ঢাকা ০১:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
সাংবাদিক প্রীতির সহায়তায় সৌদি থেকে ফিরল গার্মেন্টস কর্মী শায়েরার লাশ সিদ্ধিরগঞ্জে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত একই পরিবারের ৩ আসামি গ্রেপ্তার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ পুলিশি হেফাজতে সোনারগাঁয়ে অপহৃত কিশোরীরকে ৩৭ দিন পর উদ্ধার করলো পিবিআই  দুমকীতে শহিদকন্যার ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানা ঘেরাও ভালুকায় বিএনপি নেতার উদ্যোগে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ সাতক্ষীরা-৪ আসনের জামায়াতের ভোটকেন্দ্র পরিচালক ও প্রধান পোলিং এজেন্ট  সম্মেলন অনুষ্ঠিত  নারায়ণগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা, বিপনিবিতান গুলোতে উপচে পরা ভিড় জব্দ অর্থের উৎস প্রমাণ করতে ব্যর্থ: বরখাস্ত গাইবান্ধার এলজিইডি প্রকৌশলী বাউফলে নির্মাণের একদিন পরেই ধসে পড়লো সড়ক পাবনা ও ঈশ্বরদী মটর শ্রমিক ইউনিয়নের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  কুষ্টিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে নয় বছর বয়সী কন্যাশিশুর আত্মহত্যা ৩১ দিনেও উদ্ধার হয়নি সুন্দরগঞ্জের অপহৃত স্কুলছাত্রী আর্জিনা, প্রশাসন নিশ্চুপ মৌলভীবাজারে সাংবাদিকের উপর অতর্কিত হামলা মহাকাশ থেকে দীর্ঘ ৯ মাস পর পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন সুনিতা-উইলিয়াম  মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  কুষ্টিয়া বৃদ্ধাশ্রমের বদ্ধ ঘরে আধপেট খেয়ে রোজা রাখছেন ৩০ অসহায় মা সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাংবাদিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত  শিবপুর ও আগরদাড়ী ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ভালুকায় কাচিনা ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মিয়ানমারের আরাকান সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা প্রধান ও রোহিঙ্গা নারীসহ গ্রেপ্তার-১০ সিদ্ধিরগঞ্জে অপহৃত শিশু ও কিশোরীকে পৃথক স্থান থেকে উদ্ধার করেছে পিবিআই অবশেষে ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন ফিরে পেলেন শফিক রেহমান বাউফলে ‘আমাকে বাধ্য করা হয়েছে’ চিরকুট লিখে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর আত্মহত্যা ‘বদর দিবস’ ইসলামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় অধ্যায় শ্রীমঙ্গলে জেলা প্রশাসন ও ট্রাস্কফোর্সের দ্বৈত অভিযান  কমলগঞ্জে চাঞ্চল্যকর পূর্ণিমা রেলি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার খেলাফত মজলিস বড়লেখা শাখার উদ্যোগে আলোচনা ও ইফতার মাহফিল ঈশ্বরদীতে পুড়ে যাওয়া কৃষকের বসতবাড়ি পরিদর্শনে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিব সাতক্ষীরায় আছিয়া হত্যার বিচারের দাবিতে মহিলা জামায়াতের মানববন্ধন শ্রীমঙ্গলে আড়াই কোটি টাকার সরকারি জমি পুনরুদ্ধার স্ত্রী’কে জ্বালিয়ে হত্যা চেষ্টায়, স্বামী শ্রীঘরে নতুন সিআইডি প্রধানের দায়িত্বে গাজী জসীম নগরীর যানজট নিরসনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানসহ অর্থদন্ড জরিমানা  সোনারগাঁয়ের পানাম নগরী পরিদর্শনে চীনা ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল বাউফলে স্কুল শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে যুবককে গণধোলাই মৌলভীবাজারে পাঁচ কেজি হেরোইনসহ দুই নারী