সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, টুঙ্গীবাড়ী, দেশজুড়ে, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, মুন্সিগঞ্জ, রাজনীতি
মুন্সীগঞ্জের পদ্মা নদীতে বালু উত্তোলন পয়েন্টে অস্ত্রের মহড়া
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৫:৩৫:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের টংঙ্গীবাড়ীতে পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে ছয়টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।বালু উত্তোলনে কেউ যাতে বাধা না দেয়,সে জন্য অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সিন্ডিকেট।টংঙ্গীবাড়ীর দিঘিরপাড় ও কামারখাড়া ইউনিয়নঘেঁষা পদ্মা নদীতে কামারখাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হাওলাদারসহ বিএনপির একটি সিন্ডিকেট অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে উত্তোলন করা বালু বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে কেউ যাতে বাধা না দেয়,সে লক্ষ্যে ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য দিঘিরপাড় বাজারে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে তারা।এ ঘটনার পর থেকে বর্তমানে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা গেছে,দীর্ঘদিন ধরে কামারখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন হাওলাদার গং পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিল।এর মধ্যে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কিছু দিন বন্ধ থাকলেও মহিউদ্দিন হাওলাদার বিএনপির একটি সিন্ডিকেটকে যুক্ত করে ছয়টি ড্রেজার দিয়ে আবারও বালু উত্তোলন শুরু করলে গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান,নদী তীরবর্তী মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেওয়ায় বালু উত্তোলনে যাতে কেউ বাধা না দেয় সে লক্ষ্যে গত মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে দিঘিরপাড় ইউনিয়নের বিএনপি নেতা মন্নান খান,মিজান খান,কালা শামীম,কামারখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হাওলাদার ও তাঁর ছোট ভাই অনিক হাওলাদার প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ সন্ত্রাসীসহ অস্ত্র নিয়ে দিঘিরপাড় বাজারে মহড়া দেন।এতে স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।এলাকাবাসী জানায়,প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত পদ্মা নদীতে ৬টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।ড্রেজারের বিকট শব্দে নদী তীরবর্তী মানুষ রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছে না।এখনই যদি বালু উত্তোলন বন্ধ না করা হয়,তাহলে যে কোনো সময় কামারখাড়া ও দিঘিরপাড় ইউনিয়নের তীরবর্তী গ্রামগুলোতে পদ্মার ভাঙন দেখা দেবে।এতে বিস্তীর্ণ কৃষি জমি ও ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে গ্রামবাসী।স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়,মহিউদ্দিন হাওলাদার ও মন্নান খান গ্রুপের লোকজন প্রতিদিন নদীর পাড়ে অস্ত্র নিয়ে বসে থাকে।তাই তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, মিজান খান,মন্নান খান ও মহিউদ্দিন হাওলাদাররা সুবিধাবাদী নেতা।এত দিন তারা ছিল আওয়ামী লীগ নেতা।পট পরিবর্তনের পর এখন তারা বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করছে।এতে বিএনপির ক্ষতি হচ্ছে।দিঘিরপাড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শামীম মোল্লা বলেন,স্থানীয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কিছু ব্যক্তি সিন্ডিকেট করে ছয়টি ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।তারা তীর ঘেঁষে যেভাবে বালু কাটছে,তাতে যে কোনো সময় দিঘিরপাড় ও কামারখাড়া ইউনিয়নের তীরবর্তী গ্রামগুলোতে পদ্মার ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।অথচ একটি চক্র এই বালু উত্তোলনের সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও দাবি করেন এই বিএনপি নেতা।
এ বিষয়ে জানতে কামারখাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হাওলাদারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।টংঙ্গীবাড়ীর ইউএনও আসলাম হোসাইন জানান,স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছেন।দুই-একদিনের মধ্যেই সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে।