ঢাকা ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
গাইবান্ধায় দুর্গাপূজার প্রতিমায় দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগ  পূর্ব সুন্দরবনের দু’সহস্রাধিক জেলেরা বনদস্যু আতঙ্কে বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ঈশ্বরদীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শতবর্ষী অদম্য ফজিলাতুন্নেছার পাশে না’গঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল জেলা প্রশাসকের নাম ভাঙিয়ে অধিগ্রহনের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নাসিকের প্রশাসক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ‘ডাকসু নির্বাচন’ বাম সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পিনাকীর এবার সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে রদবদল, নতুন দায়িত্বে ৬ কর্মকর্তা এবার ৩৮ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে বরখাস্ত হলেন সহকারী কর কমিশনার শরণখোলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনসহ ইউএনও’র উদ্যোগ সর্বমহলে প্রশংসিত ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করেছে হাইকোর্ট নারায়ণগঞ্জে ফ্রিজ বিস্ফোরণ; অগ্নিদগ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে মানবিক ডিসি জাহিদুল খুলনায় রূপসা নদী থেকে ফের সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার না’গঞ্জে মাথাবিহীন লাশের পরিচয় সনাক্তসহ হত্যাকান্ডে জড়িত গ্রেপ্তার-২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি থেকে বাদ রাজনৈতিক নেতারা, নতুন বিধান যুক্ত টেকনাফে পুলিশের অভিযানে ৪ হাজার ইয়াবাসহ আটক-১  গাইবান্ধায় বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ভাঙচুর কার্যালয় না’গঞ্জে ভ্রাম্যমাণ অভিযানে অর্থদন্ডসহ ১১১ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ আলোচিত মেরুন টি-শার্ট পরা সেই ব্যক্তি ছিলেন পুলিশের কনস্টেবল না’গঞ্জে এনআর গার্মেন্টস’র ছাঁদ থেকে লাফিয়ে পরে নারী শ্রমিকের আত্মহনন ফতুল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু থমথমে পরিস্থিতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, সব পরীক্ষা স্থগিত ফের বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক টেকনাফে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক-২ টানা তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ থেকে সুন্দরবনের দ্বার খুলছে রায়পুরা সংসদীয় আসন রাখতে মহাসড়কে বিক্ষোভ-মানববন্ধন ‘মব ভায়োলেন্স’ ঠেকাতে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয় সেনাবাহিনী: আইএসপিআর নারায়ণগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ নারী শিশুসহ একই পরিবারের ৬ সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু ফেসবুকে ছড়িয়ে পরা অস্ত্র হাতে ভাইরাল যুবক পুলিশের জালে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জন গ্রেপ্তার নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সাংবাদিক পরিচয়ধারী দালাল গ্রেপ্তার না’গঞ্জে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের সম্মুখ্যে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন, দগ্ধ-৩ জরাজীর্ণ অবকাঠামোতেই চলছে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গর্ভবতীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আয়রন ট্যাবলেট এবং ডেঙ্গুর কীট বিতরন কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হলো