ঢাকা ০৪:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
অসমের ‘মায়াং’ কালো জাদু ও তন্ত্র-মন্ত্রের আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র  মৌলভীবাজার কৃষকলীগ সভাপতি সাদেকুল গ্রেপ্তার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ৪০০ কোটির পিয়ন জাহাঙ্গীরকে দুদকে তলব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপিদের পিএস-এপিএসরাও বানিয়েছেন অঢেল সম্পদসহ অর্থের পাহাড় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে যা বললেন ভারতের পররাষ্ট্র মুখপাত্র পুলিশের আরও ৪ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমতি দিলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টেকনাফে চাচার যোগসাজশে ভাতিজা অপহরণ: অস্ত্রসহ গ্রেফতার-৩ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক বেলাল শ্রীঘরে কুলাউড়া ছাত্রলীগ সভাপতি নিয়াজুল তায়েফ গ্রেপ্তার বিয়ের পরে একসঙ্গে এইচএসসি পাস করলেন নাঈম-শারমিন দম্পতি মতিয়া চৌধুরীর জানাজা আজ বাদ জোহর আওয়ামী জোট নেতা মেননের ২৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদের খোঁজে দুদক জাতীয় দিবস হিসেবে ৭ই মার্চ বাতিল করায় ক্ষুব্ধ শাওন সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা আজ নুনের আবিষ্কার ও অসাধারণ গুনাগুন নীরবেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন অগ্নিকন্যা মতিয়া চৌধুরী রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জায়েদ আলী গ্রেপ্তার ডিএনসিসির সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার সিআইডি প্রধানের দায়িত্ব নিলেন অতিরিক্ত আইজিপি মতিউর রহমান ২৪ ঘন্টার মধ্যে টমটম চালক হত্যার আসামি জসিম গ্রেপ্তার  সোনারগাঁয়ে বিএনপি নেতা মান্নানের দুঃশাসনের স্বর্গরাজ্য জাতীয় ৮ দিবস বাতিলের প্রতিবাদ জানিয়ে আ’লীগের বিবৃতি আজ থেকে ৩দিন ব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শুরু ৮ জাতীয় দিবস বাতিলের আদেশ জারি গণহত্যায় জড়িত সাংবাদিকরাও ছাড় পাবে না: আইন উপদেষ্টা  অবকাশকালীন বেঞ্চ ভেঙে দিলেন প্রধান বিচারপতি এবার এইচএসসিতে ৬৫টি কলেজের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি এইচএসসিতে এইবছর শতভাগ পাস করেছে ১৩৮৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিনতাইয়ের অভিযোগে সিদ্ধিরগঞ্জে কৃষকদলের ৪ নেতা আটক ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫ শ্রীমঙ্গলে পৃথক স্থান থেকে দুইটি মরদেহ উদ্ধার কুষ্টিয়ায় চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার মায়ানমারে অপহৃত ১৬ জেলেকে ফেরত আনলো বিজিবি নালার পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু মৌলভীবাজারে মাছ ধরা নিয়ে ঝগড়ার জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ: নিহত-১  মুন্সীগঞ্জের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এমিলির অর্থের যোগানদাতা জামাতা তারেক  সাতক্ষীরায় নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ   ময়মনসিংহে বিএসটিআই’র আয়োজনে ‘বিশ্ব মান দিবস-২০২৪’ অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় পূজামণ্ডপে শিশুদের মারধরের ঘটনায় এক তরুণী আটক ডিজিএফআই’র নতুন ডিজি জাহাঙ্গীর আলম খোকন দাসের সর্বজনীন পূজা এককথায় দরিদ্রদের সেবা মুন্সীগঞ্জের চরাঞ্চলে