সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), দেশজুড়ে, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, মুন্সিগঞ্জ, রাজনীতি
মুন্সীগঞ্জে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে আ’লীগ নেতার বিএনপিতে যোগদান
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০১:৫৩:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৪৪ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
৫ আগষ্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের ফেলে দেশ ছেড়ে পালানোর পর থেকেই সারা দেশে বিএনপি ও অন্যান্য দলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করেন।কিংবা খোলস পাল্টিয়ে নতুন রুপে আত্মপ্রকাশ করেন।আর এই অনুপ্রবেশকারীদের মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে বিএনপিতে স্থানীয় নেত্রীবৃন্দ জায়গা করে দিচ্ছেন।এমনই অভিযোগ উঠেছে মুন্সীগঞ্জের আউটশাহী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মফিজ খান ও সাধারণ সম্পাদক রফিক শিকদারের বিরুদ্ধে।তারা মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে আওয়ামীলীগের নেতাকে বিএনপিতে যোগদান করিয়েছেন বলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর দরখাস্ত প্রেরণ করেছেন।দরখাস্তটি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মাধ্যমে তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর দপ্তরে দরখাস্তটি গ্রহণ করা হয়।লিখিত দরখাস্তে টংঙ্গীবাড়ী থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ কামরুল হাসান উল্লেখ করেন,মুন্সীগঞ্জ জেলার টংঙ্গীবাড়ী থানার আউটশাহী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মফিজ খান ও সাধারণ সম্পাদক রফিক শিকদার আওয়ামীলীগ নেতা হিরা শেখকে অর্থের বিনিময়ে বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করান।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের নামে মিলাদ অনুষ্ঠান করেন হিরা শেখের টাকা দিয়ে।সাধারণ জনগন আওয়ামীলীগের টাকার মিলাদ প্রত্যাখ্যান করে। ৭ই আগস্ট হিরা শেখকে পল্টন ময়দানে বিএনপির জনসভায় মফিজ খানের সাথে দেখা যায় (ছবি সংযুক্ত)। হিরা শেখ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক হিন্দু বাবুর বাড়ি দখল করে নেয় ও মন্দির ভাংগচুর করে।প্রসঙ্গতঃ হিরা শেখ বিগত দিনে মুন্সীগঞ্জ ২ ও ৩ আসনের আওয়ামীলীগ এমপিদেরকে স্বর্ণের নৌকা উপহার দেন (ছবি সংযুক্ত)। মফিজ খান ও রফিক শিকদার আরও এক আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসী মুক্তার হোসেন বেপারীকে দলে ভিড়ান।বিগত ১৫ বছর যাবৎ মুক্তার হোসেন প্রতিটি নির্বাচন আওয়ামীলীগের সাথে করেছেন।মুক্তার হোসেন বিভিন্ন সভা সমাবেশে শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবের ছবি সংবলিত ব্যানার ব্যবহার করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে (৬টি ছবি সংযুক্ত)। মফিজ খান ও রফিক শিকদার মুক্তারকে তাদের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে যোগদান করান। দুঃখজনক হলেও সত্য জনকণ্ঠ,যুগান্তর ও অন্যান্য পত্রিকায় প্রকাশিত হয় গাজী গ্রুপের ৫টি লুট হওয়া জাহাজ মুক্তারের নেতৃত্বে সুবচনী খালে রাখা হয়েছে(পত্রিকার কপি সংযুক্ত)।যার মূল্য প্রায় ২৫-৩০ কোটি টাকা।একটি জাহাজ বিক্রি করে মফিজ,রফিক ও মুক্তার হোসেন এবং থানা বিএনপির নেতৃবৃন্দ টাকা ভাগাভাগি করে নেয়।সাধারণ বিএনপির কর্মীরা বাধা দিলে তাদের বহিষ্কারের ভয়ভীতি দেখায়।অতএব আউটশাহী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মফিজ খান,সাধারণ সম্পাদক রফিক শিকদার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন এর বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।অভিযোগের বিষয়ে আউটশাহী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মফিজ খান বলেন, আওয়ামীলীগ নেতা হিরা শেখ আওয়ামীলীগেই আছেন।বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করানো হয়নি। মুক্তার হোসেন বেপারীর পিতা বিএনপির একজন ত্যাগী নেতা।সেই সুবাদে সে আউটশাহী বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব রয়েছে। অপরদিকে গাজী গ্রুপের ৫টি জাহাজ না ৭টি জাহাজ।সে জাহাজগুলো সুবচনী বাজারের ডগইয়ার্ডে নোঙ্গর করা রয়েছে।মালিকদের উপযুক্ত কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে। কাগজপত্র আনলে সেটি অবশ্যই তারা নিয়ে যেতে পারবেন।তবে যারা আমাদের বিষয়ে এমন অপপ্রচার চালাচ্ছেন তারা বিএনপিতে নেই।তারা আওয়ামীলীগের সাথে নির্বাচন করেছেন।তারা চাঁদাবাজ ও ধান্দাবাজ।আমাদের বিরুদ্ধে আনা এ সকল অভিযোগ মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এলাকায় আমাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিলে সত্য বা মিথ্যা আপনারা জানতে পারবেন।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