না’গঞ্জ বারের ভোট গ্রহন, চলছে ভোট গননা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রত্যাশীদের জন্য ঢাকাস্থ দূতাবাসের বার্তা নাসিক ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের ৭৭৫ কোটি ৩৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা ঝিনাইদহে চাচিকে ধর্ষণ করতে গিয়ে বটির কোপে গোপনাঙ্গ হারালেন ভাতিজা নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে মাথাবিহীন অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার সুন্দরবনে ৭ জেলে অপহরণ,মুক্তিপন দাবি জলদস্যুদের নারায়ণগঞ্জে পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা নারী আটক ডিএমপিতে নতুন ডিবিপ্রধান হলেন শফিকুল ইসলাম  আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম প্রয়াণ দিবস না’গঞ্জে ভূয়া চিকিৎসক সনাক্ত, ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ডসহ ডেন্টাল কেয়ার বন্ধ  সিলেট বিভাগে শ্রেষ্ঠ এসপি মৌলভীবাজারের জাহাঙ্গীর হোসেন সুন্দরবনে শুরু হচ্ছে মাছ ধরা: অপরাধ রোধে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জে ড্রেনে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণ; আহত-৩  হাইকোর্টে একসঙ্গে ২৫ বিচারপতি নিয়োগ সারাদেশে একযোগে ২৩০ বিচারককে বদলি ‘মিট দ্য প্রেসে’ বিগত সময়ে বিএনপিতে মাসুদের অবদানের কথা জানালেন এটিএম কামাল একযোগে ৩৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি নারায়ণগঞ্জের এসপি বদলি, স্থলাভিষিক্ত জসীম উদ্দিন ইউনিয়নগুলোতে ১’শ ডাস্টবিন স্থাপন করা হবে- ডিসি দলীয় শোকজের জবাব দেবেন বিএনপি নেতা এ্যাড. ফজলুর রহমান ‘নিউইয়র্কে উপদেষ্টা মাহফুজসহ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আওয়ামী লীগের হামলা’ দেশের ৬টি জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ সোনারগাঁয়ে চুন কারখানাসহ ৫ হাজার অবৈধ আবাসিক গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন প্রচন্ড গতিতে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঝড় কাজিকি আমরা ভালো ক্রীড়াবিদ হয়ে বিশ্বের দরবারে দেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে চাই; ডিসি জাহিদুল  সকলের প্রচেষ্টায় না’গঞ্জের ক্রীড়াঙ্গণের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনব; মাসুদুজ্জামান শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফতুল্লার ক্রিকেট স্টেডিয়াম করুনাবস্থায় : বিসিবি সভাপতি দক্ষ ও প্রশিক্ষিত চালক গড়তে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত আগামী ৬ই সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী টেকনাফে ১৮ হাজার ইয়াবাসহ আটক-১ বাগেরহাটে ৪টি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে জেলাজুড়ে হরতাল-অবরোধ পালিত রাজধানীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ’লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে আটক-৩ এবার বাবার পর পুত্র কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেপ্তার মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার ফ্রিজের কম্প্রে‌সার বিস্ফোরণ; সিদ্ধিরগঞ্জে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের দগ্ধ-৯ বর্ধিত বাস ভাড়া প্রত্যাহারের ‘২৪ ঘন্টা না পেরোতেই’ ফের ৬২ করার দাবি বাস মালিকদের  জীবনের শেষ লেখায় অনেক অভিযোগসহ প্রশ্ন রেখে গেলেন সাংবাদিক বিভুরঞ্জন উচ্চশিক্ষায় ডুওলিংগো টেস্ট: প্রস্তুতি, সুযোগ ও গ্রহণযোগ্যতা গজারিয়ার মেঘনা নদীতে মিলল নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের মরদেহ তোপের মুখে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বর্ধিত বাস ভাড়া প্রত্যাহার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের হুমকি, গ্রাহকদের যে বার্তা দিলো তিতাস না’গঞ্জে জাল সার্টিফিকেট তৈরির দায়ে দোকান মালিকের জরিমানাসহ কারাদণ্ড টেকনাফে জেলের বেশে মাদক পাচারের চেষ্টা, ৯৮শ’ ইয়াবা উদ্ধার গাইবান্ধায় পুলিশি নির্যাতনে সিজু হত্যা মামলায় ওসিসহ আসামী-২০ হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে হাফেজ মাহবুবুর রহমান সায়েন্সল্যাবে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত-১০ ফিটলিস্ট প্রস্তুত; সেপ্টেম্বরেই সকল জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বাসভাড়া ৫ টাকা বাড়িয়ে ৫৫ টাকার সিদ্ধান্ত নারায়ণগঞ্জের বালুরমাঠ ও মদনপুরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযান দুদকের ফের আরেক উপপরিচালক কমলেশ মন্ডল বরখাস্ত বাগেরহাটে আসন কমিয়ে ৩টি করার প্রতিবাদে আন্দোলন কর্মসূচীর ঘোষণা ঈশ্বরদীতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন টেকনাফে বিজিবির অভিযানে মানব পাচারকারী চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই ফের বদলি কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও শরণখোলায় জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজারে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত এনবিআর’র ফের ১৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী চেয়েছে দুদক মৌলভীবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি শ্রীমঙ্গলের আমিনুল নারায়ণগঞ্জে শহীদ জিয়া হলে অগ্নিকাণ্ড রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হয়রানিমূলক ১৬৪২৯ মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে তিস্তার নামেই সেতু চায় স্থানীয়রা, ‘মাওলানা ভাসানী’ নামে আপত্তি পাথরকাণ্ডে ডিসির ওএসডির পর, কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও বদলি পাথরকান্ডে সিলেটের ডিসি মাহবুব মুরাদকে ওএসডি এনবিআর সংস্কারে বাধার অভিযোগে ফের ৫ কর কমিশনার বরখাস্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরিচ্যুত হোস্ট-টিচারদের কোটবাজারে অনশনে

‘গলি থেকে রাজপথ’ শ্যামবাজারের রক থেকে উঠে প্রাসাদে মিঠুন চক্রবর্তী 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৫:২৬:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ২১৮ বার পড়া হয়েছে
ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।
আমরা বাংলার এপারে বসে দেখেছি বাংলাদেশের রাজ্জাক, জসীম,আলমগীর প্রমুখ বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় ও দক্ষ অভিনেতাদের ছবি। এমনকি ববিতা সহ অনেক নায়িকা এপারে এসে বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন। খুব গর্ব বোধ করেছি। এপারের এক বাঙালি সর্বভারতীয় নায়ক মিঠুন চক্রবর্তীর জীবন নিয়ে লিখছি। কী ভাবে উত্তর কলকাতার একেবারে অবহেলিত একটি পল্লী থেকে উঠে এসে সর্ব ভারতীয় সিনেমা জগতে একেবারে শীর্ষ স্থানে উঠে এলেন, তারই কাহিনী।সেই সময় বাংলায় মহানায়ক উত্তম কুমার ছাড়া কাউকেই মন থেকে গ্রহন করা একেবারেই অসম্ভব ছিল।
