ঢাকা ০৯:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
ডিসির কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে সেনা কর্মকর্তাদের ঢাবিতে তোফাজ্জল হ*ত্যা*র নেপথ্যের কারা..? আওয়ামী মহল বাঁধনের ওপর মহা বিল্লা: পিনাকী ভট্টাচার্য সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানে যুক্তরাজ্যেই ৩৬০টি বাড়ি  আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রান ঝড়েছে ৪৭৬ জনের  দিল্লির লোধি গার্ডেনে পুতুলের সঙ্গে ঘুরতে দেখা গেছে শেখ হাসিনাকে পিআইবির মহাপরিচালক(ডিজি) হলেন ফারুক ওয়াসিফ স্টাইলিশ গার্মেন্টস’র চেয়ারম্যানের নামে ভুয়া আইডি খুলে অপপ্রচার থানায় জিডি দুইশ’র অধিক মামলা ডিএমপিতে, বাদী চেনেন না আসামিকে! নারায়ণগঞ্জে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় শিল্প পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু  নারায়ণগঞ্জে আজমেরী ওসমানের টর্চার সেল পরিদর্শনে র‍্যাব-১১ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা: ধারা অনুযায়ী কী কী কার্য করতে পারবে সেনাবাহিনী ঢাকা শিক্ষা ভবনে শিক্ষক লাঞ্চিতের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় মানববন্ধন ফরিদপুরের সদরপুরে বাঁশের সাকো নির্মাণে চেয়ারম্যানের গাফিলতি মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলি টেকনাফ স্থলবন্দরের সীমানায়  কেউ গণতন্ত্রকে লুট করার চেষ্টা চালালে প্রতিহত করা হবে: মির্জা ফখরুল গত দেড় দশক বাংলাদেশে ছিল মাফিয়া শাসন: তারেক রহমান নিতাইগঞ্জ ট্রাক স্ট্যান্ড ও ডাইলপট্টি শ্রমিক-কর্মচারীদের মিলাদ মাহফিল টেকনাফে বিজিবির অভিযান: ১০ কেজি স্বর্ণ ও মোবাইলসহ গ্রেফতার-২  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কে এই মালা খান..? নাসিক কাউন্সিলর ইকবাল সহ-সভাপতি নির্বাচিত অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী ও অরুণা বিশ্বাসের নামে না’গঞ্জে মামলা আজ নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ ঘা*তক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির গ্রেপ্তার কোনো সংস্কার জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া সম্ভব নয়: মির্জা ফখরুল ভাইরাল শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রটি ভুয়া দাবি আ’লীগের ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষ্যে মুন্সীগঞ্জে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত  ৭১টিভির সিইও সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু-শ্যামল দত্তসহ আটক ৪ সাবেক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী গ্রেপ্তার সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর গ্রেপ্তার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী(সা.) আজ রাসূলুল্লাহ(সা.)এর জন্ম তারিখ নিয়ে ঐতিহাসিকদের অভিমত: ফেরদৌস আলম শেখ হাসিনার সময় দেশ দুর্নীতির সাগরে নিমজ্জিত ছিল: মন্তব্য ড. ইউনূসের সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন পাঁচ দিনের রিমান্ডে সাংবাদিকদের নামে ঢালাও মামলা অন্তবর্তী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ৪’শ ২২জনই বিএনপির : মির্জা ফখরুল সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গ্রেপ্তার দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড দামে স্বর্ণ,ভরি ১ লাখ ৩০ হাজার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে জ্যোতি চার দিনের রিমান্ডে ইসলামের দৃষ্টিতে সফলতা অর্জন- ফেরদৌস আলম শ্রীমঙ্গলের হোটেল প্যারাগনে আ’লীগ নেতা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কাউন্সিলর আটক বকশীগঞ্জে পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের চেষ্টার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন মুন্সীগঞ্জে শাপলা কুড়িয়ে চলে ছিন্নমূল শিশুসহ হাজারো পরিবারের