ঢাকা ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
হিংসা-বিদ্বেষ ভূলে কাঁদে কাঁধ মিলিয়ে না’গঞ্জের উন্নয়নে কাজ করতে চাই: জেলা প্রশাসক  চট্টগ্রামে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-৫ শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে, সোমবার ঈদুল ফিতর বাউফলে কলেজ ছাত্রী হেনস্তার শিকার  সাতক্ষীরায় দরদীর উদ্যোগে ইফতার পুনর্মিলনী ও কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত এক টাকায় ঈদের হাসি: ‘আমাদের গাইবান্ধার’ অসামান্য উদ্যোগ ঈশ্বরদীতে মটর শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ঈদ সামগ্রী বিতরন শ্রীনগরে ছিনতাইয়ের সময় গণপিটুনিতে নিহত-১, আহত-২ মুন্সীগঞ্জে পদ্মা সেতুতে এক দিনে প্রায় সোয়া ৪ কোটি টাকার টোল আদায় ঈশ্বরদীতে হাবিবুর রহমানের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  ঈশ্বরদীতে রেল ইঞ্জিনের ধাক্কায়  নানা-নাতনী নিহত জাগরণ সংস্থা’র উদ্দ্যোগে অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরন জেলা প্রশাসকদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার ১২ নির্দেশনা নারায়ণগঞ্জে সুবিধাবঞ্চিত ৫ শতাধিক শিশু পেল ঈদের নতুন পোশাক কুষ্টিয়ায় ট্রাকচাপায় মা-ছেলের মৃ*ত্যু  ৬৬৮১ রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ কমিটির মুন্সীগঞ্জে পদ্মা সেতুতে ১২ঘন্টায় ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা টোল আদায় গাইবান্ধার মরিচের হাট: লাল সোনার বাণিজ্যে জমজমাট  কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-২ হতদরিদ্রের মাঝে খাবার বিতরণ করলেন মানবিক জেলা প্রশাসক বিজ্ঞ আদালতের রায়ে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ঘোষণা কাল থেকে টানা ৯ দিনের ছুটিতে সরকারি চাকরিজীবীরা আজ পবিত্র ‘লাইলাতুল কদর’ মেট্রোর আদলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে যুক্ত হলো দেশে তৈরি কমিউটার ট্রেন নারায়ণগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় বীর শহীদদের স্মরণে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত  মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা সিদ্ধিরগঞ্জে জিয়া সৈনিক দলের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মুন্সীগঞ্জে বর্ণিল আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন পথশিশু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার যথাযথ মর্যাদায় ঈশ্বরদীতে মহান স্বাধীনতা দিবস পালন  মৌলভীবাজারে রণাঙ্গন’র অভিষেকসহ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  চল্লিশ বছরেও অসম্পূর্ণ গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল: ৭ দফা দিয়ে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ আজ ২৬শে মার্চ, মহান স্বাধীনতা দিবস ঈশ্বরদীতে যুবদলের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সিদ্ধিরগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল মুন্সীগঞ্জে স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নৈশপ্রহরীকে গণপিটুনি রূপগঞ্জে তারেক রহমানের পক্ষে ঈদ সামগ্রী বিতরণ ঈদের ছুটিতে পাহাড়ি পথ চা-বাগানের স্নিগ্ধতায় বেড়াতে ভ্রমণপিপাসুদের হাতছানি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দায়িত্বে শপথ নিলেন