সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আন্তর্জাতিক, দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, রাজনীতি
শেখ হাসিনার প্রশাসনিক এজেন্টরা ইউনূস সরকারকে সফল হতে দিবেনা: রিজভী
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৬:৫৯:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪ ৪৬ বার পড়া হয়েছে
তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।।
বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, হাজার কোটি টাকা পাচার করা হাসিনার এজেন্টরা এখনো প্রশাসনে রয়েছে। তারা ইউনূস সরকারকে সফল হতে দিবেনা। বর্তমানে যিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব তিনি কাতারের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি তখন যারা বিএনপি করতো তাদের পাসপোর্ট রিনিউ করত না। এ বিতর্কিত রাষ্ট্রদূতের কারণেই অনেক বাংলাদেশিকে দেশে ফিরতে হয়েছে। সে তো স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার এজেন্ট। সে কিভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব হলো? এরা কখনোই চাইবে না আপনি সফল হোন। এদের মত স্বৈরাচারী সরকারের এজেন্টরা আপনাকে প্রতিনিয়ত বিতর্কিত করবে।
রবিবার (৬ই অক্টোবর) দুপুরে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নের খাকটেখা কালনীগড় বাজারে বিএসএফের গুলিতে নিহত স্বর্ণা দাসের পরিবারের সাক্ষাৎ শেষে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সীমান্তে লাশের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ভারতের হাতে বানানো তাদের গোলাম শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তাই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী আরও আক্রমণাত্মক। ৫ই আগস্ট জনগণের যে বিপ্লব হয়েছে তার ধারাবাহিকতায় জনগণের আস্তা নিয়ে ড. ইউনুস সরকারে আসে। আমাদেরও এই সরকারের প্রতি আস্থা আছে আছে। তবে গণতন্ত্রের চর্চাকে সামনে রেখে দ্রুত নির্বাচন দেয়া উচিত। নির্বাচন দিতে কেন বিলম্ব করছেন? অতি দ্রুত গণতন্ত্র রক্ষায় নির্বাচন দিন।
রিজভী বলেন, ফেলানীর মত সীমান্তে স্বর্ণা দাস কে নির্মমভাবে হত্যা করেছে বিএসএফ। সীমান্তের এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকার উদাসীন কেনো? কেন আপনারা জোড়ালো আওয়াজ তুলছেন না? একটি নিষ্পাপ কিশোরী মেয়েকে হত্যার মতো দৃষ্টতা যে দেশ দেখাতে পারে সেই দেশকে কেন কড়া প্রতিবাদ জানানো হলো না? ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সীমান্তে হিন্দু নাকি মুসলমান তা দেখে গুলি করে না,সীমান্তে তাদের মূল টার্গেটই হলো বাংলাদেশীরা।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার হাসিনার নির্দেশে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর কারাগারে রাখা হয়েছে। তারপরও দেশনেত্রী স্বৈরাচারী সরকারের কাছে মাথা নত করেনি। আমরা সেই নেত্রীর দল করি। আমরা সেই নেতার দল করি যেই নেতা স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে একটি জাতিকে একটি দেশ এনে দিয়েছে। ৭৫ এর পরে বাকশালের কালো অন্ধকার গর্ত থেকে আবারও বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। গত ১৫ বছরের আন্দোলনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পাশাপাশি দেশ নায়ক তারেক রহমানের সুযোগ্য নেতৃত্বে গোটা জাতিকে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনের যেভাবে প্রস্তুত করেছেন তার ফসল জুলাই আন্দোলন।
কাতার বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র উপদেষ্টা শরিফুল হক সাজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আলমগীর কবীর, আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু, অর্থ সম্পাদক মনোয়ার আহমদ রহমান। এ সময় আমরা বিএনপি পরিবারের পক্ষ থেকে বিএসএফের গুলিতে নিহত স্বর্ণা দাসের পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।