জীবন-জীবিকা  মুন্সীগঞ্জে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে আ’লীগ নেতার বিএনপিতে যোগদান ভৈরবের মৌটুপি গ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত-১, আহত-৪০ বকশীগঞ্জ চরকাউরিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দূর্নীতিসহ অর্থ-আত্মসাৎ অভিযোগ  চট্টগ্রামে ৮দফা দাবিতে সংখ্যালঘু সনাতনীদের বৃষ্টিতে ভিজে গণজমায়েত টেকনাফে ভারী বৃষ্টিতে ৫০টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত টঙ্গীবাড়ীতে বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ৮’শ সদস্য এখনো পলাতক  সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে শাফির রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ শেখ হাসিনাকে বহনকারী ফ্লাইটি যেভাবে রাডারের বাইরে রাখা হয়েছিলো গণতন্ত্র দিবসে দেশ পুনর্গঠনে নতুন বার্তা দিবেন তারেক রহমান মিরপুরে ফজলু হত্যা: শেখ হাসিনা ও ২৫ সাংবাদিকসহ ১৬৫ জনের নামে মামলা না’গঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবীতে ক্রোণী গ্রুপের শ্রমিকদের বিক্ষোভ মুন্সীগঞ্জের পদ্মা নদীতে বালু উত্তোলন পয়েন্টে অস্ত্রের মহড়া আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোয় ‘জড়িত’ সেই পুলিশ সদস্য আরাফাত গ্রেপ্তার কোনো মার্ডার পুলিশের গুলিতে হয়নি, কিলিং এজেন্ট ছিল: দাবি শেখ হাসিনার সকল শঙ্কা কাটিয়ে চট্টগ্রামে প্রথম নারী ডিসি ফরিদা খানমের যোগদান রাজনৈতিক দলগুলো যা করতে পারেনি শিক্ষার্থীরা তা করে দেখিয়েছে: মান্না তথ্য ও আইসিটি সচিব ওএসডি রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে ১৬ জেলায় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন যৌথ বাহিনীর অভিযানে কুলাউড়া যুবলীগের সেক্রেটারি গ্রেপ্তার  পদত্যাগ করেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম শ্রীমঙ্গলে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ৭তলা আধুনিক ভবন নির্মাণ কাজ শুরু  মৌলভীবাজার জেলার ৭ থানার ওসি একযোগে বদলি গনঅধিকার ফেরাতে ছাত্র জনতার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে: গিয়াস উদ্দিন সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ভাংচুর যুব সমাজে আল্লাহর প্রেম ও রাসূলে আদর্শ কমে গেছে: মাও. ফেরদাউস বকশীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তাকে হত্যা হুমকি সিদ্ধিরগঞ্জে মিলন হত্যার ১মাস ২০দিন পর পটুয়াখালী থেকে লাশ উত্তোলন  মৌলভীবাজারে বন্যার পানি নামলেও দৃশ্যমান ক্ষয়ক্ষতি চিহ্ন   ভৈরব মেঘনা নদীগর্ভে বিলীন ২০টিরও বেশি বসতবাড়ি-ঘর ভৈরবে ট্রেনের ধাক্কায় সেতু থেকে পড়ে ২জনের মৃত্যু  সাইবারসহ সব কালো আইন বাতিল বা প্রয়োজনে সংস্কার করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা নাটোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সমাবেশ মঞ্চ ভাঙচুর বিশেষ ৬ খাত সংস্কারে আলাদা ছয় কমিশন গঠন, নেতৃত্বে বিশিষ্টজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত বিষয়ে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা রূপগঞ্জ এসিল্যান্ড অফিসে জনদূর্ভোগ চরমে নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সাথে বিএনপির সংঘর্ষে ১৫ শিক্ষার্থী আহত ফতুল্লায় মাদকবিরোধী মিছিলে সন্ত্রাসী হামলাসহ গুলিবর্ষণে এলাকা রনক্ষেত্র বন্ধ হয়ে গেলো বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন পূর্বাচলে শেখ হাসিনা ও রেহানা পরিবারের নামে বরাদ্দ প্লট বাতিল চেয়ে রিট ড.