***গল্পটা যিনি বলেছিলেন তিনি এক বিখ্যাত ভারতীয় ক্রিকেটার। তাঁরা একটি মাঠে প্র্যাকটিস করতেন। ওরা একদিন দেখলেন ছয় ফুট লম্বা একটি ছেলে পাঁচিল টপকে একটি বাড়িতে ঢুকছে। ছেলেটির মতলব নিশ্চয় সুবিধের নয়। তাঁরা ছেলেটিকে পাকরাও করেন। পরে জানা যায় সে বাড়িভাড়া দিতে পারতো না বলে গোপনে সেই বাড়িতে ঢুকতো। আবার পাঁচিল টপকে বাইরে আসতো।
৭০ দশকের আগুনঝরা দিন। দিন বদলের স্বপ্ন নিয়ে কত জোয়ান ছেলে হারিয়ে যাচ্ছে। নকশাল আন্দোলন তখন মধ্য গগনে। হাতে বোমা আর পাইপগান নিয়ে ছুটছে উত্তর কলকাতার অলিগলি পাকস্থলীর ভেতর। পিছু নিয়েছে রাগী গোখরোর মতন পুলিশ, হাতে ঝুলছে কর্ড ঝোলানো খুনি রিভলবার, লক্ষ্য কোনো তাজা জোয়ানের পিঠ। এরকম টালমাটাল সময় স্কটিশ চার্চের স্টুডেন্ট গৌরাঙ্গ জড়িয়ে পড়েছিল রাজনীতিতে । তারপর পালিয়ে গিয়ে কোন এক আত্মীয়ের বাড়ি। সেখানে নিজের নকশাল তথা রাজনৈতিক পরিচয় জানাজানি হতেই বিদায়। তারপর কলকাতা থেকে পালিয়ে পুনের ফিল্ম ইনস্টিটিউট।
তখন পশ্চিমবঙ্গে নকশাল আন্দোলন চলছে। বহু তাজা প্রাণ হারিয়ে গেছে। গৌরাঙ্গ ধরা পড়লেন নকশাল করার অভিযোগে আবার ছাড়াও পেলেন কিছুদিনের মধ্যে।
সেই সময় পরিচালক মৃণাল সেন মৃগয়া ছবির জন্য অভিনেতা খুঁজছেন। চরিত্রটা হবে একদম সাপাট, লজ্জাহীন। মনে পড়ে গেলো ফিল্ম ইন্সটিটিউটের এক দুষ্টু ছেলের কথা। এভাবেই গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী হয়ে গেলো মিঠুন চক্রবর্তী।
না, এরপরের রাস্তা ভয়ংকর কঠিন। মুম্বাই বড় হৃদয়হীন শহর। কত সচল পয়সা অচল হয়ে হারিয়ে গেছে সেই খোঁজ কেউ রাখেনা। মিঠুনের কাছে খাওয়ার টাকা নেই। একবেলা খেয়ে চলছে। ভালো হিন্দি বলতে পারতেন না। শিখে নিলেন। একজনের সঙ্গে রুম শেয়ার করে থাকতেন। পয়সা কম দিতেন বলে মেঝেতে শুতেন। একদিন খাটে শুয়েছিলেন বলে সেই রুমমেট প্রচুর খিস্তি মেরে অপমান করে। রাস্তা অনেক অনেক কঠিন । লবি, পলিটিক্স অদৃশ্য মাইনের মতন অপেক্ষা করছে বিস্ফোরণের জন্য।
বাঙালি নায়করা নাকি দুটি জিনিস পারতো না, নাচ এবং মারপিট। এই মিথ ভেঙে দেবার মতন কেউ আসেনি। ৭০ দশক মানেই হল ওয়ান ম্যান ইন্ডাস্ট্রি অমিতাভ বচ্চনের উত্থান। গোটা দেশ যার হেয়ার স্টাইল নকল করতো।
ছয় ফুট লম্বা মিঠুন একবার চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখতে গেছেন । কানঢাকা চুল আর বেলবটম প্যান্ট পরা মিঠুনকে দেখে পাড়ার দুষ্টু ছেলেরা বচ্চন বচ্চন বলে আওয়াজ দিচ্ছিল। ওরা জানতো না একদিন এই ছেলেটার উত্থানে অমিতাভ বচ্চন নিজেই ভয় পেয়ে যাবেন।
কিছু মানুষ কষ্টের প্লাবনে ভেসে যায়, কিছু মানুষ টিকে থাকে। মিঠুন টিকেছিলেন। স্পটবয়ের কাজ করেছেন , বি গ্রেড এর সিনেমা করেছেন । একবার অমিতাভ দেখেন মিঠুন অন্যান্য টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে একই গাড়িতে যাচ্ছে। অথচ সে নিজে ওই সিনেমার হিরো। নিজের গাড়িতেই তিনি লিফট দিয়েছিলেন। জিতেন্দ্র খিল্লি করে মিঠুনকে বলেন, এই কালিয়া আবার অভিনয় করছে! মৌসুমী চ্যাটার্জি চরম অনিচ্ছা ব্যক্ত করেন মিঠুন এর সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে। অপমানের পর অপমান। সব গিলেছেন তিনি। অমিতাভকেও এককালে কম অপমান সহ্য করতে হয়নি। যাইহোক, অমিতাভের দো আনজানে ছবিতে মিঠুন একটা ছোট্ট চরিত্র করলেন। কেউ ভাবতে পারেনি এই ছেলেটা হিরো হবে!