আ’লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ: ৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা সাতক্ষীরার বাংলাদেশ-ভারত সীমানায় ইছামতীতে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হলো দূর্গাপূজা পাকশীতে রেলের সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কুতুবদিয়ায় এখনো জ্বলছে এলপিজিবাহী জাহাজের আগুন, নিয়ন্ত্রণে আসেনি রাউজানে বিএনপির দু’গ্রুপের ভয়াবহ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ-২ দূর্গোৎসবে পুজামন্ডপ কেন পাহারা দিতে হবে প্রশ্ন❓মুন্সীগঞ্জে রিজভী বকশীগঞ্জে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’ পালিত দৌলতপুরে মসজিদ-কবরস্থানের টাকা নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপ সংঘর্ষে আহত-৮ দূর্গোৎসবকে ঘিরে সারাদেশে ৩১৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন শ্রীমঙ্গলে লাইন মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে যুবকের মৃত্যু চাঁদাবাজ ও দখলদারদের বিএনপিতে স্থান নেই: ইকবাল হোসেন  সাবেক এমপি জিল্লুর রহমানের ছোট ভাই আতাউর গ্রেপ্তার বকশীগঞ্জে সাপ্তাহিক ১দিন দোকান-কর্মচারীদের ছুটির দাবীতে বিক্ষোভ ময়মনসিংহে শান্তিপূর্ন পরিবেশে পালিত হচ্ছে দুর্গোৎসব ঈশ্বরদীতে চলন্ত ট্রেন থেকে পরে যুবকের মৃত্যু  ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপি শিমুলের দুই সহযোগীসহ আটক-৩ সৌরশক্তি থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী মন্দিরে প্রতিমার মাথার স্বর্ণের মুকুট চুরি সাতক্ষীরায় গৃহবধূকে জ*বা*ই করে হ*ত্যা  বিএনপি নেতা রবিকে গ্রেফতারে বাসায় পুলিশের অভিযান তাঁতীবাজার পূজামণ্ডপে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ,ছুরিকাঘাতে আহত-৫ কমলগঞ্জ আ’লীগের সহ-সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা গ্রেপ্তার সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্রদলের বিক্ষোভ এমপিওভুক্ত সহ ৩ দফা দাবিতে ১৫ অক্টোবর লংমার্চ কর্মসূচি  দীপ্ত টিভির তামিম হত্যাকান্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার-৫ দীপ্ত টিভির তামিম খূনের ঘটনায় বিএনপি নেতা রবিকে শো’কজ শারদীয় দুর্গোৎসবে সব ধরনের নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে: সেনাপ্রধান দীপ্ত টিভির তামিম হত্যাকান্ডে বিএনপি নেতা রবি ও মাদক কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা মিলেছে দুর্গোৎসবে এখন পর্যন্ত ৩৫ অপ্রীতিকর ঘটনায় আটক-১৭ : আইজিপি কণ্ঠশিল্পী ইভার বিরুদ্ধে ফকির গ্রুপের এমডির মানহানি মামলা দুর্গাপূজায় কোন বিশৃঙ্খলা বা অপতৎপরতার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষ্টমী ও কুমারীপূজা আজ না’গঞ্জ মহিলা পরিষদ নেতৃবৃন্দের পূজামণ্ডপ পরিদর্শনসহ শুভেচ্ছা বিনিময়  কলকাতা বাঙালির দুর্গাপূজা মুসলিমদেরও বড় আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যের উৎসব শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা রিসোর্ট থেকে সাবেক সচিবের মরদেহ উদ্ধার  কাকডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের সময় নারীসহ আটক-৪  সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনেস্তার শিকার এশিয়ান টিভির স্টাফ রিপোর্টার ফরিদ রায়পুরায় পূজামণ্ডপ ভাঙচুর গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনগর ইউপি চেয়ারম্যানের গোডাউন থেকে