সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), দেশজুড়ে, বাংলাদেশ, মুন্সিগঞ্জ, লৌহজং
লৌহজংয়ে কৃষিজমি ভরাট করছে সার্থান্বেসী প্রভাবশালীর মহল
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ১১:২২:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪ ২৫ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে এক কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে অন্য কৃষিজমি ভরাট করছে একটি প্রভাবশালী মহল।এতে আশপাশের কৃষিজমিগুলো ভাঙন হুমকিতে পড়েছে।জানা যায়, উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের মাইজগাঁও ও খিদিরপাড়া গ্রামসংলগ্ন কৃষিজমি থেকে ড্রেজিং করে মাটি কাটা হচ্ছে।দীর্ঘদিন ধরে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে মর্টগেজ রাখা জমিতে ড্রেজিং করে আসছেন ড্রেজার ব্যবসায়ী নূরে আলম সারেঙ্গ ও তাঁর সহযোগীরা।কৃষিজমি ভরাট করতে হলে স্থানীয় ভূমি অফিস থেকে শ্রেণি পরিবর্তন করার সরকারি বিধান থাকলেও তা অমান্য করেই কৃষিজমির মাটি কাটায় হুমকিতে পড়েছে পাশে থাকা অপর কৃষকের তিন ফসলি কৃষিজমিগুলো। এই পরিস্থিতিতে কৃষিজমি রক্ষায় অবিলম্বে অবৈধ ড্রেজিং বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।অভিযোগ রয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর ছত্রছায়ায় চলত ড্রেজিং কার্যক্রম।এখন একই কায়দায় বিএনপি নেতাকর্মীর ছাত্রছায়ায় ও স্থানীয় ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে ড্রেজিং কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন ওই ড্রেজার ব্যবসায়ী।এ অবস্থায় অবৈধ ড্রেজিং বন্ধে প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ না থাকায় কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,লৌহজংয়ের মাইজগাঁও ও খিদিরপাড়া গ্রামের বিস্তীর্ণ জমির মাঝে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত একটি কাটার ড্রেজারের মাধ্যমে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ঢাকার ইসলামপুর শাখায় মর্টগেজ রাখা নিজ কৃষিজমির মাটি ড্রেজার দিয়ে উত্তোলন করে নূরে আলম সারেঙ্গ অন্য জমি ভরাটের ব্যবসা করছেন।যে জমি ভরাট করছেন, তারও শ্রেণি পরিবর্তন করা হয়নি।কৃষকরা জানান, বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে কৃষিজমিগুলো ডুবে থাকার সুযোগে তলদেশের পাইপ অন্য জমিতে স্থাপন করে বিভিন্ন ব্যক্তির কৃষিজমি থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে।এক জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে শ্রেণি পরিবর্তন না করে অন্য কৃষিজমি ভরাটের কারণে এতে পাশের জমি ভাঙনের মুখে পড়েছে।অন্যদিকে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।অভিযোগ পাওয়া গেছে,ড্রেজার ব্যবসায়ী নূরে আলম সারেঙ্গ জমির মাটি কাটায় পাশে থাকা কৃষক মোসলেম সিকদার,হাকিম শেখ,খবির মাস্টার,শামসুল হক মাস্টার ও আনোয়ার বেপারির তিন ফসলি কৃষিজমিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় কৃষিজমির মালিক মোসলেম সিকদার জানান,বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমল থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি কেটে ভরাট ব্যবসা করছেন নূরে আলম সারেঙ্গ নামের প্রভাবশালী ড্রেজার ব্যবসায়ী।সে সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী শেল্টার দিয়েছেন।এখন একই কায়দায় শেল্টার দিচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মী।প্রতিবাদ করলে মামলা ও হামলার হুমকি দেন তারা।ফলে ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না।খিদিরপাড়া গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন,এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় তারা দ্রুত এই মাটিদস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ড্রেজিং বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।কৃষিজমিতে ড্রেজার স্থাপনের কথা স্বীকার করে ড্রেজার ব্যবসায়ী নূরে আলম সারেঙ্গ বলেন,ড্রেজার লাগিয়েছেন,কিন্তু মাটি কাটা বন্ধ রয়েছে।বৌলতলী ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো:জালাল উদ্দিন জানান,কৃষিজমি ভরাট করার আগে শ্রেণি পরিবর্তন এবং কী কারণে ভরাট করবে,তা জানানোর বিধান রয়েছে।কিন্তু কিছু ভূমিদস্যু তা অমান্য করে ভরাট করে যাচ্ছে।খবর পেয়ে নিষেধ করলেও এখন পর্যন্ত জমিতে ড্রেজার স্থাপন করা আছে বলে শুনেছেন।বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।লৌহজংয়ের ইউএনও জাকির হোসেন বলেন,বিষয়টি খোঁজ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হবে।