১৯৭৯ সালে সুরক্ষা ছবিতে বাপ্পী লাহিড়ী ডিস্কোর বিট শোনালেন। তারপর ১৯৮২ সালে ডিস্কো ড্যান্সার। ওই যে বাঙালি নায়কেরা নাকি নাচ আর মারপিট পারেনা! এলভিস প্রেসলির প্রভাব মিঠুনের নাচে সুস্পষ্ট। এতদিন ছিল অমিতাভ জমানা। কুলির দুর্ঘটনার পর অমিতাভ ছবি কমিয়ে দিলেন তারপর রাজনীতি। এদিকে হিন্দি ছবিতে অনেক পরিবর্তন হচ্ছিলো। এবার মিঠুনের রাজত্ব শুরু হয়ে গেলো। বচ্চনের কান ঢাকা চুল, লম্বা জুলপি স্টাইল পাল্টে গেলো । মিঠুন জুলফি কামিয়ে কানের সাইড দিয়ে কোনাকুনি চুলের লাইন নেমে এলো আর ঘাড়ের দিকে বেশ লম্বা। এলো স্কিন টাইট সাদা প্যান্ট, হাত কাটা গেঞ্জি, গলায় মাফলার। আর সর্বোপরি ডিস্কো বুট। লম্বা হিলের চেন টানা বুট, সাদা জুতো । একটার পর একটা হিট সুপারহিট ছবি । সঙ্গে ফ্লপ ছিল। কিন্তু এত ছবি রিলিজ হচ্ছিলো যে ম্যাটার করে না। রাশিয়ায় ডিস্কো ড্যান্সার জিমি বিরাট পপুলার।
হ্যাঁ, যাকে চন্দননগরের ছেলেরা বচ্চন বলে খিল্লি করেছিল সেই মিঠুন অমিতাভের সঙ্গে করলেন গঙ্গা যমুনা সরস্বতী। কিন্তু , সত্যি মিথ্যে জানি না , পলিটিক্স করে মিঠুনকে ওই সিনেমায় মেরে দেওয়া হয় সিনেমা শেষ হবার অনেক আগে। সিনেমাটি সুপার ফ্লপ হয়।
মিঠুনের উত্থান আসলে এক রূপকথা ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে মিঠুনকে যেতে হয়েছে সেটা গল্পের জন্যও কল্পনা করা মুশকিল। তিনবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। মিঠুনের ছবি ছিল মাস মুভি, সমাজের এলিট ক্লাসকে টার্গেট করে বানানো নয়। আমার যদিও ওইসব ছবি যে খুব ভালো লাগে এমনটা বলবো না, কিন্তু কোটি কোটি মানুষ দেখেছেন । একদিক থেকে সিনেমার অর্থই তো বিনোদন।
সেই মিঠুন চক্রবর্তী দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার পেলেন। আমার ছোটবেলায় অমিতাভ,মিঠুন এরা ছিল । আমি আশেপাশের লোককে দেখেছি মিঠুনের স্ট্যাইলে চুল রাখতে। বাড়িতে শ্বেত পাথরের থালার সঙ্গে মিঠুনের ঘর জামাই সিনেমার ক্যাসেট এসেছিল। দেখেছি।
অনুপম খেরের একটা অনুষ্ঠানে একবার ওম পুরী বলেছিলেন, কে জানতো একদা ক্লাস সিক্সে পড়া যে ছেলেটা চায়ের দোকানে কাপ ডিস ধুয়েছে সে একদিন ওম পুরী হবে! কে জানতো, যে ছেলেটা হোটেলের শো এর পর পকেট থেকে খুচরো বার করে মিলিয়ে দেখছিল সেদিনের খাবার জোগাড় হবে কিনা সে একদিন বব ডিলান হবে আর নোবেল পুরস্কার পাবে, ট্রাক ড্রাইভার ছেলেটি কিং অফ পপ এলভিস হবে কে জানতো, কলকাতায় রাস্তায় বার্ড কোম্পানীর চাকরি করতে করতে ঘুরে বেড়ানো ছেলেটা একদিন অমিতাভ বচ্চন হবে কেউই ভাবেনি। ওই অনুপম খেরের শো তেই একটা দারুন কথা বলেছিল – লাইফ মে কুছ ভি হো সকতা হে। উত্তর কলকাতার গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী এভাবেই একদিন মিঠুন চক্রবর্তী হয়ে যায়। রূপকথা নয়, বাস্তবে।
এই মিঠুনের এখন মুম্বাইতে বিশাল প্রাসাদ। মস্ত বড় পাঁচতারা হোটেল। তবে মিঠুন কিন্তু অতীতকে ভুলে যান নি। পরিচিত শ্যামবাজারের রকের অনেক বন্ধুকে সিনেমা জগতে টেকনিশিয়ান এর কাজ শিখিয়েছেন। গরীব দুঃখীদের উজাড় করে সাহায্য করেছেন। থ্যালাসেমিয়া এক মারাত্মক ব্যাধি। বহু শিশু এই রোগের শিকার। মিঠুন এই ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে অনেক শিশুকে রক্ষা করেছেন। এখনো করছেন। কিছুকাল আগে পুরোপুরিভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দিল্লিতে পার্লামেন্টে রাজ্যসভার সদস্য করেছিলেন। পরবর্তীকালে তৃণমূল পার্টি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। প্রতিটি নির্বাচনী প্রচারে সিনেমার সংলাপ ব্যবহার করে জনসভায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,বাংলাদেশে অনেক স্বনামধন্য ও প্রতিষ্ঠিত নায়ক ,নায়িকা রয়েছেন। অসাধারণ তাদের অভিনয় প্রতিভা। তাদের জন্য অগাধ ভালোবাসা, শ্রদ্ধা জানালেন তিনি। নিজেও বেশ কয়েকবার ঢাকা গিয়েছেন। প্রচুর ভালবাসা পেয়েছেন বলে জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন..

