ঢাকা ১০:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
ভূমি জরিপে ডিজিটাল অগ্রযাত্রা: না’গঞ্জে EDLMS প্রকল্পের সচেতনতামূলক সেমিনার কুমারখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-১ পুলিশের ১২ উচ্চপদস্থ  কর্মকর্তার পদোন্নতি ব্লকেডে আটকা ডিএসসিসির নগর ভবন, পুরোপুরি বন্ধ সেবাকার্যক্রম সেই ৬১ আওয়ামীপন্থি আইনজীবীর জামিন স্থগিত রাখার আদেশ চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ ‘আমারে এ দেহখানি তুলে ধরো তোমার ওই দেবালয়ে প্রদীপ করো’ রায়পুরায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন’র স্কুল প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বীরমুক্তিযোদ্ধা এসকেন্দার বেপারী’র জানাজা সম্পুর্ন  ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, শিক্ষকের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও  চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ,পল্লী চিকিৎসক কারাগারে কু‌ষ্টিয়ায় পরকীয়ার স‌ন্দে‌হে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর বিষপান নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে বরখাস্ত সেনাসদস্যসহ গ্রেপ্তার-৩ চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী: ন্যাপ ঢাকা সেনানিবাস ঘিরে সকল ধরনের মিছিল-সমাবেশ-বিক্ষোভ নিষিদ্ধ: আইএসপিআর বরিশালের সাবেক এমপি জেবুন্নেছা আটক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের ‘মাউশির’ জরুরি নির্দেশনা নগরভবনে ৬৫ তালা ঝুলিয়ে দিলো আন্দোলনকারীরা, আসিফ মাহমুদসহ অবাঞ্ছিত-২ আইভিকে আরও দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো পুলিশের মামলায় বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা রিয়াদ চৌধুরী শ্রীঘরে দেড় লাখ শ্রমিক নেবে মালয়েশিয়া,বড় সুযোগ বাংলাদেশিদের জন্য কাশীপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা শরণখোলায় এইচএসসির কেন্দ্র পরিবর্তনের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন নারায়ণগঞ্জে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা থাইল্যান্ড পালানোর পথে বিমানবন্দরে আটক সাবেক সেনাসদস্যদের আবেদন গুরুত্বের সাথে পুনর্বিবেচনা করছে সেনাবাহিনী কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ দুই শিশু সন্তানকে হত্যা চেষ্টার পর যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা শরণখোলায় লিগ্যাল এইড কমিটির সভা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় নারী চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন রূপগঞ্জে সাংবাদিক রিয়াজের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারসহ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন মুন্সীগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার,আটক-৩ আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ মর্মে: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে যা বলা হয়েছে আইভীকে গ্রেপ্তারে পুলিশকে বাঁধা সৃষ্টিকারী ২’শ জনকে আসামি করে মামলা নতুন সিআইডি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন ছিবগাত উল্লাহ বিলুপ্ত এনবিআর, রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ জারি এসএসসি’র খাতা মূল্যায়নে পরীক্ষকদের অনীহা এতোদিন কোথায় লুকিয়ে ছিলেন, কিভাবে