ইউনূসকে প্রধান করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ গঠন পুলিশের সব ইউনিটকে যে বার্তা দিলেন আইজিপি ময়নুল ইসলাম সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতা সন্ত্রাসী শামীম ঢালির বিচারের দাবিতে মানববন্ধন জুড়ীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪ কি:মি: সড়ক সংস্কার করলো যুবকরা সীমান্তে উত্তেজনা: ঢাকায় কড়া প্রতিবাদের ৪ দিনের মাথায় ফের হত্যা বরগুনায় মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় কথিত বিএনপি নেতা শাওনের বিরুদ্ধে মামলা দুদকের পরিচালক ও উপপরিচালক পদে বড় রদবদল বৈষম্যমূলক মজুরী ও শ্রম নীতি শ্রমিক অসন্তোষের অন্যতম কারণ- শ্রমিক নেতা গোলক মুন্সীগঞ্জের আড়িয়াল বিলে ড্রেজার আসতে পারবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা ভারতীয় সীমান্তে স্কুল ছাত্রী স্বর্ণা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন  সোনারগাঁয়ে নতুন ইউএনও’র দায়িত্বে ফারজানা রহমান ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক(ডিসি) নিয়োগ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ পাবনা কারাগারে থাকা ঈশ্বরদীর ১২ নেতাকর্মীরা মুক্ত মৌলভীবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে লক্ষাধিক ঘনফুট বালু জব্দ  মাসদাইর আ’লীগ ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি আতাউর প্রধান ছাড়া বিএনপির চলেই না

কমলগঞ্জের মাগুরছড়া ট্র্যাজেডি আজ! ২৭ বছরেও মিলেনি ক্ষতিপূরণ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৪:৪১:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়া গ্যাস কূপে বিস্ফোরণের ২৭ বছর আজ।
আজ শুক্রবার (১৪ই জুন)। এখনও বাংলাদেশ সেই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী মার্কিন প্রতিষ্ঠান অক্সিডেন্টাল থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারেনি। বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে নিস্ক্রিয় হলেও দেশের স্বার্থরক্ষার আন্দোলনকারীরা সরব রয়েছেন।
১৯৯৭ সালের ১৪ জুন মধ্যরাতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়া এলাকায় ফুলবাড়ী চা-বাগানের সম্মুখভাগে অবস্থিত ১নং গ্যাস অনুসন্ধান কূপে খননকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। আকস্মিক এ বিস্ফোরণের পর আগুনের লেলিহান শিখা ৬০০ ফুট উচ্চতায় উঠে যায়। ভয়াবহ সেই অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য আজও ভাসে মৌলভীবাজার জেলাসহ আশপাশের কয়েকটি জেলার মানুষের মনের চোঁখে।
১৯৯৫ সালে বৃহত্তর সিলেটের ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর ব্লকে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয় মার্কিনী কোম্পানি অক্সিডেন্টাল অব বাংলাদেশ লিমিটেডের। গ্যাস অনুসন্ধান শুরুর পর কমলগঞ্জবাসীর মনে দেখা দেয় আনন্দ। তেল-গ্যাসে সমৃদ্ধ হবে এলাকা- এমন ভেবে এলাকার মানুষ আনন্দে উল্লসিত হয়। ৩ হাজার ৭০০ মিটার কূপ খনন করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। ৮৪০ মিটার খনন করার পরপরই ঘটে স্মরন কালের দুর্ঘটনা।
আগুনের লেলিহান শিখা চা বাগান, সংরক্ষিত বনাঞ্চল, বিদ্যুৎলাইন, সিলেট-আখাউড়া রেলপথ, শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ-শমসেরনগর-ব্রাহ্মণবাজার-কুলাউড়ার সড়কপথ, গ্যাস পাইপলাইন, গ্যাসকুপ, রিজার্ভ গ্যাস, পরিবেশ, পানি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মারা যায় হাজার হাজার বন্যপ্রাণী ও পাখি। টানা ১৫ দিন আগুনের সূত্রপাত হয়ে জ্বলার পর যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনের ইন্টারন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির বিশেষজ্ঞ রিচার্ড চাইল্ড রি-সহ চার সদস্যের একটি দল আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
তবে পুরো কূপের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগে প্রায় ছয় মাস। মাগুরছড়ায় সংঘটিত ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনার স্মৃতি আজও ভুলতে পারেনি কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার জেলা সহ আশেপাশের জেলার মানুষ। এমন বিপুল পরিমাণ ক্ষতির জন্য এলাকাবাসী কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি।
