ঢাকা ০১:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
স্বপ্ন পূরন হলো না মৌলভীবাজারের লিটনের,বেলারুশে পিটিয়ে হত্যা  টংঙ্গীবাড়ীতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বীজ-আলু, মনিটরিংয়ে ইউএনও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য হলেন জাবি অধ্যাপক ভালুকার কৃত্তি সন্তান নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত নারায়ণগঞ্জে চুরির অভিযোগে একজনকে পিটিয়ে হত্যা ঈশ্বরদীতে এসডি টেলিভিশন ২য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত  বিআইডব্লিউটি’র সিভিল ও সার্ভেয়ার জটিলতার অবসান চায় কর্মকর্তারা মৌলভীবাজার পূজা উদযাপন পরিষদ সম্পাদক মহিম গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে হেলিকপ্টার দেখতে গিয়ে গুলিতে নিহত সুমাইয়ার মরদেহ উত্তোলন যাত্রবাড়ি থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র দৌলতপুরে উদ্ধার র‍্যাবের ২ অধিনায়ক এবং ৩ পরিচালককে নিজ বাহিনীতে ফেরত টংঙ্গীবাড়ীতে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু নির্মানে ধীরগতি গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকার যানজট নিরসনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  সাতক্ষীরা-শ্যামনগর মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে আটক-৮ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতির পদত্যাগ মৌলভীবাজারে কমলা চাষে অভূতপূর্ব সাফল্য  মিরপুরে মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে স্বামী-স্ত্রী  সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে ‘দ্য হিন্দু’কে ড. ইউনূস জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৩৭ জনের সদস্যপদ স্থগিত সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম উত্তরায় গ্রেপ্তার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বালুমহালে অভিযানে আটক-৫  রায়পুরায় পূজামণ্ডপের প্যান্ডেল ভাঙচুর নিয়ে গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কুষ্টিয়ায় ৮০ লাখ টাকা মুল্যের ভারতীয় কোকেন উদ্ধার নকলায় মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের ঝুঁলন্ত মরদেহ উদ্ধার ঈশ্বরদীতে গুলির পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে কুপিয়ে হত্যা ভালুকায় ইউএনও-এসিল্যান্ডের নেতৃত্বে বাজার মনিটরিং আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে আট মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে হাজির করা হলো ভালুকায় নয়াপাড়া স্কুলের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গসহ অনিয়মের অভিযোগ মেঘনাঘাটে টিস্যুর গোডাউনে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ঈশ্বরদীতে রুপপুর প্রকল্পের দোভাষীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসিসহ ৩ পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদের লীজকৃত জমি আত্মসাতের চেষ্টা বন বিভাগ খোদ জানেন না জমির পরিমাণ  কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু মৌলভীবাজারে এক জমিতে ১১জাতের ধানের চাষ ঈশ্বরদীতে সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন  সিদ্ধিরগঞ্জে ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত লম্পট হাকিম গ্রেপ্তার গিনেস বুকে বিশ্বের সবচেয়ে কৃপণ যে নারীর নাম রয়েছে জানা গেল পাকিস্তান থেকে আসা জাহাজের কন্টেইনারে কী আছে পুলিশকে জনগণের বাহিনী হিসেবে গড়তে হবে : আইজিপি মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ দেবহাটায় ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উৎযাপন