না’গঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব টিপুর উপর হামলা
- আপডেট সময়- ০৭:২৪:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধি।।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতা টিপুর উপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করেছে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলের বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ তিন রাস্তার মোড়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু সহ যুবদল নেতা মুন্নাকে পিটিয়ে আহত ও রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে।
এসময় আহতরা প্রায় আধাঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পরিস্থিতি শান্ত হলে তার সমর্থিত বিএনপির নেতাকর্মীরা গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ শহরের ৩’শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, নবীগঞ্জ এলাকার নূর হোসেন নামের এক বিএনপি কর্মী সম্প্রতি অভিযোগ তুলেছিলেন মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে সুজন নামের একজন কথিত যুবদল নেতা মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নামে ৩ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছিল। তার দেওয়ার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে।একসময় টাকা না দেওয়াতে নূর হোসেনকে গত কয়েকদিন ধরে কয়েক দফা মারধর করা হয়।
নূর হোসেনের অভিযোগ শুক্রবার সকালেও তাকে সুজনের লোকজন মারধর করে। এ নিয়ে নবীগঞ্জ ও এর আশপাশ এলাকাতে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
জানা গেছে, সুজন মূলত মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর অনুসারী।
এছাড়াও প্রভাব বিস্তার নিয়ে বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলের সঙ্গে সাখাওয়াত ও টিপুর মামলাজনিত নানান কারনে পূর্বে থেকে বিরোধ চলছিলো।
এদিকে এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, হামলার সময়ে নূর হোসেনকেও দেখা গেছে। তবে এ ঘটনার পর থেকে তার মোবাইল ফোন সুইস্ট অফ পাওয়া গেছে।
ঘটনা সূত্রপাত,শুক্রবার বিকেলে বন্দরে বিএনপির একটি কর্মসূচীতে যাওয়ার সময়ে নবীগঞ্জ ঘাটের অদূরে তিন রাস্তার মোড়ে জমায়েত হয় মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা। অকস্মিক পূর্বেই ওৎ পেতে থাকা ৪০-৫০ জনের একটি দল লাঠিসোটা ও বাশ নিয়ে তাদেরকে ধাওয়া করে। এসময় অনেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও এ্যাডভোকেট টিপুকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা সহ শরীরে থাকা পাঞ্জাবী ছিড়ে ফেলা হয়। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হন মাসুদ রানা ও মুন্না। এদের মধ্যে মুন্না রক্তাক্ত জখম হয়।
এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা জানান, নবীগঞ্জ তিন রাস্তার মোড়ে আমরা পৌছালে পরিকল্পিতভাবে পূর্বেই ওৎ পেতে থাকা বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলের অনুসারীরা গতিরোধ করে। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই লাঠিসোটা ও বাশ দিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করে। এতে আবু আল ইউসুফ খান টিপু সহ যুবদল নেতা মুন্না গুরুতর আহত হয়।তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন মূলত হত্যার উদ্দেশ্যেই আমাদের উপর এ বর্বর আক্রমণ চালানো হয়েছিলো।