ঢাকা ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
ছেলে জয়ের আশ্বাসেই দেশ ছাড়তে রাজি হন শেখ হাসিনা অর্থপাচার মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন বিএনপির ৮ শীর্ষ নেতা মৌলভীবাজারে নবাগত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেনের যোগদান মৌলভীবাজারে বকেয়া মজুরির দাবিতে চা-শ্রমিকদের মানববন্ধন  না’গঞ্জের পলাতক সাবেক এমপি শামীম ওসমানের দেখা মিললো দিল্লিতে  না’গঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব টিপুর উপর হামলা  রূপগঞ্জে ফের গাজী টায়ার কারখানায় লুটপাট চালিয়ে আগুন দিলো দুর্বৃত্তরা মহাভারতের চিত্রনাট্যের জাদুকরী রূপকার ছিলেন উর্দু কবি রাহী মাসুম রেজা  কুষ্টিয়া সাংস্কৃতিক কর্মীর সমবেত কন্ঠে দশ মিনিটে ৩বার জাতীয় সংগীত সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করায় হামলা মারধরে আহত-১০ জাতীয় শিক্ষক দিবসে ‘গুরু বন্দনা’ সাবেক ভূমিমন্ত্রী পুত্র তমাল অস্ত্র-মাদক সহ র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার কক্সবাজারে যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল অস্ত্র-গোলাবারুদ সহ গ্রেপ্তার-৮ নবীজীকে নিয়ে কটূক্তি করা কিশোর সেনাবাহিনীর হেফাজতে: আইএসপিআর পূর্বানুমতি ছাড়া পর্যটকরা সেন্টমার্টিনে যেতে পারবে না..! বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি ক্রোক করে রিসিভার নিয়োগে হাইকোর্টের রুল স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহীন’র বিশাল সংবর্ধনা ইসলামী যুব আন্দোলন টেকনাফ দক্ষিণ শাখা’র পৌর কমিটি গঠন সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী সাইফুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত সালমান এফ রহমান মুক্ত হলো আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি

কুলাউড়ায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নামে ভিক্ষুকের অর্থ আত্মসাৎ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:০৮:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪ ৫৪ বার পড়া হয়েছে
তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।।
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে ভিক্ষুকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য আজাদ মিয়ার বিরুদ্ধে।
উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের মীরশংকর গ্রামের নিছমারুন গত ৭ই জুলাই মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে আজাদ মিয়ার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যার অনুলিপি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে।
লিখিত অভিযোগের বরাতে থেকে জানা যায়, ইউপি সদস্য আজাদ মিয়া ভূকশিমইল ইউনিয়নের মীরশংকর গ্রামের অছির আলী স্ত্রী নিছমারুনের কাছ থেকে উত্তর কৌলা গ্রামে নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্ধ দেওয়ার জন্য ৪৫ হাজার টাকা দাবি করেন। নিছমারুনের স্বামীর ভিক্ষার জমানো টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকা তুলে দেন মেম্বার আজাদ মিয়ার হাতে। বাকি ১০ হাজার টাকা ২ মাস পর পরিশোধ করার কথার মাধ্যমে সমঝোতা হয়।
সেই টাকা পেয়ে মেম্বার আজাদ ২৩নং ঘরের চাবি তুলে দেন নিছমারুনের হাতে। এদিকে নিছমারুনের ভাইয়ের অসুস্থতার কারণে তিনি ঘরে তালা দিয়ে তাকে দেখতে যান। ফিরে এসে দেখেন তার ঘরের তালা ভেঙে ছালই বেগম নামক একজন বসবাস করছেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে আজাদ মেম্বারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আরও ২০ হাজার টাকা দাবি করেন।
এদিকে ঘরের তালা ভেঙে ছালই বেগমকে ঘরটি দেওয়ার সময় ঘরে থাকা নিছমারুন ও তার স্বামীর ভিক্ষা করে জমানো ১১ হাজার ৩শ টাকা বাক্স ভেঙে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। নিছমারুনের লিখিত অভিযোগের ব্যাপারে কৌলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে গেলে ২৩ নং ঘরটি ছালই বেগমের দখলে এবং ঘরে ছালই বেগমের মেয়েকে পাওয়া যায়।
