ঢাকা ০৩:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
ডিসির কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে সেনা কর্মকর্তাদের ঢাবিতে তোফাজ্জল হ*ত্যা*র নেপথ্যের কারা..? আওয়ামী মহল বাঁধনের ওপর মহা বিল্লা: পিনাকী ভট্টাচার্য সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানে যুক্তরাজ্যেই ৩৬০টি বাড়ি  আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রান ঝড়েছে ৪৭৬ জনের  দিল্লির লোধি গার্ডেনে পুতুলের সঙ্গে ঘুরতে দেখা গেছে শেখ হাসিনাকে পিআইবির মহাপরিচালক(ডিজি) হলেন ফারুক ওয়াসিফ স্টাইলিশ গার্মেন্টস’র চেয়ারম্যানের নামে ভুয়া আইডি খুলে অপপ্রচার থানায় জিডি দুইশ’র অধিক মামলা ডিএমপিতে, বাদী চেনেন না আসামিকে! নারায়ণগঞ্জে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় শিল্প পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু  নারায়ণগঞ্জে আজমেরী ওসমানের টর্চার সেল পরিদর্শনে র‍্যাব-১১ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা: ধারা অনুযায়ী কী কী কার্য করতে পারবে সেনাবাহিনী ঢাকা শিক্ষা ভবনে শিক্ষক লাঞ্চিতের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় মানববন্ধন ফরিদপুরের সদরপুরে বাঁশের সাকো নির্মাণে চেয়ারম্যানের গাফিলতি মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলি টেকনাফ স্থলবন্দরের সীমানায়  কেউ গণতন্ত্রকে লুট করার চেষ্টা চালালে প্রতিহত করা হবে: মির্জা ফখরুল গত দেড় দশক বাংলাদেশে ছিল মাফিয়া শাসন: তারেক রহমান নিতাইগঞ্জ ট্রাক স্ট্যান্ড ও ডাইলপট্টি শ্রমিক-কর্মচারীদের মিলাদ মাহফিল টেকনাফে বিজিবির অভিযান: ১০ কেজি স্বর্ণ ও মোবাইলসহ গ্রেফতার-২  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কে এই মালা খান..? নাসিক কাউন্সিলর ইকবাল সহ-সভাপতি নির্বাচিত অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী ও অরুণা বিশ্বাসের নামে না’গঞ্জে মামলা আজ নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ ঘা*তক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির গ্রেপ্তার কোনো সংস্কার জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া সম্ভব নয়: মির্জা ফখরুল ভাইরাল শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রটি ভুয়া দাবি আ’লীগের ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষ্যে মুন্সীগঞ্জে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত  ৭১টিভির সিইও সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু-শ্যামল দত্তসহ আটক ৪ সাবেক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী গ্রেপ্তার সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর গ্রেপ্তার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী(সা.) আজ রাসূলুল্লাহ(সা.)এর জন্ম তারিখ নিয়ে ঐতিহাসিকদের অভিমত: ফেরদৌস আলম শেখ হাসিনার সময় দেশ দুর্নীতির সাগরে নিমজ্জিত ছিল: মন্তব্য ড. ইউনূসের সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন পাঁচ দিনের রিমান্ডে সাংবাদিকদের নামে ঢালাও মামলা অন্তবর্তী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ৪’শ ২২জনই বিএনপির : মির্জা ফখরুল সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গ্রেপ্তার দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড দামে স্বর্ণ,ভরি ১ লাখ ৩০ হাজার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে জ্যোতি চার দিনের রিমান্ডে ইসলামের দৃষ্টিতে সফলতা অর্জন- ফেরদৌস আলম শ্রীমঙ্গলের হোটেল প্যারাগনে আ’লীগ নেতা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কাউন্সিলর আটক বকশীগঞ্জে পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের চেষ্টার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন মুন্সীগঞ্জে শাপলা কুড়িয়ে চলে ছিন্নমূল শিশুসহ হাজারো পরিবারের জীবন-জীবিকা  মুন্সীগঞ্জে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে আ’লীগ নেতার বিএনপিতে যোগদান ভৈরবের মৌটুপি গ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত-১, আহত-৪০ বকশীগঞ্জ চরকাউরিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দূর্নীতিসহ অর্থ-আত্মসাৎ অভিযোগ  চট্টগ্রামে ৮দফা দাবিতে সংখ্যালঘু সনাতনীদের বৃষ্টিতে ভিজে গণজমায়েত টেকনাফে ভারী বৃষ্টিতে ৫০টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত টঙ্গীবাড়ীতে বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ৮’শ সদস্য এখনো পলাতক  সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে শাফির রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ শেখ হাসিনাকে বহনকারী ফ্লাইটি যেভাবে রাডারের বাইরে রাখা হয়েছিলো গণতন্ত্র দিবসে দেশ পুনর্গঠনে নতুন বার্তা দিবেন তারেক রহমান মিরপুরে ফজলু হত্যা: শেখ হাসিনা ও ২৫ সাংবাদিকসহ ১৬৫ জনের নামে মামলা না’গঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবীতে ক্রোণী গ্রুপের শ্রমিকদের বিক্ষোভ মুন্সীগঞ্জের পদ্মা নদীতে বালু উত্তোলন পয়েন্টে অস্ত্রের মহড়া আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোয় ‘জড়িত’ সেই পুলিশ সদস্য আরাফাত গ্রেপ্তার কোনো মার্ডার পুলিশের গুলিতে হয়নি, কিলিং এজেন্ট ছিল: দাবি শেখ হাসিনার সকল শঙ্কা কাটিয়ে চট্টগ্রামে প্রথম নারী ডিসি ফরিদা খানমের যোগদান রাজনৈতিক দলগুলো যা করতে পারেনি শিক্ষার্থীরা তা করে দেখিয়েছে: মান্না তথ্য ও আইসিটি সচিব ওএসডি রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে ১৬ জেলায় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন যৌথ বাহিনীর অভিযানে কুলাউড়া যুবলীগের সেক্রেটারি গ্রেপ্তার  পদত্যাগ করেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম শ্রীমঙ্গলে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ৭তলা আধুনিক ভবন নির্মাণ কাজ শুরু  মৌলভীবাজার জেলার ৭ থানার ওসি একযোগে বদলি গনঅধিকার ফেরাতে ছাত্র জনতার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে: গিয়াস উদ্দিন সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ভাংচুর যুব সমাজে আল্লাহর প্রেম ও রাসূলে আদর্শ কমে গেছে: মাও. ফেরদাউস বকশীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তাকে হত্যা হুমকি সিদ্ধিরগঞ্জে মিলন হত্যার ১মাস ২০দিন পর পটুয়াখালী থেকে লাশ উত্তোলন  মৌলভীবাজারে বন্যার পানি নামলেও দৃশ্যমান ক্ষয়ক্ষতি চিহ্ন   ভৈরব মেঘনা নদীগর্ভে বিলীন ২০টিরও বেশি বসতবাড়ি-ঘর ভৈরবে ট্রেনের ধাক্কায় সেতু থেকে পড়ে ২জনের মৃত্যু  সাইবারসহ সব কালো আইন বাতিল বা প্রয়োজনে সংস্কার করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা নাটোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সমাবেশ মঞ্চ ভাঙচুর বিশেষ ৬ খাত সংস্কারে আলাদা ছয় কমিশন গঠন, নেতৃত্বে বিশিষ্টজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত বিষয়ে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা রূপগঞ্জ এসিল্যান্ড অফিসে জনদূর্ভোগ চরমে নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সাথে বিএনপির সংঘর্ষে ১৫ শিক্ষার্থী আহত ফতুল্লায় মাদকবিরোধী মিছিলে সন্ত্রাসী হামলাসহ গুলিবর্ষণে এলাকা রনক্ষেত্র বন্ধ হয়ে গেলো বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন পূর্বাচলে শেখ হাসিনা ও রেহানা পরিবারের নামে বরাদ্দ প্লট বাতিল চেয়ে রিট ড.