নতুন দুই বিচারপতি কক্সবাজারে আরাকান আর্মির শতাধিক পোশাকসহ আটক-৩ বড়লেখায় বিষপানে তরুণীর আত্মহত্যা  শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলেন সেনাপ্রধান জেলা পরিষদ’র উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান ঈশ্বরদীর রূপপুরে আলোচিত মানিক হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার-৩ কুলাউড়া সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশকালে বিজিবি’র হাতে গ্রেপ্তার-৫ টংঙ্গীবাড়ীতে ৩ কসমেটিক্সের দোকানকে ভোক্তার ২০ হাজার টাকা জরিমানা মুন্সীগঞ্জে ১৭৩ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ কুলাউড়ায় শুরু হচ্ছে অভিযান, অবৈধ কাজে সুপারিশ না করার আহ্বান  না’গঞ্জ জেলা সাউন্ড মালিক সমিতির ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত শ্রীমঙ্গলে চুরি হওয়া পিকআপসহ চোর আটক জেলা প্রশাসক ও প্রাণীসম্পদের সহায়তা সূলভ মূল্যে পন্য পাবে স্বল্প আয়ের ভোক্তা  পুণ্যময় রজনী শবে কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত বাউফলে সাংবাদিক ক্লাবের ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আত্মপ্রকাশ সোনারগাঁয়ে দলিল লিখকের সনদের সাময়িক স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবি সাগরে নিখোঁজের ৩০ ঘণ্টা পর অবশেষে বিজিবি জওয়ানের মরদেহ উদ্ধার মুন্সীগঞ্জের হিমাগারে যান্ত্রিক ত্রুটি:  কৃষকের ৩ কোটি টাকার আলু পঁচে যাওয়ার শঙ্কা মৌলভীবাজারে দীর্ঘ খরায় কাঙ্ক্ষিত চা উৎপাদন ব্যহত নাফ নদীতে রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলারডুবির ঘটনায়  বিজিবি জওয়ান নিখোঁজ বাউফলে ভিজিএফ’র চাল কম দেওয়ার প্রতিবাদ করায় জেলেদের ওপর হামলা গাজায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে ‘আমরা জনতা-নারায়ণগঞ্জ’র মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ  দুই অ্যাম্বুলেন্স ১ চালক: সিন্ডিকেটের কবলে জিম্মি গাইবান্ধা হাসপাতালের রোগীরা মেয়াদ উত্তীর্ণপণ্য সহ অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রির দায়ে ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা মুন্সীগঞ্জে বিপণিবিতান ও ফুটপাতে জমে উঠছে ঈদের ধুম বেচাকেনা কুষ্টিয়ায় তুলা চাষীদের সাফল্যে দাম বৃদ্ধির দাবি টংঙ্গীবাড়ী হিমাগারে জায়গা না থাকায়  হতাশায় ভুগছেন কৃষক মহাকাশ অভিযানে বিশ্বরেকর্ডধারী সুনিতা উইলিয়াম ৪৫ দিন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে যানজট নিরসনে ভারতে আসছে প্রথম উড়ন্ত ট্যাক্সি  আজ ২২ মার্চ ‘বিশ্ব পানি দিবস’ মিয়ানমার সীমান্ত থেকে গুলিবর্ষনে এক বাংলাদেশিসহ আহত-২ বন্দরের লাঙ্গলবন্দে পূণ্যস্নান উৎসবের সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক কুমেক হাসপাতালে মধ্যরাতে ৪ সাংবাদিকের ওপর হামলা, যৌথ বাহিনীর ফাঁকা গুলিবর্ষণ নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ৪ জনকে কুপিয়ে জখম সারাদেশে কালবৈশাখী ঝড়সহ বৃষ্টির আভাস কিশোরগঞ্জে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ-ভাঙচুর, আহত-১৫ ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ  গাইবান্ধায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ছাত্রদলের আহ্বায়ক বহিষ্কার রাজনগরে হত্যা মামলার আসামি আজাদ র‍্যাব-৯ এর জালে শ্রমিকদল সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার: ভালুকা উপজেলা বিএনপির নিন্দা  দেশের অস্থিতিশীলতা দূরীকরণে গনতান্ত্রিক সরকার গঠন গুরুত্বপূর্ণ -যুবদল নেতা জিয়া  সাংবাদিক প্রীতির সহায়তায় সৌদি থেকে ফিরল গার্মেন্টস কর্মী শায়েরার লাশ সিদ্ধিরগঞ্জে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত একই পরিবারের ৩ আসামি গ্রেপ্তার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ পুলিশি হেফাজতে সোনারগাঁয়ে অপহৃত কিশোরীরকে ৩৭ দিন পর উদ্ধার করলো পিবিআই  দুমকীতে শহিদকন্যার ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানা ঘেরাও ভালুকায় বিএনপি নেতার উদ্যোগে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ সাতক্ষীরা-৪ আসনের জামায়াতের ভোটকেন্দ্র পরিচালক ও প্রধান পোলিং এজেন্ট  সম্মেলন অনুষ্ঠিত  নারায়ণগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা, বিপনিবিতান গুলোতে উপচে পরা ভিড় জব্দ অর্থের উৎস প্রমাণ করতে ব্যর্থ: বরখাস্ত গাইবান্ধার এলজিইডি প্রকৌশলী বাউফলে নির্মাণের একদিন পরেই ধসে পড়লো সড়ক পাবনা ও ঈশ্বরদী মটর শ্রমিক ইউনিয়নের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  কুষ্টিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে নয় বছর বয়সী কন্যাশিশুর আত্মহত্যা ৩১ দিনেও উদ্ধার হয়নি সুন্দরগঞ্জের অপহৃত স্কুলছাত্রী আর্জিনা, প্রশাসন নিশ্চুপ মৌলভীবাজারে সাংবাদিকের উপর অতর্কিত হামলা মহাকাশ থেকে দীর্ঘ ৯ মাস পর পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন সুনিতা-উইলিয়াম  মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  কুষ্টিয়া বৃদ্ধাশ্রমের বদ্ধ ঘরে আধপেট খেয়ে রোজা রাখছেন ৩০ অসহায় মা সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাংবাদিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত  শিবপুর ও আগরদাড়ী ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ভালুকায় কাচিনা ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মিয়ানমারের আরাকান সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা প্রধান ও রোহিঙ্গা নারীসহ গ্রেপ্তার-১০

মুন্সীগঞ্জের ধবল‌ গরু খামারেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ১২:০২:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪ ১১২ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি।।
এক সময় কোরবানির ঈদে পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জের গনি মিয়ার হাটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিলো মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিমের ধবল (সাদা)গরু।কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন এই গরুর চাহিদা এতো বৃদ্ধি পেয়েছে যে,হাটে তোলার আগেই খামার হতে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এ সমস্ত গরুগুলো। আগে শুধু পুরান ঢাকায় চাহিদা থাকলেও এখন এ সমস্ত গরুর চাহিদা বেড়েছে সমগ্র দেশ জুড়ে তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গরু ক্রেতারা এ সমস্ত গরুগুলো খামারেই এসে কিনে নিয়ে যান।পুরান ঢাকার খানদানি লোকেরাও খামারে এসে অনেক দাম দিয়ে এ সমস্ত গরু কিনে নিয়ে যান।ইতিমধ্যে মিরকাদিমের খামারগুলো হতে গরু বিক্রি শুরু হয়ে গেছে।