অবৈধ ভারতীয় চিনি উদ্ধার ময়মনসিংহ সাব-রেজিস্টার জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ মায়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি জেলে নিহত আহত-২  ঈশ্বরদীতে লিচু বাগান থেকে যুবকের র*ক্তা*ক্ত লা*শ উদ্ধার দৌলতপুরে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা অভাবে হাজার হেক্টর ফসলি জমি নষ্ঠ ফ্লোরিডার অঙ্গরাজ্যে আছড়ে পড়েছে হারিকেন মিল্টন, ভয়াবহ বিপর্যয়ের শঙ্কা  আজ মহা সপ্তমী পুজার্চনা মৌলভীবাজারে ডিবির অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-২ ভারতের বিখ্যাত শিল্পপতি টাটা গ্রুপের কর্ণধার রতন টাটা মারা গেছেন পুলিশের কাজের অগ্রগতি ফেরাতে ১০ থানায় ৫০ গাড়ি হস্তান্তর  এবার সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের জামিন মঞ্জুর  বিঘ্নে পূজা উৎযাপনের লক্ষ্যে র‍্যাব সচেষ্ট রয়েছে: র‍্যাব ডিজি সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু ও মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উৎযাপিত টংঙ্গীবাড়ীতে বালু দস্যুদের অস্ত্রের মহড়ায় আতংকে এলাকাবাসী  চলছে ষষ্ঠী পূজা; শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু আজ সদরপুরের চরবিষ্ণুপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ হাজারো মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায় বেঁচে আছেন নাজমুল হক হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু আজ মহাষষ্ঠী শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটি বাড়লো আরও একদিন হাজত থেকেই মুক্ত সাবেক এমপি সাবের হোসেন চৌধুরী ফতুল্লার যুবলীগ নেতা আজমত উল্লাহ্ গ্রেপ্তার

লৌহজংয়ে পদ্মার ভাঙ্গনে হুমকির মুখে মসজিদ মাদ্রাসাসহ বিস্তীর্ণ ভূমি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ১২:৫৬:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪ ৬৪ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মার ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে মসজিদ মাদ্রাসাসহ বিস্তীর্ণ ভূমি।সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার শামুর বাড়ি গ্রামের খান বাড়ি জামে মসজিদের তিন পাশ দিয়ে বইছে পদ্মা নদী।পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে মসজিদের ফ্লোরের নিচের অনেক অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।কাত হয়ে পড়ছে মূল ভবনটি।আর ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মধ্যেই নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা।মসজিদটির দক্ষিণ পাশে বইছে পদ্মা নদী।বিগত কিছুদিনের ভাঙ্গনে ওই মসজিদের নিচের মাটি সরে গিয়ে মসজিদের পশ্চিম ও পূর্ব পাশেও এখন বইছে পদ্মা।শুধু উত্তরভাগের স্থল অংশ এবং পূর্ব পাশের আংশিক অংশ স্থলভাগের সাথে সংযুক্ত রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে নদীতে বিলীন হয়ে যাবে মসজিদটি।এছাড়াও ওই মসজিদের পাশেই গাওদিয়া একাডেমী মাদ্রাসার ভবনের একটি কক্ষের বেশকিছু অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছি। ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে ভবনটির অন্যান্য কক্ষ।শামুর বাড়ি এলাকা ছাড়াও বর্ষাকে সামনে রেখে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় নদী তীরবর্তী এলাকার বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।ভাঙ্গন কবলিত কবলিত এলাকাগুলোতে স্থায়ী বাঁধের জন্য বরাদ্দ হলেও ধীরগতির কাজের কারণে ভাঙ্গন‌ অব্যাহত রয়েছে।