তেল-গ্যাস বিশেষজ্ঞদের মতে, মাগুরছড়া গ্যাসফিল্ডে ভূগর্ভস্থ উত্তোলনযোগ্য ২৪৫.৮৬ বিসিএফ গ্যাস পুড়ে যায়, যার দাম প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা। অন্যান্য ক্ষতি আরও ১১ হাজার কোটি টাকা। দুর্ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট একাধিক গবেষণা থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়। অগ্নিকাণ্ডে মাগুরছড়া ও আশপাশের ৮৭ দশমিক ৫০ একর এলাকা ব্যাপকভাবে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মাগুরছড়া গ্যাসকূপ বিস্ফোরণের কারণে ২৯টি চা-বাগানের ৪৬ কোটি ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৮৩০ টাকার ক্ষতি হয়। তাছাড়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ৬৯.৫ হেক্টর এলাকার ২৫ হাজার ৬৫০টি পূর্ণবয়স্ক গাছ আগুনে পুড়ে যাওয়ায় ক্ষতি হয় প্রায় ৩৩ কোটি ৬১ লাখ টাকার। সরকারের তদন্তে ক্ষতি বাবদ ধরা হয় ৫০৭ কোটি ১২ লাখ টাকা। এছাড়া বনাঞ্চলের সম্ভাব্য ক্ষতি হয়েছে ৪০ হেক্টর ভূমি এবং ১৫ হাজার ৪৫০টি বৃক্ষ। ক্ষতি থেকে পুনরুদ্ধার পেতে ১০ বছরে ক্ষতির পরিমাণ ৪৮৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ বনাঞ্চলের মোট ক্ষতি ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৮৫৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা। বিস্ফোরণের ফলে ২ হাজার ফুট রেলওয়ে ট্র্যাক পুড়ে ধ্বংস হয়েছে। এতে রাজস্ব ব্যতীত ক্ষতি হয়েছে ৮১ লাখ ৫৪ হাজার ৩৯৫ টাকা।
সড়ক পথের ক্ষতি হয় ২১ কোটি টাকা। গ্যাস পাইপলাইনের ক্ষতি ১৩ লাখ টাকা। বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতি ১ কোটি ৩৫ লাখ ৯ হাজার ১৮৬ টাকা। মাগুরছড়া খাসিয়া পানপুঞ্জির আদিবাসীদের পানের বরজসমূহে প্রতিদিন ৪৭ হাজার ৭৫০ টাকা হারে মোট ক্ষতি ১২ লাখ টাকা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ভানুগাছ সংরক্ষিত বনের ১২৫০ হেক্টর এলাকাকে ১৯৭৪ সালের বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী ১৯৯৬ সালে ঘোষণা করা হয় লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। মাগুরছড়া গ্যাসকূপের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এ বনের বিপন্ন বন্যপ্রাণীসহ জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যায়।
গ্যাসকূপ খনন কাজে সাধারণত ‘ডিনামাইট’ জাতীয় বিস্ফোরক ব্যবহার করার নিয়ম থাকলেও অক্সিডেন্টাল মাগুরছড়ার গ্যাস কূপ খনন কাজে বিস্ফোরক হিসেবে প্রাণঘাতী ও পরিবেশবিনাশী তেজস্ক্রিয়যুক্ত ‘রেডিও অ্যাকটিভ সোর্স’ ব্যবহার করেছিল বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটির সংশ্লিষ্টরা। অক্সিডেন্টালের খনন কাজের আনাড়িপনা, অনভিজ্ঞতা, দায়িত্বে অবহেলার উদাসীনতার, অযোগ্যতার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে ওই কমিটির অভিমত।
মাগুরছড়া অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবিতে আন্দোলন এখনও চলমান। প্রতি বছর ১৪ জুন এ এলাকার সাধারণ মানুষ মানববন্ধনসহ নানা কর্মসুচি পালন করে আসছে। ১৯৯৭ সালের ১৪ জুন বিস্ফোরণের পর ছয় মাসের অধিককাল ধরে জ্বলতে থাকা কুপের উৎস মুখ সিল করার কাজ সম্পন্ন হয় ১৯৯৮ সালের ৯ জানুয়ারি। তার আগেই ১৯৯৭ সালের ২০ ডিসেম্বর অক্সিডেন্টাল মাগুরছড়া থেকে বিদায় নেয়। এ অবস্থায় এলাকায় জনগণের মধ্যে দেখা দেয় তীব্র প্রতিক্রিয়া।
১৯৯৮ সালের ১০ জানুয়ারি রাস্তায় বড় বড় গাছ ফেলে ব্যারিকেড তৈরি ও প্রতিবাদ করে হাজার হাজার মানুষ। সাধারণ মানুষ শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ-মৌলভীবাজারসহ সমগ্র সিলেট বিভাগ ও দেশের বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, পদযাত্রা করে।
মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জির মন্ত্রী জিডিসন প্রধান সুচিয়াং বলেন, এ ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রাকৃতিক বনের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা কেউ বুঝতে পারেনি। আমরা যারা এ বনে বসবাস করছি তারা বুঝতে পারছি।
