ঢাকা ০৬:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
শরণখোলায় হরিণ শিকারের দায়ে যুবক’কে কারাদণ্ড কুলাউড়া সীমান্তে বিএসএফের জালে তিন যুবক গণঅভ্যুত্থান স্মরণে নারায়ণগঞ্জে ‘জুলাই প্রতীকী ম্যারাথন’ অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জে হকার্স মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৩০টির অধিক দোকান ভস্মীভূত গনঅভ্যুত্থান উপলক্ষে মৌলভীবাজারে জুলাই প্রতীকী ম্যারাথন গোপালগঞ্জে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় ৫’শ জনকে আসামী করে মামলা মতিঝিলে সেনা কল্যাণ ভবনে অগ্নিকান্ড, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট গোপালগঞ্জকে ‘চিরতরে মুজিববাদ মুক্ত’ করতে মার্চ করা হবে: নাহিদ ইসলামের হুশিয়ারী ময়নাতদন্ত ছাড়াই গোপালগঞ্জে নিহত ৪ জনের দাফন-সৎকার সম্পন্ন ‘আমার ছেলে তো দোষ করেনি, কেন তাকে মেরে ফেলল’- পিতার আর্তনাদ গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে গুলিতে নিহত-৪ দৌলতপুর সীমান্তে বিদেশি পিস্তল ও শর্টগানসহ আটক-২ শরণখোলায় সাপের কামড়ে নারীর মৃত্যু রণক্ষেত্র গোপালগঞ্জ, ১৪৪ ধারা জারি গোপালগঞ্জে এবার ইউএনও’র গাড়ি বহরে হামলা,বহু হতাহত এনসিপির পদযাত্রা ঠেকাতে গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে হামলাসহ আগুন না’গঞ্জে বিগত ছয়মাসের কর্ম ফিরিস্তি ‘মিট দ্যা প্রেস’ এ তুলে ধরলেন ডিসি নওগাঁয় মাকে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়া কুলাঙ্গার ছেলে গ্রেপ্তার কুলাউড়ায় স্ত্রীর মৃত্যুর খবরে তিন ঘণ্টার মধ্যে স্বামীর মৃত্যু শরণখোলায় বাসচাপায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু শরণখোলা রেঞ্জে অবৈধভাবে মাছ ধরার সময় পাঁচ জেলে আটক পটুয়াখালীতে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নববধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ ভেড়ামারায় মেয়েকে হত্যার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে, মামলা করলেন মা ভরা মৌসুমে চালের বাজারে অস্থিরতা যুক্তরাষ্ট্রের যৌক্তিক শুল্ক নির্ধারণে আশাবাদী বাংলাদেশ: বাণিজ্য উপদেষ্টা ক্যামব্রিয়ান ও বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান বাশার গ্রেপ্তার মিটফোর্ডে আলোচিত সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু না’গঞ্জে গ্রেপ্তার দেশে সর্বপ্রথম নান্দনিক “জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ” নির্মিত হলো নারায়ণগঞ্জে  শ্রীমঙ্গলে আলোচিত কলেজ ছাত্র হৃদয় হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ আটক-২ কমলগঞ্জে অ/জ্ঞা/ত ব্যক্তির ভাসমান মৃ/ত/দে/হ উদ্ধার ভাঙ্গায় চলাচলের অনুপযোগী সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ফরিদপুরে সামাজিক সমস্যা নিরসনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত প্রাচীন অস্পৃশ্য গ্রাম মালানা গণতন্ত্রের নিঃশব্দ সাক্ষী মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা প্রথম নির্ধারণ করেছেন এক বাঙালি  বাগেরহাটে প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান ও সেবা মূল্যায়ন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত সোমবার নারায়ণগঞ্জ আসছেন অন্তবর্তী সরকারের ৬ উপদেষ্টা ফ্রান্স প্রবাসীর দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলায় অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন শ্রীঘরে শরণখোলায় বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে নির্বাচিত হলেন যারা অবৈধ মৎস্য শিকারিদের কবলে হাকালুকি হাওর সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিতে বিক্ষোভ মিছিল ডেঙ্গু মোকাবেলায় ৩’শ শয্যা হাসপাতালের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম পরিদর্শনে ডিসি পাথর মেরে বর্বরোচিত হত্যার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় ইসলামী আন্দোলন বিক্ষোভ স্বামীর লিঙ্গ কর্তন: থানা হেফাজতে ‘বিষপানে’ নারীর মৃত্যু, ৩ পুলিশ বরখাস্ত কুলাউড়ার ওসির তৃতীয় দফায় বদলির পর ডিআইজির হস্তক্ষেপ মৌলভীবাজারে শেখ মুজিবের ম‍্যুরাল ভেঙে দিল ছাত্র-জনতা কুষ্টিয়ায় অটোরিকশাচালকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ রাজধানীর মিটফোর্ডের সামনে নৃশংস হত্যার ঘটনায় মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার-৪ রাজধানীতে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ: মৃত্যু নিশ্চিতের পর লাশের ওপর লাফায় ঘাতকরা বিসিএমএ’র নতুন সভাপতি প্রিমিয়ার সিমেন্টের কর্ণধার আমিরুল হক দেওভোগে স্কুলের উন্নয়নে এগিয়ে এলেন মাসুদুজ্জামান বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ১৮ বিচারক’কে অবসরে পাঠাল সরকার ‘হয়রানিমূলক মামলা ও গ্রেপ্তার ঠেকাতে’ ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধনের অধ্যাদেশ জারি যে কারনে পদায়নের ৭২ ঘন্টার মাথায় সোনারগাঁয়ের ওসি ক্লোজড শ্রীমঙ্গলে গৃহবধুর অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার নারায়ণগঞ্জ কারাগারে ’জুয়াড়ি শাহজাহান’ খ্যাত কয়েদির মৃত্যু গাইবান্ধায় এসএসসিতে অকৃতকার্য: অভিমানে তিন ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, ২ জন প্রাণ হারালেন সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার সময় ৩ ট্রলারসহ আটক ২৭ জেলে পলাশবাড়ীতে এসএসসিতে ফেলের শোকে ১৬ বছরের লাবণ্যের আত্মহত্যা গাইবান্ধার দুই স্কুলে এসএসসি পরীক্ষায় শূন্য পাসের রেকর্ড শরণখোলায় সিএসও নেটওয়ার্কের সেবা মূল্যায়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত টঙ্গীর শীর্ষ সন্ত্রাসী সৈকতসহ ৬ সহযোগী র‍্যাবের জালে পাকশীতে স্কুলছাত্রী রুপাকে অপহরণচেষ্টা ব্যর্থ, অভিযুক্ত নাইম পলাতক সুন্দরগঞ্জে ওএমএস ডিলার নিয়োগে অনিয়ম: বিক্ষোভে উত্তাল উপজেলা  কমলগঞ্জে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সিগারেটসহ আটক-২  সেফটিক ট্যাংকিতে ঢুকে ৪ জনের মৃত্যু,একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক নির্বাচনের আগে ডিসি-এসপিদের রদবদল হবে আজ এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, যেভাবে রেজাল্ট দেখা যাবে ফের পুলিশের পাঁচ অতিরিক্ত ডিআইজিসহ ১৬ কর্মকর্তাকে বদলি সিদ্ধিরগঞ্জে ধনু হাজী খালের উভয় পাশে ৩’শ চারা রোপণ করলেন ডিসি রূপগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যাকান্ডের ঘটনায় এজাহারনামীয় আসামী রাসেল র‍্যাবের জালে ফতুল্লায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরনসহ ৩ প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ড কুলাউড়ার হাকালুকি হাওরে অবৈধ জাল ধ্বংস ও জরিমানা কুমারখালিতে