সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আবহাওয়া ও জলবায়ু, উপজেলা প্রশাসন, চলচ্চিত্র, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দেশজুড়ে, নকলা, নারায়ণগঞ্জ, নারী ও শিশু, পূর্বাভাস, ফরিদপুর, বাংলাদেশ, শেরপুর, সিদ্ধিরগঞ্জ
নকলায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড: ক্ষয়ক্ষতির পরিমান কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৯:৩৪:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ৪৩ বার পড়া হয়েছে

নকলা(শেরপুর) প্রতিনিধি।।
শেরপুরের নকলায় থানার দক্ষিণ পাশে একটি চারতলা ভবনে অগ্নিকান্ডে ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুটি দোকান, একটি ঔষধের গোডাউন ভস্মীভূত হয়। এতে প্রায় কোটি টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে আহত হয়েছে দুইজন স্বেচ্ছাসেবক যারা উদ্ধার কাজে লিপ্ত ছিলেন। অল্পের জন্যে প্রাণে বেঁচেছে ৪০ ছাত্র শিক্ষক।
স্থানীয়রা জানান, নকলা বাজারের হলপট্রি এলাকায় একটি চারতলা ভবনে কাজল মেডিকেল হল, তার একটি ঔষধের গোডাউন, কামালের মনোহরি দোকান রয়েছে। একই ভবনের ওপরের তলায় নূরে মদিনা মডেল মাদ্রাসা অবস্থিত। গতকাল রাতে কাজল মেডিকেল হলের মালিক কামরুজ্জামান কাজল ও মনোহরি দোকান মালিক কামাল মিয়া দোকান বন্ধ করে চলে যায়। এরপর রাত আড়াইটার সময় কাজল মেডিকেল হল থেকে নীচ তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ভবনের চার তলায় আটকা পড়ে মাদ্রাসার আবাসিক শাখার ৪০ ছাত্র শিক্ষক।
স্থানীয় লোকজন ও পার্শ্ববর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলা থেকে আসা ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে ঘটনা বেগতিক দেখে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয়রা পার্শ্ববর্তী বিল্ডিং এর ছাদ দিয়ে আটকে পড়া ছাত্র শিক্ষকদের উদ্ধার করতে সক্ষম হন। এতে বড় ধরনের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পায় প্রতিষ্ঠানটি। উদ্ধারের সময় এক উদ্ধার কর্মী ও এক নারী আহত হলে তাদেরকে নকলা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফায়ারসার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যুৎ এর শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
দোকান মালিক কামরুজ্জামান কাজল জানান, তার একটি ঔষধের দোকান রয়েছে। সে পাইকারি ও খুচরা ঔষধ বিক্রেতা। ওই ভবনেই তার একটা ঔষধের গোডাউনও ছিলো। অগ্নিকান্ডে তার দোকান ও গুডাউনের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে তার কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। অপর ক্ষতিগ্রস্ত দোকানী কামাল হোসেন জানান, তার দোকানের দুই লাখ টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ মোঃ জুনায়েদ হোসেন জানান, আমরা একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলাম। আমাদের বের হওয়ার মতো কোন পরিস্থিতি ছিলোনা। ধম বন্ধ হয়ে আসছিলো। এলাকাবাসি আমাদেরকে পার্শ্ববর্তী বিল্ডিং দিয়ে রশু ও কাঠে জুতা রাখার রেক দিয়ে লাগোয়া দক্ষিণ পাশের বিল্ডিং এর ছাদে অবস্থান করি মোটামুটি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে অন্য এক বাসায় ছাত্রদের রাখা হয় ২/৩ জন অভিভাবক এসে তাদের সন্তান নিয়েও গেছে। এই পরিস্থিতিতে কেউ একজন ছাত্রদের নাস্তা বা হালকা খাবারের জন্য ৫শ টাকাও দিয়েছেন। ইনশাআল্লাহ আমরা এখন নিরাপদ ও সুস্থ আছি।
ঘটনার স্থলে অফিসার ইনচার্জ নকলা ও থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন হোটেল ও আশপাশের টিউবওয়েল চেপে পানি দিয়ে অগ্নি নির্বাপক করতে চেষ্টা করছে অনেকে। এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে নকলা ফায়ার সার্ভিস ভবন চালু করা হোক।