ক্রেতারা গরু কিনে খামারেই রেখে যাচ্ছে ঈদের দু-একদিন আগে নিয়ে যাবেন বাড়িতে।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিমের এই গরুর খামারগুলোর পাশেই রয়েছে বিশাল বিশাল চাল, কুড়া,ভূষি,খৈলের আড়ৎ।এ সমস্ত আড়ত মালিকরাই আড়তের আশে পাশে গড়ে তুলেছেন গরুর খামার।নিজস্ব খামারের মীরকাদিমের ভুসি, কুঁড়াসহ বিভিন্ন উন্নতমানের গোখাদ্য মিনিকেট চালের খুদ,এক নম্বর খৈল,ভাতের মার,সিদ্ধ ভাত, খেসারির ভুসি,গমের ভুসি,বুটের ভুসি খাওয়ানো হয় গরুগুলোকে।এছাড়া গরু পালনে প্রশিক্ষিত লোক নিয়োগের মাধ্যমে গরুগুলো পালন করা হয়।
খামারিরা জানান,এই গরু পালনে কোনো রকম ইনজেকশন বা গরু মোটাতাজাকরণের ওষুধ ব্যবহার করা হয় না।খামারিদের নিজস্ব মিলে ভাঙানো খৈল,বিভিন্ন প্রকার ভুসি,কুঁড়া,চালের গুঁড়া খাইয়ে পরম মমতায় লালনপালন করা হয় এই গরুগুলোকে।খামারের ভেতরের পরিবেশ বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়।বাইরের কাউকে খামারের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হয় না।মিরকাদিমের ধবল গরুর বৈশিস্ট হলো এ সমস্ত গরুর চোখের পাপড়ি সাদা,নাকের সামনের অংশ সাদা,পায়ের খুর সাদা,লেজের পশম সাদা,আর সারা শরীরও সাদা হয়ে থাকে।এই সমস্ত ধবল গরুগুলো দেখতে একদিকে সুন্দর এবং অন্যদিকে এই সমস্ত গরু গুলোর মাংস খুব সুস্বাদু হওয়ায় এগুলো এখন খামার থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা।এই সাদা গরুগুলো সাধারণত ১ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দামে হয়ে থাকে।মুন্সীগঞ্জের কোনো হাটে এই গরু বিক্রি হয় না।আগে পুরান ঢাকার হাটে নিয়ে এ সমস্ত গরু বিক্রি করতো খামাড়িরা।এখন পুরান ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন মীরকাদিমে এসে এ সমস্ত খামার হতে গরুগুলো ক্রয় করে নিয়ে যান।সরেজমিনে মিরকাদিমের বেশ কিছু খামার ঘুরে দেখা যায় বেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে খামারগুলোতে লালন পালন করা হচ্ছে গরু।মিরকাদিমের মজিবুরের খামার গিয়ে দেখা যায় ওই খামারে মোট ৫১ টি গরু আছে।এর মধ্যে ধবল জাতের গুরু রয়েছে অর্ধেকের বেশি।গত বছর এই খামারে অবিক্রিত গরু ছিল ৬টি।বাকি গরুগুলো গত কুরবানি ঈদের পরে কিনে এনে খামারে লালন পালন করছেন।ওই খামারের দেখবালের দায়িত্বে আছেন তিনজন।এর মধ্যে জিয়াউর হক বলেন,কয়দিন আগে যে গরম গেলো ওই সময় গরুগুলোর খুব কষ্ট হচ্ছিল।গরমে বেশ কিছু গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।সে সময় গরুগুলোকে চিকিৎসা করাতে হয়েছে।এখন গরম কমার সাথে সাথে গরুগুলো ভালো আছে।ইতিমধ্যে খামার হতে ১১টি বিক্রি হয়ে গেছে।যারা কুরবানী দেয় তারাই এখান থেকে গরু কিনে খামারে রেখে গেছেন।পরে কুরবানীর দ্-ুএকদিন আগে এসে নিয়ে যাবেন।ওই খামারের দেখবালের দায়িত্বে থাকা রাশেদ বলেন,আমাদের খামারের গরুগুলোকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়াই।খামারে বিভিন্ন জাতের গরু আছে তবে এগুলোর মধ্যে ধবল গরু বিখ্যাত।আমাদের খামারে সর্বনিম্ন ১ লক্ষ ২০ হাজার হতে ৩ লক্ষ টাকা দাম পর্যন্ত গরু আছে।