ইউনূসকে প্রধান করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ গঠন পুলিশের সব ইউনিটকে যে বার্তা দিলেন আইজিপি ময়নুল ইসলাম সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতা সন্ত্রাসী শামীম ঢালির বিচারের দাবিতে মানববন্ধন জুড়ীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪ কি:মি: সড়ক সংস্কার করলো যুবকরা সীমান্তে উত্তেজনা: ঢাকায় কড়া প্রতিবাদের ৪ দিনের মাথায় ফের হত্যা বরগুনায় মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় কথিত বিএনপি নেতা শাওনের বিরুদ্ধে মামলা দুদকের পরিচালক ও উপপরিচালক পদে বড় রদবদল বৈষম্যমূলক মজুরী ও শ্রম নীতি শ্রমিক অসন্তোষের অন্যতম কারণ- শ্রমিক নেতা গোলক মুন্সীগঞ্জের আড়িয়াল বিলে ড্রেজার আসতে পারবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা ভারতীয় সীমান্তে স্কুল ছাত্রী স্বর্ণা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন  সোনারগাঁয়ে নতুন ইউএনও’র দায়িত্বে ফারজানা রহমান ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক(ডিসি) নিয়োগ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ পাবনা কারাগারে থাকা ঈশ্বরদীর ১২ নেতাকর্মীরা মুক্ত মৌলভীবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে লক্ষাধিক ঘনফুট বালু জব্দ  মাসদাইর আ’লীগ ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি আতাউর প্রধান ছাড়া বিএনপির চলেই না

ঢাবিতে তোফাজ্জল হ*ত্যা*র নেপথ্যের কারা..?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ১২:৩২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২ বার পড়া হয়েছে

 

অনলাইন ডেস্ক।।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন এক ব্যক্তি। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, নিহত ওই ব্যক্তির নাম তোফাজ্জল। তাঁর বাড়ি বরিশালের বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠাল তলি ইউনিয়নে। তার বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানা গেছে।
হল সূত্রে জানা যায়, মূলত মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে ঘটে এ ঘটনা। দুপুরে হলের মাঠে শিক্ষার্থীদের মধ্যকার ক্রিকেট খেলা চলাকালীন ৬টা মোবাইল চুরি হয়ে যায়। পরবর্তীতে খেলা চলাকালীন ৮টার দিকে তোফাজ্জল হলে ঢুকলে তাঁকে আটক করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের ধারণা, তোফাজ্জলই মোবাইল চুরি করছে। তাকে গেস্টরুমে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ এবং হালকা মারধর করেন শিক্ষার্থীদের কয়েকজন। পরবর্তীতে তাকে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে আবারো গেস্টরুম নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। তোফাজ্জল মানসিক ভারসাম্যহীন জানার পরেও তাঁকে ছাড়েননি অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম, সিনিয়র শিক্ষার্থীরা তাদের নানাভাবে বোঝানোর চেস্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।

 

অনুসন্ধান ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, তোফাজ্জলকে সবচেয়ে বেশি মারধর করেছেন ছাত্রলীগের সদ্য পদত্যাগ করা উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জালাল আহমেদ, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ফিরোজ, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের আব্দুস সামাদ, ফার্মেসি বিভাগের মোহাম্মদ ইয়ামুজ জামান এবং পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনিস্টিউটের মোত্তাকিন সাকিন। এরা সবাই ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থী।
