হত্যার ২বছর পর পাঁচ এমপিসহ সাবেক ডিসি-এসপির বিরুদ্ধে মামলা
- আপডেট সময়- ০৪:৫৯:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪ ৫০ বার পড়া হয়েছে
২০২২ সালে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবদল ন
অনলাইন ডেস্ক।।
নারায়ণগঞ্জের প্রানকেন্দ্র শহরে ২নং রেলগেট এলাকায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র্যালিতে নেতা-কর্মীদের সাথে ভয়াবহ সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে যুবদল নেতা শাওন নিহতের ঘটনায়, দীর্ঘ দুই বছর পর হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) নিহত যুবদল নেতা শাওনের বড় ভাই মো. মিলন মিয়া নিজে বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় এ হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
এ মামলায় নারায়ণগঞ্জের সাবেক পাঁচ এমপি শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু, গোলাম দস্তগীর গাজী, লিয়াকত হোসেন খোকা এবং সাবেক জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ ও জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলসহ ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
এ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে মামলা সুত্রে জানা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বর্তমানে দায়িত্বরত পুলিশ সুপার(এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, নিহত শাওন প্রধান (২৩) সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার অন্তর্ভুক্ত বক্তাবলী ইউনিয়নের গোপালনগর এলাকার ১নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাহেব আলীর ছেলে।
মামলার বিষয়ে বাদী মিলন মিয়া বলেন, শাওন ২০২২ সালের ১লা সেপ্টেম্বর বিএনপির মিছিলে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এটি দিবালোকের মতো সুস্পষ্ট একটি ঘটনা ছিল। কিন্তু ঘটনার পর থেকে পুলিশ আমার ভাইকে যুবলীগ কর্মী বানাতে চেয়েছিল।পরবর্তীতে সেটিতে ব্যর্থ হয়ে মরদেহ আটকে রেখে আমার কাছ থেকে সাদা কাগজে জোরপূর্বক স্বাক্ষর গ্রহণ করে। এরপর সেই স্বাক্ষর ব্যবহার করে বিএনপির পাঁচ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে। যেখানে আমাকে মামলার বাদী বানানো হয়। পরে আমি বিজ্ঞ আদালতে মামলার বিষয়ে নারাজি দিলে পুলিশ ওই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে বাধ্য হয়। এ কারণে পরবর্তীতে পুলিশ আমার পরিবারকে অনেক হয়রানি করেছে।
তবে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ায় শাওন হত্যার মূল অপরাধীদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছি। আশা করছি, এই সরকারের আমলে আমার ভাই শাওন হত্যার সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচার পাব।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এর আগে ২০২২ সালের ১লা সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেলগেইট এলাকায় দলীয় নেতা-কর্মীরা শোভাযাত্রা বের করতে চাইলে পুলিশি বাধায় পন্ড করার চেষ্টা চালায়।
এ নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সাথে কয়েক দফায় সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরন করে যুবদল কর্মী শাওন প্রধান। মৃত্যুর পর নিহত শাওনকে যুবলীগ কর্মী প্রমাণ করতে তৎকালীন জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নানাভাবে অপচেষ্টা করেন বলে পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠে।
তবে পুলিশকে লক্ষ্য করে শাওনের ইটপাটকেল নিক্ষেপের ছবি ও মিছিলের ছবি বিভিন্ন গণ মাধ্যমে প্রকাশ হলে তাদের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী নিহত শাওনের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।