কারবারি গ্রেপ্তার  বড়লেখায় পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু  বড়লেখায় ভাতিজা বউকে ধর্ষণের অভিযোগে চাচাশ্বশুর শ্রীঘরে সাদুল্লাপুর উপজেলা আ’লীগ নেতা সাহরিয়ার খাঁন বিপ্লব গ্রেপ্তার মৌলভীবাজারের আলোচিত রোমান হত্যা মামলার পলাতক আসামি জাবেদ গ্রেপ্তার জামায়াত ক্ষমতায় আসলে সংবাদ কর্মীরা স্বাধীনতা পাবে বাউফলে গণপিটুনিতে ডাকাতের মৃত্যু মৌলভীবাজারে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু গাইবান্ধায় সাঁওতাল হত্যাকাণ্ডের বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ভালুকায় মিথ্যা বানোয়াট মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন  কুলাউড়া সংযোগ সড়কে ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু কাজে আসছে না কুষ্টিয়ার মিরপুরে তামাকের মাঠ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার বাউফলে পৃথক স্থান থেকে এক কিশোরী ও তরুনের লাশ উদ্ধার কুষ্টিয়ায় ৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার বড়লেখায় ধ*র্ষণের অভিযোগে যুবক আটক কুলাউড়া সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ  গাইবান্ধা এলজিইডি প্রকৌশলী’র কাছ থেকে ৩৭ লাখ টাকা জব্দ, প্রাইভেটকারসহ আটক  ভালুকায় হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে ফুটপাত দখলমুক্ত অভিযান না’গঞ্জ জেলা প্রশাসনের ‘গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন’ কার্যক্রমে দৃষ্টিনন্দন পুরো নগরী ধর্ষণ প্রতিরোধে নতুন আইন রোববারের মধ্যেই, থাকছে আলাদা ট্রাইব্যুনাল: আইন উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক মারা গেছেন পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ সারাদেশের ন্যায় না’গঞ্জেও স্বতঃস্ফূর্তভাবে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত হবে এনায়েতনগরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা আসাদুজ্জামান গ্রেপ্তার  সকল শ্রেণিপেশার প্রানবন্ত উপস্থিতে নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত সোনারগাঁয়ে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার-১ রূপগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত দৈনিক ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন বাতিল করল সরকার কুষ্টিয়ায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্নহত্যা বাউফলে বিএনপি নেতার বাড়িতে মিলল টিসিবির পণ্য গাইবান্ধায় বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ টেকনাফে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা  সোনারগাঁয়ে প্রতিবন্ধী তরুনী ধর্ষণ: র‍্যাবের ছায়া তদন্তে ঝিনাইদহে গ্রেপ্তার ধর্ষক না’গঞ্জে অপহৃত কিশোরীকে ৬০দিন পর টাঙ্গাইল থেকে উদ্ধার করলো পিবিআই না’গঞ্জকে পরিচ্ছন্ন-পরিবেশবান্ধব গড়তে ‘গ্রীন এন্ড ক্লিন জোন’ পরিকল্পনা গ্রহণ  সরকারি সম্পত্তিতে কোন অবৈধ স্থাপনা থাকতে পারবে না: ডিসি জাহিদুল  ভেড়ামারায় দ্রব্যমুল্য সহনীয় পর্যায় রাখতে বাজার মনিটরিং ভিডিও-ছবি ধারন করায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা করলেন সাবেক এসপি এবার জনপ্রতি সাদাকাতুল ফিতরা সর্বনিম্ন ১১০ টাকা কারাগারে ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৮৭৭, বন্দি ৭০ হাজারের বেশি: কারা মহাপরিদর্শক টাকা ছাড়া সুন্দরগঞ্জের প্রশাসন কাজ করে না: অধ্যাপক মাজেদুর রহমান মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি পেল ঢাকাগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেস বড়লেখায় ও মাগুরায় শিশু ধর্ষণে জড়িতদের ফাঁ’সি’র দাবিতে বি’ক্ষো’ভ ফতুল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দলের মামুন হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান জেল ভেঙে পলাতক ৭’শ জনকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশের গাড়ি নিয়ে ডাকাতি: দুই বাহিনীর সাবেক-বর্তমানসহ গ্রেপ্তার-৫ নারায়ণগঞ্জের অদম্য জেলা প্রশাসক এগিয়ে চলছে মানবসেবায় ব্রত হয়ে সৎ ব্যবসায়ীদের নবীদের সাথে হাশর হবে: মাওলানা হাফিজুর রহমান না’গঞ্জে হাসপাতালে যৌথবাহিনীর অভিযানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠকসহ আটক-২ শিশু আছিয়া ধর্ষণ ইস্যুতে গাইবান্ধায় ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন যৌনপীড়ন, ধর্ষণ ও নারী সুরক্ষায় আমাদের করণীয় কমলগঞ্জে সাবেক কৃষিমন্ত্রীর ভাইয়ের অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিলো ভ্রাম্যমাণ আদালত নারী দিবসে শ্রীমঙ্গলে চা-শ্রমিক ইউনিয়নের র‍্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় ইস্টার্ন রেস্টুরেন্টসহ ৪ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলমান; অবৈধভাবে শিক্ষকের নাম এমপিও ভুক্ত নারীরা সমাজের বোঝা না হয়ে, সম্পদ হয়ে উঠতে পারে: নারী দিবসে ডিসি জাহিদুল আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ কুলাউড়ায় ডেভিল হান্টের অ’ভি’যা’নে চেয়ারম্যান পিতাসহ পুত্র গ্রে’প্তা’র ভালুকায় হবিরবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  জুড়ীতে কু’খ্যাত ডাকাত সোহেল গ্রেপ্তার  সিদ্ধিরগঞ্জে ডিএনডি লেকের পানিতে যুবকের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার  মহাসড়কে উচ্ছেদ অভিযানে যানজট মুক্ত রূপগঞ্জ রূপগঞ্জের নূর ম্যানশন মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সিদ্ধিরগঞ্জে দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত-১৫

ভারতের গণতন্ত্র কোন পথে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৩:০১:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪ ৯২ বার পড়া হয়েছে

 

মানস বন্দ্যোপাধ্যায়,দিল্লি।।

এমন একটা সময় ছিল যখন ভারতের প্রকৃত গণতন্ত্র ও সৎ রাজনীতিবিদেরা সমাজের মুখ উজ্জ্বল করে গেছেন। সেই ট্র্যাডিশন ধরে রাখা গেল না। এটাই দুঃখের বিষয়।

ভারতের দুই মহান ব্যক্তির কাছ থেকেও কোন বর্তমান রাজনীতিবিদ শিক্ষা লাভ করলেন না। প্রথম জন প্রয়াত প্রধান মন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী, দ্বিতীয় জন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম আজাদ।লালবাহাদুর শাস্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর পর তার স্ত্রীর কোন ব্যাংক ব্যালেন্স ছিল না।
তিনি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন তার মাএকটি অজ গ্রামের স্টেশনে পুরো একটি দিন প্লাটফর্মে শুয়ে কাটালেন। পরবর্তী ট্রেন ২৪ ঘণ্টা পরে ছাড়ার কথা।তার পুত্র কী করেন তিনি জানতেন না। এক কুলি তাকে পুত্রের নাম জিজ্ঞেস করলে তিনি লাল বাহাদুর শাস্ত্রী বলেছিলেন। ব্যস, সারা স্টেশনে হুলুস্থুল। বিশেষ সেলুনে বসিয়ে তাকে দিল্লি পাঠানো হলে পুত্রকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ” হ্যাঁরে ,তুই কী চাকরি করিস রেলে?” উত্তরে শাস্ত্রীজী বলেছিলেন ” সামান্য একটা কাজ”.