সন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে ভাবিকে ‘ধর্ষণ’, দেবর কারাগারে চাঁদপুরে ১৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড, দুর্ভোগ চরমে মৌলভীবাজারে অর্ধকোটি টাকার ভারতীয় পন্যসহ আটক-২ ভুল করে স্টেশনে নেমে ধর্ষণের শিকার কিশোরী, যুবক গ্রেপ্তার কুলাউড়া ট্রেন স্টেশনে ভূলবশত নেমে ধর্ষণের শিকার কিশোরী দীর্ঘ ৫১ বছরেও নামফলক নেই মুন্সীগঞ্জ জেলা স্টেডিয়ামের শরণখোলা বিএনপির কমিটির নির্বাচন নিয়ে বিরোধ এখন তুঙ্গে আবরার ফাহাদের দেখানো পথেই রাজনীতি করছে এনসিপি-নাহিদ কুতুবপুরে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ’সহ নবায়ন কর্মসূচীর উদ্বোধন লোকসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের মৃত্যুর গুজব, যা জানালেন স্বামী যেভাবে দেখা যাবে এসএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল শরীয়তপুরের নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক তাহসিনা বেগম মিডিয়ার প্রতি হুমকি: জাতীয় প্রেস ক্লাবের উদ্বেগ সাংবাদিকদের হুমকি প্রদর্শন অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য: বিএফইউজে-ডিইউজের ‘গ্রিন এন্ড ক্লিন’ কর্মসূচির আওতায় ১ দিনে দেড় হাজার বৃক্ষরোপণ করলেন ডিসি নারায়ণগঞ্জ-০৫’র এমপি প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের মায়ের মৃত্যু বার্ষিকীতে দোয়া অনুষ্ঠিত সুন্দরবনে ১’শ ফুট মালা ফাঁদ উদ্ধার, হরিণ শিকারের চেষ্টা ব্যর্থ শ্রীমঙ্গলে চা বাগানে গাছে বাঁধা অবস্থা যুবকের মরদেহ উদ্ধার কমলগঞ্জে ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা চোর চক্রের ৪ সদস্য আটক কুলাউড়ায় ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আ/ত্ম/হ/ত্যা মৌলভীবাজারে কিশোর গ্যাংয়ের ছয় সদস্য ছুরিসহ গ্রেপ্তার ২৪’র গণঅভ্যুত্থানকে কোনোভাবেই বেহাত হতে দেব না : নওগাঁয় নাহিদ ইসলাম গাজীপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার সাংবাদিকদের নয়, বসুন্ধরা মিডিয়াকেই হুমকি দিয়েছি’: হাসনাত আবদুল্লাহ নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর ঘাতক স্বামীর থানায় আত্নসমর্পণ কুষ্টিয়ায় অবৈধভাবে পদ্মা নদীর বালু উত্তোলনের দায়ে জেল-জরিমানা চাঁদপুর শহরে হাসান আলী মাঠে অবৈধ দোকানপাট, খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত শিশুরা শরণখোলায় আনোয়ার হোসেন পঞ্চায়েত’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন 

‘গলি থেকে রাজপথ’ শ্যামবাজারের রক থেকে উঠে প্রাসাদে মিঠুন চক্রবর্তী 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৫:২৬:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৬২ বার পড়া হয়েছে
ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।
আমরা বাংলার এপারে বসে দেখেছি বাংলাদেশের রাজ্জাক, জসীম,আলমগীর প্রমুখ বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় ও দক্ষ অভিনেতাদের ছবি। এমনকি ববিতা সহ অনেক নায়িকা এপারে এসে বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন। খুব গর্ব বোধ করেছি। এপারের এক বাঙালি সর্বভারতীয় নায়ক মিঠুন চক্রবর্তীর জীবন নিয়ে লিখছি। কী ভাবে উত্তর কলকাতার একেবারে অবহেলিত একটি পল্লী থেকে উঠে এসে সর্ব ভারতীয় সিনেমা জগতে একেবারে শীর্ষ স্থানে উঠে এলেন, তারই কাহিনী।সেই সময় বাংলায় মহানায়ক উত্তম কুমার ছাড়া কাউকেই মন থেকে গ্রহন করা একেবারেই অসম্ভব ছিল।