এ বিষয়ে মাগুরছড়া তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতা সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেন, ১৯৯৭ সালের ১৪ জুন মাগুরছড়া গ্যাসকূপে অগ্নিকাণ্ডের পর যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল, সে কমিটি এক মাসের মধ্যেই তদন্ত রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। ওই রিপোর্ট বীমা কোম্পানিতে জমা দিয়ে অক্সিডেন্টাল তাদের বীমাকৃত যন্ত্রাংশ, রিগ ইত্যাদির ক্ষতিপূরণ আদায় করে নেয়। কিন্তু কোম্পানির কাছ থেকে সরকার বা এলাকাবাসী এখনও কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি। সরকার আন্তর্জাতিক আদালতের শরণাপন্ন হলে অক্সিডেন্টাল থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা সম্ভব বলে মনে করেন সৈয়দ আমিরুজ্জামান।
লাউয়াছড়া বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বনের ক্ষতি নিরূপণ করা হলেও এ পর্যন্ত কিছুই পাওয়া যায়নি। প্রাকৃতিক বনের ক্ষতি কোনো সময়ে পুষিয়ে ওঠার নয়। আমার জানামতে মাগুরছড়া গ্যাসকূপ বিস্ফোরণে কোনো ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়নি। বন ও পরিবেশের এই ক্ষতিপূরণ আদায় নিশ্চিত হওয়া আমাদেরও দাবি।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, মাগুরছড়ায় অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপারে আমার কাছে ক্ষতিপূরণের কোনো আবেদন জমা নেই। ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিয়ে কেউ আমার কাছে আসেনি। পরিবেশ বিপর্যয়ের ব্যাপারে আগের অভিজ্ঞতা নিয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
এদিকে মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৭ তম বার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার ( ১৪ জুন) জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি, কমলগঞ্জ উন্নয়ন পরিষদ, পাহাড় রক্ষা উন্নয়ন সোসাইটিসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন এর উদ্যোগে কমলগঞ্জে উপজেলা মাগুরছড়া গ্যাস বিষ্ফোরণের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশ, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও কমলগঞ্জের ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগের দাবীতে এক মানববন্ধন কর্মসুচী পালিত হচ্ছে প্রতিবছর।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

কমলগঞ্জের মাগুরছড়া ট্র্যাজেডি আজ! ২৭ বছরেও মিলেনি ক্ষতিপূরণ

আপডেট সময়- ০৪:৪১:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪
তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়া গ্যাস কূপে বিস্ফোরণের ২৭ বছর আজ।
আজ শুক্রবার (১৪ই জুন)। এখনও বাংলাদেশ সেই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী মার্কিন প্রতিষ্ঠান অক্সিডেন্টাল থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারেনি। বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে নিস্ক্রিয় হলেও দেশের স্বার্থরক্ষার আন্দোলনকারীরা সরব রয়েছেন।
১৯৯৭ সালের ১৪ জুন মধ্যরাতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়া এলাকায় ফুলবাড়ী চা-বাগানের সম্মুখভাগে অবস্থিত ১নং গ্যাস অনুসন্ধান কূপে খননকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। আকস্মিক এ বিস্ফোরণের পর আগুনের লেলিহান শিখা ৬০০ ফুট উচ্চতায় উঠে যায়। ভয়াবহ সেই অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য আজও ভাসে মৌলভীবাজার জেলাসহ আশপাশের কয়েকটি জেলার মানুষের মনের চোঁখে।