লালবাহাদুরের দুই পুত্র অনিল এবং সুনীল যথাক্রমে কংগ্রেস এবং বিজেপির মুখপাত্র ছিলেন। আমার সঙ্গে গাভীর আন্তরিকতা ও ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক ছিল,বিশেষ করে সুনীল শাস্ত্রীর। একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে থাকতেন। মাঝে মাঝেই পায়ে হেঁটে দুজনেই ২৪ আকবর রোডে এবং ১১ অশোকা রোডের অফিসে আসতেন। পরবর্তীকালে পার্টি অফিস থেকে আসা যাওয়ার জন্য গাড়ি দেওয়া হয়েছিল।
দ্বিতীয় জন, বিশ্ব বরেণ্য বিজ্ঞানী ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ২০০২ সালে যখন রাষ্ট্রপতি ভবনে এলেন,সেদিন একটি হলুদ ট্যাক্সি থেকে নেমে ভবনে প্রবেশ করেন। সঙ্গে ছিল মাত্র একটি ট্রাংক ও একটি ব্রিফকেস। ট্র্যাংকটি  পুরো বই ও  কাগজপত্রে ঠাসা। পূর্বে পরিচয় সূত্রে সেদিন গিয়েছিলাম সেখানে। একগাল হাসি নিয়ে ব্রিফকেস হাতে এগিয়ে যাওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতি ভবনের কর্মীরা সেগুলি কেড়ে নিয়ে তার কামরার দিয়ে নিয়ে গেলেন।।j
২০০৭ সালে যেদিন বিদায় নিলেন তখন সরকার থেকে একটি প্রাইভেট কার ও তার পাওনা মালপত্র নিয়ে যাবার জন্য তিনটি ট্রাক দেওয়া হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়েই তিনি  অফিসারদের ডেকে ট্রাক তিনটি ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিলেন। তারা তো অবাক! এতো মালপত্র যাবে কীকরে!!!
কালাম বললেন,তার তো মাত্র একটি ট্রাঙ্ক ও একটি ব্রিফকেস রয়েছে। বাকি সমস্ত মাল তার নয়। রাষ্ট্রপতি থাকা কালীন দেশ বিদেশ থেকে তাকে অফুরন্ত উপহার দেওয়া হয়েছে,কিন্তু সেগুলি দেওয়া হয়েছে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে। সেই সম্পদ ভারতের। আমার নয়। এই বলে তিনি সটান প্রাইভেট গাড়িতে উঠে পড়লেন নিজের ট্রাঙ্ক ও একটি ব্রিফকেস নিয়ে। ইনি হলেন সেই এপিজে আবদুল কালাম।
এরা হলেন প্রকৃত সততা ও গণতন্ত্রের প্রতীক।কোন রাজনৈতিক নেতা ও কর্মী এদের কাছ থেকে কোন শিক্ষা গ্রহণ করলেন না।।
ঠিক এর আগে রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলকে দেখেছি। যখন এলেন,একটি প্রাইভেট কারে। যাবার সময় দুটি ট্রাক বোঝাই মাল নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবন ছেড়ে চলে গেলেন।
এই প্রতিভা পাতিলই হয়ে গেলেন সকলের অনুকরণীয়। বিহারের লালু প্রসাদ যাদব যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, সারা রেলের সম্পত্তিই হয়ে গেল তার বাপের সম্পত্তি। এমনকি রেল লাইনের ধারে রেলের জমি গুলিও রক্ষা পেলো না। সেগুলিও জলের দরে বিক্রি করে দিলেন পরিচিত এবং আত্মীয় স্বজনের কাছে।
তারপর থেকে অনবরত চলেছে লুট,আত্মসাতের ঘটনা।
ওড়িশার প্রাক্তন সাংসদ  আচারিয়া প্রসন্ন পাতসানি পরপর তিনবার সাংসদ হলেন ভোটে জিতে। নির্বাচনে তার খরচ হয়েছিল মাত্র ৫ হাজার টাকা করে। বিশাল লোকসভা কেন্দ্রের আনাচে কানাচে পায়ে হেঁটে প্রচার করতেন। কোন হোর্ডিং,ফেস্টুন ছাপেন নি। কিছু ভক্ত নিজের টাকায় কিছু লিফলেট ছেপে ছিলেন। জনতা তার নামেই ভোট দিয়েছেন। বারবার জিতে এসেছেন। দিল্লিতে তার সরকারি ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেছি তিনি মাটিতে চাদর বিছিয়ে শুয়ে রয়েছেন। দেখা হতেই উঠে দাঁড়িয়ে হাসি মুখে অভ্যর্থনা জানান। অনেক গল্প হতো। এক কাপ চা,সঙ্গে দুটি বিস্কুট খেতাম। বাইরে লনে বসে জাম গাছের দিকে তাকিয়ে কর্মীকে জাম আনতে বলতেন। একবাটি জাম খেতেন। এটাই