***গল্পটা যিনি বলেছিলেন তিনি এক বিখ্যাত ভারতীয় ক্রিকেটার। তাঁরা একটি মাঠে প্র্যাকটিস করতেন। ওরা একদিন দেখলেন ছয় ফুট লম্বা একটি ছেলে পাঁচিল টপকে একটি বাড়িতে ঢুকছে। ছেলেটির মতলব নিশ্চয় সুবিধের নয়। তাঁরা ছেলেটিকে পাকরাও করেন। পরে জানা যায় সে বাড়িভাড়া দিতে পারতো না বলে গোপনে সেই বাড়িতে ঢুকতো। আবার পাঁচিল টপকে বাইরে আসতো।
৭০ দশকের আগুনঝরা দিন। দিন বদলের স্বপ্ন নিয়ে কত জোয়ান ছেলে হারিয়ে যাচ্ছে। নকশাল আন্দোলন তখন মধ্য গগনে। হাতে বোমা আর পাইপগান নিয়ে ছুটছে উত্তর কলকাতার অলিগলি পাকস্থলীর ভেতর। পিছু নিয়েছে রাগী গোখরোর মতন পুলিশ, হাতে ঝুলছে কর্ড ঝোলানো খুনি রিভলবার, লক্ষ্য কোনো তাজা জোয়ানের পিঠ। এরকম টালমাটাল সময় স্কটিশ চার্চের স্টুডেন্ট গৌরাঙ্গ জড়িয়ে পড়েছিল রাজনীতিতে । তারপর পালিয়ে গিয়ে কোন এক আত্মীয়ের বাড়ি। সেখানে নিজের নকশাল তথা রাজনৈতিক পরিচয় জানাজানি হতেই বিদায়। তারপর কলকাতা থেকে পালিয়ে পুনের ফিল্ম ইনস্টিটিউট।
তখন পশ্চিমবঙ্গে নকশাল আন্দোলন চলছে। বহু তাজা প্রাণ হারিয়ে গেছে। গৌরাঙ্গ ধরা পড়লেন নকশাল করার অভিযোগে আবার ছাড়াও পেলেন কিছুদিনের মধ্যে।
সেই সময় পরিচালক মৃণাল সেন মৃগয়া ছবির জন্য অভিনেতা খুঁজছেন। চরিত্রটা হবে একদম সাপাট, লজ্জাহীন। মনে পড়ে গেলো ফিল্ম ইন্সটিটিউটের এক দুষ্টু ছেলের কথা। এভাবেই গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী হয়ে গেলো মিঠুন চক্রবর্তী।
না, এরপরের রাস্তা ভয়ংকর কঠিন। মুম্বাই বড় হৃদয়হীন শহর। কত সচল পয়সা অচল হয়ে হারিয়ে গেছে সেই খোঁজ কেউ রাখেনা। মিঠুনের কাছে খাওয়ার টাকা নেই। একবেলা খেয়ে চলছে। ভালো হিন্দি বলতে পারতেন না। শিখে নিলেন। একজনের সঙ্গে রুম শেয়ার করে থাকতেন। পয়সা কম দিতেন বলে মেঝেতে শুতেন। একদিন খাটে শুয়েছিলেন বলে সেই রুমমেট প্রচুর খিস্তি মেরে অপমান করে। রাস্তা অনেক অনেক কঠিন । লবি, পলিটিক্স অদৃশ্য মাইনের মতন অপেক্ষা করছে বিস্ফোরণের জন্য।
বাঙালি নায়করা নাকি দুটি জিনিস পারতো না, নাচ এবং মারপিট। এই মিথ ভেঙে দেবার মতন কেউ আসেনি। ৭০ দশক মানেই হল ওয়ান ম্যান ইন্ডাস্ট্রি অমিতাভ বচ্চনের উত্থান। গোটা দেশ যার হেয়ার স্টাইল নকল করতো।
ছয় ফুট লম্বা মিঠুন একবার চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখতে গেছেন । কানঢাকা চুল আর বেলবটম প্যান্ট পরা মিঠুনকে দেখে পাড়ার দুষ্টু ছেলেরা বচ্চন বচ্চন বলে আওয়াজ দিচ্ছিল। ওরা জানতো না একদিন এই ছেলেটার উত্থানে অমিতাভ বচ্চন নিজেই ভয় পেয়ে যাবেন।
কিছু মানুষ কষ্টের প্লাবনে ভেসে যায়, কিছু মানুষ টিকে থাকে। মিঠুন টিকেছিলেন। স্পটবয়ের কাজ করেছেন , বি গ্রেড এর সিনেমা করেছেন । একবার অমিতাভ দেখেন মিঠুন অন্যান্য টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে একই গাড়িতে যাচ্ছে। অথচ সে নিজে ওই সিনেমার হিরো। নিজের গাড়িতেই তিনি লিফট দিয়েছিলেন। জিতেন্দ্র খিল্লি করে মিঠুনকে বলেন, এই কালিয়া আবার অভিনয় করছে! মৌসুমী চ্যাটার্জি চরম অনিচ্ছা ব্যক্ত করেন মিঠুন এর সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে। অপমানের পর অপমান। সব গিলেছেন তিনি। অমিতাভকেও এককালে কম অপমান সহ্য করতে হয়নি। যাইহোক, অমিতাভের দো আনজানে ছবিতে মিঠুন একটা ছোট্ট চরিত্র করলেন। কেউ ভাবতে পারেনি এই ছেলেটা হিরো হবে!
১৯৭৯ সালে সুরক্ষা ছবিতে বাপ্পী লাহিড়ী ডিস্কোর বিট শোনালেন। তারপর ১৯৮২ সালে ডিস্কো ড্যান্সার। ওই যে বাঙালি নায়কেরা নাকি নাচ আর মারপিট পারেনা! এলভিস প্রেসলির প্রভাব মিঠুনের নাচে সুস্পষ্ট। এতদিন ছিল অমিতাভ জমানা। কুলির দুর্ঘটনার পর অমিতাভ ছবি কমিয়ে দিলেন তারপর রাজনীতি। এদিকে হিন্দি ছবিতে অনেক পরিবর্তন হচ্ছিলো। এবার মিঠুনের রাজত্ব শুরু হয়ে গেলো। বচ্চনের কান ঢাকা চুল, লম্বা জুলপি স্টাইল পাল্টে গেলো । মিঠুন জুলফি কামিয়ে কানের সাইড দিয়ে কোনাকুনি চুলের লাইন নেমে এলো আর ঘাড়ের দিকে বেশ লম্বা। এলো স্কিন টাইট সাদা প্যান্ট, হাত কাটা গেঞ্জি, গলায় মাফলার। আর সর্বোপরি ডিস্কো বুট। লম্বা হিলের চেন টানা বুট, সাদা জুতো । একটার পর একটা হিট সুপারহিট ছবি । সঙ্গে ফ্লপ ছিল। কিন্তু এত ছবি রিলিজ হচ্ছিলো যে ম্যাটার করে না। রাশিয়ায় ডিস্কো ড্যান্সার জিমি বিরাট পপুলার।
হ্যাঁ, যাকে চন্দননগরের ছেলেরা বচ্চন বলে খিল্লি করেছিল সেই মিঠুন অমিতাভের সঙ্গে করলেন গঙ্গা যমুনা সরস্বতী। কিন্তু , সত্যি মিথ্যে জানি না , পলিটিক্স করে মিঠুনকে ওই সিনেমায় মেরে দেওয়া হয় সিনেমা শেষ হবার অনেক আগে। সিনেমাটি সুপার ফ্লপ হয়।
মিঠুনের উত্থান আসলে এক রূপকথা ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে মিঠুনকে যেতে হয়েছে সেটা গল্পের জন্যও কল্পনা করা মুশকিল। তিনবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। মিঠুনের ছবি ছিল মাস মুভি, সমাজের এলিট ক্লাসকে টার্গেট করে বানানো নয়। আমার যদিও ওইসব ছবি যে খুব ভালো লাগে এমনটা বলবো না, কিন্তু কোটি কোটি মানুষ দেখেছেন । একদিক থেকে সিনেমার অর্থই তো বিনোদন।
সেই মিঠুন চক্রবর্তী দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার পেলেন। আমার ছোটবেলায় অমিতাভ,মিঠুন এরা ছিল । আমি আশেপাশের লোককে দেখেছি মিঠুনের স্ট্যাইলে চুল রাখতে। বাড়িতে শ্বেত পাথরের থালার সঙ্গে মিঠুনের ঘর জামাই সিনেমার ক্যাসেট এসেছিল। দেখেছি।
অনুপম খেরের একটা অনুষ্ঠানে একবার ওম পুরী বলেছিলেন, কে জানতো একদা ক্লাস সিক্সে পড়া যে ছেলেটা চায়ের দোকানে কাপ ডিস ধুয়েছে সে একদিন ওম পুরী হবে! কে জানতো, যে ছেলেটা হোটেলের শো এর পর পকেট থেকে খুচরো বার করে মিলিয়ে দেখছিল সেদিনের খাবার জোগাড় হবে কিনা সে একদিন বব ডিলান হবে আর নোবেল পুরস্কার পাবে, ট্রাক ড্রাইভার ছেলেটি কিং অফ পপ এলভিস হবে কে জানতো, কলকাতায় রাস্তায় বার্ড কোম্পানীর চাকরি করতে করতে ঘুরে বেড়ানো ছেলেটা একদিন অমিতাভ বচ্চন হবে কেউই ভাবেনি। ওই অনুপম খেরের শো তেই একটা দারুন কথা বলেছিল – লাইফ মে কুছ ভি হো সকতা হে। উত্তর কলকাতার গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী এভাবেই একদিন মিঠুন চক্রবর্তী হয়ে যায়। রূপকথা নয়, বাস্তবে।