ট্যাগস:-

‘গলি থেকে রাজপথ’ শ্যামবাজারের রক থেকে উঠে প্রাসাদে মিঠুন চক্রবর্তী 

আপডেট সময়- ০৫:২৬:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।
আমরা বাংলার এপারে বসে দেখেছি বাংলাদেশের রাজ্জাক, জসীম,আলমগীর প্রমুখ বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় ও দক্ষ অভিনেতাদের ছবি। এমনকি ববিতা সহ অনেক নায়িকা এপারে এসে বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন। খুব গর্ব বোধ করেছি। এপারের এক বাঙালি সর্বভারতীয় নায়ক মিঠুন চক্রবর্তীর জীবন নিয়ে লিখছি। কী ভাবে উত্তর কলকাতার একেবারে অবহেলিত একটি পল্লী থেকে উঠে এসে সর্ব ভারতীয় সিনেমা জগতে একেবারে শীর্ষ স্থানে উঠে এলেন, তারই কাহিনী।সেই সময় বাংলায় মহানায়ক উত্তম কুমার ছাড়া কাউকেই মন থেকে গ্রহন করা একেবারেই অসম্ভব ছিল।
***গল্পটা যিনি বলেছিলেন তিনি এক বিখ্যাত ভারতীয় ক্রিকেটার। তাঁরা একটি মাঠে প্র্যাকটিস করতেন। ওরা একদিন দেখলেন ছয় ফুট লম্বা একটি ছেলে পাঁচিল টপকে একটি বাড়িতে ঢুকছে। ছেলেটির মতলব নিশ্চয় সুবিধের নয়। তাঁরা ছেলেটিকে পাকরাও করেন। পরে জানা যায় সে বাড়িভাড়া দিতে পারতো না বলে গোপনে সেই বাড়িতে ঢুকতো। আবার পাঁচিল টপকে বাইরে আসতো।
৭০ দশকের আগুনঝরা দিন। দিন বদলের স্বপ্ন নিয়ে কত জোয়ান ছেলে হারিয়ে যাচ্ছে। নকশাল আন্দোলন তখন মধ্য গগনে। হাতে বোমা আর পাইপগান নিয়ে ছুটছে উত্তর কলকাতার অলিগলি পাকস্থলীর ভেতর। পিছু নিয়েছে রাগী গোখরোর মতন পুলিশ, হাতে ঝুলছে কর্ড ঝোলানো খুনি রিভলবার, লক্ষ্য কোনো তাজা জোয়ানের পিঠ। এরকম টালমাটাল সময় স্কটিশ চার্চের স্টুডেন্ট গৌরাঙ্গ জড়িয়ে পড়েছিল রাজনীতিতে । তারপর পালিয়ে গিয়ে কোন এক আত্মীয়ের বাড়ি। সেখানে নিজের নকশাল তথা রাজনৈতিক পরিচয় জানাজানি হতেই বিদায়। তারপর কলকাতা থেকে পালিয়ে পুনের ফিল্ম ইনস্টিটিউট।
তখন পশ্চিমবঙ্গে নকশাল আন্দোলন চলছে। বহু তাজা প্রাণ হারিয়ে গেছে। গৌরাঙ্গ ধরা পড়লেন নকশাল করার অভিযোগে আবার ছাড়াও পেলেন কিছুদিনের মধ্যে।
সেই সময় পরিচালক মৃণাল সেন মৃগয়া ছবির জন্য অভিনেতা খুঁজছেন। চরিত্রটা হবে একদম সাপাট, লজ্জাহীন। মনে পড়ে গেলো ফিল্ম ইন্সটিটিউটের এক দুষ্টু ছেলের কথা। এভাবেই গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী হয়ে গেলো মিঠুন চক্রবর্তী।
না, এরপরের রাস্তা ভয়ংকর কঠিন। মুম্বাই বড় হৃদয়হীন শহর। কত সচল পয়সা অচল হয়ে হারিয়ে গেছে সেই খোঁজ কেউ রাখেনা। মিঠুনের কাছে খাওয়ার টাকা নেই। একবেলা খেয়ে চলছে। ভালো হিন্দি বলতে পারতেন না। শিখে নিলেন। একজনের সঙ্গে রুম শেয়ার করে থাকতেন। পয়সা কম দিতেন বলে মেঝেতে শুতেন। একদিন খাটে শুয়েছিলেন বলে সেই রুমমেট প্রচুর খিস্তি মেরে অপমান করে। রাস্তা অনেক অনেক কঠিন । লবি, পলিটিক্স অদৃশ্য মাইনের মতন অপেক্ষা করছে বিস্ফোরণের জন্য।