নাকি তার জল খাবার। বিশ্বের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি থেকে ডাক আসতো বিভিন্ন বিষয়ে বক্তৃতা দেবার জন্য। দীর্ঘ একদশক পরেও দেখেছি সেই একই অবস্থা!! এমন মানুষ কজন হয়? পরে কিন্তু পার্টি থেকে তাকে নির্বাচনে লড়াই করার টিকিটই দেওয়া হয় নি। অথচ তিনি ছিলেন গণতন্ত্রের পূজারী। যেখানে ভোট জিততে কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হয় প্রার্থীকে, পার্টি থেকে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে, বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে, ব্যালট বাক্স তুলে নিয়ে ,বুথ দখল করে গণতন্ত্রের হত্যা হয়,সেখানে প্রসন্ন পাতাসনি খালি পায়ে হেঁটে প্রচার করতেন কোন প্রচার সামগ্রী ছাড়াই।  এদের অনুকরণ কেউ করেনি। গণতন্ত্রের ধ্বংস হচ্ছে জেনেও ভোটাররাও ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বসে পড়েছে।
অযোগ্য প্রার্থী জিতে সংসদে যাচ্ছেন। কেউ গুণ্ডামী করে,যে সিনেমার নায়ক,নায়িকার তকমা নিয়ে। এই সাংসদরা পার্লামেন্টে গিয়ে কি অভিনয় করবেন,নাকি গুন্ডামি করবেন!!!
জনতা যেখানে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বসে আছেন সেখানে তাদের অপকীর্তির জোরে জিতে আসা সাংসদরা কী পাবেন?
মাসে মাসে ৮০ হাজার টাকা বেতন। সংসদে দৈনিক হাজিরার জন্য দৈনিক ২ হাজার টাকা, বিশাল বাংলো। সবকিছুই বিলাসিতায় ভরা। টেলিফোন ফ্রি। বিদ্যুৎ , জল ফ্রি। অফিসের জন্য মাসে ৫০ হাজার টাকা। যাতায়াতের জন্য গাড়ি। পেট্রোল ফ্রি। ট্রেন সফর দলবল সহ ফ্রি। বছরে ৩৮ বার ফ্রিতে সঙ্গী নিয়ে বিমান সফর। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক সুবিধা। পার্লামেন্টে মাত্র ৩০ টাকায় আমিষ খাদ্য। চামচা ও সুবিধাবাদীদের কাছ থেকে মূল্যবান উপহার।
এই মহা বৈভবের ও বিলাসিতার জীবন তাদের দিতে গিয়ে যারা নিজের মানুষের মাথা ভাঙলেন, বাড়ি ভেঙে জ্বালিয়ে দিলেন,বোমা বিস্ফোরণ ঘটালেন তারা কী পেলেন? এক কান্দি কাঁচা কলা। এই কি গণতন্ত্র??

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

ভারতের গণতন্ত্র কোন পথে

আপডেট সময়- ০৩:০১:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

 

মানস বন্দ্যোপাধ্যায়,দিল্লি।।

এমন একটা সময় ছিল যখন ভারতের প্রকৃত গণতন্ত্র ও সৎ রাজনীতিবিদেরা সমাজের মুখ উজ্জ্বল করে গেছেন। সেই ট্র্যাডিশন ধরে রাখা গেল না। এটাই দুঃখের বিষয়।

ভারতের দুই মহান ব্যক্তির কাছ থেকেও কোন বর্তমান রাজনীতিবিদ শিক্ষা লাভ করলেন না। প্রথম জন প্রয়াত প্রধান মন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী, দ্বিতীয় জন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম আজাদ।লালবাহাদুর শাস্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর পর তার স্ত্রীর কোন ব্যাংক ব্যালেন্স ছিল না।
তিনি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন তার মাএকটি অজ গ্রামের স্টেশনে পুরো একটি দিন প্লাটফর্মে শুয়ে কাটালেন। পরবর্তী ট্রেন ২৪ ঘণ্টা পরে ছাড়ার কথা।তার পুত্র কী করেন তিনি জানতেন না। এক কুলি তাকে পুত্রের নাম জিজ্ঞেস করলে তিনি লাল বাহাদুর শাস্ত্রী বলেছিলেন। ব্যস, সারা স্টেশনে হুলুস্থুল। বিশেষ সেলুনে বসিয়ে তাকে দিল্লি পাঠানো হলে পুত্রকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ” হ্যাঁরে ,তুই কী চাকরি করিস রেলে?” উত্তরে শাস্ত্রীজী বলেছিলেন ” সামান্য একটা কাজ”.