এই মিঠুনের এখন মুম্বাইতে বিশাল প্রাসাদ। মস্ত বড় পাঁচতারা হোটেল। তবে মিঠুন কিন্তু অতীতকে ভুলে যান নি। পরিচিত শ্যামবাজারের রকের অনেক বন্ধুকে সিনেমা জগতে টেকনিশিয়ান এর কাজ শিখিয়েছেন। গরীব দুঃখীদের উজাড় করে সাহায্য করেছেন। থ্যালাসেমিয়া এক মারাত্মক ব্যাধি। বহু শিশু এই রোগের শিকার। মিঠুন এই ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে অনেক শিশুকে রক্ষা করেছেন। এখনো করছেন। কিছুকাল আগে পুরোপুরিভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দিল্লিতে পার্লামেন্টে রাজ্যসভার সদস্য করেছিলেন। পরবর্তীকালে তৃণমূল পার্টি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। প্রতিটি নির্বাচনী প্রচারে সিনেমার সংলাপ ব্যবহার করে জনসভায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,বাংলাদেশে অনেক স্বনামধন্য ও প্রতিষ্ঠিত নায়ক ,নায়িকা রয়েছেন। অসাধারণ তাদের অভিনয় প্রতিভা। তাদের জন্য অগাধ ভালোবাসা, শ্রদ্ধা জানালেন তিনি। নিজেও বেশ কয়েকবার ঢাকা গিয়েছেন। প্রচুর ভালবাসা পেয়েছেন বলে জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

‘গলি থেকে রাজপথ’ শ্যামবাজারের রক থেকে উঠে প্রাসাদে মিঠুন চক্রবর্তী 

আপডেট সময়- ০৫:২৬:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।
আমরা বাংলার এপারে বসে দেখেছি বাংলাদেশের রাজ্জাক, জসীম,আলমগীর প্রমুখ বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় ও দক্ষ অভিনেতাদের ছবি। এমনকি ববিতা সহ অনেক নায়িকা এপারে এসে বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন। খুব গর্ব বোধ করেছি। এপারের এক বাঙালি সর্বভারতীয় নায়ক মিঠুন চক্রবর্তীর জীবন নিয়ে লিখছি। কী ভাবে উত্তর কলকাতার একেবারে অবহেলিত একটি পল্লী থেকে উঠে এসে সর্ব ভারতীয় সিনেমা জগতে একেবারে শীর্ষ স্থানে উঠে এলেন, তারই কাহিনী।সেই সময় বাংলায় মহানায়ক উত্তম কুমার ছাড়া কাউকেই মন থেকে গ্রহন করা একেবারেই অসম্ভব ছিল।
***গল্পটা যিনি বলেছিলেন তিনি এক বিখ্যাত ভারতীয় ক্রিকেটার। তাঁরা একটি মাঠে প্র্যাকটিস করতেন। ওরা একদিন দেখলেন ছয় ফুট লম্বা একটি ছেলে পাঁচিল টপকে একটি বাড়িতে ঢুকছে। ছেলেটির মতলব নিশ্চয় সুবিধের নয়। তাঁরা ছেলেটিকে পাকরাও করেন। পরে জানা যায় সে বাড়িভাড়া দিতে পারতো না বলে গোপনে সেই বাড়িতে ঢুকতো। আবার পাঁচিল টপকে বাইরে আসতো।
৭০ দশকের আগুনঝরা দিন। দিন বদলের স্বপ্ন নিয়ে কত জোয়ান ছেলে হারিয়ে যাচ্ছে। নকশাল আন্দোলন তখন মধ্য গগনে। হাতে বোমা আর পাইপগান নিয়ে ছুটছে উত্তর কলকাতার অলিগলি পাকস্থলীর ভেতর। পিছু নিয়েছে রাগী গোখরোর মতন পুলিশ, হাতে ঝুলছে কর্ড ঝোলানো খুনি রিভলবার, লক্ষ্য কোনো তাজা জোয়ানের পিঠ। এরকম টালমাটাল সময় স্কটিশ চার্চের স্টুডেন্ট গৌরাঙ্গ জড়িয়ে পড়েছিল রাজনীতিতে । তারপর পালিয়ে গিয়ে কোন এক আত্মীয়ের বাড়ি। সেখানে নিজের নকশাল তথা রাজনৈতিক পরিচয় জানাজানি হতেই বিদায়। তারপর কলকাতা থেকে পালিয়ে পুনের ফিল্ম ইনস্টিটিউট।
তখন পশ্চিমবঙ্গে নকশাল আন্দোলন চলছে। বহু তাজা প্রাণ হারিয়ে গেছে। গৌরাঙ্গ ধরা পড়লেন নকশাল করার অভিযোগে আবার ছাড়াও পেলেন কিছুদিনের মধ্যে।
