বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সরব ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। রাজপথ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, উভয় ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছিলেন তিনি। রুখে দাঁড়িয়েছিলেন আওয়ামী স্বৈরাচারতন্ত্রের বিরুদ্ধে।
কিন্তু একটা সময় এই আওয়ামী পক্ষেরই ছিলেন বাঁধন। একপর্যায়ে হাসিনা সরকারের অনাচার, দুঃশাসনে মোড় নেয় বাঁধনের পক্ষপাতে। কঠিন পরিস্থিতিতে বাঁধনের এমন সিদ্ধান্ত, অভিনেত্রীর সাহসের তারিফ করতে ভোলেন না নেটিজেনরা।
এদিকে ছাত্র আন্দোলন ঘিরে দেশের বাইরে থেকে এক অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে নিজের কিছু মন্তব্য প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী বাঁধনকে নিয়ে। হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বাঁধন সাহসী অবদান রাখায় একরকম কৃতজ্ঞতাও জানালেন এই অ্যাক্টিভিস্ট।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে পিনাকী উল্লেখ করেন, ‘আজমেরি হক বাঁধনের ওপরে আওয়ামী মহল মহা বিলা। তাকে নিয়ে যা খুশি তাই বলছে। কারণ বাঁধন পক্ষ ত্যাগ করেছে। বাঁধন নৌকার লোক বলে বিজ্ঞাপন করেছিল। আমি আমার ভিডিওতে সেটা দেখিয়ে তাকে গালমন্দও করেছিলাম। বলেছিলাম ইন্ডিয়াতে গিয়ে সিনেমা কর, বাংলাদেশে ঠাঁই হবেনা।’
পিনাকী লেখেন, ‘আওয়ামী সমর্থক এমন অনেকেই লড়াইয়ে সহযোদ্ধা হয়েছিল বলেই হাসিনাকে পালাতে হয়েছে। এই জন্যই ডাবল বিলা বাঁধনের ওপরে। ব্যাপার না, ওরা যত বেশি বিলা হবে বাঁধন ফ্যাসিবাদের বিরোধীদের কাছে তত বেশি আপন হবে।’
এই অ্যাক্টিভিস্ট লেখেন, ‘জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবের ইতিহাসের এক মাহেন্দ্রক্ষণে বাঁধন রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছিল। গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল। ওই মুহূর্তেই বাঁধন মহৎ হয়ে ওঠে। বাঁধনের জন্য এই কাজটা খুবই কঠিন ছিল। বিপ্লব সফল না হলে বাঁধনকে পরিণতি ভোগ করতে হত। সে দ্বিধা করে নি জনতার পক্ষে দাঁড়াতে।’
বাঁধনের উদ্দেশে পিনাকী লেখেন, ‘ওরা যা খুশি বলুক। ভয় পেয়ো না, মন খারাপ করিও না। ইতিহাসের সঠিক দিকে থাকার হিম্মত আর সৌভাগ্য সবার হয়না।’
পিনাকীর এই পোস্টটির নজর এড়ায়নি বাঁধনের। সেই পোস্টের মন্তব্য ঘরে পিনাকীকে ধন্যবাদও জানান বাঁধন, সঙ্গে পোস্টটি নিজের টাইমলাইনেও শেয়ার করেন।
তবে পিনাকী ও বাঁধন, একই পোস্টের উভয়ের মন্তব্য ঘরেই নেটিজেনরা অভিনেত্রীর এই অবস্থানের প্রতি ভূয়সী প্রশংসা করেন।