ঢাকা ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
ছেলে জয়ের আশ্বাসেই দেশ ছাড়তে রাজি হন শেখ হাসিনা অর্থপাচার মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন বিএনপির ৮ শীর্ষ নেতা মৌলভীবাজারে নবাগত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেনের যোগদান মৌলভীবাজারে বকেয়া মজুরির দাবিতে চা-শ্রমিকদের মানববন্ধন  না’গঞ্জের পলাতক সাবেক এমপি শামীম ওসমানের দেখা মিললো দিল্লিতে  না’গঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব টিপুর উপর হামলা  রূপগঞ্জে ফের গাজী টায়ার কারখানায় লুটপাট চালিয়ে আগুন দিলো দুর্বৃত্তরা মহাভারতের চিত্রনাট্যের জাদুকরী রূপকার ছিলেন উর্দু কবি রাহী মাসুম রেজা  কুষ্টিয়া সাংস্কৃতিক কর্মীর সমবেত কন্ঠে দশ মিনিটে ৩বার জাতীয় সংগীত সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করায় হামলা মারধরে আহত-১০ জাতীয় শিক্ষক দিবসে ‘গুরু বন্দনা’ সাবেক ভূমিমন্ত্রী পুত্র তমাল অস্ত্র-মাদক সহ র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার কক্সবাজারে যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল অস্ত্র-গোলাবারুদ সহ গ্রেপ্তার-৮ নবীজীকে নিয়ে কটূক্তি করা কিশোর সেনাবাহিনীর হেফাজতে: আইএসপিআর পূর্বানুমতি ছাড়া পর্যটকরা সেন্টমার্টিনে যেতে পারবে না..! বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি ক্রোক করে রিসিভার নিয়োগে হাইকোর্টের রুল স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহীন’র বিশাল সংবর্ধনা ইসলামী যুব আন্দোলন টেকনাফ দক্ষিণ শাখা’র পৌর কমিটি গঠন সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী সাইফুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত সালমান এফ রহমান মুক্ত হলো আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি

ফতুল্লায় আওয়ামী লীগ নেতাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আটক-২

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪ ৫৩ বার পড়া হয়েছে

 

ফতুল্লা(না’গঞ্জ)প্রতিনিধি।।

 

নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার কাশিপুরে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়াকে (৭০) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামী বাপ্পি ও জামাল নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়ার ছেলে মুন্না বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরে আযম মিয়া মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি নুরে আযম মিয়া জানান, কাশিপুরে আওয়ামী লীগ নেতার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ছেলে মুন্না বাদী হয়ে ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত স্থানীয় সন্ত্রাসী সালু, হীরা, তমাল, শফর আলিসহ প্রায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনকে আসামি করে শুক্রবার রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় থানা পুলিশ এজাহার নামীয় দুই আসামি বাপ্পি ও জামালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি ।

ওসি আরও বলেন, মামলার মূল আসামি সালাউদ্দিন সালু ও হিরা তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। হতাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তসহ আসামিদের গ্রেফতারে থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার কাশিপুর ইউনিয়নের আলীপাড়া এলাকায় কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সুরুজ মিয়াকে প্রকাশ্যে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় সুরুজ মিয়াকে বাঁচাতে গেলে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হন তার দুই ছেলেসহ অন্তত চারজন। গুরুতর আহত  অবস্থায় সুরুজ মিয়া সহ পাঁচজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুরুজ মিয়ার মৃত্যু হয়। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখনও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের তথ্যসূত্রে জানা গেছে, এলাকায় ইট বালু সিমেন্টসহ ইমারত নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ সহ আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজিতে বাধা দেয়ায় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সালু-হিরা গ্রুপের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয় সুরুজ মিয়ার সঙ্গে।এ নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে ওই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে বলে জানান।

নিহত সুরুজ মিয়ার ভাগিনা নুর হোসেন ও আহত রিয়াজ উদ্দিন জানান, তারা ফতুল্লার উত্তর কাশিপুর আলীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাদের মূল ব্যবসা অটোরিকশার গ্যারেজ ও ইট-বালুর ব্যবসা। এ নিয়েই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামী  সালাউদ্দিন সালু ও আলাউদ্দিন হিরার সঙ্গে বিরোধ চলছিলো।এরই ধারাবাহিকতায় সালু-হিরা এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদা দাবি করলে। ওই ভবনের মালিক বিষয়টি নিয়ে সুরুজ মিয়ার কাছে বিচার দেন। পরে সুরুজ মিয়া বিষয়টি নিয়ে নিয়ে হিরা ও সালুকে শাসন করেন।পরবর্তীতে এর জেরেই ওদিন দুপুর দেড়টার দিকে সুরুজ মিয়ার ওপর হত্যার উদ্দেশ্য প্রকাশ্যে অতর্কিত হামলা চালায় সালু, হিরাসহ ২০/২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ফতুল্লায় আওয়ামী লীগ নেতাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আটক-২

আপডেট সময় : ০৪:২৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

 

ফতুল্লা(না’গঞ্জ)প্রতিনিধি।।

 

নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার কাশিপুরে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়াকে (৭০) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামী বাপ্পি ও জামাল নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়ার ছেলে মুন্না বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরে আযম মিয়া মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি নুরে আযম মিয়া জানান, কাশিপুরে আওয়ামী লীগ নেতার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ছেলে মুন্না বাদী হয়ে ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত স্থানীয় সন্ত্রাসী সালু, হীরা, তমাল, শফর আলিসহ প্রায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনকে আসামি করে শুক্রবার রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় থানা পুলিশ এজাহার নামীয় দুই আসামি বাপ্পি ও জামালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি ।

ওসি আরও বলেন, মামলার মূল আসামি সালাউদ্দিন সালু ও হিরা তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। হতাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তসহ আসামিদের গ্রেফতারে থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার কাশিপুর ইউনিয়নের আলীপাড়া এলাকায় কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সুরুজ মিয়াকে প্রকাশ্যে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় সুরুজ মিয়াকে বাঁচাতে গেলে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হন তার দুই ছেলেসহ অন্তত চারজন। গুরুতর আহত  অবস্থায় সুরুজ মিয়া সহ পাঁচজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুরুজ মিয়ার মৃত্যু হয়। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখনও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের তথ্যসূত্রে জানা গেছে, এলাকায় ইট বালু সিমেন্টসহ ইমারত নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ সহ আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজিতে বাধা দেয়ায় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সালু-হিরা গ্রুপের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয় সুরুজ মিয়ার সঙ্গে।এ নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে ওই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে বলে জানান।

নিহত সুরুজ মিয়ার ভাগিনা নুর হোসেন ও আহত রিয়াজ উদ্দিন জানান, তারা ফতুল্লার উত্তর কাশিপুর আলীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাদের মূল ব্যবসা অটোরিকশার গ্যারেজ ও ইট-বালুর ব্যবসা। এ নিয়েই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামী  সালাউদ্দিন সালু ও আলাউদ্দিন হিরার সঙ্গে বিরোধ চলছিলো।এরই ধারাবাহিকতায় সালু-হিরা এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদা দাবি করলে। ওই ভবনের মালিক বিষয়টি নিয়ে সুরুজ মিয়ার কাছে বিচার দেন। পরে সুরুজ মিয়া বিষয়টি নিয়ে নিয়ে হিরা ও সালুকে শাসন করেন।পরবর্তীতে এর জেরেই ওদিন দুপুর দেড়টার দিকে সুরুজ মিয়ার ওপর হত্যার উদ্দেশ্য প্রকাশ্যে অতর্কিত হামলা চালায় সালু, হিরাসহ ২০/২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী।