সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), দেশজুড়ে, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, মুন্সিগঞ্জ, রাজনীতি, লৌহজং
লৌহজংয়ে যুবদল নেতার প্রশ্রয়ে চলছে আ’লীগ নেতার রমরমা ড্রেজার বানিজ্য
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৫:৫০:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ২০ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
সারাদেশে দলীয় নিয়মশৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে অনেক নেতাকর্মীকে বহিস্কার করছেন বিএনপি।দলীয় নিয়ম শৃঙ্খলাকে তোয়াক্কা না করেই মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মো: মোক্তার হোসেন খান আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দিচ্ছেন আশ্রয়।তার ছত্রছায়া’য় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের মামলা থেকে দুরে সরিয়ে পদ্মা নদীতে ড্রেজার বানিজ্যে চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।এতে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।মুক্তার খান দলীয়শৃঙ্খলা ও নির্দেশনা ভঙ্গ করে আওয়ামী লীগের নেতাদের ড্রেজার নিজে পরিচালনা করা ও অবৈধ ড্রেজার দিয়ে পদ্মা নদীতে বালু উত্তোলন করার অভিযোগ উপজেলা জুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা।স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,মোক্তার খানের ছত্রছায়ায় চলছে লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব রশিদ শিকদারের অবৈধ ড্রেজার।মোক্তার খানের নেতৃত্বে গাওদিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জিল হোসেন ও গাওদিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মো:মেহেদী হাসান খান বিদ্যুৎ এখন পরিচালনা করছে ড্রেজার।অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ফেলে যাওয়া অবৈধ ব্যবসা বাণিজ্যে হাত লাগাচ্ছে লৌহজং উপজেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা।কিছু কিছু জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতাদের আশ্রয় দিয়ে বাগিয়ে নিচ্ছেন তাদের ব্যবসা-বানিজ্য।কিছুদিন আগে মাওয়া-শিমুলিয়া ঘাট দখল করাকে কেন্দ্র করে বহিষ্কার করা হয় বিএনপি দুই নেতাকে।এরপরেও থেমে নেই এ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নেতাকর্মীর এহেন কর্মকান্ড।দল থেকে বিভিন্ন সময় সতর্কবার্তা দিলেও মানছে না তারা।সরেজমিনে শুক্রবার সকালে গেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক গ্রামবাসী জানান,মোক্তার খান বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইসরাইল খানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সাথে সখ্যতা বজায় রেখে চলতেন।উনি নিজেকে লৌহজংয়ের বিএনপি’র ট্রাম কার্ড ভাবেন।যুবদল নেতা মঞ্জিল,বিদ্যুৎ নামের নেতাদের ভয়ে আমরা কেউ কথা বলতে পারি না,মুখ খুললেই মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।মোক্তার খান বিগত সময়ে,তাকে বিভিন্ন সহযোগিতা করেছে।যারা আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত ছিল তাদের বিএনপির রাজনীতিতে ঢুকানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।নাম প্রকাশ না করা শর্তে উপজেলা যুবদলের একাধিক নেতাকর্মীরা বলেন,মোক্তার খান প্রভাবশালী নেতা।তিনি অবৈধ ড্রেজার বানিজ্যের সাথে জড়িয়েছেন।গত ৪ বা ৫ আগস্ট মুন্সীগঞ্জে শান্তিপুর্ণ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ছাত্রদের উপর আওয়ামী লীগের হামলার ঘটনায় পদ-পদবী ওয়ালা ও হামলায় জড়িত থাকা নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রশিদ শিকদারের বিরুদ্ধে মামলা হতে দেননি,এ যুবদলের আহবায়ক মোক্তার খান।এখানেও মোটা অংকের বানিজ্যে হয়েছে।তারা আরও অভিযোগ করে বলেন,গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগে মুক্তার খান নেতাকর্মীদের রেখে,নিজেকে একক রক্ষায় ভারত চলে যান।সংসদ নির্বাচনের কিছুদিন পর দেশে আসেন।আওয়ামী লীগের হামলা মামলায় তাকে কাছে পায়নি কর্মীরা।দলীয় শৃঙ্খলা ও নির্দেশনা ভঙ্গের দায়ে তাকে বহিস্কার করা এখন সময়ের দাবী।এ বিষয়ে লৌহজং উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোক্তার হোসেন খান বলেন আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ রয়েছে তা অসত্য।আমি কোন ড্রেজার বানিজ্যের সাথে জড়িত নই।এগুলো রশীদ সিকদারের লোকজন করে।তাকে মামলা কেন দেয়নি,সে বিষয়ে আমি অবাক। আমি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কারা নির্যাতিত নেতা।জেলা যুবদলের আহবায়ক দেওয়ান মুজিবুর রহমান বলেন,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা উপেক্ষা করে,তাহলে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবে কেন্দ্রীয় যুবদল।আর আওয়ামী লীগের সাথে সক্ষতা থাকলে,বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।