১৯৯৫ সালে বৃহত্তর সিলেটের ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর ব্লকে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয় মার্কিনী কোম্পানি অক্সিডেন্টাল অব বাংলাদেশ লিমিটেডের। গ্যাস অনুসন্ধান শুরুর পর কমলগঞ্জবাসীর মনে দেখা দেয় আনন্দ। তেল-গ্যাসে সমৃদ্ধ হবে এলাকা- এমন ভেবে এলাকার মানুষ আনন্দে উল্লসিত হয়। ৩ হাজার ৭০০ মিটার কূপ খনন করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। ৮৪০ মিটার খনন করার পরপরই ঘটে স্মরন কালের দুর্ঘটনা।
আগুনের লেলিহান শিখা চা বাগান, সংরক্ষিত বনাঞ্চল, বিদ্যুৎলাইন, সিলেট-আখাউড়া রেলপথ, শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ-শমসেরনগর-ব্রাহ্মণবাজার-কুলাউড়ার সড়কপথ, গ্যাস পাইপলাইন, গ্যাসকুপ, রিজার্ভ গ্যাস, পরিবেশ, পানি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মারা যায় হাজার হাজার বন্যপ্রাণী ও পাখি। টানা ১৫ দিন আগুনের সূত্রপাত হয়ে জ্বলার পর যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনের ইন্টারন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির বিশেষজ্ঞ রিচার্ড চাইল্ড রি-সহ চার সদস্যের একটি দল আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
তবে পুরো কূপের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগে প্রায় ছয় মাস। মাগুরছড়ায় সংঘটিত ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনার স্মৃতি আজও ভুলতে পারেনি কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার জেলা সহ আশেপাশের জেলার মানুষ। এমন বিপুল পরিমাণ ক্ষতির জন্য এলাকাবাসী কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি।
তেল-গ্যাস বিশেষজ্ঞদের মতে, মাগুরছড়া গ্যাসফিল্ডে ভূগর্ভস্থ উত্তোলনযোগ্য ২৪৫.৮৬ বিসিএফ গ্যাস পুড়ে যায়, যার দাম প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা। অন্যান্য ক্ষতি আরও ১১ হাজার কোটি টাকা। দুর্ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট একাধিক গবেষণা থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়। অগ্নিকাণ্ডে মাগুরছড়া ও আশপাশের ৮৭ দশমিক ৫০ একর এলাকা ব্যাপকভাবে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মাগুরছড়া গ্যাসকূপ বিস্ফোরণের কারণে ২৯টি চা-বাগানের ৪৬ কোটি ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৮৩০ টাকার ক্ষতি হয়। তাছাড়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ৬৯.৫ হেক্টর এলাকার ২৫ হাজার ৬৫০টি পূর্ণবয়স্ক গাছ আগুনে পুড়ে যাওয়ায় ক্ষতি হয় প্রায় ৩৩ কোটি ৬১ লাখ টাকার। সরকারের তদন্তে ক্ষতি বাবদ ধরা হয় ৫০৭ কোটি ১২ লাখ টাকা। এছাড়া বনাঞ্চলের সম্ভাব্য ক্ষতি হয়েছে ৪০ হেক্টর ভূমি এবং ১৫ হাজার ৪৫০টি বৃক্ষ। ক্ষতি থেকে পুনরুদ্ধার পেতে ১০ বছরে ক্ষতির পরিমাণ ৪৮৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ বনাঞ্চলের মোট ক্ষতি ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৮৫৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা। বিস্ফোরণের ফলে ২ হাজার ফুট রেলওয়ে ট্র্যাক পুড়ে ধ্বংস হয়েছে। এতে রাজস্ব ব্যতীত ক্ষতি হয়েছে ৮১ লাখ ৫৪ হাজার ৩৯৫ টাকা।
সড়ক পথের ক্ষতি হয় ২১ কোটি টাকা। গ্যাস পাইপলাইনের ক্ষতি ১৩ লাখ টাকা। বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতি ১ কোটি ৩৫ লাখ ৯ হাজার ১৮৬ টাকা। মাগুরছড়া খাসিয়া পানপুঞ্জির আদিবাসীদের পানের বরজসমূহে প্রতিদিন ৪৭ হাজার ৭৫০ টাকা হারে মোট ক্ষতি ১২ লাখ টাকা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ভানুগাছ সংরক্ষিত বনের ১২৫০ হেক্টর এলাকাকে ১৯৭৪ সালের বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী ১৯৯৬ সালে ঘোষণা করা হয় লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। মাগুরছড়া গ্যাসকূপের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এ বনের বিপন্ন বন্যপ্রাণীসহ জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যায়।
