ঢাকা ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
ছেলে জয়ের আশ্বাসেই দেশ ছাড়তে রাজি হন শেখ হাসিনা অর্থপাচার মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন বিএনপির ৮ শীর্ষ নেতা মৌলভীবাজারে নবাগত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেনের যোগদান মৌলভীবাজারে বকেয়া মজুরির দাবিতে চা-শ্রমিকদের মানববন্ধন  না’গঞ্জের পলাতক সাবেক এমপি শামীম ওসমানের দেখা মিললো দিল্লিতে  না’গঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব টিপুর উপর হামলা  রূপগঞ্জে ফের গাজী টায়ার কারখানায় লুটপাট চালিয়ে আগুন দিলো দুর্বৃত্তরা মহাভারতের চিত্রনাট্যের জাদুকরী রূপকার ছিলেন উর্দু কবি রাহী মাসুম রেজা  কুষ্টিয়া সাংস্কৃতিক কর্মীর সমবেত কন্ঠে দশ মিনিটে ৩বার জাতীয় সংগীত সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করায় হামলা মারধরে আহত-১০ জাতীয় শিক্ষক দিবসে ‘গুরু বন্দনা’ সাবেক ভূমিমন্ত্রী পুত্র তমাল অস্ত্র-মাদক সহ র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার কক্সবাজারে যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল অস্ত্র-গোলাবারুদ সহ গ্রেপ্তার-৮ নবীজীকে নিয়ে কটূক্তি করা কিশোর সেনাবাহিনীর হেফাজতে: আইএসপিআর পূর্বানুমতি ছাড়া পর্যটকরা সেন্টমার্টিনে যেতে পারবে না..! বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি ক্রোক করে রিসিভার নিয়োগে হাইকোর্টের রুল স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহীন’র বিশাল সংবর্ধনা ইসলামী যুব আন্দোলন টেকনাফ দক্ষিণ শাখা’র পৌর কমিটি গঠন সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী সাইফুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত সালমান এফ রহমান মুক্ত হলো আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি

নকলায় প্রস্তুত ১৭ হাজার পশু : চাহিদার চেয়ে সাড়ে ৭ হাজার বেশি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫০:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি:

শেরপুরের নকলায় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন খামারি ও স্থানীয় গৃহস্থ পরিবারগুলো প্রায় ১৭ হাজার পশু প্রস্তুত করেছেন। এ বছর উপজেলায় কোরবানি ঈদের জন্য পশুর চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার ৫০০টি। এ হিসেব মতে নকলায় চাহিদার তুলনায় গবাদিপশুর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৭ হাজার বেশি রয়েছে।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যে কোন লোক একসাথে একই ধরনের অন্তত ৫টি পশু লালন পালন করলে তাকে সংশ্লিষ্ট পশুর খামারি হিসেবে গণ্য করা হয়। সেমোতাবেক উপজেলায় মোট ২ হাজার খামারি রয়েছেন। এসব খামারে ১৬ হাজার ৮২০টি হৃষ্টপুষ্টকরণ গবাদি পশু রয়েছে, যা আসন্ন ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছ। এরমধ্যে, ষাঁড় ৯ হাজার ৫৭৪টি, বলদ ৭১৯টি, গাভী এক হাজার ৪৫০টি, মহিষ ২৬২টি, ছাগল ৪ হাজার ৪৩০টি ও ভেড়া রয়েছে ৩৮৫ টি। তিনি আরো জানান, গত কয়েক বছরের কোরবানি ঈদের জন্য পশুর চাহিদার গড় হিসেব করে এবছর কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে সাড়ে ৯ হাজার। উপজেলায় কোরবানির চাহিদার চেয়ে ৭ হাজার ৩০০টি অতিরিক্ত পশু প্রস্তুত আছে। ফলে কোরবানির পশু পেতে কোনোরকম সংশয় বা সংকটের আশঙ্কা নেই বলে জানান উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ ইসহাক আলী।

কায়দা উত্তর এলাকার খামারি পারভেজ জানান, গতবছরের তুলনায় এবার গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে। যেমন ভূষি, খুদ, চাল ও ভুট্টার দাম আগের তুলনায় অনেক গুণ বেড়েছে। যে কারণে গবাদিপশু পালনে হিমশিম খেতে হয়েছে তাদের। তিনি বলেন গো-খাদ্যের দাম বাড়ার কারনে ঈদ উল ফিতরের মৌসুমে আমি ২১ টি ষাঁড় বিক্রি করে দিয়েছি। তখন ষাঁড়গুলো বিক্রি না করলে এই ঈদে হয়তোবা লাভ বেশি হতো। কিন্তু খাবার ও সার্বিক সেবাদানে আমাকে হিমশিমে পড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই বিক্রি করতে হয়েছে।

সরেজমিনে পারভেজের খামারে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে তার খামারে বিক্রির জন্য প্রাকৃতিক ভাবে মোটাতাজাকরণ করা ১৮ টি ষাঁড় রয়েছে। তার খামারের অধিকাংশ গরু দেশি জাতের। তবে কিছু সংকর কিছু জাতের ষাঁড় ও গাভী রয়েছে। ষাঁড় গুলো ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনে ওজন করে বিক্রি করা হবে। ফলে ক্রেতা সাধারণ তাদের চাহিদা অনুযায়ী কিনতে পারবেন, পাশাপাশি তিনিও ন্যায্য দাম পাবেন বলে মনে করছেন। ষাঁড় ওজন করে বিক্রি করলে ক্রেতা ও বিক্রেতা কারো ঠকার সম্ভাবনা নেই বলে অনেকে মনে করছেন।

নকলা পৌরসভার কুর্শাবাদাগৈড় এলাকার গরুর বাজারসহ চন্দ্রকোনা ও পাঠাকাটা ইউনিয়নের পশুর বাজারের ইজারাদারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহ আগে থেকেই  ঐতিহ্যবাহী নকলা পৌরসভার কুর্শাবাদাগৈড় পশুর বাজারসহ চন্দ্রকোনা ও পাঠাকাটা পশুর বাজারে কোরবানির পশু ধুম বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। তারা জানান, নকলার কোন বাজারেই কোন প্রকার চাঁদাবাজি নেই, নেইি হয়রানির কোন নজির। তাই এখানকার বাজার গুলোতে রাত ১২ পর্যন্ত গবাদিপশুসহ সকল প্রকার পণ্য কেনা-বেচা চলে।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ ইসহাক আলী জানান, এবছর প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণের জন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক তালিকাভুক্ত খামারিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আসন্ন কোরবানির ঈদে হাটে আগত ব্যবসায়ী, খামারি ও কৃষকরা যেন নির্বিঘেœ তাঁদের পশু বেচা-কেনা করতে পারেন এর জন্য ক্রেতা-বিক্রেতার সার্বিক নিরাপত্তা দিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া উপজেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রতিটি গবাদিপশুর বাজারে ভ্রাম্যমান ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম সেবা প্রদান শুরু করেছে। কোনো পশু অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক এসব মেডিকেল টিমের চিকিৎসকগন চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, আমরা খামারিদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে বরাবরই যথাসময়ে সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার পশুর দাম ভালো থাকায় খামারিরা লাভবান হবেন বলে আশাব্যক্ত করেন ড. মুহাম্মদ ইসহাক আলী।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নকলায় প্রস্তুত ১৭ হাজার পশু : চাহিদার চেয়ে সাড়ে ৭ হাজার বেশি

আপডেট সময় : ০৭:৫০:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি:

শেরপুরের নকলায় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন খামারি ও স্থানীয় গৃহস্থ পরিবারগুলো প্রায় ১৭ হাজার পশু প্রস্তুত করেছেন। এ বছর উপজেলায় কোরবানি ঈদের জন্য পশুর চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার ৫০০টি। এ হিসেব মতে নকলায় চাহিদার তুলনায় গবাদিপশুর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৭ হাজার বেশি রয়েছে।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যে কোন লোক একসাথে একই ধরনের অন্তত ৫টি পশু লালন পালন করলে তাকে সংশ্লিষ্ট পশুর খামারি হিসেবে গণ্য করা হয়। সেমোতাবেক উপজেলায় মোট ২ হাজার খামারি রয়েছেন। এসব খামারে ১৬ হাজার ৮২০টি হৃষ্টপুষ্টকরণ গবাদি পশু রয়েছে, যা আসন্ন ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছ। এরমধ্যে, ষাঁড় ৯ হাজার ৫৭৪টি, বলদ ৭১৯টি, গাভী এক হাজার ৪৫০টি, মহিষ ২৬২টি, ছাগল ৪ হাজার ৪৩০টি ও ভেড়া রয়েছে ৩৮৫ টি। তিনি আরো জানান, গত কয়েক বছরের কোরবানি ঈদের জন্য পশুর চাহিদার গড় হিসেব করে এবছর কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে সাড়ে ৯ হাজার। উপজেলায় কোরবানির চাহিদার চেয়ে ৭ হাজার ৩০০টি অতিরিক্ত পশু প্রস্তুত আছে। ফলে কোরবানির পশু পেতে কোনোরকম সংশয় বা সংকটের আশঙ্কা নেই বলে জানান উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ ইসহাক আলী।