আরেকটি সূত্র জানায়, প্রাণীবিদ্যার শিক্ষার্থী সুলতান প্রথমে চোর সন্দেহে তাকে ধরে গেস্টরুমে নিয়ে আসে। সূত্রটির তথ্যমতে, মারধরে জড়িত ছিলেন- মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের, রাশেদ কামাল অনিক, গণিত বিভাগের রাব্বি এবং সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের ওয়াজিবুল।
হলের প্রত্যক্ষদর্শী একজন শিক্ষার্থী ঘটনা বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমি হল গ্রুপে ৮টার সময় দেখি হলে চোর ধরা পড়েছে। হলের গেস্ট রুমে, গিয়ে দেখি চোর বসা। রুমে তখন ফার্স্ট ইয়ার, সেকেন্ড ইয়ারের অনেক ছেলে ছিল। গেস্টরুমে তাঁকে বেশি মারা হয়নি। ওখানে হালকা মারার পরে ক্যান্টিনে নিয়ে আসে খাওয়ানোর জন্য। তারপর শুনি তাঁকে এক্সটেনশন বিল্ডিং এর গেস্ট রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি তখন ওখানে গিয়ে দেখি ২০-২১, ২১-২২ ও ২২-২৩ সেশনের ব্যাচ। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ জন। ফার্স্ট ইয়ার যে ব্যাচটা ছিল, ওরা মারে নাই। ২০-২১ আর ২১-২২ সেশনের ওরা খুব বেশি মেরেছে।’
তিনি আরও জানান, ‘দুই-তিনজন মিলেই ওরে ওখানে মেরে ফেলছে। এরা হলেন-মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের ২০-২১ সেশনের মোহাম্মদ সুমন, ওয়াজিবুল, ফিরোজ ও জালাল। এদের মধ্যে সুমন, ফিরোজ এবং জালাল সবচেয়ে বেশি মেরেছে। গেস্ট রুমে চোরের হাত বেঁধেছে জালাল। সুমন চোখ বন্ধ করে মেরেছে তাঁকে, মারতে মারতে ও (তোফাজ্জল) পড়ে গেছে। এরপরে পানি এনে তাঁকে পানি খাওয়ানো হলে সে উঠে বসে। এসময় সবাই হাততালি দেয়।’
ওই শিক্ষার্থী বলেন, “সবাই খুশি হয় কারণ তাঁকে আবার মারতে পারবে। এরপর আবার শুরু হয় পেটানো। এই দফায়ও সবচেয়ে বেশি মেরেছে ফিরোজ। পরে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের জালাল আসে। জালাল এসে আরও মারতে উৎসাহ দেয়; বলে-‘মার, ইচ্ছামতো মার; মাইরা ফেলিস না একবারে’। এসময় গ্যাস লাইট দিয়ে পায়ে আগুনও ধরিয়ে দেয়। পরে সুমন এসে তোফাজ্জলের ভ্রু ও চুল কেটে দেয়।”
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘পরে ওখানে স্যার (হলের আবাসিক শিক্ষক) আসেন। আমি ওদেরকে অনেক ফেরানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু ওরা মানেনি। এক্সটেনশন বিল্ডিং এর গেস্ট রুম থেকে যখন তাঁকে বের করা হয় তখন স্যার এসে পড়ছেন। মারধরে তোফাজ্জলের ডান পা এবং বাম পায়ের মাংস খুলে পড়ে গেছে তখন। অনেকে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। আমি বলি কাপড় আনো, ওর পা বেঁধে দেই। কারণ ব্লিডিং হইলে তো সেন্সলেস হয়ে যাবে। পরে কাপড় এনে একটা জুনিয়র পা বেঁধে দেয়।’
ওই শিক্ষার্থী জানান, ‘মারধরকারীরা চেষ্টা করছিল মারপিট করে তাঁর স্বীকারোক্তি নিবে যে চুরি হওয়া ফোন সেই নিয়েছে। মারধরের এক পর্যায়ে দুই-তিনটা ফোন নম্বর দেয় তোফাজ্জল। সেই নাম্বারে ফোন দিলে অপর পাশ থেকে জানানো হয় মানসিক বিকারগ্রস্ত। কিন্তু ওরা (শিক্ষার্থীরা) বিশ্বাস করতে চায়নি। সেখানে আসা শিক্ষকদের সামনেও তোফাজ্জলকে পেটানো হয়। শিক্ষকরা বাধা দিতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।’
তিনি আরও জানান, ‘পরে তোফাজ্জলকে হলের মেইন বিল্ডিংয়ের গেস্টরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরে জালাল প্রচুর মারে তাঁকে। বুট জুতা পরে এসে তোফাজ্জলের আঙ্গুল মাড়িয়ে ছেঁচে ফেলেন। আমি বলি, ভাই এগুলো কি করেন? তা শুনে হেসে দেয় জালাল। অনেকবার বলেছি, তারপরও সে বারবার হাতের আঙুল মাটিতে বিছিয়ে মাড়িয়েছে। তাঁর গোপনাঙ্গে লাঠি দিয়া জোরে জোরে আঘাত করছে জালাল। অনেক সিনিয়র ভাইয়েরা এসে তাদের ফেরানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু ওরা কিছুতেই মানেনি।’
