মডেল গ্রুপের কর্ণধার মাসুদুজ্জামানের প্রচেষ্টায় চাঁদার ৮ লক্ষ টাকা উদ্ধার
- আপডেট সময়- ০৬:০১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধি,না’গঞ্জ।।
গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বিকেএমইএ এবং নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স থেকে চাঁদা হিসেবে নেয়া ৮ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস থেকে ৩ লক্ষ এবং বিকেএমইএ থেকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা নেয়া হয়েছিল। তবে কে বা কারা এই চাঁদার টাকা নিয়েছিল সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরের দিকে শহরের প্রানকেন্দ্র চাষাড়াস্থ বিকেএমইএ’র প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ৮ লক্ষ টাকা উদ্ধারের কথা জানান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। এ সময় টাকা উদ্ধারে মূল মূখ্য ভূমিকা পালন করা নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মো. মাসুদুজ্জামানসহ সংগঠনে দু’টির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নব নির্বাচিত সভাপতি মডেল ডি ক্যাপিটাল গ্রুপের কর্ণধার মো. মাসুদুজ্জামান দাবি করেছিলেন, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক পটভূমি পরিবর্তনের পর থেকে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের কাছে ১০ লক্ষ এবং বিকেএমইএ’র কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা চাওয়া হয় বলে উল্লেখ করেছিলেন। তখন চেম্বার অফ কমার্স ৩ লক্ষ এবং বিকেএমইএ ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করে চাঁদাবাজদের নিভৃত করে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে নবগঠিত চেম্বারের সভাপতি চাঁদা হিসেবে নেওয়া উক্ত অর্থ ফেরত দেওয়ার হুশিয়ারি সহ দাবি জানিয়ে আল্টিমেটাম দেন।সেসময় রহস্যজনক কারনে কোনো চাঁদাবাজদের নামও প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে বিকেএমইএ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বিকেএমইএ ও চেম্বার অফ কমার্স থেকে নেওয়া চাঁদার অর্থ উদ্ধার হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন।
নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের নবগঠিত সভাপতি মডেল গ্রুপের কর্ণধার মাসুদুজ্জামানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ অর্থ উদ্ধার করা সম্ভবপর হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে চেম্বারের দায়িত্ব নেওয়ার পরে থেকেই মাসুদুজ্জামান বলেছিলেন সকল ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে পাশাপাশি চাঁদার অর্থ দ্রুত ফেরত দিতে হবে। পরবর্তীতে এই ব্যবসায়িক দুই সংগঠনের অর্থ উদ্ধার করে তার কথার প্রমাণ রেখেছেন।
এ বিষয়ে চেম্বার অফ কমার্সের নবগঠিত সভাপতি মডেল গ্রুপের কর্ণধার মাসুদুজ্জামান বলেন, যারা চাঁদার নামে এ অর্থ নিয়েছে তাদেরকে আমি বুঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, এই জায়গাটা ভালো জায়গা না।এবং তারা তা বুঝেছে চাঁদার অর্থ ফেরত দিয়েছে। এটা দেশের জন্য একটি শুভ সূচনা।
গার্মেন্টস ঝুটের জন্য চেম্বার ও বিকেএমইএ’র উপর বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে, যাতে আমরা এগুলোকে বণ্টন করে দেই। আসলে এটা আমাদের কাজ না।
সংবাদ সম্মেলনে চাঁদাবাজদের নাম এবং রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে কিনা জানতে চাইলে বিকেএমইএ এবং চেম্বারের নেতারা সেটি সুকৌশলে চেপে যান।
চাঁদাবাজদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি গোপনীয়তার স্বার্থে নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানান।
তবে তিনি জানান, এর সঙ্গে কোন রাজনৈতিক দল বা নেতাকর্মী কেউই জড়িত নন। যিনি এ কাজটি করেছেন তিনি ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে এটি করেছেন।
মাসুদুজ্জামানের দাবি, নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে চাঁদাবাজির অর্থ ফেরত আনার ঘটনা এটিই প্রথম এবং বিরল ঘটনা। অতীতে এটি কোনোভাবে সম্ভব ছিল না।দেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে নতুন দেশ সৃষ্টি হওয়াতেই এটি সম্ভবপর হয়েছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাডভোকেট এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ ব্যবসায়িক সংগঠন দুটির উচিত প্রকৃত বিষয়টি সুস্পষ্ট করা। যাতে করে এসকল বিষয়ে কোন ধরনের ভুল ম্যাসেজ না যায়।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, তাদের উচিত আসল সত্যিটা প্রকাশ করে সকলের সামনে তুলে ধরা।তবে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িতদের নাম পরিচয় প্রকাশ না করলে তাকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে বলে তিনি স্পষ্ট উল্লেখ করেন।