গ্রেপ্তার হলেন মমতাজ গজারিয়ায় ট্রান্সফরমার চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে ২ চোর আহত ঈদকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ায় ২ লক্ষাধিক কোরবানীর পশু প্রস্তুত গাইবান্ধায় কালবৈশাখী ঝড়ে র‍্যাব কনস্টেবলের মৃত্যু সাবেক এমপি মমতাজ গ্রেপ্তার নাসিক ‘নগর ভবনে’ ইজিবাইক চালকদের তাণ্ডবে আহত-২১ সড়কে কোনোভাবেই গরুর হাটের অনুমোদন দেয়া হবে না: আইনশৃঙ্খলা মিটিংএ ডিসি নারায়ণগঞ্জে সাবেক মেয়র আইভীর জামিন নাকচ, ডিভিশনের আবেদন সোনারগাঁ আ’লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান ইন্জিনিয়ার মাসুম আটক প্রচন্ড্র দাবদাহের পরে স্বস্তি, ৬ জেলায় ঝড় ও বৃষ্টির আশঙ্কা কুষ্টিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হতে না পারায় ছাত্রের আত্মহনন কুষ্টিয়ায় চিকিৎসা ব্যয় নিয়ন্ত্রণের দাবিতে মানববন্ধন বিশ্ব ‘মা’ দিবস আজ আজ শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা নারী হয়রানির সংবাদ প্রকাশ করায় মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবে ডুকে সাংবাদিকদের হুমকি দেশের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হলো আওয়ামীলীগ বিকেএমইএ’র নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ী মোহাম্মদ হাতেম কুষ্টিয়ার সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ভৈরবে মানিকদী গ্রামে বোন জামাইয়ের হাতে প্রাণ গেলো রাকিবের টানা দ্বিতীয় দিনের অবরোধ: গণজমায়েতে আন্দোলনকারীদের ভিড় বাড়ছে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে যাত্রাবিরতি কালে প্রকাশ্যে তরুণীদের মারধর দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী আর নেই বাংলাদেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়, এদেশ জনগনের: তারেক রহমান ৭১টিভি-যমুনাসহ বাংলাদেশের ৪ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে ব্লকড প্রতিশোধ নয়, আসুন ভালোবাসা দিয়ে সবাই দেশ গড়ি: মির্জা ফখরুল না’গঞ্জে আইভীকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে ত্বকীর বাবার ফেসবুক পোস্ট সাবেক মেয়র আইভীকে পাঠানো হলো কাশিমপুর মহিলা কারাগারে সিদ্ধিরগঞ্জে মিনারুল হত্যা মামলায় আইভী কারাগারে গ্রেপ্তারের আগে যে কথা বলছিলেন নাসিক সাবেক মেয়র আইভি রাতভর নাটকীয়তার পর অবশেষে গ্রেপ্তার সাবেক নাসিক মেয়র আইভী লালন-হাসন রাজার জন্মজয়ন্তী জাতীয়ভাবে পালন করা উচিত অনৈতিক দাবি পূরন না হওয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন মুন্সীগঞ্জে ট্রিপল মার্ডার মামলায় ৩ জনের ফাঁসি ও ৫ জনের যাবজ্জীবন নারায়ণগঞ্জ বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান সুকৌশলে দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ যৌক্তিক দাবির আমরা ব্যবস্থা নিব, রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা কিংবা অফিস ঘেরাও বরদাস্ত করা হবে না: ডিসি মা-বৌকে উদ্দেশ্য করে আবেগতাড়িত চিরকুট লিখে র‍্যাব-৭’র এএসপির আত্মহনন সীমান্তের জেলাগুলোতে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ আইজিপির পুলিশের উচ্চপদস্থ ১৫ কর্মকর্তার পদে রদবদল কথা রাখলে নারায়ণগঞ্জের মানবিক জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা কামাল আহম্মেদ’র মৃত্যুতে না’গঞ্জ শহর ছাত্রদল নেতা রোমেনের শোক দৌলতপুরে