মুন্সিগঞ্জে হতে হাত বদলে আলু বিক্রি হচ্ছে দেড়গুণ বেশি দামে শ্রীমঙ্গলে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক তিন আসামি গ্রেপ্তার মিরপুরে ট্রাকের ধাক্কায় স্কুল ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু মৌলভীবাজারে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সভায় সকল উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ‘গলি থেকে রাজপথ’ শ্যামবাজারের রক থেকে উঠে প্রাসাদে মিঠুন চক্রবর্তী  বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ না’গঞ্জের ১১তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত  দৌলতপুরে অস্ত্র-গুলি ককটেলসহ যুবদল ও যুবলীগ নেতা আটক ভালুকায় পৌর বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা ও  দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সাবেক ওয়াসার এমডি ও নাসিক মেয়রের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার কারন জানা গেলো এক কর্মস্থলে ৩ বছরের বেশি নয়, পরিপত্র জারি নাম-লোগো-পোশাকসহ বদলে যাচ্ছে র‍্যাব পরকীয়ার বলি হয়ে প্রেমিকার হাতেই খুন হন শিল্পপতি মাসুম ভালুকায় পৌর বিএনপির উদ্যোগে  আলোচনা ও দোয়া মাহফিল ভালুকায় স্কুল ছাত্রদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ  বহু গুনে গুণান্বিত কাঁচালঙ্কা অকাতরে খান চা শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি সহ এনটিসিএল’র বাগান চালুর দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুরে নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনারের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন সালাউদ্দিন চৌধুরী  মৌলভীবাজার কোর্টের বিপরীতে অবৈধ দখলদারদের দখলে সরকারি কোটি টাকার জমি  দৌলতপুরে অস্ত্র ও ১৩ রাউন্ড গুলিসহ দুই ভাই আটক মৌলভীবাজারে দ্রুতগামী মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক নারী নিহত ভারতীয় রেলওয়েতে টয়লেট চালুর অজানা ইতিহাস ঈশ্বরদীতে অনাড়ম্বর আয়োজনে বিআরইএল’র ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেবহাটায় মানববন্ধন না’গঞ্জে কর্ণফুলী শিপইয়ার্ড পরিদর্শনে নৌ-উপদেষ্টা মুন্সীগঞ্জে বাংলাবাজার ইউনিয়ন সভাপতি ঘিরে বিএনপির দু’গ্রুপে উত্তেজনা ফরিদপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত দূর্নীতির রাজত্বের রাজা কানুনগো শ্রীপদ দীর্ঘ ৪ বছরেও চালু হয়নি সুন্দরগঞ্জের পানি শোধনাগার টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ রোহিঙ্গা যুবক আটক ইসলামী শরী’য়ার দৃষ্টিতে উশরের বিধান ও বাংলাদেশের ভূমি সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলে ডিইউজের নিন্দা মৌলভীবাজার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে সেবাগ্রহীতা কর্মশালা অনুষ্ঠিত  উত্তরায় বিএনপি নেতা শিমুল-কামরুলের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল  মৌলভীবাজারে চিলের থাবায় ছাত্রী আহত ভালুকায় পৌর বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত গাজীপুরে আজও ১৪ কারখানা বন্ধ, ৩টিতে বিক্ষোভ-কর্মবিরতি চরভদ্রাসনে ইউএসএআইডি’র সবাই মিলে শিখি প্রকল্পের মেলা অনুষ্ঠিত মণিপুরিদের ঐতিহ্যবাহী রামলীলা উৎসব আগামী ১৫ নভেম্বর খাসি আদিবাসীদের ”খাসি সেং কুটস্নেম” উৎসব এবার হচ্ছে না  নবগঠিত উপদেষ্টা বশির বাণিজ্যে, ফারুকী সংস্কৃতি ও আসিফের দপ্তর পরিবর্তন ছয় উপদেষ্টার দপ্তর পুনর্বণ্টন, কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন জনগনের ভোটে সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অস্থিরতা কাটবে না: সিপিবি