কোনো মার্ডার পুলিশের গুলিতে হয়নি, কিলিং এজেন্ট ছিল: দাবি শেখ হাসিনার
- আপডেট সময়- ০৯:০৫:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৪৬ বার পড়া হয়েছে
নতুন অডিও কল রেকর্ড ফাঁস..!
গণআন্দোলনে যে কয়টা মার্ডার হয়েছে, সেগুলো কোনোটিই পুলিশের গুলিতে হয়নি। আন্দোলনে কিলিং এজেন্ট ছিল..!
অনলাইন ডেস্ক।।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ই আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে পালিয়ে ভারত চলে যান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এর সাথেই পতন ঘটে হাসিনা সরকার শাসন। সম্প্রতি নেতাকর্মীরা টেলিফোনে কল দিলে তাদের সঙ্গে কথা বলছেন শেখ হাসিনা। এমন কথোপকথনের বেশ কয়েকটি অডিও কল রেকর্ড ইতোমধ্যে ফাঁস হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ফের ফাঁস হওয়া টেলিফোনের কথোপকথনে শোনা যায়, বেলজিয়ামে অবস্থানরত নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানার ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারির সঙ্গে কথা বলেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, গণআন্দোলনে যে কয়টা মার্ডার হয়েছে, সেগুলো কোনোটিই পুলিশের গুলিতে হয়নি। আন্দোলনে কিলিং এজেন্ট ছিল।
দৈনিক সমকালীন কাগজ পত্রিকার পাঠকদের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সেই কথোপকথন তুলে ধরা হলো…..
শেখ হাসিনা>>
সে তো জবর দখল করছে। তার কোনো লিগালিটি নাই। উপদেষ্টা বলে আমাদের কোনো পদ নাই। মানুষ খুন করে মেরে, একটা সিচ্যুয়েশন তৈরি করে তারপর সে ক্ষমতায় গেল।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা>>
জ্বী আপা, জ্বী আপা। এগুলো আমরা ইউরোপীয় পার্লামেন্টকে জানাচ্ছি।
শেখ হাসিনা>>
আমি তো পদত্যাগ করি নাই। আমাদের কনস্টিটিউশনের আর্টিক্যাল ৫৭ অনুযায়ী যেভাবে পদত্যাগ, আমার কিন্তু সেভাবে পদত্যাগ করা হয়নি। সে কিন্তু ৬ তারিখের জায়গায় ৫ তারিখে (লং মার্চ) নিয়ে আসলো। ৫ তারিখে নিয়ে আসার ফলে এমনভাবে চারদিকে লোক ঘেরাও…আমি দেখলাম যে, এখন যদি ফায়ার ওপেন করে আমার এখানের সিকিউরিটি… তাহলে অনেক লাশ পড়বে। লাশ ফেলে আমি ক্ষমতায় থাকতে চাই না।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা>>
জ্বী আপা, জ্বী
শেখ হাসিনা আরও বলেন>>
যখন এমন সিচ্যুয়েশন হয়ে গেল যে আমার সিকিউরিটি যারা ছিল তারা বাধ্য হয়ে..তখন আমাকে সরে যেতে হলো গণভবন থেকে। যার ফলে বঙ্গভবনে গিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা আমি দেইনি। কাজেই আমার কিন্তু পদত্যাগ হয়নি। আমি এখনো বাংলাদেশের কনস্টিটিউশনাল ইলেক্টেড প্রাইম মিনিস্টার।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা>>
ইনশাআল্লাহ আপা, আপনি চলে আসবেন তো। আর বেশি দিন নাই।
শেখ হাসিনা>>
তারপর ফলস ছবি দেখালো আমি সই করছি। সেটা হলো আমার ভিজিটিং বুকের সই। ছবিটা ভালো করে দেখলে দেখা যাবে ওইটা একটা মোটা বই। ওরকম কোনো বইয়ে প্রাইম মিনিস্টার সই করে পদত্যাগ করেন না। আমার সেই চিঠিও কেউ দেখাতে পারছে না। গণভবনে রেখে আসছিলাম, গণভবন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে, লুটপাট হয়েছে-ওগুলো সব চলে গেছে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা>>
জ্বী আপা
লাশগুম করা এবং মেয়েগুলোকে তুলে নিয়ে যাওয়া। ইডেন কলেজের একটা মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে রেখে বলল আত্মহত্যা করছে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা>>
জ্বী, জ্বী এই তো গত দুয়েকদিন আগে।
কথোপকথনের এই পর্যায়ের ইত্তেফাকের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে এই কল রেকর্ডটি আগস্ট মাসের শেষ দিকে কিংবা সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকের। কারণ গত ২৯ আগস্ট রাজধানীর লালবাগের একটি সাবলেট বাসা থেকে শায়লা শিকদার (২২) নামে ইডেন মহিলা কলেজের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা>>
আপা আপনার অ্যাবসেন্সে দলের এখন দায়িত্বে কে বা দল কীভাবে দাঁড়াবে?
তবে এই প্রশ্নের উত্তর দেননি শেখ হাসিনা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর শেখ হাসিনার সঙ্গে অনেকেরই কথোপথনের অডিও ফাঁস হচ্ছে। সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে মোহাম্মদ তানভীর কায়সার নামে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে শেখ হাসিনার কথোপথনের অডিও।
সূত্র :ই/ফাক!