অসময়ে পদ্মার ভাঙন আতঙ্কে দিশেহারা অর্ধলক্ষ মানুষ ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজিসহ পুলিশের উচ্চপদস্থ আরও ৬ কর্মকর্তা বদলি না’গঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসনের ‘গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন’ বাস্তবায়নে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে সরকারি জায়গা দখলের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ অভিযান কুষ্টিয়ায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার ফরিদপুরে গ্রামপুলিশ বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অবশেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসা শেষে আজ দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দৌলতপুরে ভুট্টা ফলনে চাষীদের অভাবনীয় সাফল্য সাতক্ষীরায় ঔষধের দাম‌ বৃদ্ধিতে: জনমনে কষ্ট ব্যবসায়িদের বাঁচার লড়াই মুক্তারপুর-পঞ্চবটি সড়ক নির্মাণকাজে ধীরগতি না’গঞ্জের চিহ্নিত সন্ত্রাসী আজমেরী ওসমানে সশস্ত্র ক্যাডার পিস্তল ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ফের কর্মবিরতিতে দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক ফতুল্লায় অবৈধ দখলদারিত্বের সংবাদ সংগ্রহকালে সংবাদকর্মীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা এসএসসি পরীক্ষার্থী রাজন হত্যা প্রতিবাদে উত্তাল নরসিংদী স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে ইউজিসি সিদ্ধিরগঞ্জে ছু*রি*কা*ঘা*তে কিশোর খু*ন: পুলিশি হেফাজতে-২ কিশোর ফের পাঁচ হাজার রোহিঙ্গার কক্সবাজারে অনুপ্রবেশ নারায়ণগঞ্জে কাল থেকে পূনরায় চালু পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম পুরানা পল্টনের বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট কুষ্টিয়ায় আসামি ধরতে গিয়ে দুই পুলিশ হাতুড়িপেটার শিকার খানপুর ৩’শ শয্যা হাসপাতালে দালাল চক্রের ২ সদস্যকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত এখন থেকে স্মার্টকার্ডে টিসিবির পণ্য পাবে প্রকৃত উপকারভোগীরা: খাদ্য উপদেষ্টা

বাংলার স্বাধীনতা আদায়ে ঋত্বিক ঘটক-উত্তম কুমার পথে প্রান্তরে ভিক্ষা করেছিলেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৭:১৯:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪ ২২০ বার পড়া হয়েছে

 

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।
প্রথমে ভাষা আন্দোলন দিয়ে স্বাধীনতার আঁতুড় ঘরের সৃষ্টি হয়েছিল বাংলাদেশে। তারপর থেকেই বাংলা বিরোধী পাকিস্তানি শাসক আপামর জনসাধারণের ওপর স্টিম রোলার চালাতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যখন তার আওয়ামী লীগ পার্টি নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে তখন বাঙালিদের হাতে শাসন ক্ষমতা তুলে দিতে অস্বীকার করেছিল পাকিস্তান। গণতন্ত্রকে পদদলিত করে ব্যাপক হত্যা লীলা শুরু করে। ভারতে তখন প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। কোটি কোটি বাঙালি পাকিস্তানের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে এপারে ভারতে চলে এলে পশ্চিমবঙ্গ,ত্রিপুরা, অসম সহ সারা ভারতের মানুষ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। খাদ্য,বাসস্থান ভাগ করে নিয়েছিলেন। সেই কারনে ইন্দিরা গান্ধী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। যুদ্ধ যখন মধ্যগগনে তখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবিতে সারা পশ্চিমবঙ্গ হয়ে উঠেছিল উত্তাল। সেটা সকলেই জানেন। কিন্তু বাংলার সিনেমা জগতের অবদান অনস্বীকার্য। জনগণের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহের সবচেয়ে সহজ উপায় ছিল চলচ্চিত্র জগতের নায়ক,মহানায়ক,পরিচালক দের উপস্থিতি। মহানায়ক উত্তম কুমার এক ঝাঁক অভিনেতা,অভিনেত্রীদের নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। তাকে দেখতে ভিড় জমে যাওয়া স্বাভাবিক। বৃষ্টির মতো টাকা পড়ছিল উত্তম কুমারের ঝুলিতে। শুধু তাই নয়, শুনলে অনেকেই অবাক হবেন, কলকাতার নিষিদ্ধ পল্লীতে পর্যন্ত উত্তম কুমার হাজির হলে যৌনকর্মীরা ছুটে এসে তাদের কাছে যা কিছু ছিল উদার হস্তে উত্তম কুমারের হাতে তুলে দিয়েছেন। মহানায়ক সেদিন সত্যিই কেঁদে ফেলেছিলেন। মহানায়ক উত্তম কুমার তার অর্থ সংগ্রহের কাজে দুয়েকবার আমার বাবাকেও ডেকে নিয়ে গেছেন।সেসময় বাবা মানস বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়মিত পার্ক সার্কাসে অস্থায়ী বাংলাদেশ মিশনে যেতেন শেখ কামাল, এম এন এ রুবেয়া আখতার ওরফে ডলি আখতার, আওয়ামী লীগের ঝাঁটু সাহার সঙ্গে দেখা করতে। উত্তম কুমার বাবার কাছ থেকে বাংলাদেশের সর্বশেষ খবর নিতেন। আপনারা অনেকেই জানেন,বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকর নিজেও মুম্বাইতে চাঁদা চাইতেই এক কথায় সবাইকে চমকে দিয়ে কোটি টাকার ওপর একটি চেক লিখে দিয়েছিলেন। দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর ভারতে লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে দেখাও করেছেন। ঋত্বিক ঘটক তখন চিত্র পরিচালনায় গগনচুম্বী নামী পরিচালক। তিনি রাস্তায় নেমে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ধুতি,পাঞ্জাবি পড়ে মানুষের কাছে হাত পেতে কাতর আবেদন করেছেন।সেই কাহিনীও তুলে ধরছি এখানে। বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড থেকে শুরু করে সর্বত্র রাস্তায়, পার্কে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভিক্ষার হাত পেতে হাজির হয়েছিলেন। ভিক্ষা করতে করতে ঋত্বিক হঠাৎ একটি গাড়িতে চড়ে সুচিত্রা দেবীকে চলতে দেখেন। ঋত্বিক ঘটকের বেশভূষা দেখে চেনা মুস্কিল ছিল। তিনি সুচিত্রা দেবীকে দেখেই বলেন, ” এলেই যখন, দুটো টাকা দিয়ে যাও’, বলে ঋত্বিক হাত বাড়ালেন। লজ্জায় মাথা নিচু করে সুচিত্রা বললেন ‘ছিঃ দাদা। এমন করে বলছেন কেন ? আমি কি দূরের কেউ ?’। বলেই কড়কড়া কয়েকটা ১০০টাকার নোট দিলেন ঋত্বিকের হাতে …সাদা রংয়ের একটা এ্যাম্বাসেডরের পিছের সিটে হেলান দিয়ে বসে আছেন সুচিত্রা। তীব্র দাবদাহ, পুরা কলকাতা পুড়ছে। এ্যাম্বাসেডর পার্ক স্ট্রিটে ঢুকে একটু আগাতেই ফুটপাতে একজনকে দেখে সোজা হয়ে সিটে বসলেন সুচিত্রা। ড্রাইভারকে গাড়ি সাইড করতে বলে নিজেই নেমে এগিয়ে গেলেন সেই মানুষটার দিকে। এই কাঠফাটা গরমে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ভিক্ষা করছেন স্বয়ং ঋত্বিক ঘটক।
 হাত জোর করে প্রণাম করতে করতে সুচিত্রা বললেন,
 – আমাকে চিনতে পারছেন না ঋত্বিক দা ? আমি সুচিত্রা, গত বছর শান্তিনিকেতনে দেখা হলো। চশমার উপর দিকে তাকিয়ে ভালো করে মুখটা দেখলেন ঋত্বিক, তারপরে বললেনঃ
– ও হ্যা। তুমি সুচিত্রা রায় তো ? টালিগঞ্জ বাড়ি। অন্নদাশঙ্কর রায় তোমার কী রকম জ্যাঠা হন না ? ঠিক বলেছি তো ?