মীর কাদিম শাহিনের খামার মোট ৫১টি গরুর মধ্যে অন্য জাতের আছে মাত্র ৫টা।৪৬ টায় সাদা ধবল জাতের বলে জানালেন খামাড়িরা।ওই খামারের শ্রমিক রফিক মিয়া বলেন,গত বছর কুরবানীর পর এই গরুগুলো আমরা ফরিদপুর জেলার টেপাখোলা বাজার হতে কিনে এনেছি।প্রায় গরুই এক লাখ টাকার উপরে দাম দিয়ে কিনে এনে লালন পালন শুরু করি।সামনের কুরবানীতে গরুগুলো বিক্রি করবো।এ পর্যন্ত খামারের ছয়টা গরু বিক্রি হয়ে গেছে।যে গরুগুলো বিক্রি করছেন সেগুলো দুই লক্ষ থেকে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি করেছেন তারা।ঈদের আগে বাকি গরুগুলো খামার হতে বিক্রি হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।এ ব্যাপারে ওই এলাকার মজিবুর রহমান বলেন, আমাদের নিজেদের মিল আছে।আবার খামারও আছে।আমরা আমাদের নিজেদের মেইলের খৈল, কুড়া,বিভিন্ন ধরনের ভূসি,ভুট্টা উন্নত মানের খাবার খাইয়ে আমাদের খামারের গরুগুলো লালন পালন করে থাকি।আমরা কোন ইনজেকশন দেই না কোন ভেজাল খাবার খাওয়াই না যার কারণে আমাদের গরুর মাংসগুলো খুব সুস্বাদু হয় এবং এগুলো চাহিদা খুব বেশি।আগে ঢাকায় নিয়ে বেচঁতাম এখন এই সমস্ত গরু খামার হতে কিনে নিয়ে যায়।ঢাকার পাশাপাশি নারায়নগঞ্জ,কুমিল্লা চাদঁপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকার আশে আমাদের এখানে গরু কিনতে।মীর কাদিম এগ্রো খামারের দেখবালের দায়িত্বে থাকা মিন্টু মিয়া বলেন,আমাদের খামারে গরু আছে ১৩০টা। এর মধ্যে ৬০টা কোরবানীর ঈদে বিক্রি করা হবে।আমরা মূলত খামারে দুগ্ধ উৎপাদন করি সেই সাথে বিক্রির জন্যও গরু মোটাতাজাকরণ করে থাকি।আমরা যে সমস্ত গরু মোটাতাজাকরণ করি ওগুলো মূলত আমাদের খামারেই উৎপাদন হয়।আমরা মা গরুগুলোকে উন্নত মানের বীজ দিয়ে এখানে গরুর বাচ্চা উৎপাদন করি মা গরুর দুধ বাজারে বিক্রি করি এবং বাছুরগুলোকে লালন পালনের মাধ্যমে বড় করে বিক্রি করে থাকি। আমাদের খামরে প্রায় ১০টি গুরু আছে যেগুলোর ওজন ৭০০ থেকে ৮০০ কেজি।এ গরু বাছুর গুলো আমরা খামারেই উৎপাদন করেছি।অপর শ্রমিক আরিফ বলেন,আমরা নিজ সন্তানের মতো পরম যন্তে এখানে গরু লালন পালন করি।পুরো দিন ওদের সেবা করি।প্রতিদিন গোসল করাই এবং এগুলোর শরীর মুছে দেই।আমরা একদিকে যেমন শুকানো খাবার খৈল,কুড়া,ভূসি খুদ খাওয়াই
অন্যদিকে আবার কাচাঁ ঘাস ভূট্টার সেরালেক খাওয়াই।আমাদের খামার হতে ইতিমধ্যে ৫টা গরু বিক্রি হয়ে গেছে।তবে ওই এলাকার খামাড়িদের সাথে কথা বলেজানাগেছে,মীরকাদিম পৌরসভার কুলুপাড়ার ধবল গরু লালনপালন করার যে ঐতিহ্য ছিল তা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।খামারে গরুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কালের বিবর্তনে মীরকাদিমের বিখ্যাত ধবল গরুর ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। ভেজালযুক্ত খাবার দিয়ে গরু মোটাতাজা করে দ্রুত আঙল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে কিছু অসাধু খামারি। ১০ মাস দীর্ঘ পরিশ্রম করে লাভবান না হওয়ায় এ ব্যবসা থেকে সরে আসছেন মীরকাদিমের ধবল গরুর অনেক ব্যবসায়ী।ভেজাল খাদ্যের যোগান দিয়ে গরু বড় করে দ্রুত লাভবান হওয়ার হাতিয়ারকে এখন কাজে লাগাচ্ছে অনেকেই।ফলে ২০০ জনের বেশি ধবল গরুর খামার মালিক থেকে এখন ১৫/২০ জনে নেমে এসেছে।এ সমস্ত ধবল গরুগুলো মূলত কুড়িগ্রাম জেলার ভূরাঙ্গামারীসহ বিভিন্ন হাট ও এলাকা থেকে ভারত ও ভুটানের আবাল-পশ্চিমা সাদা ষাঁড় ও সাদা গাভীর বাচ্চা কিনে আনেন মীরকাদিমের খামারিরা।নিজের বাচ্চার মতো লালন করেন।নতুন গামছা দিয়ে গোসল করানো হয়।সব সময় চোখে চোখে রাখা হয়।লাভ লোকসানের কথা চিন্তা না করেই পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রেখে গরু পালন করেন।