সর্বশেষ:-
কলকাতায় আরো একটি তাজমহল
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ১২:৫২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪ ৭২ বার পড়া হয়েছে
ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।
কলকাতায় একটা গান এখন সকলেরই মুখে মুখে।
এমনকি অনেকে মোবাইলেও রিং টোন হিসেবে নিয়ে রেখেছেন। সেটি হলো,” কতোই রঙ্গ দেখবো দুনিয়ায়”!
তাজমহল নিয়ে দেশব্যাপী বিতর্কের মধ্যেই কলকাতার এক চিত্র তারকা শাহজাহানের সঙ্গে নিজের তুলনা করেছেন। তিনি আজ বলেছেন
প্রিয়তমা স্ত্রী মুমতাজের জন্য শ্বেতপাথরের তাজমহল বানিয়েছিলেন শাহজাহান। আর আমি অভিনেতা সম্রাট মুখোপাধ্যায় এমন এক ‘হাভেলি’ বানিয়েছি ,যার জন্য কোন শিল্পীকে আঙুল কাটতে হয়নি তাঁকে। শুধু শেষ হয়ে গিয়েছে আমার জীবনের সমস্ত সঞ্চয়। তা হোক, স্ত্রী ময়না মুখোপাধ্যায় আর দুই সন্তানের জন্য এক নিশ্চিন্ত আশ্রয় তো বানানো গিয়েছে।
প্রখ্যাত স্টার জিতের ‘ইসমার্ট জোড়ি’ শোয়ে অন্যতম প্রতিযোগী জুটি সম্রাট ও স্ত্রী ময়না। টেলিপাড়ার এই জনপ্রিয় দম্পতি এর আগেও একবার বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। বাড়ির অমতে বিয়ে করেছিলেন দুজনে। প্রথম দিকে অবস্থাও খুব একটা ভাল ছিল না । জেনেশুনে বাধ্য হয়েই তিন তিনবার গর্ভপাত করিয়েছিলেন ময়না। তাঁদের এই স্বীকারোক্তি শুনে নিন্দায় সরব হয়েছিলেন নেটিজেনরা।
এবার ময়না জানালেন, তাঁর জন্য সমস্ত সঞ্চয় খরচ করে এক দারুন বাড়ি বানিয়ে দিয়েছেন সম্রাট। অভিনেতা বলেন, ‘তিনি চিরদিনই সঞ্জয় দত্তের খুব বড় ভক্ত। তাঁর বাড়িটা দেখে চমক লেগেছিল সম্রাটের। বাড়ির মধ্যেই আস্ত একটা জিম, রুফটপ গার্ডেন। তখনি তাঁর মনে হয়েছিল, খাস কলকাতার বুকে এমন একটা বাড়ি বানালে কেমন হয়?’
যেমন ভাবা তেমন কাজ। সমস্ত সঞ্চয় খরচ করে এক বিলাসবহুল বাড়ি বানিয়ে ফেললেন সম্রাট। কিন্তু বিশাল প্রাসাদ নির্মাণ করলেই তো হবে না, এর রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে। কিন্তু এখন বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের পেছনে অনেকটাই খরচ পড়ে যায় সম্রাটের। ‘ইসমার্ট জোড়ির’ দৌলতে দর্শকরাও সুযোগ পান সম্রাট ময়নার বাড়ির এক ঝলক দেখার।
বিরাট কাঠের গেট খোলার পরেই পাওয়া যায় বাড়িতে ঢোকার অনুমতি। বসার ঘর থেকে জিম কিংবা রুফটপ গার্ডেন সব কিছুতেই সম্রাট ময়নার সুন্দর রুচির ছাপ। আরেক প্রতিযোগী সোনালি চৌধুরী জানান, তিনিও ছবি দেখেছেন ওই বাড়ির। প্রশংসা করতেই অভিনব আমন্ত্রণও পেয়েছেন দম্পতির কাছ থেকে, ‘আও কভি হাভেলি পে!’
এর আগে ‘ইসমার্ট জোড়ির’ মঞ্চে এসে সম্রাট জানান, তাঁরা তিনবার পরিবার পরিকল্পনা করেছিলেন। আর তিনবারই ময়নাকে গর্ভপাত করাতে হয়েছিল। পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। সংসার শুরু করেছিলেন একটি এক কামরার ফ্ল্যাটে। প্রথম বার যখন ময়না অন্তঃসত্ত্বা হন তখন তাঁদের এমন আর্থিক সঙ্গতি ছিল না যে একটা বাচ্চাকে বড় করতে পারবেন।
তাই বাধ্য হয়ে গর্ভপাত করাতে হয় ময়নাকে। অভিনেত্রী জানান, তৃতীয় বার গর্ভপাত করাতে গিয়ে খুব কষ্ট হয়েছিল তাঁর। এই চিন্তাও মনে এসেছিল যে, সারা জীবন ধরে কি এটাই করে যেতে হবে তাঁকে? এখন এত শারীরিক ধকলের পর পরবর্তীকালে আর মা হতে পারবেন তো? ময়নার সে ভয় অবশ্য অমূলক ছিল। কারণ এখন ফুটফুটে দুই সন্তানের মা তিনি।
সম্রাটকে এখন বাংলা সিরিয়ালে অহরহই দেখা যায়। দেখা যায় স্ত্রী ময়নাকেও। নিজের নাম সম্রাট হওয়ায় নিজেকে মনেপ্রাণে সম্রাট শাহজাহান বলেই মনে করেন তিনি।