নারী নির্যাতন মামলায় বন্দরের মাকসুদ চেয়ারম্যান শ্রীঘরে
- আপডেট সময়- ০৮:৫১:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪ ৬২ বার পড়া হয়েছে
পাপ ছাড়েনা বাপরে,বন্দর উপজেলা মাকসুদ চেয়ারম্যান এখন কারাগারে..!
বন্দর(নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি।।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের ১০ দিন যেতে না যেতেই শ্রীঘরে যেতে হলো বন্দর উপজেলার নয়া চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনকে। স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে বিজ্ঞ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ উম্মে সরাবন তহুরা তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।এ তথ্য নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) রকিবউদ্দিন আহমেদ।
এর আগে নব নির্বাচিত বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত ১১ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন মাকসুদ হোসেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি। বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, গত ২৩শে এপ্রিল চেয়ারম্যান মাকসুদের বিরুদ্ধে তার দ্বিতীয় স্ত্রী সুলতানা বেগম (৪৩) যৌতুকের দাবি সহ নির্যাতনের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বন্দর থানাকে মামলা রেকর্ড করার নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলায় ভুক্তভোগী মাকসুদের দ্বিতীয় স্ত্রী অভিযোগ করেন, ১৯৯৮ সালে মাকসুদ হোসেন তাকে বিয়ে করেন।বিয়ের পরে তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু বিয়ের সময় তিনি প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখেই বিবাহ সম্পন্ন করেন।কিছুদিন পর সুলতানা বেগম প্রথম বিয়ের বিষয়টি জানতে পেরে তাকে নিজ বাড়িতে উঠানোর জন্য চাপ দেন। কিন্তু মাকসুদ আবদারকে অগ্রাহ্য করে, উল্টো শশুরবাড়ির কোটি টাকার সম্পত্তি বিক্রির জন্য স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকেন।তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে শ্বশুরবাড়িতে ফেলে রাখেন।এরপর ২০২২ সালে এ বিষয়ে চাপ দিলে স্ত্রীকে তিনি সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা নিয়ে চলে আসতে বলেন।
এঘটনায় ওই বছরের ১৩ নভেম্বর মাকসুদের বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা দায়ের করেন।এরপর মামলার সংবাদ পেয়ে গত ২১ এপ্রিল রাতে মাকসুদ তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সুলতানা বেগমের বাবার বাড়িতে হাজির হয়ে মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়া সহ ওয়ারিশানা সম্পত্তি বিক্রি করে মাকসুদের হাতে তুলে দেয়ার শর্তে স্ত্রীর মর্যাদায় তাকে ঘরে তোলার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি না হলে এক পর্যায়ে মাকসুদ তাকে প্রাননাশের হুমকি ধামকি প্রদান করেন। একপর্যায়ে দ্বিতীয় স্ত্রী সুলতানাকে মারধর করেন।এর পরবর্তীতে ২৩ এপ্রিল আদালতে মামলা দায়ের করেন দ্বিতীয় স্ত্রী সুলতানা।