বাবা-দাদাদের ধবল গরু পালনের ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন খামাড়িরা।এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নজরুল ইসলাম বলেন, মুন্সীগঞ্জের খামারগুলোতে মূলত দেশি গরু বেশি দেখা যায়।এ জেলায় মোট ৫ হাজারের মতো খামার রয়েছে।এর মধ্যে মিরকাদিমের গরুগুলোর চাহিদা বেশি।কোরবানীর আগের ৬ মাস হতে এই গরুগুলোকে মোটাতাজা করতে শুরু করে খামারিরা।এই মোটাতাজাকরণ কাজে তারা গরু গুলোকে সবচেয়ে বেশি সবুজ ঘাস খাইয়ে থাকে। খৈল নানা ধরনের ভূষি,চালের খুদ খাওয়ায় এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখে।মূলত স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে তারা গরু মোটা তাজাকরণ করায় এগুলো দেখাতে সুন্দর আকর্ষনীয় ও মাংস সুস্বাদু হওয়ায় এগুলোর চাহিদা বেশি।তিনি আরো বলেন,দেশি গরুতে চবির্র হার খুব কম থাকায় মাংসের পরিমান বেশি থাকে এবং সুস্বাদু হয়।মিরকাদিমের খামাড়িরা কখনোই মোটাতাজাকরণ ট্যাবলেড.ইনজেকসুন,হরমন ঔষধ ব্যবহার করেনা।যার কারনে এগুলো স্বাস্থ্য সম্মত ও সুস্বাদু হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

মুন্সীগঞ্জের ধবল‌ গরু খামারেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে 

আপডেট সময়- ১২:০২:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি।।
এক সময় কোরবানির ঈদে পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জের গনি মিয়ার হাটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিলো মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিমের ধবল (সাদা)গরু।কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন এই গরুর চাহিদা এতো বৃদ্ধি পেয়েছে যে,হাটে তোলার আগেই খামার হতে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এ সমস্ত গরুগুলো। আগে শুধু পুরান ঢাকায় চাহিদা থাকলেও এখন এ সমস্ত গরুর চাহিদা বেড়েছে সমগ্র দেশ জুড়ে তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গরু ক্রেতারা এ সমস্ত গরুগুলো খামারেই এসে কিনে নিয়ে যান।পুরান ঢাকার খানদানি লোকেরাও খামারে এসে অনেক দাম দিয়ে এ সমস্ত গরু কিনে নিয়ে যান।ইতিমধ্যে মিরকাদিমের খামারগুলো হতে গরু বিক্রি শুরু হয়ে গেছে।ক্রেতারা গরু কিনে খামারেই রেখে যাচ্ছে ঈদের দু-একদিন আগে নিয়ে যাবেন বাড়িতে।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিমের এই গরুর খামারগুলোর পাশেই রয়েছে বিশাল বিশাল চাল, কুড়া,ভূষি,খৈলের আড়ৎ।এ সমস্ত আড়ত মালিকরাই আড়তের আশে পাশে গড়ে তুলেছেন গরুর খামার।নিজস্ব খামারের মীরকাদিমের ভুসি, কুঁড়াসহ বিভিন্ন উন্নতমানের গোখাদ্য মিনিকেট চালের খুদ,এক নম্বর খৈল,ভাতের মার,সিদ্ধ ভাত, খেসারির ভুসি,গমের ভুসি,বুটের ভুসি খাওয়ানো হয় গরুগুলোকে।এছাড়া গরু পালনে প্রশিক্ষিত লোক নিয়োগের মাধ্যমে গরুগুলো পালন করা হয়।
