নবজাতকের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের ধূম্রজাল,মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ
- আপডেট সময়- ০৪:২৯:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধি,নারায়ণগঞ্জ।।
নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রানকেন্দ্র ১’শ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে অবহেলা ও অপচিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় স্বজনরা নবজাতকের মরদেহ নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল সহ মানববন্ধন করেছেন। নিহতের পিতা অটোচালক লিটন চন্দ্র সাহার হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ডাঃ আনুকা রায়সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ঘটনার পরে অভিযোগটি দায়ের করেন।
নিহত নবজাতকের মা লিপি রানী সাহা জানান, গত সোমবার আমার প্রসব ব্যথা অনুভব করলে আমাকে ১শ’ শয্যা বিশিষ্ট ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল নিয়ে আসে। পরে চেকআপ করে আমাকে লেবার রুমে নিয়ে গেলে সেখানে স্বাভাবিকভাবে আমার বাচ্চা প্রসব হয়। আমি ডাক্তারকে আমার কি বাবু হয়েছে জানতে চাইলে তারা বলেন ছেলে বাবু হয়েছে। আমি আমার বাচ্চার কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে তাকে আমার কাছে চাইলে তারা বলেন একটু পরে দিচ্ছি। এরপর আমার সাথে থাকা মাসিকে রুম থেকে বের করে দেয় এবং আমার বাচ্চাটিকেও আমাকে দেখতে দেয়নি।
এর পরবর্তী সন্ধ্যা সাতটার দিকে তারা জানায় আমার মৃত বাবু হয়েছে। চারটার দিকে আমার বাবু হলে তারা সাতটা বাজে কিভাবে বলে আমার মৃত বাবু হয়েছে। কিন্তু আমি আমার বাচ্চার কান্নার শব্দ শুনেছি। আমি এ ডাক্তার সহ যারা এর সাথে জড়িত সকলের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
নবজাতকের পিতা লিটন চন্দ্র সাহা বলেন, হাসপাতালে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ আয়া বলেন বেশি বাড়াবাড়ি না করে দ্রুত নবজাতক বাচ্চার মরদেহটি হাসপাতাল থেকে নিয়ে যেতে অন্যথায় মরদেহটি ডাস্টবিনে ফেলে দিবেন। আমি ডাঃ আনুকা রায়সহ উপস্থিত নার্স ও আয়াদের আমার সন্তান জীবিত জন্মগ্রহণ করেছে, আমার স্ত্রী কান্নার শব্দ শুনেছে বললে তারা আমার সহিত খারাপ আচরণ সহ নানান ধরনের ভয়ভীতি হুমকি প্রদান করেন।
এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো. জহিরুল জানান, আমরা এ অভিযোগটি আমলে নিয়েছি।জেলার সিভিল সার্জনের সাথে বসে আমরা একটি তদন্ত কমিটি করতেছি। কোন প্রকার দায়িত্বে অবহেলা পাওয়া গেলে অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে স্যার আসলে আমরা এটা করবো। আমাদের কোন স্টাফ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।