সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, কক্সবাজার, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, টেকনাফ, ঢাকা, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ
বাহারছড়া আইসির বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুর মিথ্যা অভিযোগ: জনসাধারণের মানববন্ধন
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৫:৪০:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
টেকনাফ প্রতিনিধি।।
টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জে বিরুদ্ধে ভূমিদস্যু কর্তৃক মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়ানোয় বাহারছড়ার আপামর জনসাধারণের মানববন্ধন ও প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত।
জানা যায় স্থানীয় এক ভূমিদস্যু বহু মামলার আসামী মোক্তার নামে এক ব্যক্তি ঘুষের বিনিময়ে নিরীহ মানুষকে আসামী না করায় বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ দস্তগীর হোসেন কে মুঠোফোনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ইনচার্জ কে এক সপ্তাহের মধ্যে গাট্টি নিয়ে বদলী করার হুমকি দেয়।
পরে কথোপকথন ফেসবুকে ভাইরাল হলে বাহারছড়ার আপামর জনসাধারণ ভূমিদস্যু মোক্তারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করে।
সভায় বক্তারা বলেন,বাহারছড়ার বর্তমান ইনচার্জ অত্যন্ত সৎ ও পরিশ্রমী।অপহরণকারী ও মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে ওনি সদা সোচ্ছার।
এম.দস্তগীর হোসেনের সাহসিকতায় ইতিমধ্যে ১২/১৩ টি অস্ত্র উদ্ধার সহ ডাকাতের সর্দার বহু মামলার আসামী মোর্শেদ, মোস্তাক সহ ২০ জনের বেশি আলোচিত ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে।এখন বাহারছড়াবাসী শান্তিতে ঘুমাচ্ছে।
বর্তমানে কিছু মানবপাচারকারী এবং ভূমিদস্যু আইসি সাহেবকে সরানোর জন্য তৎপর হচ্ছে।
অবৈধ সুবিধা না পেয়ে ইতিমধ্যে এলাকার নাম করা ভূমিদস্যু মোক্তার আহমেদ আইসি কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে।তাই এই মানববন্ধন। দস্তগীর সাহেবকে বাহার ছড়া বাসীর আশীর্বাদ মনে করেন বাহারছড়া বিএনপির সভাপতি সাবের আহমেদ।দস্তগীর সাহবেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ গাট্টি বেঁধে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে অপরাধীকে সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অপরাধে অতি শীগ্রই আইনের আওতায় আনার জোর দাবি বাহারছড়াবাসীর।বাহারছড়া বিএনপির সেক্রেটারি ইলিয়াস হোসেন বলেন,দস্তগীর সাহেব দায়িত্ব নেওয়ার সাথে সাথে বাহারছড়ায় আগে পুলিশের নামে যেসব জায়গা থেকে চাঁদা তুলতো সব বন্ধ করে দিয়েছেন, তদন্ত কেন্দ্রকে করেছেন দালালমুক্ত।ওনি পুরো বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের চেহারা পাল্টে দিয়েছেন অল্প কিছুদিনের ইনচার্জের দায়িত্ব পেয়েই।অপহরণকারীরা যার নাম শুনলেই ভয় পায় সেই অফিসারকে আমরা বাহারছড়াবাসী হারাতে চাই না।ওনার বিরুদ্ধে মানবপাচারকারী ও ভূমিদস্যুদের তৈরী করা ফাদকে কঠোর হস্তে এলাকাবাসীর সহায়তায় আমরা প্রতিরোধ করবো।সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত।
যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক সোহেল রানা বলেন যেই ভূমিদস্যু আইসি বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছেন তা পুরোটায় ভিত্তিহীন। ওনি মূলত বাহারছড়ায় মানবপাচার ও ভূমিদস্যুতাদের কাজ সহজ করার মিশনে নেমেছেন।এলাকাবাসী এই ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করবে।
প্রতিবাদ সভায় প্রায় ১ হাজার মানুষের সম্মূখে বাহারছড়া বিএনপির সভাপতি সাবের আহমেদ, সেক্রেটারি ইলিয়াস,সিনি: সহ সভাপতি জালাল উদ্দীন,সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশীদ বাহাদুর, যুবদল সভাপতি সেলিম উল্লাহ, সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন, যুগ্ন আহবায়ক সোহেল রানা,উপজেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি বাহার মিয়া সহ স্থানীয় ব্যবসায়ী,বিভিন্ন স্থানীয় কমিটির সভাপতি সম্পাদক মন্ডলী বক্তব্য রাখেন।
বাহারছড়ার ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ মোঃ দস্তগীর হোসেন এর কাছ থেকে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,মোক্তার সাহেব একটি ভূমি প্রতিরোধ আইনে বিজ্ঞ আদালতে ২৬ জনকে আসামী করে মামলা করলে তা আমার নামে তদন্তভার অর্পন করেন।ওনি গত ৫/৬ দিন আগে ২৬ জন সবার বিরুদ্ধে রিপোর্ট দাখিল করার জন্য আমার কাছে একটা খাম নিয়ে আসেন।আমি তা গ্রহণ না করে তদন্তে প্রাপ্ত প্রকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দাখিল করব বলে জানানোতে ওনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়।যার কারণে ওনি তদন্তে ব্যঘাত ঘটাতে হঠাৎ আমাকে মুঠোফোনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।পরবর্তীতে আমার নামে মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেন যা পরবর্তীতে তিনি ডিলেট করে দেন।আমি বিষয়টি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে জানিয়েছি।মানববন্ধনের বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য ছিলো না।পরবর্তীতে শুনলাম বাহারছড়ার শামলাপুর বাজারে এলাকাবাসী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়ানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন করছেন।