ঢাকা ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
ছেলে জয়ের আশ্বাসেই দেশ ছাড়তে রাজি হন শেখ হাসিনা অর্থপাচার মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন বিএনপির ৮ শীর্ষ নেতা মৌলভীবাজারে নবাগত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেনের যোগদান মৌলভীবাজারে বকেয়া মজুরির দাবিতে চা-শ্রমিকদের মানববন্ধন  না’গঞ্জের পলাতক সাবেক এমপি শামীম ওসমানের দেখা মিললো দিল্লিতে  না’গঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব টিপুর উপর হামলা  রূপগঞ্জে ফের গাজী টায়ার কারখানায় লুটপাট চালিয়ে আগুন দিলো দুর্বৃত্তরা মহাভারতের চিত্রনাট্যের জাদুকরী রূপকার ছিলেন উর্দু কবি রাহী মাসুম রেজা  কুষ্টিয়া সাংস্কৃতিক কর্মীর সমবেত কন্ঠে দশ মিনিটে ৩বার জাতীয় সংগীত সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করায় হামলা মারধরে আহত-১০ জাতীয় শিক্ষক দিবসে ‘গুরু বন্দনা’ সাবেক ভূমিমন্ত্রী পুত্র তমাল অস্ত্র-মাদক সহ র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার কক্সবাজারে যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল অস্ত্র-গোলাবারুদ সহ গ্রেপ্তার-৮ নবীজীকে নিয়ে কটূক্তি করা কিশোর সেনাবাহিনীর হেফাজতে: আইএসপিআর পূর্বানুমতি ছাড়া পর্যটকরা সেন্টমার্টিনে যেতে পারবে না..! বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি ক্রোক করে রিসিভার নিয়োগে হাইকোর্টের রুল স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহীন’র বিশাল সংবর্ধনা ইসলামী যুব আন্দোলন টেকনাফ দক্ষিণ শাখা’র পৌর কমিটি গঠন সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী সাইফুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত সালমান এফ রহমান মুক্ত হলো আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি

সিলেটে হাকালুকি হাওরের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৫:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪ ৩১ বার পড়া হয়েছে
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
দ্বিতীয় দফা লাগাতার বৃষ্টি ও ভারতের ঢলে মৌলভীবাজারের মনূ ও ধলাই নদে পানি কমলেও হাকালুকি হাওর বেষ্টিত জুড়ী নদে এখনো বিপদসীমার ১৪৩ সে.মি: উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা সদর ও রাজনগর উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া একমাত্র নদী কুশিয়ারায় এখনো ধীর গতিতে পানি কমছে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য থেকে আরও জানা যায়, কুশিয়ারায় বিপদসীমার ২৭ সে.মি: নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও ঘর-বাড়ি এখনো তলিয়ে রয়েছে।
এদিকে, কুশিয়ারা নদীপাড়ের রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ও ফতেপুর ইউনিয়নে দেখা যায়, নদী পাড়ের বকশিপুর, ছিক্কাগাঁও, কামালপুর, আমনপুর, সুরিখাল, যুগিকোনা, কেশরপাড়া, সুনামপুর, উমরপুর, কান্দিগাও, জোড়াপুর, রামপুর ও ফতেপুর ইউনিয়নের সাদাপুর, হামিদপুর, বেড়কুড়ি, শাহাপুর, জাহিদপুর, আব্দুল্লাহপুর, ইসলামপুর ও সদর উপজেলার মনূমুখ ও খলিলপুর ইউনিয়নের ব্রাম্মণগ্রাম, হামরাকনো, নতুন বস্তি ও দাউদপুর এলাকাসহ নদী পাড়ের চার ইউনিয়নের প্রায় ৪০টি গ্রাম এখনো প্লাবিত রয়েছে।
নদীপাড়ের জলমগ্ন এলাকার বন্যাক্রান্তদের সাথে কথা বললে তারা জানান, কুশিয়ারা নদী থেকে পানি কমতেই চাচ্ছে না। প্রতিদিন এক থেকে দুই সে.মি. পানি কমছে। তারা জানান, এখনো নদীপাড়ের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষের ঘর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। রাস্তঘাট ও উঠানের ৯৫ শতাংশ জায়গা তলিয়ে রয়েছে। তারা কান্নাবিজড়িত কন্ঠে বলেন, মুষ্টিময় ত্রাণ পেয়ে তাদের আহার মিটবে না। তারা চান বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধান।
মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সোমবার জানায়, জেলায় ৫ হাজার ১শ ৬২ হেক্টর রূপা আউস জমি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ৩০ হেক্টর বীজতলা তলিয়ে গেছে। সব্জির আরো ১ হাজার ৫৪ হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। রূপা আউস ক্ষেতের ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর’র উপ-পরিচালক মোঃ সামছুদ্দিন আহমদ বলেন, রূপা আউস ছাড়াও আগামীতে ১ লাখ ১ হাজার হেক্টর রুপা আমন আবাদ হবে। বন্যার এই পরিস্থিতি থাকলে রূপা আমনও চাষাবাদে ব্যাহত হবে।
মৌলভীবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, জেলা জুড়ে ১ হাজার ৫০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৮টি বন্যাক্রান্ত হওয়াতে এখনো বন্ধ রয়েছে। ৬৯টি প্রতিষ্ঠানে আশ্রয়কেন্দ্র চালু রয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফজলুর রহমান বলেন, জেলায় ২১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্কুল-কলেজ মিলে ৩৪টি ও মাদ্রাসা মিলে আরও ১৩টি প্রতিষ্ঠান এখন ও বন্ধ রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সিলেটে হাকালুকি হাওরের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

আপডেট সময় : ০৬:৪৫:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
দ্বিতীয় দফা লাগাতার বৃষ্টি ও ভারতের ঢলে মৌলভীবাজারের মনূ ও ধলাই নদে পানি কমলেও হাকালুকি হাওর বেষ্টিত জুড়ী নদে এখনো বিপদসীমার ১৪৩ সে.মি: উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা সদর ও রাজনগর উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া একমাত্র নদী কুশিয়ারায় এখনো ধীর গতিতে পানি কমছে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য থেকে আরও জানা যায়, কুশিয়ারায় বিপদসীমার ২৭ সে.মি: নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও ঘর-বাড়ি এখনো তলিয়ে রয়েছে।
এদিকে, কুশিয়ারা নদীপাড়ের রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ও ফতেপুর ইউনিয়নে দেখা যায়, নদী পাড়ের বকশিপুর, ছিক্কাগাঁও, কামালপুর, আমনপুর, সুরিখাল, যুগিকোনা, কেশরপাড়া, সুনামপুর, উমরপুর, কান্দিগাও, জোড়াপুর, রামপুর ও ফতেপুর ইউনিয়নের সাদাপুর, হামিদপুর, বেড়কুড়ি, শাহাপুর, জাহিদপুর, আব্দুল্লাহপুর, ইসলামপুর ও সদর উপজেলার মনূমুখ ও খলিলপুর ইউনিয়নের ব্রাম্মণগ্রাম, হামরাকনো, নতুন বস্তি ও দাউদপুর এলাকাসহ নদী পাড়ের চার ইউনিয়নের প্রায় ৪০টি গ্রাম এখনো প্লাবিত রয়েছে।
নদীপাড়ের জলমগ্ন এলাকার বন্যাক্রান্তদের সাথে কথা বললে তারা জানান, কুশিয়ারা নদী থেকে পানি কমতেই চাচ্ছে না। প্রতিদিন এক থেকে দুই সে.মি. পানি কমছে। তারা জানান, এখনো নদীপাড়ের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষের ঘর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। রাস্তঘাট ও উঠানের ৯৫ শতাংশ জায়গা তলিয়ে রয়েছে। তারা কান্নাবিজড়িত কন্ঠে বলেন, মুষ্টিময় ত্রাণ পেয়ে তাদের আহার মিটবে না। তারা চান বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধান।
মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সোমবার জানায়, জেলায় ৫ হাজার ১শ ৬২ হেক্টর রূপা আউস জমি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ৩০ হেক্টর বীজতলা তলিয়ে গেছে। সব্জির আরো ১ হাজার ৫৪ হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। রূপা আউস ক্ষেতের ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর’র উপ-পরিচালক মোঃ সামছুদ্দিন আহমদ বলেন, রূপা আউস ছাড়াও আগামীতে ১ লাখ ১ হাজার হেক্টর রুপা আমন আবাদ হবে। বন্যার এই পরিস্থিতি থাকলে রূপা আমনও চাষাবাদে ব্যাহত হবে।
মৌলভীবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, জেলা জুড়ে ১ হাজার ৫০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৮টি বন্যাক্রান্ত হওয়াতে এখনো বন্ধ রয়েছে। ৬৯টি প্রতিষ্ঠানে আশ্রয়কেন্দ্র চালু রয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফজলুর রহমান বলেন, জেলায় ২১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্কুল-কলেজ মিলে ৩৪টি ও মাদ্রাসা মিলে আরও ১৩টি প্রতিষ্ঠান এখন ও বন্ধ রয়েছে।