বাঙালি নায়করা নাকি দুটি জিনিস পারতো না, নাচ এবং মারপিট। এই মিথ ভেঙে দেবার মতন কেউ আসেনি। ৭০ দশক মানেই হল ওয়ান ম্যান ইন্ডাস্ট্রি অমিতাভ বচ্চনের উত্থান। গোটা দেশ যার হেয়ার স্টাইল নকল করতো।
ছয় ফুট লম্বা মিঠুন একবার চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখতে গেছেন । কানঢাকা চুল আর বেলবটম প্যান্ট পরা মিঠুনকে দেখে পাড়ার দুষ্টু ছেলেরা বচ্চন বচ্চন বলে আওয়াজ দিচ্ছিল। ওরা জানতো না একদিন এই ছেলেটার উত্থানে অমিতাভ বচ্চন নিজেই ভয় পেয়ে যাবেন।
কিছু মানুষ কষ্টের প্লাবনে ভেসে যায়, কিছু মানুষ টিকে থাকে। মিঠুন টিকেছিলেন। স্পটবয়ের কাজ করেছেন , বি গ্রেড এর সিনেমা করেছেন । একবার অমিতাভ দেখেন মিঠুন অন্যান্য টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে একই গাড়িতে যাচ্ছে। অথচ সে নিজে ওই সিনেমার হিরো। নিজের গাড়িতেই তিনি লিফট দিয়েছিলেন। জিতেন্দ্র খিল্লি করে মিঠুনকে বলেন, এই কালিয়া আবার অভিনয় করছে! মৌসুমী চ্যাটার্জি চরম অনিচ্ছা ব্যক্ত করেন মিঠুন এর সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে। অপমানের পর অপমান। সব গিলেছেন তিনি। অমিতাভকেও এককালে কম অপমান সহ্য করতে হয়নি। যাইহোক, অমিতাভের দো আনজানে ছবিতে মিঠুন একটা ছোট্ট চরিত্র করলেন। কেউ ভাবতে পারেনি এই ছেলেটা হিরো হবে!
১৯৭৯ সালে সুরক্ষা ছবিতে বাপ্পী লাহিড়ী ডিস্কোর বিট শোনালেন। তারপর ১৯৮২ সালে ডিস্কো ড্যান্সার। ওই যে বাঙালি নায়কেরা নাকি নাচ আর মারপিট পারেনা! এলভিস প্রেসলির প্রভাব মিঠুনের নাচে সুস্পষ্ট। এতদিন ছিল অমিতাভ জমানা। কুলির দুর্ঘটনার পর অমিতাভ ছবি কমিয়ে দিলেন তারপর রাজনীতি। এদিকে হিন্দি ছবিতে অনেক পরিবর্তন হচ্ছিলো। এবার মিঠুনের রাজত্ব শুরু হয়ে গেলো। বচ্চনের কান ঢাকা চুল, লম্বা জুলপি স্টাইল পাল্টে গেলো । মিঠুন জুলফি কামিয়ে কানের সাইড দিয়ে কোনাকুনি চুলের লাইন নেমে এলো আর ঘাড়ের দিকে বেশ লম্বা। এলো স্কিন টাইট সাদা প্যান্ট, হাত কাটা গেঞ্জি, গলায় মাফলার। আর সর্বোপরি ডিস্কো বুট। লম্বা হিলের চেন টানা বুট, সাদা জুতো । একটার পর একটা হিট সুপারহিট ছবি । সঙ্গে ফ্লপ ছিল। কিন্তু এত ছবি রিলিজ হচ্ছিলো যে ম্যাটার করে না। রাশিয়ায় ডিস্কো ড্যান্সার জিমি বিরাট পপুলার।
হ্যাঁ, যাকে চন্দননগরের ছেলেরা বচ্চন বলে খিল্লি করেছিল সেই মিঠুন অমিতাভের সঙ্গে করলেন গঙ্গা যমুনা সরস্বতী। কিন্তু , সত্যি মিথ্যে জানি না , পলিটিক্স করে মিঠুনকে ওই সিনেমায় মেরে দেওয়া হয় সিনেমা শেষ হবার অনেক আগে। সিনেমাটি সুপার ফ্লপ হয়।
