বিগত কয়েকে বছরে দেশ জুড়ে অনেক হতদরিদ্র মানুষের আবাসন ব্যবস্থা হলেও এই এলাকার একটি বেদেঁ পরিবারও পাননি কোন আবাসন সুবিধা।তাছাড়া তারা বঞ্চিত শিড়্গা ও সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা হতেও।সাধারণ অসুখে এ বেদেদের ভরসা তালতলা বাজারের ফার্মেসী । ফার্মেসী হতে ওষুধ কিনে খেয়েই সাধারণ রোগের চিকিৎসা চলে তাদের। আর একটু অসুস্থ কিংবা সন্তান প্রস্রাবের সময় তারা চিকিৎসা নেন বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্লিনিকে।সরেজমিনে ওই বেদেঁ পলিস্নতে গেলে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে না যাওয়ার বিভিন্ন কারণ তুলে ধরেন তারা।এর মধ্যে অবহেলা আর অযত্নের কথাই তুলে ধরেন তারা।তাছাড়া সরকারি হাসপাতালে কিছু ঔষধ পাওয়া গেলেও ওই হাসাপাতালে গেলে বাইরে থেকেই ঔষধ কিনে খেতে বলেন দেন না কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা বলেও তাদের অভিযোগ।ওই বেদেঁ পলিস্নর সকলে জানেন সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা এলাকায় সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। তবে ওই স্থানে বসবাস করা বেদেঁ সম্প্রদায়ের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী কখনো জীবনে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে যাননি বলে জানান।এদের মধ্যে অনেকে গেলেও যথাযথ স্বাস্থ্য সেবা না পাওয়ায় একবারের পর আর জাননি বলে জানান অনেকে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তালতলা বাজার সংগস্নগ্ন খালে এখনো নৌকায় বসবাস করছেন প্রায় অর্ধশত বেদে পরিবার।বিগত কয়েক বছর আগেও ওই স্থানে কয়েকশত বেদেঁ পরিবার বসবাস করতো বলে জানান ওই স্থানের বেদেঁরা।তবে বর্তমানে জলাশয়ের পরিমাণ কমে যাওয়ায় এবং খাল বিলে আগের মতো মাছ পাওয়া না যাওয়ায় তার উঠে আসছেন ডাঙায়।বাসা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করতে শুরম্ন করেছেন। যুগের পর যুগ ধরে ওই তালতলা বজারসহ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে রয়েছে তাদের বসবাস।গ্রামে গ্রামে ঘুরে চুড়ি ফিতা ফেরি করে বিক্রি আর নদীতে মাছ ধরে কোনো রকম ভাবে সামান্য উপার্জন দিয়ে চলছে বেদে পলিস্নর বেদেদের জীবন।মূলত স্থায়ী আবাসনের অভাবে বেদে সন্তানদের পড়ালেখার তেমন কোনো সুযোগ নেই।তাই বেদে বহরের সদস্যরা স্থায়ী আবাসনের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।স্থায়ী আবাসন হলে দীর্ঘদিনের ভাসমান জীবন থেকে বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক ও স্থায়ী জীবনযাপনে যুক্ত হতো তারা।তাদের সত্মানরা শিক্ষা,স্বাস্থ্যের মত মৌলিক চাহিদা পূরণে সক্ষম হতো।জানাগেছে,মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় ৮টি ইউনিয়নেই রয়েছে বেদেদের বসবাস।উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজার ডাক বাংলোর পার্শ্ববর্তী ইছামতি নদীর তীর ঘেঁষে বেদে পলিস্ন বা বাইদ্যা পট্টি অবস্থিত।প্রায় ৫০/৫৫ টি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠা এই পলিস্নতে বসবাস করে ৩ শতাধিক বেদে।জানা যায়,তারা এই এলাকায় প্রায় অর্ধশত বছরের বেশি সময় ধরে এই এলাকায় বসবাস করে আসছে।তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে ভোট প্রদান করে আসছে।আর তাদের ভোটাধিকার দেওয়া হলেও দেওয়া হয়নি কোন নাগরিক সুবিধা।আকেফ নিয়ে অনেকেই বলেন আমরা ভোট দিতে পারলেও সরকার ভূমিহীনদের জায়গা ও ঘর দিলেও আমরা কেউ পাইনি ।স্থায়ী আবাসনের অভাবে বেদে সন্তানদের পড়ালেখার তেমন কোনো সুযোগ নেই। তাই বেদে বহরের সদস্যরা স্থায়ী আবাসনের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।স্থায়ী আবাসন হলে দীর্ঘ দিনের ভাসমান জীবন থেকে বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক ও স্থায়ী জীবনযাপনে যুক্ত হতে পারবে তারা।তাদের সন্তানরা শিক্ষা,স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক চাহিদা পূরণে সড়্গম হবে।হতদরিদ্র এই পরিবারগুলো যখন নিজেরা আর্থিক দীনতায় ভুগছেন তখন সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত তারা।তাদের অভিযোগ সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা পান না তারা।তাই তাদের বহরের পাশের তালতলা বাজারের ঔষধ আর সিজার সহ অন্যান্য চিকিৎসা সেবানীতে তারা ছুটেন সিরাজদিখানের হোসনেয়ারাসহ কয়েকটি ক্লিনিকে।বেদে পলিস্নতে নারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় এখনো তাদের অধিকাংশ সন্তানই সিজারের মাধ্যমে জন্ম গ্রহণ করে।আর অন্যান্য রোগ বালাইতো রয়েছেই।সিজাররের মতো জটিল এই অপারেশনের জন্য তাদের প্রয়োজন হয় ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।আর এ টাকা জোগাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়।সিরাজদিখানের আরাফাত আর হোসনেয়ারা ক্লিনিকে সিজার করেন তারা।সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হয় তাদের।সিজারের অর্থের যোগানের বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,বেদেঁ পরিবারের স্বামী স্ত্রী উভয়ই কাজ করে থাকেন।এর মধ্যে বেদে পরিবারের স্বামীরা সাধারণত মাছ ধরার কাজ করেন আর স্ত্রীরা গায়ে গায়ে হেঁটে থালা-বাসন বিক্রি করে থাকেন।তবে বর্তমানে খাল বিলে যেমন কমেছে মাছের সংখ্যা অন্যদিকে তেমনি থালা-বাসন বিক্রিও কমে যাওয়ায় পরিবারগুলো চরম হতাশায় রয়েছে।এরমধ্যে রোগবালাই পড়লে নিতে হচ্ছে তাদের স্বাস্থ্যসেবা আর তা নিচ্ছেন তারা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে।এ ব্যাপারেই বেদে পলিস্নর লাকি বলেন,জীবনে কোনোদিন সরকারি হাসপাতালেই যাই নাই।আমিসহ আমার সত্মানদের তালতলা বাজারের পাশে চৌধুরি বাড়িতে ডাক্তার দেখাই।ঢাকা থেকে ডাক্তার আসে।সরকারি হাসপাতাল কোথায় তা চিনি না।চারটি সন্তান আছে তাদেরকেও টাকা দিয়ে ডাক্তার দেখাই।তিনি বলেন আমরা ছোটবেলা হতেই নৌকায় বড় হয়েছি।এখনো আমার ৪ সন্তান মিলে আমার পরিবারের ৬ সদস্য। দিন দিন আমাদের পরিবারের সদস্য বাড়ছে অথচ আমরা পানিতে বসবাস করলেও খাল বিল শুকিয়ে পানির স্থান অনেক কমে গেছে।এখন আমার চার সন্তান নৌকায় রাখতে হলে কয়েকটি নৌকার প্রয়োজন।এতো নৌকা রাখার মত জায়গা নাই।তাই নৌকা ছেড়ে অন্য বাড়িতে ভাড়া থাকি। ২০০০ টাকা মাসে ভাড়া দিতে হয়।