খামারিরা জানান,এই গরু পালনে কোনো রকম ইনজেকশন বা গরু মোটাতাজাকরণের ওষুধ ব্যবহার করা হয় না।খামারিদের নিজস্ব মিলে ভাঙানো খৈল,বিভিন্ন প্রকার ভুসি,কুঁড়া,চালের গুঁড়া খাইয়ে পরম মমতায় লালনপালন করা হয় এই গরুগুলোকে।খামারের ভেতরের পরিবেশ বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়।বাইরের কাউকে খামারের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হয় না।মিরকাদিমের ধবল গরুর বৈশিস্ট হলো এ সমস্ত গরুর চোখের পাপড়ি সাদা,নাকের সামনের অংশ সাদা,পায়ের খুর সাদা,লেজের পশম সাদা,আর সারা শরীরও সাদা হয়ে থাকে।এই সমস্ত ধবল গরুগুলো দেখতে একদিকে সুন্দর এবং অন্যদিকে এই সমস্ত গরু গুলোর মাংস খুব সুস্বাদু হওয়ায় এগুলো এখন খামার থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা।এই সাদা গরুগুলো সাধারণত ১ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দামে হয়ে থাকে।মুন্সীগঞ্জের কোনো হাটে এই গরু বিক্রি হয় না।আগে পুরান ঢাকার হাটে নিয়ে এ সমস্ত গরু বিক্রি করতো খামাড়িরা।এখন পুরান ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন মীরকাদিমে এসে এ সমস্ত খামার হতে গরুগুলো ক্রয় করে নিয়ে যান।সরেজমিনে মিরকাদিমের বেশ কিছু খামার ঘুরে দেখা যায় বেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে খামারগুলোতে লালন পালন করা হচ্ছে গরু।মিরকাদিমের মজিবুরের খামার গিয়ে দেখা যায় ওই খামারে মোট ৫১ টি গরু আছে।এর মধ্যে ধবল জাতের গুরু রয়েছে অর্ধেকের বেশি।গত বছর এই খামারে অবিক্রিত গরু ছিল ৬টি।বাকি গরুগুলো গত কুরবানি ঈদের পরে কিনে এনে খামারে লালন পালন করছেন।ওই খামারের দেখবালের দায়িত্বে আছেন তিনজন।এর মধ্যে জিয়াউর হক বলেন,কয়দিন আগে যে গরম গেলো ওই সময় গরুগুলোর খুব কষ্ট হচ্ছিল।গরমে বেশ কিছু গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।সে সময় গরুগুলোকে চিকিৎসা করাতে হয়েছে।এখন গরম কমার সাথে সাথে গরুগুলো ভালো আছে।ইতিমধ্যে খামার হতে ১১টি বিক্রি হয়ে গেছে।যারা কুরবানী দেয় তারাই এখান থেকে গরু কিনে খামারে রেখে গেছেন।পরে কুরবানীর দ্-ুএকদিন আগে এসে নিয়ে যাবেন।ওই খামারের দেখবালের দায়িত্বে থাকা রাশেদ বলেন,আমাদের খামারের গরুগুলোকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়াই।খামারে বিভিন্ন জাতের গরু আছে তবে এগুলোর মধ্যে ধবল গরু বিখ্যাত।আমাদের খামারে সর্বনিম্ন ১ লক্ষ ২০ হাজার হতে ৩ লক্ষ টাকা দাম পর্যন্ত গরু আছে।
মীর কাদিম শাহিনের খামার মোট ৫১টি গরুর মধ্যে অন্য জাতের আছে মাত্র ৫টা।৪৬ টায় সাদা ধবল জাতের বলে জানালেন খামাড়িরা।ওই খামারের শ্রমিক রফিক মিয়া বলেন,গত বছর কুরবানীর পর এই গরুগুলো আমরা ফরিদপুর জেলার টেপাখোলা বাজার হতে কিনে এনেছি।প্রায় গরুই এক লাখ টাকার উপরে দাম দিয়ে কিনে এনে লালন পালন শুরু করি।সামনের কুরবানীতে গরুগুলো বিক্রি করবো।এ পর্যন্ত খামারের ছয়টা গরু বিক্রি হয়ে গেছে।যে গরুগুলো বিক্রি করছেন সেগুলো দুই লক্ষ থেকে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি করেছেন তারা।ঈদের আগে বাকি গরুগুলো খামার হতে বিক্রি হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।এ ব্যাপারে ওই এলাকার মজিবুর রহমান বলেন, আমাদের নিজেদের মিল আছে।আবার খামারও আছে।আমরা আমাদের নিজেদের মেইলের খৈল, কুড়া,বিভিন্ন ধরনের ভূসি,ভুট্টা উন্নত মানের খাবার খাইয়ে আমাদের খামারের গরুগুলো লালন পালন করে থাকি।আমরা কোন ইনজেকশন দেই না কোন ভেজাল খাবার খাওয়াই না যার কারণে আমাদের গরুর মাংসগুলো খুব সুস্বাদু হয় এবং এগুলো চাহিদা খুব বেশি।আগে ঢাকায় নিয়ে বেচঁতাম এখন এই সমস্ত গরু খামার হতে কিনে নিয়ে যায়।ঢাকার পাশাপাশি নারায়নগঞ্জ,কুমিল্লা চাদঁপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকার আশে আমাদের এখানে গরু কিনতে।