অভিযুক্ত মেম্বার আজাদ মিয়া অভিযোগ সম্পর্কে তিনি অস্বীকার করে বলেন, গত নির্বাচনে আমার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ষড়যন্ত্র করে অভিযোগ করিয়েছে। আমি ওই নারীকে চিনি না। তদন্তক্রমে অভিযোগ যদি সত্য প্রমাণিত হয় তাহলে যে কোনো শাস্তি আমি মাথা পেতে নেব।
উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম মিঠু বলেন, অভিযোগের ব্যাপারে কিছু জানা নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, অভিযোগের একটি অনুলিপি পত্র পেয়েছি। সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিযোগটি সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করবেন। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কুলাউড়ায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নামে ভিক্ষুকের অর্থ আত্মসাৎ

আপডেট সময় : ০৭:০৮:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪
তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।।
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে ভিক্ষুকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য আজাদ মিয়ার বিরুদ্ধে।
উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের মীরশংকর গ্রামের নিছমারুন গত ৭ই জুলাই মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে আজাদ মিয়ার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যার অনুলিপি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে।
লিখিত অভিযোগের বরাতে থেকে জানা যায়, ইউপি সদস্য আজাদ মিয়া ভূকশিমইল ইউনিয়নের মীরশংকর গ্রামের অছির আলী স্ত্রী নিছমারুনের কাছ থেকে উত্তর কৌলা গ্রামে নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্ধ দেওয়ার জন্য ৪৫ হাজার টাকা দাবি করেন। নিছমারুনের স্বামীর ভিক্ষার জমানো টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকা তুলে দেন মেম্বার আজাদ মিয়ার হাতে। বাকি ১০ হাজার টাকা ২ মাস পর পরিশোধ করার কথার মাধ্যমে সমঝোতা হয়।
সেই টাকা পেয়ে মেম্বার আজাদ ২৩নং ঘরের চাবি তুলে দেন নিছমারুনের হাতে। এদিকে নিছমারুনের ভাইয়ের অসুস্থতার কারণে তিনি ঘরে তালা দিয়ে তাকে দেখতে যান। ফিরে এসে দেখেন তার ঘরের তালা ভেঙে ছালই বেগম নামক একজন বসবাস করছেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে আজাদ মেম্বারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আরও ২০ হাজার টাকা দাবি করেন।
এদিকে ঘরের তালা ভেঙে ছালই বেগমকে ঘরটি দেওয়ার সময় ঘরে থাকা নিছমারুন ও তার স্বামীর ভিক্ষা করে জমানো ১১ হাজার ৩শ টাকা বাক্স ভেঙে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। নিছমারুনের লিখিত অভিযোগের ব্যাপারে কৌলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে গেলে ২৩ নং ঘরটি ছালই বেগমের দখলে এবং ঘরে ছালই বেগমের মেয়েকে পাওয়া যায়।
অভিযুক্ত মেম্বার আজাদ মিয়া অভিযোগ সম্পর্কে তিনি অস্বীকার করে বলেন, গত নির্বাচনে আমার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ষড়যন্ত্র করে অভিযোগ করিয়েছে। আমি ওই নারীকে চিনি না। তদন্তক্রমে অভিযোগ যদি সত্য প্রমাণিত হয় তাহলে যে কোনো শাস্তি আমি মাথা পেতে নেব।
উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম মিঠু বলেন, অভিযোগের ব্যাপারে কিছু জানা নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, অভিযোগের একটি অনুলিপি পত্র পেয়েছি। সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিযোগটি সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করবেন। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।