সুচিত্রা আপ্লুত হলেন। কি সৌভাগ্য! এত বড় মানুষটা সব মনে রেখেছে। সুচিত্রা কলকাতার শিল্পপ্রেমী বনেদি পরিবারের মেয়ে, জন্মের পর থেকেই কলকাতার সব মহিরুহদের সামনে দেখে বড় হয়েছেন; ইদানিং প্রায়ই বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকায় চলচ্চিত্র বিষয়ে প্রবন্ধনিবন্ধ লেখেন। ঋত্বিক ঘটক এর মূল্য তিনি বোঝেন। ঋত্বিক ঘটক কে মনে মনে গুরু মানেন সুচিত্রা। ঋত্বিকদার পরনে ধুলিমলিন পাজামা-পাঞ্জাবি। চোখে কালো ফ্রেমের চশমা। এক মাথা এলোমেলো চুল। মুখে খোঁচা খোঁচা। সে মুখে বিন্দু বিন্দু ঘাম।এই জবুথবু অবস্থাতেও ঋত্বিকের চোখের আগুন একফোটা কমে নি, ঋত্বিক ঘটক মানেই এক আগুনের নাম। মেঘে ঢাকা তারা, কোমল গান্ধার, সুবর্ণরেখা-এসব ছবিগুলোয় যে আগুনের ছাপ স্পষ্ট। সুচিত্রা খেয়াল করলেন ঋত্বিকের পিছনে একটা ব্যানারে বড় করে লেখা :
  “বাংলা দেশের শরণার্থীদের জন্য দান করুন।”।
ব্যানারের পাশেই একটা বড় বাক্স, সেখানে রাস্তার মানুষ টাকা ফেলে যাচ্ছে। বাক্সের পাশেই লম্বা একটি টুল। তার ওপর গিটার হাতে এক বিদেশি তরুণ বসে আছে। গায়ের রং তামাটে, হিপিদের মতো লম্বাচুল, চোখে সানগ্লাস আর মুখ ভর্তি লালচে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। পরনে ঢোলা বেলবটম প্যান্ট আর রঙ্গিন হাওয়াই শার্ট। মাথায় একটি সাদা রঙের সোলার হ্যাট। গিটার আর মাউথ অর্গান বাজিয়ে নাকি গলায় তরুণটি গাইছে:
“Come senators, congressmen
 Please heed the call
Don’t stand in the doorway
Don’t block up the hall”
গানটা সুচিত্রার পরিচিত, কিংবদন্তি গায়ক বব ডিলানের গান। ঋত্বিক তরুণকে দেখিয়ে বললেন, ও হল স্টিভ টার্নার। গায়ক ও সাংবাদিক। সপ্তাহ খানেক হল আমেরিকা থেকে এসেছে। স্টিভ-এর সঙ্গে কবি অ্যালান গিনসবার্গও কলকাতা এসেছেন। স্টিভকে হ্যালো বলে কৌতুহলী সুচিত্রা জানতে চাইলেন গিনসবার্গ কোথায়। ঋত্বিক বললেন,অ্যালান আজ সকালে শক্তির সঙ্গে বারাসাত শরনার্থী শিবিরে গিয়েছে।
 – শক্তি ? মানে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় ?
  – হ্যা। গতকাল অবধি টাকাপয়সা যা জমেছিল তা দিয়ে ওরা ওষুধ আর খাবার কিনে নিয়ে এলো।
  হঠাৎ করে ঋত্বিক সুচিত্রাকে প্রশ্ন করলেনঃ
– সুচিত্রা তুমি একসঙ্গে কত লাশ দেখেছ ? ১০০? ২০০? ৩০০? ৪০০? ৫০০? ৬০০? ৭০০? ৮০০? ৯০০? লাখ লাখ, বিশ লাখ? সুচিত্রা চোখ ছানাবড়া। ঘোরলাগা নিয়ে সুচিত্রা আবার এ্যাম্বাসেডরে চড়ে বসলেন। যে ভূখন্ডের অসহায় মানুষের জন্য এই পাগলাটে মানুষটা তীব্র তাপদাহে পুড়েছেন, কেঁদেছেন,চিৎকার করেছেন সেই ভূখন্ডে তো ঋত্বিকদা আর কখনোই ফিরে যাবেন না জেনেও। ঋত্বিকদারা পরিবারসহ ’৪৭ সালেই এ পাড়ে চলে এসেছেন । তার আসল মাটি ছিল ওপার বাংলায়। তবুও … এত বড় ফিল্ম ডিরেক্টর, ভাবলে আশ্চর্য হতে হয়, যে ঋত্বিক ঘটককে জগদ্বিখ্যাত চলচ্চিত্রকারদের সঙ্গে তুলনা করা হয় সে মানুষটি কেমন নাওয়াখাওয়া ভুলে জ্বলন্ত ফুটপাতে দাঁড়িয়ে তৎকালীন পূর্ব বাংলার শরণার্থীদের জন্য ভিক্ষে করছেন। এমন অনেকেই রয়েছেন। বাবার মুখে শুনেছি টালিগঞ্জে স্টুডিও পাড়ায় তখন আলোচনার বিষয়বস্তুই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারতীয় সেনার দুর্বার অভিযান পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে। যুদ্ধে মুক্তি যোদ্ধাদের মরণপণ যুদ্ধও তখন ছিল আলোচনার বিষয়।ভাবতে পারেন, কলকাতার সোনাগাছির যৌন কর্মীরাও বিনা স্বার্থেই তাদের একেক দিনের সম্বল উজাড় করে মহানায়ক উত্তম কুমারের হাতে তুলে দিয়েছেন। জয় বাংলা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

বাংলার স্বাধীনতা আদায়ে ঋত্বিক ঘটক-উত্তম কুমার পথে প্রান্তরে ভিক্ষা করেছিলেন

আপডেট সময়- ০৭:১৯:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

 

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।
প্রথমে ভাষা আন্দোলন দিয়ে স্বাধীনতার আঁতুড় ঘরের সৃষ্টি হয়েছিল বাংলাদেশে। তারপর থেকেই বাংলা বিরোধী পাকিস্তানি শাসক আপামর জনসাধারণের ওপর স্টিম রোলার চালাতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যখন তার আওয়ামী লীগ পার্টি নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে তখন বাঙালিদের হাতে শাসন ক্ষমতা তুলে দিতে অস্বীকার করেছিল পাকিস্তান। গণতন্ত্রকে পদদলিত করে ব্যাপক হত্যা লীলা শুরু করে। ভারতে তখন প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। কোটি কোটি বাঙালি পাকিস্তানের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে এপারে ভারতে চলে এলে পশ্চিমবঙ্গ,ত্রিপুরা, অসম সহ সারা ভারতের মানুষ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। খাদ্য,বাসস্থান ভাগ করে নিয়েছিলেন। সেই কারনে ইন্দিরা গান্ধী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। যুদ্ধ যখন মধ্যগগনে তখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবিতে সারা পশ্চিমবঙ্গ হয়ে উঠেছিল উত্তাল। সেটা সকলেই জানেন। কিন্তু বাংলার সিনেমা জগতের অবদান অনস্বীকার্য। জনগণের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহের সবচেয়ে সহজ উপায় ছিল চলচ্চিত্র জগতের নায়ক,মহানায়ক,পরিচালক দের উপস্থিতি। মহানায়ক উত্তম কুমার এক ঝাঁক অভিনেতা,অভিনেত্রীদের নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। তাকে দেখতে ভিড় জমে যাওয়া স্বাভাবিক। বৃষ্টির মতো টাকা পড়ছিল উত্তম কুমারের ঝুলিতে। শুধু তাই নয়, শুনলে অনেকেই অবাক হবেন, কলকাতার নিষিদ্ধ পল্লীতে পর্যন্ত উত্তম কুমার হাজির হলে যৌনকর্মীরা ছুটে এসে তাদের কাছে যা কিছু ছিল উদার হস্তে উত্তম কুমারের হাতে তুলে দিয়েছেন। মহানায়ক সেদিন সত্যিই কেঁদে ফেলেছিলেন। মহানায়ক উত্তম কুমার তার অর্থ সংগ্রহের কাজে দুয়েকবার আমার বাবাকেও ডেকে নিয়ে গেছেন।