মীর কাদিম এগ্রো খামারের দেখবালের দায়িত্বে থাকা মিন্টু মিয়া বলেন,আমাদের খামারে গরু আছে ১৩০টা। এর মধ্যে ৬০টা কোরবানীর ঈদে বিক্রি করা হবে।আমরা মূলত খামারে দুগ্ধ উৎপাদন করি সেই সাথে বিক্রির জন্যও গরু মোটাতাজাকরণ করে থাকি।আমরা যে সমস্ত গরু মোটাতাজাকরণ করি ওগুলো মূলত আমাদের খামারেই উৎপাদন হয়।আমরা মা গরুগুলোকে উন্নত মানের বীজ দিয়ে এখানে গরুর বাচ্চা উৎপাদন করি মা গরুর দুধ বাজারে বিক্রি করি এবং বাছুরগুলোকে লালন পালনের মাধ্যমে বড় করে বিক্রি করে থাকি। আমাদের খামরে প্রায় ১০টি গুরু আছে যেগুলোর ওজন ৭০০ থেকে ৮০০ কেজি।এ গরু বাছুর গুলো আমরা খামারেই উৎপাদন করেছি।অপর শ্রমিক আরিফ বলেন,আমরা নিজ সন্তানের মতো পরম যন্তে এখানে গরু লালন পালন করি।পুরো দিন ওদের সেবা করি।প্রতিদিন গোসল করাই এবং এগুলোর শরীর মুছে দেই।আমরা একদিকে যেমন শুকানো খাবার খৈল,কুড়া,ভূসি খুদ খাওয়াই
অন্যদিকে আবার কাচাঁ ঘাস ভূট্টার সেরালেক খাওয়াই।আমাদের খামার হতে ইতিমধ্যে ৫টা গরু বিক্রি হয়ে গেছে।তবে ওই এলাকার খামাড়িদের সাথে কথা বলেজানাগেছে,মীরকাদিম পৌরসভার কুলুপাড়ার ধবল গরু লালনপালন করার যে ঐতিহ্য ছিল তা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।খামারে গরুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কালের বিবর্তনে মীরকাদিমের বিখ্যাত ধবল গরুর ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। ভেজালযুক্ত খাবার দিয়ে গরু মোটাতাজা করে দ্রুত আঙল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে কিছু অসাধু খামারি। ১০ মাস দীর্ঘ পরিশ্রম করে লাভবান না হওয়ায় এ ব্যবসা থেকে সরে আসছেন মীরকাদিমের ধবল গরুর অনেক ব্যবসায়ী।ভেজাল খাদ্যের যোগান দিয়ে গরু বড় করে দ্রুত লাভবান হওয়ার হাতিয়ারকে এখন কাজে লাগাচ্ছে অনেকেই।ফলে ২০০ জনের বেশি ধবল গরুর খামার মালিক থেকে এখন ১৫/২০ জনে নেমে এসেছে।এ সমস্ত ধবল গরুগুলো মূলত কুড়িগ্রাম জেলার ভূরাঙ্গামারীসহ বিভিন্ন হাট ও এলাকা থেকে ভারত ও ভুটানের আবাল-পশ্চিমা সাদা ষাঁড় ও সাদা গাভীর বাচ্চা কিনে আনেন মীরকাদিমের খামারিরা।নিজের বাচ্চার মতো লালন করেন।নতুন গামছা দিয়ে গোসল করানো হয়।সব সময় চোখে চোখে রাখা হয়।লাভ লোকসানের কথা চিন্তা না করেই পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রেখে গরু পালন করেন।বাবা-দাদাদের ধবল গরু পালনের ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন খামাড়িরা।এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নজরুল ইসলাম বলেন, মুন্সীগঞ্জের খামারগুলোতে মূলত দেশি গরু বেশি দেখা যায়।এ জেলায় মোট ৫ হাজারের মতো খামার রয়েছে।এর মধ্যে মিরকাদিমের গরুগুলোর চাহিদা বেশি।কোরবানীর আগের ৬ মাস হতে এই গরুগুলোকে মোটাতাজা করতে শুরু করে খামারিরা।এই মোটাতাজাকরণ কাজে তারা গরু গুলোকে সবচেয়ে বেশি সবুজ ঘাস খাইয়ে থাকে। খৈল নানা ধরনের ভূষি,চালের খুদ খাওয়ায় এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখে।মূলত স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে তারা গরু মোটা তাজাকরণ করায় এগুলো দেখাতে সুন্দর আকর্ষনীয় ও মাংস সুস্বাদু হওয়ায় এগুলোর চাহিদা বেশি।তিনি আরো বলেন,দেশি গরুতে চবির্র হার খুব কম থাকায় মাংসের পরিমান বেশি থাকে এবং সুস্বাদু হয়।মিরকাদিমের খামাড়িরা কখনোই মোটাতাজাকরণ ট্যাবলেড.ইনজেকসুন,হরমন ঔষধ ব্যবহার করেনা।যার কারনে এগুলো স্বাস্থ্য সম্মত ও সুস্বাদু হয়।