লালবাহাদুরের দুই পুত্র অনিল এবং সুনীল যথাক্রমে কংগ্রেস এবং বিজেপির মুখপাত্র ছিলেন। আমার সঙ্গে গাভীর আন্তরিকতা ও ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক ছিল,বিশেষ করে সুনীল শাস্ত্রীর। একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে থাকতেন। মাঝে মাঝেই পায়ে হেঁটে দুজনেই ২৪ আকবর রোডে এবং ১১ অশোকা রোডের অফিসে আসতেন। পরবর্তীকালে পার্টি অফিস থেকে আসা যাওয়ার জন্য গাড়ি দেওয়া হয়েছিল।
দ্বিতীয় জন, বিশ্ব বরেণ্য বিজ্ঞানী ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ২০০২ সালে যখন রাষ্ট্রপতি ভবনে এলেন,সেদিন একটি হলুদ ট্যাক্সি থেকে নেমে ভবনে প্রবেশ করেন। সঙ্গে ছিল মাত্র একটি ট্রাংক ও একটি ব্রিফকেস। ট্র্যাংকটি  পুরো বই ও  কাগজপত্রে ঠাসা। পূর্বে পরিচয় সূত্রে সেদিন গিয়েছিলাম সেখানে। একগাল হাসি নিয়ে ব্রিফকেস হাতে এগিয়ে যাওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতি ভবনের কর্মীরা সেগুলি কেড়ে নিয়ে তার কামরার দিয়ে নিয়ে গেলেন।।j
২০০৭ সালে যেদিন বিদায় নিলেন তখন সরকার থেকে একটি প্রাইভেট কার ও তার পাওনা মালপত্র নিয়ে যাবার জন্য তিনটি ট্রাক দেওয়া হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়েই তিনি  অফিসারদের ডেকে ট্রাক তিনটি ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিলেন। তারা তো অবাক! এতো মালপত্র যাবে কীকরে!!!
কালাম বললেন,তার তো মাত্র একটি ট্রাঙ্ক ও একটি ব্রিফকেস রয়েছে। বাকি সমস্ত মাল তার নয়। রাষ্ট্রপতি থাকা কালীন দেশ বিদেশ থেকে তাকে অফুরন্ত উপহার দেওয়া হয়েছে,কিন্তু সেগুলি দেওয়া হয়েছে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে। সেই সম্পদ ভারতের। আমার নয়। এই বলে তিনি সটান প্রাইভেট গাড়িতে উঠে পড়লেন নিজের ট্রাঙ্ক ও একটি ব্রিফকেস নিয়ে। ইনি হলেন সেই এপিজে আবদুল কালাম।
এরা হলেন প্রকৃত সততা ও গণতন্ত্রের প্রতীক।কোন রাজনৈতিক নেতা ও কর্মী এদের কাছ থেকে কোন শিক্ষা গ্রহণ করলেন না।।
ঠিক এর আগে রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলকে দেখেছি। যখন এলেন,একটি প্রাইভেট কারে। যাবার সময় দুটি ট্রাক বোঝাই মাল নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবন ছেড়ে চলে গেলেন।
এই প্রতিভা পাতিলই হয়ে গেলেন সকলের অনুকরণীয়। বিহারের লালু প্রসাদ যাদব যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, সারা রেলের সম্পত্তিই হয়ে গেল তার বাপের সম্পত্তি। এমনকি রেল লাইনের ধারে রেলের জমি গুলিও রক্ষা পেলো না। সেগুলিও জলের দরে বিক্রি করে দিলেন পরিচিত এবং আত্মীয় স্বজনের কাছে।
তারপর থেকে অনবরত চলেছে লুট,আত্মসাতের ঘটনা।