বিটিভির সাবেক জিএম মাহফুজাকে দুদকে তলব চিকন চাকার রিক্সা পালা করার সিদ্ধান্ত বন্ধ করনে মানববন্ধন বরগুনা-১’র সাবেক সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ঢাকায় গ্রেপ্তার তারেক রহমানের জন্মদিন অনুষ্ঠান পালন না করার নির্দেশ বিএনপির যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ আটক নরসিংদীর সাবেক এমপি ডলার সিরাজ গ্রেপ্তার ধর্মঘর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নারীসহ শিশু আহত আমি মৌলভীবাজারে “এনজয়” করতে আসিনি: পুলিশ সুপার ভালুকায় বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  কমলগঞ্জে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রবাসীর ঘরবাড়ি ভাংচুর,গাছ-গাছালি কর্তন সিদ্ধিরগঞ্জে ৮ দফা দাবীতে পিএম গার্মেন্টস’র শ্রমিক বিক্ষোভ বিপ্লব ও সংহিত দিবস উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জে বিএনপির ব্যাপক শোডাউন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কাদির গ্রেপ্তার বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারকে আর্থিক অনুদান

ঢাবিতে তোফাজ্জল হ*ত্যা*র নেপথ্যের কারা..?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ১২:৩২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৪২ বার পড়া হয়েছে

 

অনলাইন ডেস্ক।।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন এক ব্যক্তি। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, নিহত ওই ব্যক্তির নাম তোফাজ্জল। তাঁর বাড়ি বরিশালের বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠাল তলি ইউনিয়নে। তার বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানা গেছে।
হল সূত্রে জানা যায়, মূলত মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে ঘটে এ ঘটনা। দুপুরে হলের মাঠে শিক্ষার্থীদের মধ্যকার ক্রিকেট খেলা চলাকালীন ৬টা মোবাইল চুরি হয়ে যায়। পরবর্তীতে খেলা চলাকালীন ৮টার দিকে তোফাজ্জল হলে ঢুকলে তাঁকে আটক করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের ধারণা, তোফাজ্জলই মোবাইল চুরি করছে। তাকে গেস্টরুমে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ এবং হালকা মারধর করেন শিক্ষার্থীদের কয়েকজন। পরবর্তীতে তাকে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে আবারো গেস্টরুম নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। তোফাজ্জল মানসিক ভারসাম্যহীন জানার পরেও তাঁকে ছাড়েননি অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম, সিনিয়র শিক্ষার্থীরা তাদের নানাভাবে বোঝানোর চেস্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।

 

অনুসন্ধান ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, তোফাজ্জলকে সবচেয়ে বেশি মারধর করেছেন ছাত্রলীগের সদ্য পদত্যাগ করা উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জালাল আহমেদ, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ফিরোজ, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের আব্দুস সামাদ, ফার্মেসি বিভাগের মোহাম্মদ ইয়ামুজ জামান এবং পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনিস্টিউটের মোত্তাকিন সাকিন। এরা সবাই ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থী।
আরেকটি সূত্র জানায়, প্রাণীবিদ্যার শিক্ষার্থী সুলতান প্রথমে চোর সন্দেহে তাকে ধরে গেস্টরুমে নিয়ে আসে। সূত্রটির তথ্যমতে, মারধরে জড়িত ছিলেন- মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের, রাশেদ কামাল অনিক, গণিত বিভাগের রাব্বি এবং সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের ওয়াজিবুল।