সেই সময় পরিচালক মৃণাল সেন মৃগয়া ছবির জন্য অভিনেতা খুঁজছেন। চরিত্রটা হবে একদম সাপাট, লজ্জাহীন। মনে পড়ে গেলো ফিল্ম ইন্সটিটিউটের এক দুষ্টু ছেলের কথা। এভাবেই গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী হয়ে গেলো মিঠুন চক্রবর্তী।
না, এরপরের রাস্তা ভয়ংকর কঠিন। মুম্বাই বড় হৃদয়হীন শহর। কত সচল পয়সা অচল হয়ে হারিয়ে গেছে সেই খোঁজ কেউ রাখেনা। মিঠুনের কাছে খাওয়ার টাকা নেই। একবেলা খেয়ে চলছে। ভালো হিন্দি বলতে পারতেন না। শিখে নিলেন। একজনের সঙ্গে রুম শেয়ার করে থাকতেন। পয়সা কম দিতেন বলে মেঝেতে শুতেন। একদিন খাটে শুয়েছিলেন বলে সেই রুমমেট প্রচুর খিস্তি মেরে অপমান করে। রাস্তা অনেক অনেক কঠিন । লবি, পলিটিক্স অদৃশ্য মাইনের মতন অপেক্ষা করছে বিস্ফোরণের জন্য।
বাঙালি নায়করা নাকি দুটি জিনিস পারতো না, নাচ এবং মারপিট। এই মিথ ভেঙে দেবার মতন কেউ আসেনি। ৭০ দশক মানেই হল ওয়ান ম্যান ইন্ডাস্ট্রি অমিতাভ বচ্চনের উত্থান। গোটা দেশ যার হেয়ার স্টাইল নকল করতো।
ছয় ফুট লম্বা মিঠুন একবার চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখতে গেছেন । কানঢাকা চুল আর বেলবটম প্যান্ট পরা মিঠুনকে দেখে পাড়ার দুষ্টু ছেলেরা বচ্চন বচ্চন বলে আওয়াজ দিচ্ছিল। ওরা জানতো না একদিন এই ছেলেটার উত্থানে অমিতাভ বচ্চন নিজেই ভয় পেয়ে যাবেন।
কিছু মানুষ কষ্টের প্লাবনে ভেসে যায়, কিছু মানুষ টিকে থাকে। মিঠুন টিকেছিলেন। স্পটবয়ের কাজ করেছেন , বি গ্রেড এর সিনেমা করেছেন । একবার অমিতাভ দেখেন মিঠুন অন্যান্য টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে একই গাড়িতে যাচ্ছে। অথচ সে নিজে ওই সিনেমার হিরো। নিজের গাড়িতেই তিনি লিফট দিয়েছিলেন। জিতেন্দ্র খিল্লি করে মিঠুনকে বলেন, এই কালিয়া আবার অভিনয় করছে! মৌসুমী চ্যাটার্জি চরম অনিচ্ছা ব্যক্ত করেন মিঠুন এর সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে। অপমানের পর অপমান। সব গিলেছেন তিনি। অমিতাভকেও এককালে কম অপমান সহ্য করতে হয়নি। যাইহোক, অমিতাভের দো আনজানে ছবিতে মিঠুন একটা ছোট্ট চরিত্র করলেন। কেউ ভাবতে পারেনি এই ছেলেটা হিরো হবে!
১৯৭৯ সালে সুরক্ষা ছবিতে বাপ্পী লাহিড়ী ডিস্কোর বিট শোনালেন। তারপর ১৯৮২ সালে ডিস্কো ড্যান্সার। ওই যে বাঙালি নায়কেরা নাকি নাচ আর মারপিট পারেনা! এলভিস প্রেসলির প্রভাব মিঠুনের নাচে সুস্পষ্ট। এতদিন ছিল অমিতাভ জমানা। কুলির দুর্ঘটনার পর অমিতাভ ছবি কমিয়ে দিলেন তারপর রাজনীতি। এদিকে হিন্দি ছবিতে অনেক পরিবর্তন হচ্ছিলো। এবার মিঠুনের রাজত্ব শুরু হয়ে গেলো। বচ্চনের কান ঢাকা চুল, লম্বা জুলপি স্টাইল পাল্টে গেলো । মিঠুন জুলফি কামিয়ে কানের সাইড দিয়ে কোনাকুনি চুলের লাইন নেমে এলো আর ঘাড়ের দিকে বেশ লম্বা। এলো স্কিন টাইট সাদা প্যান্ট, হাত কাটা গেঞ্জি, গলায় মাফলার। আর সর্বোপরি ডিস্কো বুট। লম্বা হিলের চেন টানা বুট, সাদা জুতো । একটার পর একটা হিট সুপারহিট ছবি । সঙ্গে ফ্লপ ছিল। কিন্তু এত ছবি রিলিজ হচ্ছিলো যে ম্যাটার করে না। রাশিয়ায় ডিস্কো ড্যান্সার জিমি বিরাট পপুলার।