পরের ঘটনা জানিয়ে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘এরপর প্রক্টরিয়াল টিম আসে। কিছু অভিযুক্তরা টিমের কাছে তোফাজ্জলকে দিতে চাচ্ছিল না। তাঁরা বলছিল, প্রক্টরিয়াল টিমকে দিলে তাঁরা পুলিশকে দিবে, আর পুলিশ ছেড়ে দিবে। এ নিয়ে ওখানে প্রকটোরিয়াল টিমের সদস্যদের সাথে অনেক ঝগড়া হয়েছে। ২৫ মিনিট ধরে শিক্ষকরা তাদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেন। তাঁরা বলেন, মাইরো না, মাইরা তো কোনো ফল পাবে না। পুলিশে দাও, পুলিশ চেষ্টা করবে। যে আইন কানুন আছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে প্রক্টরিয়াল টিম। কিন্তু স্যারদের কথা তাঁরা মানেনি। তাঁরা বলছে, আমরা দেখব। পুলিশের কাছে দিলে ওরা এই শর্তে দিবে যে, পুলিশ ওরে সার্চ করবে। যদি (ফোন) না পায় তাহলে ওকে আবার তাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে প্রক্টরিয়াল টিম বুঝতে পারে তোফাজ্জলের অবস্থা খুবই খারাপ। এত মারলে কেউ বাঁচতে পারে না। তার মাংসগুলো খসে পড়ে গেছে। তাঁর গোপনাঙ্গে প্রচুর আঘাত করা হয়েছে। আঙুলগুলো পুরো ছেঁচে ফেলা হয়েছে। ওই জালাল ছেলেটা করেছে। সবার সামনেই এগুলা করছে।’
পরে অবস্থা খারাপ দেখে এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের পাঁচ-ছয় জনের একটি দল তাঁকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাত ১২টার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় চিকিৎসক তোফাজ্জলকে মৃত ঘোষণা করলে সটকে পড়েন ওই শিক্ষার্থীরা। এসব বিষয়ে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক বলেন, আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশটি মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ফজলুল হক হল থেকে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যে সংক্ষিপ্ত সমাবেশও করেছেন তারা। বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে মারধরের ফলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সব ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং মানবাধিকারের মৌলিক নীতিগুলির প্রতি সম্পূর্ণ অবজ্ঞা প্রদর্শন করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। আমরা অনতিবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্যাম্পাসের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। কেউ চুরি করতে আসলেও তাকে পিটিয়ে হত্যার অধিকার কারো নেই। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দায়ীদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় হলের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

ঢাবিতে তোফাজ্জল হ*ত্যা*র নেপথ্যের কারা..?

আপডেট সময়- ১২:৩২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

অনলাইন ডেস্ক।।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন এক ব্যক্তি। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, নিহত ওই ব্যক্তির নাম তোফাজ্জল। তাঁর বাড়ি বরিশালের বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠাল তলি ইউনিয়নে। তার বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানা গেছে।
হল সূত্রে জানা যায়, মূলত মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে ঘটে এ ঘটনা। দুপুরে হলের মাঠে শিক্ষার্থীদের মধ্যকার ক্রিকেট খেলা চলাকালীন ৬টা মোবাইল চুরি হয়ে যায়। পরবর্তীতে খেলা চলাকালীন ৮টার দিকে তোফাজ্জল হলে ঢুকলে তাঁকে আটক করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের ধারণা, তোফাজ্জলই মোবাইল চুরি করছে। তাকে গেস্টরুমে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ এবং হালকা মারধর করেন শিক্ষার্থীদের কয়েকজন। পরবর্তীতে তাকে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে আবারো গেস্টরুম নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। তোফাজ্জল মানসিক ভারসাম্যহীন জানার পরেও তাঁকে ছাড়েননি অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম, সিনিয়র শিক্ষার্থীরা তাদের নানাভাবে বোঝানোর চেস্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।

 