হলের প্রত্যক্ষদর্শী একজন শিক্ষার্থী ঘটনা বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমি হল গ্রুপে ৮টার সময় দেখি হলে চোর ধরা পড়েছে। হলের গেস্ট রুমে, গিয়ে দেখি চোর বসা। রুমে তখন ফার্স্ট ইয়ার, সেকেন্ড ইয়ারের অনেক ছেলে ছিল। গেস্টরুমে তাঁকে বেশি মারা হয়নি। ওখানে হালকা মারার পরে ক্যান্টিনে নিয়ে আসে খাওয়ানোর জন্য। তারপর শুনি তাঁকে এক্সটেনশন বিল্ডিং এর গেস্ট রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি তখন ওখানে গিয়ে দেখি ২০-২১, ২১-২২ ও ২২-২৩ সেশনের ব্যাচ। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ জন। ফার্স্ট ইয়ার যে ব্যাচটা ছিল, ওরা মারে নাই। ২০-২১ আর ২১-২২ সেশনের ওরা খুব বেশি মেরেছে।’
তিনি আরও জানান, ‘দুই-তিনজন মিলেই ওরে ওখানে মেরে ফেলছে। এরা হলেন-মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের ২০-২১ সেশনের মোহাম্মদ সুমন, ওয়াজিবুল, ফিরোজ ও জালাল। এদের মধ্যে সুমন, ফিরোজ এবং জালাল সবচেয়ে বেশি মেরেছে। গেস্ট রুমে চোরের হাত বেঁধেছে জালাল। সুমন চোখ বন্ধ করে মেরেছে তাঁকে, মারতে মারতে ও (তোফাজ্জল) পড়ে গেছে। এরপরে পানি এনে তাঁকে পানি খাওয়ানো হলে সে উঠে বসে। এসময় সবাই হাততালি দেয়।’
ওই শিক্ষার্থী বলেন, “সবাই খুশি হয় কারণ তাঁকে আবার মারতে পারবে। এরপর আবার শুরু হয় পেটানো। এই দফায়ও সবচেয়ে বেশি মেরেছে ফিরোজ। পরে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের জালাল আসে। জালাল এসে আরও মারতে উৎসাহ দেয়; বলে-‘মার, ইচ্ছামতো মার; মাইরা ফেলিস না একবারে’। এসময় গ্যাস লাইট দিয়ে পায়ে আগুনও ধরিয়ে দেয়। পরে সুমন এসে তোফাজ্জলের ভ্রু ও চুল কেটে দেয়।”
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘পরে ওখানে স্যার (হলের আবাসিক শিক্ষক) আসেন। আমি ওদেরকে অনেক ফেরানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু ওরা মানেনি। এক্সটেনশন বিল্ডিং এর গেস্ট রুম থেকে যখন তাঁকে বের করা হয় তখন স্যার এসে পড়ছেন। মারধরে তোফাজ্জলের ডান পা এবং বাম পায়ের মাংস খুলে পড়ে গেছে তখন। অনেকে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। আমি বলি কাপড় আনো, ওর পা বেঁধে দেই। কারণ ব্লিডিং হইলে তো সেন্সলেস হয়ে যাবে। পরে কাপড় এনে একটা জুনিয়র পা বেঁধে দেয়।’
ওই শিক্ষার্থী জানান, ‘মারধরকারীরা চেষ্টা করছিল মারপিট করে তাঁর স্বীকারোক্তি নিবে যে চুরি হওয়া ফোন সেই নিয়েছে। মারধরের এক পর্যায়ে দুই-তিনটা ফোন নম্বর দেয় তোফাজ্জল। সেই নাম্বারে ফোন দিলে অপর পাশ থেকে জানানো হয় মানসিক বিকারগ্রস্ত। কিন্তু ওরা (শিক্ষার্থীরা) বিশ্বাস করতে চায়নি। সেখানে আসা শিক্ষকদের সামনেও তোফাজ্জলকে পেটানো হয়। শিক্ষকরা বাধা দিতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।’
তিনি আরও জানান, ‘পরে তোফাজ্জলকে হলের মেইন বিল্ডিংয়ের গেস্টরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরে জালাল প্রচুর মারে তাঁকে। বুট জুতা পরে এসে তোফাজ্জলের আঙ্গুল মাড়িয়ে ছেঁচে ফেলেন। আমি বলি, ভাই এগুলো কি করেন? তা শুনে হেসে দেয় জালাল। অনেকবার বলেছি, তারপরও সে বারবার হাতের আঙুল মাটিতে বিছিয়ে মাড়িয়েছে। তাঁর গোপনাঙ্গে লাঠি দিয়া জোরে জোরে আঘাত করছে জালাল। অনেক সিনিয়র ভাইয়েরা এসে তাদের ফেরানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু ওরা কিছুতেই মানেনি।’