সেসময় বাবা মানস বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়মিত পার্ক সার্কাসে অস্থায়ী বাংলাদেশ মিশনে যেতেন শেখ কামাল, এম এন এ রুবেয়া আখতার ওরফে ডলি আখতার, আওয়ামী লীগের ঝাঁটু সাহার সঙ্গে দেখা করতে। উত্তম কুমার বাবার কাছ থেকে বাংলাদেশের সর্বশেষ খবর নিতেন। আপনারা অনেকেই জানেন,বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকর নিজেও মুম্বাইতে চাঁদা চাইতেই এক কথায় সবাইকে চমকে দিয়ে কোটি টাকার ওপর একটি চেক লিখে দিয়েছিলেন। দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর ভারতে লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে দেখাও করেছেন। ঋত্বিক ঘটক তখন চিত্র পরিচালনায় গগনচুম্বী নামী পরিচালক। তিনি রাস্তায় নেমে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ধুতি,পাঞ্জাবি পড়ে মানুষের কাছে হাত পেতে কাতর আবেদন করেছেন।সেই কাহিনীও তুলে ধরছি এখানে। বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড থেকে শুরু করে সর্বত্র রাস্তায়, পার্কে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভিক্ষার হাত পেতে হাজির হয়েছিলেন। ভিক্ষা করতে করতে ঋত্বিক হঠাৎ একটি গাড়িতে চড়ে সুচিত্রা দেবীকে চলতে দেখেন। ঋত্বিক ঘটকের বেশভূষা দেখে চেনা মুস্কিল ছিল। তিনি সুচিত্রা দেবীকে দেখেই বলেন, ” এলেই যখন, দুটো টাকা দিয়ে যাও’, বলে ঋত্বিক হাত বাড়ালেন। লজ্জায় মাথা নিচু করে সুচিত্রা বললেন ‘ছিঃ দাদা। এমন করে বলছেন কেন ? আমি কি দূরের কেউ ?’। বলেই কড়কড়া কয়েকটা ১০০টাকার নোট দিলেন ঋত্বিকের হাতে …সাদা রংয়ের একটা এ্যাম্বাসেডরের পিছের সিটে হেলান দিয়ে বসে আছেন সুচিত্রা। তীব্র দাবদাহ, পুরা কলকাতা পুড়ছে। এ্যাম্বাসেডর পার্ক স্ট্রিটে ঢুকে একটু আগাতেই ফুটপাতে একজনকে দেখে সোজা হয়ে সিটে বসলেন সুচিত্রা। ড্রাইভারকে গাড়ি সাইড করতে বলে নিজেই নেমে এগিয়ে গেলেন সেই মানুষটার দিকে। এই কাঠফাটা গরমে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ভিক্ষা করছেন স্বয়ং ঋত্বিক ঘটক।
 হাত জোর করে প্রণাম করতে করতে সুচিত্রা বললেন,
 – আমাকে চিনতে পারছেন না ঋত্বিক দা ? আমি সুচিত্রা, গত বছর শান্তিনিকেতনে দেখা হলো। চশমার উপর দিকে তাকিয়ে ভালো করে মুখটা দেখলেন ঋত্বিক, তারপরে বললেনঃ
– ও হ্যা। তুমি সুচিত্রা রায় তো ? টালিগঞ্জ বাড়ি। অন্নদাশঙ্কর রায় তোমার কী রকম জ্যাঠা হন না ? ঠিক বলেছি তো ?
সুচিত্রা আপ্লুত হলেন। কি সৌভাগ্য! এত বড় মানুষটা সব মনে রেখেছে। সুচিত্রা কলকাতার শিল্পপ্রেমী বনেদি পরিবারের মেয়ে, জন্মের পর থেকেই কলকাতার সব মহিরুহদের সামনে দেখে বড় হয়েছেন; ইদানিং প্রায়ই বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকায় চলচ্চিত্র বিষয়ে প্রবন্ধনিবন্ধ লেখেন। ঋত্বিক ঘটক এর মূল্য তিনি বোঝেন। ঋত্বিক ঘটক কে মনে মনে গুরু মানেন সুচিত্রা। ঋত্বিকদার পরনে ধুলিমলিন পাজামা-পাঞ্জাবি। চোখে কালো ফ্রেমের চশমা। এক মাথা এলোমেলো চুল। মুখে খোঁচা খোঁচা। সে মুখে বিন্দু বিন্দু ঘাম।এই জবুথবু অবস্থাতেও ঋত্বিকের চোখের আগুন একফোটা কমে নি, ঋত্বিক ঘটক মানেই এক আগুনের নাম। মেঘে ঢাকা তারা, কোমল গান্ধার, সুবর্ণরেখা-এসব ছবিগুলোয় যে আগুনের ছাপ স্পষ্ট। সুচিত্রা খেয়াল করলেন ঋত্বিকের পিছনে একটা ব্যানারে বড় করে লেখা :