গাঁওদিয়া শ্বামুরবাড়ি খান বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় নদী ভাঙন রোধে ব্লক বানিয়ে রাখলেও ব্লক বানিয়ে রাখার পাশের স্থানেই চলছে ভাঙ্গন।এতে স্থানীয়দের মনে ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের অভিযোগ ব্লক বানিয়ে রাখা হয়েছে নদীতে ফেলা হচ্ছে না।তবে পদ্মা নদী তীরবর্তী বিভিন্ন অংশে নদী রক্ষা বাঁধের কাজও চলমান রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ,নদী রক্ষা বাঁধের কাজ চলছে ধীরগতিতে।বর্ষার পানি চলে এসেছে বাঁধের কাজ সম্পন্ন হয়নি।আমাদের বাড়িঘর নদীগর্ভে চলে গেলে কি বাঁধের কাজ শেষ করা হবে। সরেজমিনে উপজেলার গাঁওদিয়া শ্বামুরবাড়ি, বেজগাঁও, কনকসার এবং লৌহজং-তেউটিয়ার বিভিন্ন অংশে গিয়ে দেখা যায় নদীর পানি অনেক বেড়ে উপরে চলে এসেছ্বে।এসব অঞ্চলের অনেকাংশেই বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে অস্থায়ী বাধ নির্মাণ করা হয়েছিল।কিন্তু স্থানে স্থানে জিও ব্যাগ ধসে গিয়ে পুনরায় নদীতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়,নদীতে জোয়ার ভাটা হয়।জোয়ারে নদীর পানি পাড়ে এসে পৌঁছে।সে সময়ে নদী দিয়ে ভারি নৌযান চলাচলের সময়ে নদীর ঢেউয়ে পাড়ের মাটি ভেঙ্গে পড়ে যায়।বৃষ্টি হলেও ভাঙন হয়।মূলত নদীর ঢেউয়ে ভাঙনের সৃষ্টি।নদী তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন প্রতিরক্ষা বাঁধ তৈরি করা হলেও লৌহজং-তেউটিয়া এবং কনকসারের মাঝামাঝি এই অংশটিতে কোন কাজই করা হয়নি।গাঁওদিয়া শ্বামুরবাড়ি এলাকার এক নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,নদীটি আমার এই স্থান থেকে অনেকটা দূরে ছিল।এখন ভাঙতে ভাঙতে বাড়ির কাছে এসে পড়েছে।এখানে অনেক আগে নদী ভাঙন শুরু হয়।সামুর বাড়ি খান বাড়ি এলাকায় ২০০৪ সালে সর্বপ্রথম বালুর বস্তা ফালানো হয়। ২০২০ সাল পর্যন্ত মোটামুটি এখান দিয়ে ভাঙ্গন অনেকটাই কম ছিল।২০২০ সালের পর অনেকবারই এ অঞ্চলে বালুর বস্তা ফেলানো হলেও ভাঙ্গন চলছে।কিছুদিন আগে ঘূর্ণিঝড় রেমালের পর হতে এখান দিয়ে বালুর বস্তা ধসে মসজিদের নিচ হতে বালুর বস্তা সরে গেছে।এখন মসজিদটা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ।এই মসজিদের আশেপাশে এখন ভাঙ্গন বাড়ছে।তিনি আরও বলেন,রেমালের রাতে মসজিদের পাশের ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ খানের বাড়িটি ঘূর্ণিঝড়ে নদীতে বিলীন হয়ে যায়।আমরাও ঝুঁকির মধ্যে আছি।আমি শুনেছি স্থায়ী বাঁধের জন্য বরাদ্দ হয়েছে।আমরা চাই দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক।আমাদের এখানে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আসছিল, স্থানীয় এমপিও ছিল।তারা বলে গেছে দ্রুত বাধ দিব,কিন্তু কই এখন তো বাধ দিচ্ছে না।শামুর বাড়ি এলাকার টগর খান বলেন,আমাদের এলাকায় নদী ভাঙ্গন চলছে অনেক বছর ধরে।মাঝে মধ্যে জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙ্গন প্রতিরোধ তৈরি করা হয়।‌কিন্তু পাড়ের মাটি ভেঙ্গেই পড়ছে।আমাদের বাড়ি-ঘর যদি ভেঙ্গে যায় কোথায় যাবো।সরকার যদি ভাঙন প্রতিরোধে একটি বাঁধ তৈরি করে দিতো,না খেয়েও রাতে ঘুম ভালো হতো।এই এলাকার আরেক বাসিন্দা মো:নাদিম খান বলেন,আমাদের বাড়িঘর মসজিদ সব ভেঙে যাচ্ছে।