পরের ঘটনা জানিয়ে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘এরপর প্রক্টরিয়াল টিম আসে। কিছু অভিযুক্তরা টিমের কাছে তোফাজ্জলকে দিতে চাচ্ছিল না। তাঁরা বলছিল, প্রক্টরিয়াল টিমকে দিলে তাঁরা পুলিশকে দিবে, আর পুলিশ ছেড়ে দিবে। এ নিয়ে ওখানে প্রকটোরিয়াল টিমের সদস্যদের সাথে অনেক ঝগড়া হয়েছে। ২৫ মিনিট ধরে শিক্ষকরা তাদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেন। তাঁরা বলেন, মাইরো না, মাইরা তো কোনো ফল পাবে না। পুলিশে দাও, পুলিশ চেষ্টা করবে। যে আইন কানুন আছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে প্রক্টরিয়াল টিম। কিন্তু স্যারদের কথা তাঁরা মানেনি। তাঁরা বলছে, আমরা দেখব। পুলিশের কাছে দিলে ওরা এই শর্তে দিবে যে, পুলিশ ওরে সার্চ করবে। যদি (ফোন) না পায় তাহলে ওকে আবার তাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে প্রক্টরিয়াল টিম বুঝতে পারে তোফাজ্জলের অবস্থা খুবই খারাপ। এত মারলে কেউ বাঁচতে পারে না। তার মাংসগুলো খসে পড়ে গেছে। তাঁর গোপনাঙ্গে প্রচুর আঘাত করা হয়েছে। আঙুলগুলো পুরো ছেঁচে ফেলা হয়েছে। ওই জালাল ছেলেটা করেছে। সবার সামনেই এগুলা করছে।’
পরে অবস্থা খারাপ দেখে এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের পাঁচ-ছয় জনের একটি দল তাঁকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাত ১২টার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় চিকিৎসক তোফাজ্জলকে মৃত ঘোষণা করলে সটকে পড়েন ওই শিক্ষার্থীরা। এসব বিষয়ে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক বলেন, আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশটি মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ফজলুল হক হল থেকে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যে সংক্ষিপ্ত সমাবেশও করেছেন তারা। বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে মারধরের ফলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সব ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং মানবাধিকারের মৌলিক নীতিগুলির প্রতি সম্পূর্ণ অবজ্ঞা প্রদর্শন করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। আমরা অনতিবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্যাম্পাসের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। কেউ চুরি করতে আসলেও তাকে পিটিয়ে হত্যার অধিকার কারো নেই। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দায়ীদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় হলের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

ঢাবিতে তোফাজ্জল হ*ত্যা*র নেপথ্যের কারা..?

আপডেট সময়- ১২:৩২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

অনলাইন ডেস্ক।।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন এক ব্যক্তি। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, নিহত ওই ব্যক্তির নাম তোফাজ্জল। তাঁর বাড়ি বরিশালের বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠাল তলি ইউনিয়নে। তার বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানা গেছে।
হল সূত্রে জানা যায়, মূলত মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে ঘটে এ ঘটনা। দুপুরে হলের মাঠে শিক্ষার্থীদের মধ্যকার ক্রিকেট খেলা চলাকালীন ৬টা মোবাইল চুরি হয়ে যায়। পরবর্তীতে খেলা চলাকালীন ৮টার দিকে তোফাজ্জল হলে ঢুকলে তাঁকে আটক করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের ধারণা, তোফাজ্জলই মোবাইল চুরি করছে। তাকে গেস্টরুমে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ এবং হালকা মারধর করেন শিক্ষার্থীদের কয়েকজন। পরবর্তীতে তাকে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে আবারো গেস্টরুম নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। তোফাজ্জল মানসিক ভারসাম্যহীন জানার পরেও তাঁকে ছাড়েননি অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম, সিনিয়র শিক্ষার্থীরা তাদের নানাভাবে বোঝানোর চেস্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।

 