অনুসন্ধান ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, তোফাজ্জলকে সবচেয়ে বেশি মারধর করেছেন ছাত্রলীগের সদ্য পদত্যাগ করা উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জালাল আহমেদ, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ফিরোজ, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের আব্দুস সামাদ, ফার্মেসি বিভাগের মোহাম্মদ ইয়ামুজ জামান এবং পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনিস্টিউটের মোত্তাকিন সাকিন। এরা সবাই ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থী।
আরেকটি সূত্র জানায়, প্রাণীবিদ্যার শিক্ষার্থী সুলতান প্রথমে চোর সন্দেহে তাকে ধরে গেস্টরুমে নিয়ে আসে। সূত্রটির তথ্যমতে, মারধরে জড়িত ছিলেন- মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের, রাশেদ কামাল অনিক, গণিত বিভাগের রাব্বি এবং সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের ওয়াজিবুল।
হলের প্রত্যক্ষদর্শী একজন শিক্ষার্থী ঘটনা বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমি হল গ্রুপে ৮টার সময় দেখি হলে চোর ধরা পড়েছে। হলের গেস্ট রুমে, গিয়ে দেখি চোর বসা। রুমে তখন ফার্স্ট ইয়ার, সেকেন্ড ইয়ারের অনেক ছেলে ছিল। গেস্টরুমে তাঁকে বেশি মারা হয়নি। ওখানে হালকা মারার পরে ক্যান্টিনে নিয়ে আসে খাওয়ানোর জন্য। তারপর শুনি তাঁকে এক্সটেনশন বিল্ডিং এর গেস্ট রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি তখন ওখানে গিয়ে দেখি ২০-২১, ২১-২২ ও ২২-২৩ সেশনের ব্যাচ। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ জন। ফার্স্ট ইয়ার যে ব্যাচটা ছিল, ওরা মারে নাই। ২০-২১ আর ২১-২২ সেশনের ওরা খুব বেশি মেরেছে।’
তিনি আরও জানান, ‘দুই-তিনজন মিলেই ওরে ওখানে মেরে ফেলছে। এরা হলেন-মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের ২০-২১ সেশনের মোহাম্মদ সুমন, ওয়াজিবুল, ফিরোজ ও জালাল। এদের মধ্যে সুমন, ফিরোজ এবং জালাল সবচেয়ে বেশি মেরেছে। গেস্ট রুমে চোরের হাত বেঁধেছে জালাল। সুমন চোখ বন্ধ করে মেরেছে তাঁকে, মারতে মারতে ও (তোফাজ্জল) পড়ে গেছে। এরপরে পানি এনে তাঁকে পানি খাওয়ানো হলে সে উঠে বসে। এসময় সবাই হাততালি দেয়।’
ওই শিক্ষার্থী বলেন, “সবাই খুশি হয় কারণ তাঁকে আবার মারতে পারবে। এরপর আবার শুরু হয় পেটানো। এই দফায়ও সবচেয়ে বেশি মেরেছে ফিরোজ। পরে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের জালাল আসে। জালাল এসে আরও মারতে উৎসাহ দেয়; বলে-‘মার, ইচ্ছামতো মার; মাইরা ফেলিস না একবারে’। এসময় গ্যাস লাইট দিয়ে পায়ে আগুনও ধরিয়ে দেয়। পরে সুমন এসে তোফাজ্জলের ভ্রু ও চুল কেটে দেয়।”
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘পরে ওখানে স্যার (হলের আবাসিক শিক্ষক) আসেন। আমি ওদেরকে অনেক ফেরানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু ওরা মানেনি। এক্সটেনশন বিল্ডিং এর গেস্ট রুম থেকে যখন তাঁকে বের করা হয় তখন স্যার এসে পড়ছেন। মারধরে তোফাজ্জলের ডান পা এবং বাম পায়ের মাংস খুলে পড়ে গেছে তখন। অনেকে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। আমি বলি কাপড় আনো, ওর পা বেঁধে দেই। কারণ ব্লিডিং হইলে তো সেন্সলেস হয়ে যাবে। পরে কাপড় এনে একটা জুনিয়র পা বেঁধে দেয়।’