আমার স্বামী লাবু মাছ ধরে বছরে ৮-৯ মাস মাছ পায় ওই মাছ বিক্রি করে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পাওয়া যায় আর আমি গ্রামে গ্রামে কাঁচের মেলামাইন জিনিস বিক্রি করি।কিন্তু এখন মানুষ আর জিনিসপত্র কিনতে চায় না।কত আর কিনব ২০ বছর যাবত জিনিসপত্র বিক্রি করতেছি মানুষ আমাদের কাছ থেকে কিনতে কিনতে শোকজ ভরে গেছে এখন কিনা আর রাখবো কোথায়।এ ব্যাপারে রূপালী বেগম বলেন, আমরা বেদে পলিস্নর বাসিন্দা আমরা অসুস্থ হলে সাধারণত আমাদের পাশের তালতলা বাজার হতেই ওষুধ কিনে খাই।তবে আমাদের বেদেঁ পলিস্নর সন্তান এখনো সিজারের মাধ্যমেই জন্ম গ্রহণ করে। এ জন্য আমরা সিরাজদিখানের আরাফত ও হোসনেয়ারা ক্লিনিকে যাই।গ্রাম ঘুরে চুড়ি ফিতা পেস্নট বিক্রি করে সিরাজরের জন্য আগেই টাকা জোগাড় করে রাখি।স্বাস্থ্য কমপেস্নক্রে ডাক্তাররা ঠিকমতো কেয়ার নেয়না।তাই সরকারি হাসপাতালে যাই না।একটি সšত্মান সিজার করাতে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়।সোনা মিয়া বলেন আমরা অসুস্থ হলে পাশেই চিকিৎসা নিয়ে আমরা সরকারি হাসপাতালে যাই না স্থানীয় তালতলা বাজারেতেই চিকিৎসা নিয়ে আমরা।আবুল হোসেন বলেন,আগে অনেক পরিবার এখানে বসবাস করতাম।এখন সবাই ওপরে উঠে গেছে।আমরা ৫০ টার মত পরিবার পানিতেই বসবাস করছি।অসুখ হলে আমরা তালতলা বাজার হতে ওষুধ কিনে খাই। শুনছি ইছাপুরা সরকারি স্বাস্থ্য হাসপাতাল আছে ওখানে কোনোদিন যাই নাই।বেদে পল্লির মোহাম্মদ আব্বাস বলেন অসুস্থ হলে মাঝেমধ্যে সরকারি হাসপাতালে যাই।গেলে লম্বা ছিড়িয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।লম্বা সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকার পর হাসপাতাল হতে দু-একটি ঔষধ পেলেও অধিকাংশ কিনে খেতে হয়।যার কারণে এত ঝামেলা হওয়াতে যাই না।আমি ছেলেকে নিয়ে মুসলমানি করার জন্য গিয়েছিলাম ডাক্তার বলছে এখানে হয় না।বেবি আক্তার বলেন,আমি মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। পাঁচ বছর আগে অটো হতে পরে ব্যথা পেয়েছিলাম । আমার হাত ভেঙ্গে গিয়েছিল পড়ে আমাকে চার-পাঁচজন ধরে ইছাপুরা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়।নিয়ে যাওয়ার পরে আমাকে কয়েকটা ওষুধ লিখে দিয়া বলে এগুলি খান গিয়ে।কোন এক্ররেও করলো না।আমরা এখন আর সরকারি হাসপাতালে যাই না অসুস্থ হলে বাড়ির পাশ হতে ওষুধ কিনে খাই।এ ব্যাপারে সিরাজদিখান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.জামশেদ ফরিদি বলেন,আমাদের সরকারি হাসপাতালে সিজার এবং নরমালি ডেলিভারি করানো হয়।আমরা নভেম্বর মাসে ১৬টি এবং ডিসেম্বর চলতি মাসে এ পর্যšত্ম ১৫টি সিজার ও ৩৬টি নরমাল ডেলিভারি করিয়েছি।আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তার আলোকে আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করছি।সমাজকল্যাণ এর অর্থায়নে রোগী কল্যাণ সমিতি নামের একটি সংস্থা রয়েছে আমরা তার সাথে সমৃক্ত হওয়ার চেষ্টা করছি।সমৃক্ত হতে পারলে সিজারের সব ধরনের ঔষধ আমরা এখান হতে দিতে পারবো।মার্চ মাসের দিকে সরকারি স্বাস্থ্য সেবায় সিরাজদিখানে আরো কয়েকটি প্রজেক্ট যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে ওগুলো যুক্ত হলে ব্যাপক আকারে সিজার করানো সম্ভব হবে।