তিনি ওই সময় নদীর পাড়ে থাকা কিছু ব্লক দেখিয়ে বলেন,ঠিকাদার ব্লক বানিয়ে নদীর পাড়ে রেখে দিয়েছে।পানি যখন কম থাকে তখন তারা ব্লক ফালায় না।বর্ষা হইলে পানিতে তলায় গেলে ব্লক ফেলে।তখন সে ব্লক আর কোন কাজে আসে না।একই এলাকার আরেক‌ বাসিন্দা বলেন,ঘর-বাড়ি নদীতে ভেঙে নিয়ে গেলে যাব কোথায়?আমার ভিটামাটি হারিয়ে গেলে কোথায় যাব?মাথা গোঁজার আর ঠাঁই থাকবে না। সব জায়গায় কম বেশি জিও ব্যাগ ফেলে নদী রক্ষা প্রতিরোধ বাঁধ তৈরি করা হয়েছে।আমাদের এই অংশে এখানো কেন কাজ হচ্ছে না? কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করি।আমি যে স্থানে দাঁড়িয়ে আছি এখান থেকে অনেক দূরে নদী ছিল,ভাঙতে ভাঙতে এখন বাড়ির পাশে এসে পড়েছে।গাওদিয়া একাডেমী মাদ্রাসার মুফতি বেলায়েত হোসেন বলেন,আমাদের মাদ্রাসাটি ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।এরপর হতে আমরা ঠিকমতই এখানে পাঠদান দিচ্ছিলাম।কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমালের রাতে আমাদের মাদ্রাসার একটি কক্ষ নদীতে বিলীন হয়ে যায়।প্রতিনিয়ত নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢেউয়ে ঢেউয়ে আমাদের মাদ্রাসার মাটি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।যদি ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নেয়া হয় তবে আমি আশঙ্কা করছি এক মাসের মধ্যে আমাদের মাদ্রাসার অর্ধেকাংশ নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।এ ব্যাপারে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন বলেন, লৌহজংয়ে পদ্মা তীরবর্তী অঞ্চলে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে।আমরা সামুর বাড়ি খান বাড়ির ভাঙ্গন কবলিত স্থানটি সরজমিনে পরিদর্শন করেছি।পরিদর্শনের শেষে ওখানে বাঁধ নির্মাণের জন্য একটা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।ওখানে তো কাজ ধরার কথা এখনো কাজ ধরেনি! আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ তাওহীদুল ইসলাম বলেন,লৌহজং এলাকায় নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাধের জন্য ৪০০ কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।কিন্তু বরাদ্দের টাকা সব একসাথে না এসে বছরে বছরে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ আসায় একসাথে আমাদের সব কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।আমরা এ বছর ৮০ কোটি টাকা পেয়েছি।সে টাকার কাজ চলছে।তবে যেসব স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে ওই সব স্থানে আমরা অস্থায়ী বালুর ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

লৌহজংয়ে পদ্মার ভাঙ্গনে হুমকির মুখে মসজিদ মাদ্রাসাসহ বিস্তীর্ণ ভূমি

আপডেট সময়- ১২:৫৬:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মার ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে মসজিদ মাদ্রাসাসহ বিস্তীর্ণ ভূমি।সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার শামুর বাড়ি গ্রামের খান বাড়ি জামে মসজিদের তিন পাশ দিয়ে বইছে পদ্মা নদী।পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে মসজিদের ফ্লোরের নিচের অনেক অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।কাত হয়ে পড়ছে মূল ভবনটি।আর ওই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মধ্যেই নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা।মসজিদটির দক্ষিণ পাশে বইছে পদ্মা নদী।বিগত কিছুদিনের ভাঙ্গনে ওই মসজিদের নিচের মাটি সরে গিয়ে মসজিদের পশ্চিম ও পূর্ব পাশেও এখন বইছে পদ্মা।শুধু উত্তরভাগের স্থল অংশ এবং পূর্ব পাশের আংশিক অংশ স্থলভাগের সাথে সংযুক্ত রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে নদীতে বিলীন হয়ে যাবে মসজিদটি।এছাড়াও ওই মসজিদের পাশেই গাওদিয়া একাডেমী মাদ্রাসার ভবনের একটি কক্ষের বেশকিছু অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছি। ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে ভবনটির অন্যান্য কক্ষ।শামুর বাড়ি এলাকা ছাড়াও বর্ষাকে সামনে রেখে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় নদী তীরবর্তী এলাকার বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।ভাঙ্গন কবলিত কবলিত এলাকাগুলোতে স্থায়ী বাঁধের জন্য বরাদ্দ হলেও ধীরগতির কাজের কারণে ভাঙ্গন‌ অব্যাহত রয়েছে।
গাঁওদিয়া শ্বামুরবাড়ি খান বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় নদী ভাঙন রোধে ব্লক বানিয়ে রাখলেও ব্লক বানিয়ে রাখার পাশের স্থানেই চলছে ভাঙ্গন।এতে স্থানীয়দের মনে ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের অভিযোগ ব্লক বানিয়ে রাখা হয়েছে নদীতে ফেলা হচ্ছে না।তবে পদ্মা নদী তীরবর্তী বিভিন্ন অংশে নদী রক্ষা বাঁধের কাজও চলমান রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ,নদী রক্ষা বাঁধের কাজ চলছে ধীরগতিতে।বর্ষার পানি চলে এসেছে বাঁধের কাজ সম্পন্ন হয়নি।আমাদের বাড়িঘর নদীগর্ভে চলে গেলে কি বাঁধের কাজ শেষ করা হবে। সরেজমিনে উপজেলার গাঁওদিয়া শ্বামুরবাড়ি, বেজগাঁও, কনকসার এবং লৌহজং-তেউটিয়ার বিভিন্ন অংশে গিয়ে দেখা যায় নদীর পানি অনেক বেড়ে উপরে চলে এসেছ্বে।এসব অঞ্চলের অনেকাংশেই বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে অস্থায়ী বাধ নির্মাণ করা হয়েছিল।কিন্তু স্থানে স্থানে জিও ব্যাগ ধসে গিয়ে পুনরায় নদীতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়,নদীতে জোয়ার ভাটা হয়।জোয়ারে নদীর পানি পাড়ে এসে পৌঁছে।সে সময়ে নদী দিয়ে ভারি নৌযান চলাচলের সময়ে নদীর ঢেউয়ে পাড়ের মাটি ভেঙ্গে পড়ে যায়।বৃষ্টি হলেও ভাঙন হয়।মূলত নদীর ঢেউয়ে ভাঙনের সৃষ্টি।নদী তীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন প্রতিরক্ষা বাঁধ তৈরি করা হলেও লৌহজং-তেউটিয়া এবং কনকসারের মাঝামাঝি এই অংশটিতে কোন কাজই করা হয়নি।গাঁওদিয়া শ্বামুরবাড়ি এলাকার এক নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,নদীটি আমার এই স্থান থেকে অনেকটা দূরে ছিল।এখন ভাঙতে ভাঙতে বাড়ির কাছে এসে পড়েছে।এখানে অনেক আগে নদী ভাঙন শুরু হয়।সামুর বাড়ি খান বাড়ি এলাকায় ২০০৪ সালে সর্বপ্রথম বালুর বস্তা ফালানো হয়। ২০২০ সাল পর্যন্ত মোটামুটি এখান দিয়ে ভাঙ্গন অনেকটাই কম ছিল।২০২০ সালের পর অনেকবারই এ অঞ্চলে বালুর বস্তা ফেলানো হলেও ভাঙ্গন চলছে।কিছুদিন আগে ঘূর্ণিঝড় রেমালের পর হতে এখান দিয়ে বালুর বস্তা ধসে মসজিদের নিচ হতে বালুর বস্তা সরে গেছে।এখন মসজিদটা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ।এই মসজিদের আশেপাশে এখন ভাঙ্গন বাড়ছে।তিনি আরও বলেন,রেমালের রাতে মসজিদের পাশের ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ খানের বাড়িটি ঘূর্ণিঝড়ে নদীতে বিলীন হয়ে যায়।আমরাও ঝুঁকির মধ্যে আছি।আমি শুনেছি স্থায়ী বাঁধের জন্য বরাদ্দ হয়েছে।