ওড়িশার প্রাক্তন সাংসদ  আচারিয়া প্রসন্ন পাতসানি পরপর তিনবার সাংসদ হলেন ভোটে জিতে। নির্বাচনে তার খরচ হয়েছিল মাত্র ৫ হাজার টাকা করে। বিশাল লোকসভা কেন্দ্রের আনাচে কানাচে পায়ে হেঁটে প্রচার করতেন। কোন হোর্ডিং,ফেস্টুন ছাপেন নি। কিছু ভক্ত নিজের টাকায় কিছু লিফলেট ছেপে ছিলেন। জনতা তার নামেই ভোট দিয়েছেন। বারবার জিতে এসেছেন। দিল্লিতে তার সরকারি ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেছি তিনি মাটিতে চাদর বিছিয়ে শুয়ে রয়েছেন। দেখা হতেই উঠে দাঁড়িয়ে হাসি মুখে অভ্যর্থনা জানান। অনেক গল্প হতো। এক কাপ চা,সঙ্গে দুটি বিস্কুট খেতাম। বাইরে লনে বসে জাম গাছের দিকে তাকিয়ে কর্মীকে জাম আনতে বলতেন। একবাটি জাম খেতেন। এটাই নাকি তার জল খাবার। বিশ্বের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি থেকে ডাক আসতো বিভিন্ন বিষয়ে বক্তৃতা দেবার জন্য। দীর্ঘ একদশক পরেও দেখেছি সেই একই অবস্থা!! এমন মানুষ কজন হয়? পরে কিন্তু পার্টি থেকে তাকে নির্বাচনে লড়াই করার টিকিটই দেওয়া হয় নি। অথচ তিনি ছিলেন গণতন্ত্রের পূজারী। যেখানে ভোট জিততে কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হয় প্রার্থীকে, পার্টি থেকে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে, বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে, ব্যালট বাক্স তুলে নিয়ে ,বুথ দখল করে গণতন্ত্রের হত্যা হয়,সেখানে প্রসন্ন পাতাসনি খালি পায়ে হেঁটে প্রচার করতেন কোন প্রচার সামগ্রী ছাড়াই।  এদের অনুকরণ কেউ করেনি। গণতন্ত্রের ধ্বংস হচ্ছে জেনেও ভোটাররাও ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বসে পড়েছে।
অযোগ্য প্রার্থী জিতে সংসদে যাচ্ছেন। কেউ গুণ্ডামী করে,যে সিনেমার নায়ক,নায়িকার তকমা নিয়ে। এই সাংসদরা পার্লামেন্টে গিয়ে কি অভিনয় করবেন,নাকি গুন্ডামি করবেন!!!
জনতা যেখানে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বসে আছেন সেখানে তাদের অপকীর্তির জোরে জিতে আসা সাংসদরা কী পাবেন?
মাসে মাসে ৮০ হাজার টাকা বেতন। সংসদে দৈনিক হাজিরার জন্য দৈনিক ২ হাজার টাকা, বিশাল বাংলো। সবকিছুই বিলাসিতায় ভরা। টেলিফোন ফ্রি। বিদ্যুৎ , জল ফ্রি। অফিসের জন্য মাসে ৫০ হাজার টাকা। যাতায়াতের জন্য গাড়ি। পেট্রোল ফ্রি। ট্রেন সফর দলবল সহ ফ্রি। বছরে ৩৮ বার ফ্রিতে সঙ্গী নিয়ে বিমান সফর। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক সুবিধা। পার্লামেন্টে মাত্র ৩০ টাকায় আমিষ খাদ্য। চামচা ও সুবিধাবাদীদের কাছ থেকে মূল্যবান উপহার।
এই মহা বৈভবের ও বিলাসিতার জীবন তাদের দিতে গিয়ে যারা নিজের মানুষের মাথা ভাঙলেন, বাড়ি ভেঙে জ্বালিয়ে দিলেন,বোমা বিস্ফোরণ ঘটালেন তারা কী পেলেন? এক কান্দি কাঁচা কলা। এই কি গণতন্ত্র??