ওই শিক্ষার্থী জানান, ‘মারধরকারীরা চেষ্টা করছিল মারপিট করে তাঁর স্বীকারোক্তি নিবে যে চুরি হওয়া ফোন সেই নিয়েছে। মারধরের এক পর্যায়ে দুই-তিনটা ফোন নম্বর দেয় তোফাজ্জল। সেই নাম্বারে ফোন দিলে অপর পাশ থেকে জানানো হয় মানসিক বিকারগ্রস্ত। কিন্তু ওরা (শিক্ষার্থীরা) বিশ্বাস করতে চায়নি। সেখানে আসা শিক্ষকদের সামনেও তোফাজ্জলকে পেটানো হয়। শিক্ষকরা বাধা দিতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।’
তিনি আরও জানান, ‘পরে তোফাজ্জলকে হলের মেইন বিল্ডিংয়ের গেস্টরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরে জালাল প্রচুর মারে তাঁকে। বুট জুতা পরে এসে তোফাজ্জলের আঙ্গুল মাড়িয়ে ছেঁচে ফেলেন। আমি বলি, ভাই এগুলো কি করেন? তা শুনে হেসে দেয় জালাল। অনেকবার বলেছি, তারপরও সে বারবার হাতের আঙুল মাটিতে বিছিয়ে মাড়িয়েছে। তাঁর গোপনাঙ্গে লাঠি দিয়া জোরে জোরে আঘাত করছে জালাল। অনেক সিনিয়র ভাইয়েরা এসে তাদের ফেরানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু ওরা কিছুতেই মানেনি।’
পরের ঘটনা জানিয়ে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘এরপর প্রক্টরিয়াল টিম আসে। কিছু অভিযুক্তরা টিমের কাছে তোফাজ্জলকে দিতে চাচ্ছিল না। তাঁরা বলছিল, প্রক্টরিয়াল টিমকে দিলে তাঁরা পুলিশকে দিবে, আর পুলিশ ছেড়ে দিবে। এ নিয়ে ওখানে প্রকটোরিয়াল টিমের সদস্যদের সাথে অনেক ঝগড়া হয়েছে। ২৫ মিনিট ধরে শিক্ষকরা তাদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেন। তাঁরা বলেন, মাইরো না, মাইরা তো কোনো ফল পাবে না। পুলিশে দাও, পুলিশ চেষ্টা করবে। যে আইন কানুন আছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে প্রক্টরিয়াল টিম। কিন্তু স্যারদের কথা তাঁরা মানেনি। তাঁরা বলছে, আমরা দেখব। পুলিশের কাছে দিলে ওরা এই শর্তে দিবে যে, পুলিশ ওরে সার্চ করবে। যদি (ফোন) না পায় তাহলে ওকে আবার তাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে প্রক্টরিয়াল টিম বুঝতে পারে তোফাজ্জলের অবস্থা খুবই খারাপ। এত মারলে কেউ বাঁচতে পারে না। তার মাংসগুলো খসে পড়ে গেছে। তাঁর গোপনাঙ্গে প্রচুর আঘাত করা হয়েছে। আঙুলগুলো পুরো ছেঁচে ফেলা হয়েছে। ওই জালাল ছেলেটা করেছে। সবার সামনেই এগুলা করছে।’
পরে অবস্থা খারাপ দেখে এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের পাঁচ-ছয় জনের একটি দল তাঁকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাত ১২টার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় চিকিৎসক তোফাজ্জলকে মৃত ঘোষণা করলে সটকে পড়েন ওই শিক্ষার্থীরা। এসব বিষয়ে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক বলেন, আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশটি মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ফজলুল হক হল থেকে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যে সংক্ষিপ্ত সমাবেশও করেছেন তারা। বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে মারধরের ফলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সব ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং মানবাধিকারের মৌলিক নীতিগুলির প্রতি সম্পূর্ণ অবজ্ঞা প্রদর্শন করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। আমরা অনতিবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্যাম্পাসের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। কেউ চুরি করতে আসলেও তাকে পিটিয়ে হত্যার অধিকার কারো নেই। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দায়ীদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় হলের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হবে।