সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আবহাওয়া ও জলবায়ু, ঈশ্বরদী, কুষ্টিয়া, খুলনা, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ
কুষ্টিয়ায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের আশায় চাষিরা
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৫:৩৬:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১ বার পড়া হয়েছে
হৃদয় রায়হান,কুষ্টিয়া প্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কবুর হাট গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ বাবলু ২০ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ করেছেন। জমি প্রস্তুত থেকে পেঁয়াজ উত্তোলন পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর ফলনও ভালো হয়েছে। বিশ শতক জমি থেকে ১৮ থেকে ২০ মণ পেঁয়াজ পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। বর্তমান বাজারে যার মূল্য ৮০ হাজার টাকারও বেশি। তিন মাস আগে সেপ্টম্বর মাসের প্রথম দিকে রোপন করা ২০ শতক জমিতে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন এই কৃষক। এদিকে কৃষক বাবলুর দেখা দেখি এলাকার অনেক কৃষক এবার গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।
আব্দুল মজিদ বাবলু জানান, অন্যান্য ফসলের চেয়ে সময় ও পরিশ্রম কম, তাই পেঁয়াজ চাষে লাভও বেশি। সামনের মৌসুমে আরো অধিক জমিতে পেঁয়াজ চাষের পরিকল্পনা করছেন এই কৃষক। পদ্মা ও গড়াই নদীর তীরবর্তী কুষ্টিয়া জেলার মাটি বেলে ও দোআঁশ হওয়ার কারণে পেঁয়াজের ফলনও ভালো হয়। এবছর দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা গ্রীষ্মকালে পেঁয়াজ চাষে আরো বেশি আগ্রহী হচ্ছেন। জেলার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী, রামকৃষ্ণপুর, ফিলিপ নগর, মহিষকুন্ডি আদাবাড়িয়া ইউনিয়নসহ পদ্মা ও গড়াই নদী তীরবর্তী অঞ্চলে ব্যাপকভাবে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ হয়েছে।
একই চিত্র দেখা গেছে জেলার খোকসা, কুমারখালী, কুষ্টিয়া সদর, মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলাতেও। এসব এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গ্রীষ্মকালীন ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বাজারে পেঁয়াজ ওঠে। আর এসময় পেঁয়াজের দাম তুলনামূলক অন্য সময়ের চেয়ে বেশি থাকার কারণে তারা ভালো দাম পান, যে কারণে তারা গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রূপালী খাতুন জানান, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার প্রায় সবগুলো (১৪ টি) ইউনিয়নে কৃষকরা এবার গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ করেছেন। কৃষি বিভাগ কৃষকদের কারিগরি সহায়তার পাশাপাশি বিনামূল্যে সার, বীজসহ অন্যান্য পরামর্শ দিয়ে আসছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার উপ-পরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান জানান, জেলায় এবছর ৩৭০০ হেক্টর জমিতে প্রায় ২৫ হাজার কৃষক গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকাই এবার পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই মৌসুম উৎপাদিত পেঁয়াজ জেলার চাহিদা পূরণ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এ অঞ্চলের কৃষকরা যাতে আরো বেশি গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে উদ্বুদ্ধ হয় সেই জন্য কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