সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আন্তর্জাতিক, আবহাওয়া ও জলবায়ু, কলকাতা, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, ফিচার, বাংলাদেশ, ভারত, সালথা
স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের জন্য অপরিহার্য উপাদান মধু
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৩:১৩:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে
ঋতম্ভরা ব্যানার্জি,কলকাতা প্রতিনিধি।।
ফুলের অমৃত ব্যবহার করে মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে। সেই মধু আমাদের জীবন কে শুধু স্বাদেই মাতায় না স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের জন্য অপরিহার্য পণ্য করে তোলে। ফুলের উৎসের ওপর নির্ভর করে মধুর ধরণ এবং রং পরিবর্তন হয়। মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য মানুষ কে আকৃষ্ট করে। এটি কার্বোহাইড্রেট, ক্যালোরি রিবোফ্লাবিন এবং তামা সমৃদ্ধ। এতে কোনও চর্বি নেই। হার্টের সমস্যারঝুঁকি কমায়,হার্টের স্পন্দন সুস্থ রাখে , রক্তচাপের মাত্রা ভারসাম্য রাখে ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দূর করে। ডায়াবেটিক লোকেরা চিনির বিকল্প হিসেবে মধু ব্যবহার করতে পারেন । কাশি এবং সর্দির সময় মধু গলায় এক প্রশান্তদায়ক স্তর যোগ করে। পরিমিত মধু ত্বক কে উজ্জ্বল করে। মধু রাতে ঘুমানোর আগে এক চামচ খেলে ঘুম ভালো হয় এবং কোষ্টকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মৌমাছিরা ফুল থেকে অমৃত সংগ্রহ করে তাদের পেটে মধু সংগ্রহ করে । মৌমাছিরা তাদের তৈরি করা মৌচাকের মধ্যে অমৃত সঞ্চয় করে। এখানে মৌমাছিরা অমৃত কে সুরক্ষিত রাখে তাই সময়ের সাথে সাথে এটি মধুতে রূপান্তরিত হয়। মৌমাছিরা মধু তে সন্তুষ্ট হয়ে গেলে, তারা তাদের মোম দিয়ে মৌচাক বন্ধ করে দেয়। মৌমাছিরা মধু উৎপাদন ও সীলমোহর করার পর , মধু সংগ্রহের কাজে জড়িত মানুষ তা আহরণ ও সংগ্রহ করে। মধুতে ফেলোনিক অ্যাসিড ও ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও এন্জাইম থাকে যা সুস্বাস্থ্যে সহায়ক হতে পারে। মধু কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে যা শরীরে শক্তি সরবরাহ করে। উষ্ণ জলে পাতিলেবুর সাথে মধু খেলে বদহজম ও ফোলাভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শীতকালে শুষ্ক রুক্ষ ত্বক থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মধুর সাথে গ্লিসারিন মিশিয়ে গায়ে লাগান । মধু ব্যথানাশক ও রোগ জীবানু প্রতিরোধক। শীতকালে মধু, তুলসি পাতা ও গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে গলা ব্যথা কাশি , সর্দি উপকার পাওয়া যায়। গরম জলে আদা কুচি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে তার মধ্যে ২ চামচ মধু খেলে খুশখুশে কাশি কমে যায় । গরম চায়ের মধ্যে মধু মিশিয়ে খেলে শ্বাসকষ্ট উপকার হয়। শীতকালে মধুর উপকারিতা ও পুষ্টি বিচারে থাকলে মধুর নাম প্রথমে থাকবে। পুষ্টিগুনের বিচারে ১০০ গ্রাম মধুতে ৩০৪ ক্যালোরি , ৮২ গ্রাম সুগার , যার মধ্যে রয়েছে সুক্রোজ, ফ্রুকটোজ,গ্লুকোজ,মাল্টোজ, ০.২ গ্রাম আঁশ, প্রোটিন ০.৩ গ্রাম, পটাশিয়াম ৫২ মিলিগ্রাম এবং ৪ মিলিগ্রাম সোডিয়াম রয়েছে। মূলত মধুতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (ফ্ল্যাভোনয়েড ও অর্গানিক অ্যাসিড) রয়েছে। মধুতে প্রায় ২ শতাংশ আয়রন থাকে।