হ্যাঁ, যাকে চন্দননগরের ছেলেরা বচ্চন বলে খিল্লি করেছিল সেই মিঠুন অমিতাভের সঙ্গে করলেন গঙ্গা যমুনা সরস্বতী। কিন্তু , সত্যি মিথ্যে জানি না , পলিটিক্স করে মিঠুনকে ওই সিনেমায় মেরে দেওয়া হয় সিনেমা শেষ হবার অনেক আগে। সিনেমাটি সুপার ফ্লপ হয়।
মিঠুনের উত্থান আসলে এক রূপকথা ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে মিঠুনকে যেতে হয়েছে সেটা গল্পের জন্যও কল্পনা করা মুশকিল। তিনবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। মিঠুনের ছবি ছিল মাস মুভি, সমাজের এলিট ক্লাসকে টার্গেট করে বানানো নয়। আমার যদিও ওইসব ছবি যে খুব ভালো লাগে এমনটা বলবো না, কিন্তু কোটি কোটি মানুষ দেখেছেন । একদিক থেকে সিনেমার অর্থই তো বিনোদন।
সেই মিঠুন চক্রবর্তী দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার পেলেন। আমার ছোটবেলায় অমিতাভ,মিঠুন এরা ছিল । আমি আশেপাশের লোককে দেখেছি মিঠুনের স্ট্যাইলে চুল রাখতে। বাড়িতে শ্বেত পাথরের থালার সঙ্গে মিঠুনের ঘর জামাই সিনেমার ক্যাসেট এসেছিল। দেখেছি।
অনুপম খেরের একটা অনুষ্ঠানে একবার ওম পুরী বলেছিলেন, কে জানতো একদা ক্লাস সিক্সে পড়া যে ছেলেটা চায়ের দোকানে কাপ ডিস ধুয়েছে সে একদিন ওম পুরী হবে! কে জানতো, যে ছেলেটা হোটেলের শো এর পর পকেট থেকে খুচরো বার করে মিলিয়ে দেখছিল সেদিনের খাবার জোগাড় হবে কিনা সে একদিন বব ডিলান হবে আর নোবেল পুরস্কার পাবে, ট্রাক ড্রাইভার ছেলেটি কিং অফ পপ এলভিস হবে কে জানতো, কলকাতায় রাস্তায় বার্ড কোম্পানীর চাকরি করতে করতে ঘুরে বেড়ানো ছেলেটা একদিন অমিতাভ বচ্চন হবে কেউই ভাবেনি। ওই অনুপম খেরের শো তেই একটা দারুন কথা বলেছিল – লাইফ মে কুছ ভি হো সকতা হে। উত্তর কলকাতার গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী এভাবেই একদিন মিঠুন চক্রবর্তী হয়ে যায়। রূপকথা নয়, বাস্তবে।
এই মিঠুনের এখন মুম্বাইতে বিশাল প্রাসাদ। মস্ত বড় পাঁচতারা হোটেল। তবে মিঠুন কিন্তু অতীতকে ভুলে যান নি। পরিচিত শ্যামবাজারের রকের অনেক বন্ধুকে সিনেমা জগতে টেকনিশিয়ান এর কাজ শিখিয়েছেন। গরীব দুঃখীদের উজাড় করে সাহায্য করেছেন। থ্যালাসেমিয়া এক মারাত্মক ব্যাধি। বহু শিশু এই রোগের শিকার। মিঠুন এই ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে অনেক শিশুকে রক্ষা করেছেন। এখনো করছেন। কিছুকাল আগে পুরোপুরিভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দিল্লিতে পার্লামেন্টে রাজ্যসভার সদস্য করেছিলেন। পরবর্তীকালে তৃণমূল পার্টি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। প্রতিটি নির্বাচনী প্রচারে সিনেমার সংলাপ ব্যবহার করে জনসভায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,বাংলাদেশে অনেক স্বনামধন্য ও প্রতিষ্ঠিত নায়ক ,নায়িকা রয়েছেন। অসাধারণ তাদের অভিনয় প্রতিভা। তাদের জন্য অগাধ ভালোবাসা, শ্রদ্ধা জানালেন তিনি। নিজেও বেশ কয়েকবার ঢাকা গিয়েছেন। প্রচুর ভালবাসা পেয়েছেন বলে জানান।