কায়দা উত্তর এলাকার খামারি পারভেজ জানান, গতবছরের তুলনায় এবার গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে। যেমন ভূষি, খুদ, চাল ও ভুট্টার দাম আগের তুলনায় অনেক গুণ বেড়েছে। যে কারণে গবাদিপশু পালনে হিমশিম খেতে হয়েছে তাদের। তিনি বলেন গো-খাদ্যের দাম বাড়ার কারনে ঈদ উল ফিতরের মৌসুমে আমি ২১ টি ষাঁড় বিক্রি করে দিয়েছি। তখন ষাঁড়গুলো বিক্রি না করলে এই ঈদে হয়তোবা লাভ বেশি হতো। কিন্তু খাবার ও সার্বিক সেবাদানে আমাকে হিমশিমে পড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই বিক্রি করতে হয়েছে।

সরেজমিনে পারভেজের খামারে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে তার খামারে বিক্রির জন্য প্রাকৃতিক ভাবে মোটাতাজাকরণ করা ১৮ টি ষাঁড় রয়েছে। তার খামারের অধিকাংশ গরু দেশি জাতের। তবে কিছু সংকর কিছু জাতের ষাঁড় ও গাভী রয়েছে। ষাঁড় গুলো ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনে ওজন করে বিক্রি করা হবে। ফলে ক্রেতা সাধারণ তাদের চাহিদা অনুযায়ী কিনতে পারবেন, পাশাপাশি তিনিও ন্যায্য দাম পাবেন বলে মনে করছেন। ষাঁড় ওজন করে বিক্রি করলে ক্রেতা ও বিক্রেতা কারো ঠকার সম্ভাবনা নেই বলে অনেকে মনে করছেন।

নকলা পৌরসভার কুর্শাবাদাগৈড় এলাকার গরুর বাজারসহ চন্দ্রকোনা ও পাঠাকাটা ইউনিয়নের পশুর বাজারের ইজারাদারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহ আগে থেকেই  ঐতিহ্যবাহী নকলা পৌরসভার কুর্শাবাদাগৈড় পশুর বাজারসহ চন্দ্রকোনা ও পাঠাকাটা পশুর বাজারে কোরবানির পশু ধুম বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। তারা জানান, নকলার কোন বাজারেই কোন প্রকার চাঁদাবাজি নেই, নেইি হয়রানির কোন নজির। তাই এখানকার বাজার গুলোতে রাত ১২ পর্যন্ত গবাদিপশুসহ সকল প্রকার পণ্য কেনা-বেচা চলে।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ ইসহাক আলী জানান, এবছর প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণের জন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক তালিকাভুক্ত খামারিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আসন্ন কোরবানির ঈদে হাটে আগত ব্যবসায়ী, খামারি ও কৃষকরা যেন নির্বিঘেœ তাঁদের পশু বেচা-কেনা করতে পারেন এর জন্য ক্রেতা-বিক্রেতার সার্বিক নিরাপত্তা দিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া উপজেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রতিটি গবাদিপশুর বাজারে ভ্রাম্যমান ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম সেবা প্রদান শুরু করেছে। কোনো পশু অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক এসব মেডিকেল টিমের চিকিৎসকগন চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, আমরা খামারিদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে বরাবরই যথাসময়ে সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার পশুর দাম ভালো থাকায় খামারিরা লাভবান হবেন বলে আশাব্যক্ত করেন ড. মুহাম্মদ ইসহাক আলী।