  “বাংলা দেশের শরণার্থীদের জন্য দান করুন।”।
ব্যানারের পাশেই একটা বড় বাক্স, সেখানে রাস্তার মানুষ টাকা ফেলে যাচ্ছে। বাক্সের পাশেই লম্বা একটি টুল। তার ওপর গিটার হাতে এক বিদেশি তরুণ বসে আছে। গায়ের রং তামাটে, হিপিদের মতো লম্বাচুল, চোখে সানগ্লাস আর মুখ ভর্তি লালচে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। পরনে ঢোলা বেলবটম প্যান্ট আর রঙ্গিন হাওয়াই শার্ট। মাথায় একটি সাদা রঙের সোলার হ্যাট। গিটার আর মাউথ অর্গান বাজিয়ে নাকি গলায় তরুণটি গাইছে:
“Come senators, congressmen
 Please heed the call
Don’t stand in the doorway
Don’t block up the hall”
গানটা সুচিত্রার পরিচিত, কিংবদন্তি গায়ক বব ডিলানের গান। ঋত্বিক তরুণকে দেখিয়ে বললেন, ও হল স্টিভ টার্নার। গায়ক ও সাংবাদিক। সপ্তাহ খানেক হল আমেরিকা থেকে এসেছে। স্টিভ-এর সঙ্গে কবি অ্যালান গিনসবার্গও কলকাতা এসেছেন। স্টিভকে হ্যালো বলে কৌতুহলী সুচিত্রা জানতে চাইলেন গিনসবার্গ কোথায়। ঋত্বিক বললেন,অ্যালান আজ সকালে শক্তির সঙ্গে বারাসাত শরনার্থী শিবিরে গিয়েছে।
 – শক্তি ? মানে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় ?
  – হ্যা। গতকাল অবধি টাকাপয়সা যা জমেছিল তা দিয়ে ওরা ওষুধ আর খাবার কিনে নিয়ে এলো।
  হঠাৎ করে ঋত্বিক সুচিত্রাকে প্রশ্ন করলেনঃ
– সুচিত্রা তুমি একসঙ্গে কত লাশ দেখেছ ? ১০০? ২০০? ৩০০? ৪০০? ৫০০? ৬০০? ৭০০? ৮০০? ৯০০? লাখ লাখ, বিশ লাখ? সুচিত্রা চোখ ছানাবড়া। ঘোরলাগা নিয়ে সুচিত্রা আবার এ্যাম্বাসেডরে চড়ে বসলেন। যে ভূখন্ডের অসহায় মানুষের জন্য এই পাগলাটে মানুষটা তীব্র তাপদাহে পুড়েছেন, কেঁদেছেন,চিৎকার করেছেন সেই ভূখন্ডে তো ঋত্বিকদা আর কখনোই ফিরে যাবেন না জেনেও। ঋত্বিকদারা পরিবারসহ ’৪৭ সালেই এ পাড়ে চলে এসেছেন । তার আসল মাটি ছিল ওপার বাংলায়। তবুও … এত বড় ফিল্ম ডিরেক্টর, ভাবলে আশ্চর্য হতে হয়, যে ঋত্বিক ঘটককে জগদ্বিখ্যাত চলচ্চিত্রকারদের সঙ্গে তুলনা করা হয় সে মানুষটি কেমন নাওয়াখাওয়া ভুলে জ্বলন্ত ফুটপাতে দাঁড়িয়ে তৎকালীন পূর্ব বাংলার শরণার্থীদের জন্য ভিক্ষে করছেন। এমন অনেকেই রয়েছেন। বাবার মুখে শুনেছি টালিগঞ্জে স্টুডিও পাড়ায় তখন আলোচনার বিষয়বস্তুই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারতীয় সেনার দুর্বার অভিযান পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে। যুদ্ধে মুক্তি যোদ্ধাদের মরণপণ যুদ্ধও তখন ছিল আলোচনার বিষয়।ভাবতে পারেন, কলকাতার সোনাগাছির যৌন কর্মীরাও বিনা স্বার্থেই তাদের একেক দিনের সম্বল উজাড় করে মহানায়ক উত্তম কুমারের হাতে তুলে দিয়েছেন। জয় বাংলা।