গ্যাসকূপ খনন কাজে সাধারণত ‘ডিনামাইট’ জাতীয় বিস্ফোরক ব্যবহার করার নিয়ম থাকলেও অক্সিডেন্টাল মাগুরছড়ার গ্যাস কূপ খনন কাজে বিস্ফোরক হিসেবে প্রাণঘাতী ও পরিবেশবিনাশী তেজস্ক্রিয়যুক্ত ‘রেডিও অ্যাকটিভ সোর্স’ ব্যবহার করেছিল বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটির সংশ্লিষ্টরা। অক্সিডেন্টালের খনন কাজের আনাড়িপনা, অনভিজ্ঞতা, দায়িত্বে অবহেলার উদাসীনতার, অযোগ্যতার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে ওই কমিটির অভিমত।
মাগুরছড়া অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবিতে আন্দোলন এখনও চলমান। প্রতি বছর ১৪ জুন এ এলাকার সাধারণ মানুষ মানববন্ধনসহ নানা কর্মসুচি পালন করে আসছে। ১৯৯৭ সালের ১৪ জুন বিস্ফোরণের পর ছয় মাসের অধিককাল ধরে জ্বলতে থাকা কুপের উৎস মুখ সিল করার কাজ সম্পন্ন হয় ১৯৯৮ সালের ৯ জানুয়ারি। তার আগেই ১৯৯৭ সালের ২০ ডিসেম্বর অক্সিডেন্টাল মাগুরছড়া থেকে বিদায় নেয়। এ অবস্থায় এলাকায় জনগণের মধ্যে দেখা দেয় তীব্র প্রতিক্রিয়া।
১৯৯৮ সালের ১০ জানুয়ারি রাস্তায় বড় বড় গাছ ফেলে ব্যারিকেড তৈরি ও প্রতিবাদ করে হাজার হাজার মানুষ। সাধারণ মানুষ শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ-মৌলভীবাজারসহ সমগ্র সিলেট বিভাগ ও দেশের বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, পদযাত্রা করে।
মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জির মন্ত্রী জিডিসন প্রধান সুচিয়াং বলেন, এ ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রাকৃতিক বনের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা কেউ বুঝতে পারেনি। আমরা যারা এ বনে বসবাস করছি তারা বুঝতে পারছি।
এ বিষয়ে মাগুরছড়া তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতা সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেন, ১৯৯৭ সালের ১৪ জুন মাগুরছড়া গ্যাসকূপে অগ্নিকাণ্ডের পর যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল, সে কমিটি এক মাসের মধ্যেই তদন্ত রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। ওই রিপোর্ট বীমা কোম্পানিতে জমা দিয়ে অক্সিডেন্টাল তাদের বীমাকৃত যন্ত্রাংশ, রিগ ইত্যাদির ক্ষতিপূরণ আদায় করে নেয়। কিন্তু কোম্পানির কাছ থেকে সরকার বা এলাকাবাসী এখনও কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি। সরকার আন্তর্জাতিক আদালতের শরণাপন্ন হলে অক্সিডেন্টাল থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা সম্ভব বলে মনে করেন সৈয়দ আমিরুজ্জামান।
লাউয়াছড়া বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বনের ক্ষতি নিরূপণ করা হলেও এ পর্যন্ত কিছুই পাওয়া যায়নি। প্রাকৃতিক বনের ক্ষতি কোনো সময়ে পুষিয়ে ওঠার নয়। আমার জানামতে মাগুরছড়া গ্যাসকূপ বিস্ফোরণে কোনো ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়নি। বন ও পরিবেশের এই ক্ষতিপূরণ আদায় নিশ্চিত হওয়া আমাদেরও দাবি।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, মাগুরছড়ায় অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপারে আমার কাছে ক্ষতিপূরণের কোনো আবেদন জমা নেই। ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিয়ে কেউ আমার কাছে আসেনি। পরিবেশ বিপর্যয়ের ব্যাপারে আগের অভিজ্ঞতা নিয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
এদিকে মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৭ তম বার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার ( ১৪ জুন) জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি, কমলগঞ্জ উন্নয়ন পরিষদ, পাহাড় রক্ষা উন্নয়ন সোসাইটিসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন এর উদ্যোগে কমলগঞ্জে উপজেলা মাগুরছড়া গ্যাস বিষ্ফোরণের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশ, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও কমলগঞ্জের ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগের দাবীতে এক মানববন্ধন কর্মসুচী পালিত হচ্ছে প্রতিবছর।