মিঠুনের উত্থান আসলে এক রূপকথা ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে মিঠুনকে যেতে হয়েছে সেটা গল্পের জন্যও কল্পনা করা মুশকিল। তিনবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। মিঠুনের ছবি ছিল মাস মুভি, সমাজের এলিট ক্লাসকে টার্গেট করে বানানো নয়। আমার যদিও ওইসব ছবি যে খুব ভালো লাগে এমনটা বলবো না, কিন্তু কোটি কোটি মানুষ দেখেছেন । একদিক থেকে সিনেমার অর্থই তো বিনোদন।
সেই মিঠুন চক্রবর্তী দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার পেলেন। আমার ছোটবেলায় অমিতাভ,মিঠুন এরা ছিল । আমি আশেপাশের লোককে দেখেছি মিঠুনের স্ট্যাইলে চুল রাখতে। বাড়িতে শ্বেত পাথরের থালার সঙ্গে মিঠুনের ঘর জামাই সিনেমার ক্যাসেট এসেছিল। দেখেছি।
অনুপম খেরের একটা অনুষ্ঠানে একবার ওম পুরী বলেছিলেন, কে জানতো একদা ক্লাস সিক্সে পড়া যে ছেলেটা চায়ের দোকানে কাপ ডিস ধুয়েছে সে একদিন ওম পুরী হবে! কে জানতো, যে ছেলেটা হোটেলের শো এর পর পকেট থেকে খুচরো বার করে মিলিয়ে দেখছিল সেদিনের খাবার জোগাড় হবে কিনা সে একদিন বব ডিলান হবে আর নোবেল পুরস্কার পাবে, ট্রাক ড্রাইভার ছেলেটি কিং অফ পপ এলভিস হবে কে জানতো, কলকাতায় রাস্তায় বার্ড কোম্পানীর চাকরি করতে করতে ঘুরে বেড়ানো ছেলেটা একদিন অমিতাভ বচ্চন হবে কেউই ভাবেনি। ওই অনুপম খেরের শো তেই একটা দারুন কথা বলেছিল – লাইফ মে কুছ ভি হো সকতা হে। উত্তর কলকাতার গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী এভাবেই একদিন মিঠুন চক্রবর্তী হয়ে যায়। রূপকথা নয়, বাস্তবে।
এই মিঠুনের এখন মুম্বাইতে বিশাল প্রাসাদ। মস্ত বড় পাঁচতারা হোটেল। তবে মিঠুন কিন্তু অতীতকে ভুলে যান নি। পরিচিত শ্যামবাজারের রকের অনেক বন্ধুকে সিনেমা জগতে টেকনিশিয়ান এর কাজ শিখিয়েছেন। গরীব দুঃখীদের উজাড় করে সাহায্য করেছেন। থ্যালাসেমিয়া এক মারাত্মক ব্যাধি। বহু শিশু এই রোগের শিকার। মিঠুন এই ক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে অনেক শিশুকে রক্ষা করেছেন। এখনো করছেন। কিছুকাল আগে পুরোপুরিভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দিল্লিতে পার্লামেন্টে রাজ্যসভার সদস্য করেছিলেন। পরবর্তীকালে তৃণমূল পার্টি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। প্রতিটি নির্বাচনী প্রচারে সিনেমার সংলাপ ব্যবহার করে জনসভায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,বাংলাদেশে অনেক স্বনামধন্য ও প্রতিষ্ঠিত নায়ক ,নায়িকা রয়েছেন। অসাধারণ তাদের অভিনয় প্রতিভা। তাদের জন্য অগাধ ভালোবাসা, শ্রদ্ধা জানালেন তিনি। নিজেও বেশ কয়েকবার ঢাকা গিয়েছেন। প্রচুর ভালবাসা পেয়েছেন বলে জানান।