আমরা চাই দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক।আমাদের এখানে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আসছিল, স্থানীয় এমপিও ছিল।তারা বলে গেছে দ্রুত বাধ দিব,কিন্তু কই এখন তো বাধ দিচ্ছে না।শামুর বাড়ি এলাকার টগর খান বলেন,আমাদের এলাকায় নদী ভাঙ্গন চলছে অনেক বছর ধরে।মাঝে মধ্যে জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙ্গন প্রতিরোধ তৈরি করা হয়।‌কিন্তু পাড়ের মাটি ভেঙ্গেই পড়ছে।আমাদের বাড়ি-ঘর যদি ভেঙ্গে যায় কোথায় যাবো।সরকার যদি ভাঙন প্রতিরোধে একটি বাঁধ তৈরি করে দিতো,না খেয়েও রাতে ঘুম ভালো হতো।এই এলাকার আরেক বাসিন্দা মো:নাদিম খান বলেন,আমাদের বাড়িঘর মসজিদ সব ভেঙে যাচ্ছে।তিনি ওই সময় নদীর পাড়ে থাকা কিছু ব্লক দেখিয়ে বলেন,ঠিকাদার ব্লক বানিয়ে নদীর পাড়ে রেখে দিয়েছে।পানি যখন কম থাকে তখন তারা ব্লক ফালায় না।বর্ষা হইলে পানিতে তলায় গেলে ব্লক ফেলে।তখন সে ব্লক আর কোন কাজে আসে না।একই এলাকার আরেক‌ বাসিন্দা বলেন,ঘর-বাড়ি নদীতে ভেঙে নিয়ে গেলে যাব কোথায়?আমার ভিটামাটি হারিয়ে গেলে কোথায় যাব?মাথা গোঁজার আর ঠাঁই থাকবে না। সব জায়গায় কম বেশি জিও ব্যাগ ফেলে নদী রক্ষা প্রতিরোধ বাঁধ তৈরি করা হয়েছে।আমাদের এই অংশে এখানো কেন কাজ হচ্ছে না? কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করি।আমি যে স্থানে দাঁড়িয়ে আছি এখান থেকে অনেক দূরে নদী ছিল,ভাঙতে ভাঙতে এখন বাড়ির পাশে এসে পড়েছে।গাওদিয়া একাডেমী মাদ্রাসার মুফতি বেলায়েত হোসেন বলেন,আমাদের মাদ্রাসাটি ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।এরপর হতে আমরা ঠিকমতই এখানে পাঠদান দিচ্ছিলাম।কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমালের রাতে আমাদের মাদ্রাসার একটি কক্ষ নদীতে বিলীন হয়ে যায়।প্রতিনিয়ত নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢেউয়ে ঢেউয়ে আমাদের মাদ্রাসার মাটি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।যদি ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নেয়া হয় তবে আমি আশঙ্কা করছি এক মাসের মধ্যে আমাদের মাদ্রাসার অর্ধেকাংশ নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।এ ব্যাপারে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন বলেন, লৌহজংয়ে পদ্মা তীরবর্তী অঞ্চলে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে।আমরা সামুর বাড়ি খান বাড়ির ভাঙ্গন কবলিত স্থানটি সরজমিনে পরিদর্শন করেছি।পরিদর্শনের শেষে ওখানে বাঁধ নির্মাণের জন্য একটা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।ওখানে তো কাজ ধরার কথা এখনো কাজ ধরেনি! আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ তাওহীদুল ইসলাম বলেন,লৌহজং এলাকায় নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাধের জন্য ৪০০ কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।কিন্তু বরাদ্দের টাকা সব একসাথে না এসে বছরে বছরে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ আসায় একসাথে আমাদের সব কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।আমরা এ বছর ৮০ কোটি টাকা পেয়েছি।সে টাকার কাজ চলছে।তবে যেসব স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে ওই সব স্থানে আমরা অস্থায়ী বালুর ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।