সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, মুন্সিগঞ্জ, রাজনীতি
মুন্সীগঞ্জে আ’লীগ নেতার স্থাপনা রক্ষায় ৩দফা ড্রেন নির্মাণে নকশা পরিবর্তন
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৬:২১:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ২১ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকন্ঠ মুক্তারপুর-মুক্তারপুর সেতু সড়কে সড়ক ও জনপথের আওতাধীন ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পে নানা অনিয়মের অভিযোগ করেছে ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসী।ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরুর পর পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের অপর প্রান্তে জেলা পরিষদ থেকে লীজ নেওয়া সরকারি জায়গায় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা গংয়ের মার্কেট নির্মাণের সুবিধার্থে তিন দফা নকশা পরিবর্তন করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীর নির্দেশে নিযুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।শুরু নকশা পরিবর্তনই নয়,ড্রেন নির্মাণে শর্তাবলী উপেক্ষা করে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।জানা গেছে,মুন্সীগঞ্জ সদরের মুক্তারপুর পুরাতন ফেরিঘাট থেকে মুক্তারপুর সেতু এলাকা পর্যন্ত আধা কিলোমিটার সড়কের পাশ দিয়ে ড্রেন নির্মানে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সড়ক ও জনপদ বিভাগ ৷ক্লাসিক বিল্ডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই ড্রেন নির্মানের কাজ করছে।অভিযোগ পাওয়া গেছে,কাজ শুরুর পর ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পের কার্যাদেশের শর্তাবলী উপেক্ষা করেছে ঠিকাদার। প্রস্থে ৬ ইঞ্চি দুরত্বে ড্রেন নির্মাণের কথা থাকলেও কোথাও ৪ ইঞ্চি,কোথাও ৫ ইঞ্চি প্রস্থ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঢালাই কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারসহ রড় স্থাপনেও অনিয়ম করেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন।প্রকল্পে বরাদ্দ করা বিপুল পরিমান টাকা আত্মসাৎ করতেই অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে ঠিকাদার।তিন দফায় নকশা পরিবর্তন করেও শেষ হয়নি ড্রেন নির্মাণ ড্রেন নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ ঢালাই কাজে নিম্মমানের সামগ্রী মাটি কেটে খানাখন্দে বিপাকে ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন,শুধু অনিয়মই নয়,জেলা পরিষদ থেকে লীজ নেওয়া সরকারি জমিতে ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা গংয়ের মার্কেট নির্মাণের স্বার্থে পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের অপর প্রান্তে ড্রেন নির্মাণ করতে তিন দফা নকশা পরিবর্তন করেছে সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ।আর এই নকশা পরিবর্তন করতে গিয়ে একাধিক মার্কেটের সম্মুখ ভাগে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে খানাখন্দ তৈরী করা হয়েছে।এর ফলে ৫টি মার্কেটের প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা পরিচালনা নিয়ে বিপাকে পড়েছে।ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা গেছে, মুক্তারপুর পুরাতন ফেরিঘাট থেকে মুক্তারপুর সেতুর ঢাল পর্যন্ত আধাকিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ করার সময় একই স্থানে তিন দফা মাটি কাটা হয়েছে।একাধিক মার্কেটের সম্মুখ ভাগ ভেঙে দুই স্থানে মাটি খোদাই করা হলেও পরবর্তীতে সড়কের পাশ দিয়ে তৃতীয় দফায় খোদাই করা স্থানে ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ।আর দুই দফা স্থান পরিবর্তন করে ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করায় স্থানীয়দের মাঝে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে,প্রভাবশালী ইউপি চেয়ারম্যান গংয়ের লীজের জায়গা রক্ষা করতেই মূলত অনিয়মের পথে হাটছে কর্তৃপক্ষ।অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ নেতা ও পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলম মোস্তফা সড়ক ও জনপদের জমি কৌশলে জেলা পরিষদ থেকে তার সহযোগীদের নামে লীজ নিয়ে প্রথমে ড্রেন নির্মাণ কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।এরপর প্রভাব বিস্তার করে লীজকৃত জায়গা রক্ষার লক্ষ্যে সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষকে মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা দিয়ে উল্লেখিত স্থানের ড্রেনের নকশা পরিবর্তন করতে বাধ্য করে।আর এ কারনেই পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের অপর প্রান্তে ড্রেন নির্মাণ কাজে তিন দফা নকশা পরিবর্তন করা হয়।এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ মুন্সীগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো:মান্নান বলেন,আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল এখানে।তার কথার বাইরে কিছু করা ছিল অসম্ভব,তা সবাই অবগত।আর এ কারনে সড়ক ও জনপদের জায়গা কৌশলে জেলা পরিষদ থেকে তার সহযোগীদের নামে লীজ নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করলে বাঁধা দিতে পারেনি সওজ কর্তৃপক্ষ।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবের কারনেই ড্রেনের নকশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয় ঠিকাদার।