সর্বশেষ:-
হলুদ এক নিত্য প্রয়োজনীয় মশলা
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৬:৪৬:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪ ৫০ বার পড়া হয়েছে
ঋতম্ভরা বন্দোপাধ্যায়,কলকাতা প্রতিনিধি।।
হলুদ শুধু রান্নাঘরে খাবারের রঙ ও স্বাদ বাড়ায় না , হলুদের অলৌকিক গুন আছে। প্রতিদিন সকালে এক কাপ জলের মধ্যে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে খেলে ওজন কমানো থেকে শুরু করে বহু রোগ প্রতিরোধ করা যায়। হলুদ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বলে আল্সার ক্ষত এবং কিডনির রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। হলুদে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য মুখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। প্রতিদিন হলুদ জল খেলে শুধু স্থুলতাই কমে না হজম শক্তি ভালো হয় এবং পেট পরিস্কার হয়। হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন শরীরের প্রদাহ কমায়। ত্বককে ফ্রি র্যাডিকেল এবং কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। হলুদ শরীরের জয়েন্টের ব্যাথা দূর করে এবং শরীর কে অনেক ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। আমরা দুই রকমের হলুদ ব্যাবহার করি পাকা আর কাঁচা। সকালে উঠে খালি পেটে এক ইঞ্চি পরিমাণ কাঁচা হলুদ ও আখের গুড় দিয়ে চিবিয়ে খেলে প্রচুর উপকার হয়। রান্নায় যা ব্যাবহার করা হয় তা হলো পাকা হলুদ কিন্তু কাঁচা হলুদ খাওয়ার উপকারিতা ও অসীম । কাঁচা হলুদে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-6 ,পটাশিয়াম, ফাইবার, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন সি থাকে। হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন শুধু আমাদের বিভিন্ন রোগ থেকে সারায় তা না রক্ত ও শুদ্ধ করে। কাঁচা হলুদে প্রচুর আয়রন থাকে । শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। কারকিউমিন এলডিএল ও টোটাল কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে। আর এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করা মানে হলো আমাদের শরীরে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো , যার সঙ্গে কমে স্ট্রোকের ঝুঁকি ও। হলুদ চা ক্যান্সার রুখতে সাহায্য করে । চায়ের মধ্যে হলুদ দিয়ে ফুটিয়ে খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধের সাহায্য করে। আল্সারেটিভ কোলাইটিস (ইউসি), পাচনতন্ত্রে নিচের অংশের আল্সার সৃষ্টি করে। কাঁচা হলুদ খেলে এই রোগ হওয়ার আশঙ্ক কমে যায়। কাঁচা হলুদের সক্রিয় উপাদান হলো কারকিউমিন নামে একটি প্রাকৃতিক যৌগ ( পলিফেনাল), যার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইন্ফ্লেমেটরি দুটো বৈশিষ্ট্যই আছে। যা ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ থেকে খাদ্যনালি কে সুরক্ষিত রাখে। অন্যান্য রঙিন উদ্ভিদ ভিত্তিক খাবারের মতো কাঁচা হলুদ ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট – সমৃদ্ধ, যা বিনামূল্যে র্যাডিকেল-নিরপেক্ষ (যথা দূষণ, সূর্যলোক) আর আমাদের কোষগুলোকে ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। আদার মতো হলুদ দিয়ে ও সুস্বাদু চা বানানো যায়। কাঁচা বা পাকা হলুদ দিয়ে বানানো চায়ের মধ্যে একটু পাতিলেবুর রস ও মধু মিশিয়ে দিলে অপূর্ব স্বাদের স্বাস্থ্যকর চা তৈরি হবে। এই চা ঠান্ডা ও গরম দুই ভাবেই খাওয়া যেতে পারে।