অনুসন্ধান ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, তোফাজ্জলকে সবচেয়ে বেশি মারধর করেছেন ছাত্রলীগের সদ্য পদত্যাগ করা উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জালাল আহমেদ, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ফিরোজ, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের আব্দুস সামাদ, ফার্মেসি বিভাগের মোহাম্মদ ইয়ামুজ জামান এবং পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনিস্টিউটের মোত্তাকিন সাকিন। এরা সবাই ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থী।
আরেকটি সূত্র জানায়, প্রাণীবিদ্যার শিক্ষার্থী সুলতান প্রথমে চোর সন্দেহে তাকে ধরে গেস্টরুমে নিয়ে আসে। সূত্রটির তথ্যমতে, মারধরে জড়িত ছিলেন- মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের, রাশেদ কামাল অনিক, গণিত বিভাগের রাব্বি এবং সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের ওয়াজিবুল।
হলের প্রত্যক্ষদর্শী একজন শিক্ষার্থী ঘটনা বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমি হল গ্রুপে ৮টার সময় দেখি হলে চোর ধরা পড়েছে। হলের গেস্ট রুমে, গিয়ে দেখি চোর বসা। রুমে তখন ফার্স্ট ইয়ার, সেকেন্ড ইয়ারের অনেক ছেলে ছিল। গেস্টরুমে তাঁকে বেশি মারা হয়নি। ওখানে হালকা মারার পরে ক্যান্টিনে নিয়ে আসে খাওয়ানোর জন্য। তারপর শুনি তাঁকে এক্সটেনশন বিল্ডিং এর গেস্ট রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি তখন ওখানে গিয়ে দেখি ২০-২১, ২১-২২ ও ২২-২৩ সেশনের ব্যাচ। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ জন। ফার্স্ট ইয়ার যে ব্যাচটা ছিল, ওরা মারে নাই। ২০-২১ আর ২১-২২ সেশনের ওরা খুব বেশি মেরেছে।’
তিনি আরও জানান, ‘দুই-তিনজন মিলেই ওরে ওখানে মেরে ফেলছে। এরা হলেন-মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের ২০-২১ সেশনের মোহাম্মদ সুমন, ওয়াজিবুল, ফিরোজ ও জালাল। এদের মধ্যে সুমন, ফিরোজ এবং জালাল সবচেয়ে বেশি মেরেছে। গেস্ট রুমে চোরের হাত বেঁধেছে জালাল। সুমন চোখ বন্ধ করে মেরেছে তাঁকে, মারতে মারতে ও (তোফাজ্জল) পড়ে গেছে। এরপরে পানি এনে তাঁকে পানি খাওয়ানো হলে সে উঠে বসে। এসময় সবাই হাততালি দেয়।’
ওই শিক্ষার্থী বলেন, “সবাই খুশি হয় কারণ তাঁকে আবার মারতে পারবে। এরপর আবার শুরু হয় পেটানো। এই দফায়ও সবচেয়ে বেশি মেরেছে ফিরোজ। পরে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের জালাল আসে। জালাল এসে আরও মারতে উৎসাহ দেয়; বলে-‘মার, ইচ্ছামতো মার; মাইরা ফেলিস না একবারে’। এসময় গ্যাস লাইট দিয়ে পায়ে আগুনও ধরিয়ে দেয়। পরে সুমন এসে তোফাজ্জলের ভ্রু ও চুল কেটে দেয়।”
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘পরে ওখানে স্যার (হলের আবাসিক শিক্ষক) আসেন। আমি ওদেরকে অনেক ফেরানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু ওরা মানেনি। এক্সটেনশন বিল্ডিং এর গেস্ট রুম থেকে যখন তাঁকে বের করা হয় তখন স্যার এসে পড়ছেন। মারধরে তোফাজ্জলের ডান পা এবং বাম পায়ের মাংস খুলে পড়ে গেছে তখন। অনেকে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। আমি বলি কাপড় আনো, ওর পা বেঁধে দেই। কারণ ব্লিডিং হইলে তো সেন্সলেস হয়ে যাবে। পরে কাপড় এনে একটা জুনিয়র পা বেঁধে দেয়।’
ওই শিক্ষার্থী জানান, ‘মারধরকারীরা চেষ্টা করছিল মারপিট করে তাঁর স্বীকারোক্তি নিবে যে চুরি হওয়া ফোন সেই নিয়েছে। মারধরের এক পর্যায়ে দুই-তিনটা ফোন নম্বর দেয় তোফাজ্জল। সেই নাম্বারে ফোন দিলে অপর পাশ থেকে জানানো হয় মানসিক বিকারগ্রস্ত। কিন্তু ওরা (শিক্ষার্থীরা) বিশ্বাস করতে চায়নি। সেখানে আসা শিক্ষকদের সামনেও তোফাজ্জলকে পেটানো হয়। শিক্ষকরা বাধা দিতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।’
তিনি আরও জানান, ‘পরে তোফাজ্জলকে হলের মেইন বিল্ডিংয়ের গেস্টরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরে জালাল প্রচুর মারে তাঁকে। বুট জুতা পরে এসে তোফাজ্জলের আঙ্গুল মাড়িয়ে ছেঁচে ফেলেন। আমি বলি, ভাই এগুলো কি করেন? তা শুনে হেসে দেয় জালাল। অনেকবার বলেছি, তারপরও সে বারবার হাতের আঙুল মাটিতে বিছিয়ে মাড়িয়েছে। তাঁর গোপনাঙ্গে লাঠি দিয়া জোরে জোরে আঘাত করছে জালাল। অনেক সিনিয়র ভাইয়েরা এসে তাদের ফেরানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু ওরা কিছুতেই মানেনি।’
পরের ঘটনা জানিয়ে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘এরপর প্রক্টরিয়াল টিম আসে। কিছু অভিযুক্তরা টিমের কাছে তোফাজ্জলকে দিতে চাচ্ছিল না। তাঁরা বলছিল, প্রক্টরিয়াল টিমকে দিলে তাঁরা পুলিশকে দিবে, আর পুলিশ ছেড়ে দিবে। এ নিয়ে ওখানে প্রকটোরিয়াল টিমের সদস্যদের সাথে অনেক ঝগড়া হয়েছে। ২৫ মিনিট ধরে শিক্ষকরা তাদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেন। তাঁরা বলেন, মাইরো না, মাইরা তো কোনো ফল পাবে না। পুলিশে দাও, পুলিশ চেষ্টা করবে। যে আইন কানুন আছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে প্রক্টরিয়াল টিম। কিন্তু স্যারদের কথা তাঁরা মানেনি। তাঁরা বলছে, আমরা দেখব। পুলিশের কাছে দিলে ওরা এই শর্তে দিবে যে, পুলিশ ওরে সার্চ করবে। যদি (ফোন) না পায় তাহলে ওকে আবার তাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরে প্রক্টরিয়াল টিম বুঝতে পারে তোফাজ্জলের অবস্থা খুবই খারাপ। এত মারলে কেউ বাঁচতে পারে না। তার মাংসগুলো খসে পড়ে গেছে। তাঁর গোপনাঙ্গে প্রচুর আঘাত করা হয়েছে। আঙুলগুলো পুরো ছেঁচে ফেলা হয়েছে। ওই জালাল ছেলেটা করেছে। সবার সামনেই এগুলা করছে।’
পরে অবস্থা খারাপ দেখে এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের পাঁচ-ছয় জনের একটি দল তাঁকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাত ১২টার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় চিকিৎসক তোফাজ্জলকে মৃত ঘোষণা করলে সটকে পড়েন ওই শিক্ষার্থীরা। এসব বিষয়ে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক বলেন, আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লাশটি মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ফজলুল হক হল থেকে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যে সংক্ষিপ্ত সমাবেশও করেছেন তারা। বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে মারধরের ফলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সব ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং মানবাধিকারের মৌলিক নীতিগুলির প্রতি সম্পূর্ণ অবজ্ঞা প্রদর্শন করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। আমরা অনতিবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্যাম্পাসের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। কেউ চুরি করতে আসলেও তাকে পিটিয়ে হত্যার অধিকার কারো নেই। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দায়ীদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় হলের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হবে।