ঢাকা ১০:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
২৪’র গণঅভ্যুত্থানকে কোনোভাবেই বেহাত হতে দেব না : নওগাঁয় নাহিদ ইসলাম গাজীপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার সাংবাদিকদের নয়, বসুন্ধরা মিডিয়াকেই হুমকি দিয়েছি’: হাসনাত আবদুল্লাহ নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর ঘাতক স্বামীর থানায় আত্নসমর্পণ কুষ্টিয়ায় অবৈধভাবে পদ্মা নদীর বালু উত্তোলনের দায়ে জেল-জরিমানা চাঁদপুর শহরে হাসান আলী মাঠে অবৈধ দোকানপাট, খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত শিশুরা শরণখোলায় আনোয়ার হোসেন পঞ্চায়েত’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন  বিএনপিতে অপকর্মকারীদের তালিকাসহ শুদ্ধি অভিযান শুরু আজ ১০ই মহরম, পবিত্র আশুরা জুড়িতে চা শ্রমিক দম্পতির বিষপানে আত্মহত্যা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ অসুস্থ জামালউদ্দিন কালুর পাশে ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান নারায়ণগঞ্জ পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ রিয়া গোপের পরিবারের পাশে মাসুদুজ্জামান শরণখোলায় ব্যাটারি চালিত ভ্যান উল্টে কিশোর জিহাদের করুণ মৃত্যু মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে কালেক্টরেট স্কুল তানজিন তিশার সন্তান দাবি করে ছবি প্রকাশ করলেন সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর ফের বড়লেখা সীমান্তে আটক-১০ শ্রীমঙ্গলে ডিবির অভিযানে বিদেশী মদসহ আটক-১ বন্দরে মাসুদুজ্জামানের পক্ষ থেকে জুলাই আহত ও শহীদদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত বড়লেখা সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র অভিযানে ভারতীয় পণ্যসহ আটক-২ কুষ্টিয়ায় গোরস্থা‌নে নেয়ার প‌থে গৃহবধূর লাশ আট‌কে দিল পু‌লিশ সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার: বিপুল পরিমাণ মাছ ও সরঞ্জাম জব্দ মৌলভীবাজারে ডিবির পৃথক অভিযানে ইয়াবা গাঁজাসহ গ্রেপ্তার-২ চাঁদপুরে ধনাগোদা নদীতে অবৈধ ভাসমান রেষ্টুরেন্ট, প্রশাসন রহস্যজনক নিশ্চুপ ফতুল্লায় ১৩ বছরের কিশোরী ধর্ষণ মামলার আসামি আজিম গ্রেপ্তার একমাত্র খেলাধুলাই পারে যুবসমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে: মোশারফ হোসেন আ’লীগ নেতার বাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটালো জনতা এসএসসির ফল প্রস্তুত: জানা গেল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ প্রধান উপদেষ্টার ‘কাউন্টডাউন শুরু’ পোস্ট দেয়া সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী চাকরিচ্যুত না’গঞ্জ জেলা পরিষদের সিইও’র বদলিজনিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় স্কুল পড়ুয়া তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু নির্দেশনা পেলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত: কর্নেল শফিকুল দৌলতপুরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত মৌলভীবাজার সীমান্তে শিশুসহ ৭১ বাংলাদেশীকে ফেরত দিলো বিএসএফ শ্রীমঙ্গলে অনিয়ম-দুর্নীতি ঢাকতে নতুন কারসাজিতে ও ঠিকাদার ব্যর্থ মৌলভীবাজারে জামিনের প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক গ্রেপ্তার জুড়ীর কৃতি সন্তান শরীফ বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে প্রথম আ’লীগের সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার ৩৩ ডেপুটি জেলারকে একযোগে বদলি আমি জনগণের সেবক হতে চাই, কারো প্রতিযোগী না: মাসুদুজ্জামান জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে মর্গ্যান স্কুলের সংকট নিরসন মাদরাসার দুই শিক্ষার্থীর একই সাথে মৃত্যু;  শিক্ষক সমিতির শোক দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রথমবার কৃত্রিম বৃষ্টি এক নতুন দিগন্ত ভেড়ামারায় পদ্মায় তীব্র ভাঙন, আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে নদীপাড়ের বাসিন্দারা ভৈরবের পূর্বকান্দা সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক’কে অফিসে ডুকে মারধরের অভিযোগ সুন্দরবনে বিপুল পরিমাণ হরিণ শিকারের ফাঁদ জব্দ কুমিল্লায় ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত বিচারের দাবিতে মহিলা পরিষদের মানববন্ধন আজ ব্যাংক হলিডে, ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে সব লেনদেন বন্ধ জুলাই অভ্যুত্থানে বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের শহীদ হয়েছে ৭৩৪ নওগাঁয় অতিরিক্ত ধান-চাল মজুদ: দুই মিল ম্যানেজারের অর্থদন্ডসহ জেল নারায়ণগঞ্জে র‍্যাবের অভিযানে অস্ত্র-মাদক ও বিদেশি মুদ্রাসহ আটক-২ ফতুল্লায় আবির ফ্যাশনে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনায় বিক্ষোভে ৮ কারখানা বন্ধ সুন্দরবনে হরিণের ফাঁদসহ আটক-১ শিকারী  খোলপেটুয়া নদীরচর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার শরণখোলায় ৪নং সাউথখালী ইউপি’র উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা বিমানবন্দরে চেকিংয়ে ম্যাগজিন পাওয়ার বিষয়ে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ না’ঞ্জকে সবুজে ঘেরা পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলা।”-জেলা প্রশাসক ৫ আগস্টের পর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ১৩ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত না’গঞ্জে ‘আ’লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে সাবেক বিএনপি নেতাকে ‘মারধর’সহ হেনস্তা না’গঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে মাদক-অস্ত্রসহ আটক-২ নারী কারবারি কুষ্টিয়ায় মাদক কারবার নিয়ে বিরোধে যুবককে কুপিয়ে হত্যা কুষ্টিয়ায় বাসচাপায় পুলিশ সদস্য নিহত শরণখোলায় লাগসই প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত আমার শিকড় এই মাটির অনেক গভীরে: মাসুদুজ্জামান মাসুদ ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ আজ না ফেরার দেশে ‘কাঁটা লাগা’ গার্লখ্যাত শেফালি জারিওয়ালা নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে মাসুদ-পন্টি পরিষদ বিজয়ী ধর্ষণচেষ্টা মামলায় শিক্ষক আটক, পাঠানো হলো কারাগারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চালকদের ডাটাবেজ করছে না’গঞ্জ জেলা প্রশাসন ডিএমপির ৬ ডিসির দায়িত্বে রদবদল কুষ্টিয়ায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতের হানা, লাশের শরীর তল্লাশি গাইবান্ধায় এইচএসসি পরীক্ষার ১ম দিনে ১২ জন বহিষ্কার, ৪২৯ অনুপস্থিত কুষ্টিয়ায় মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী দিবস পালিত রায়পুরায় ছয় দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি শরণখোলায় পার্টনার স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম সবুজের মায়ের ১ম  মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া অনুষ্ঠিত আজ থেকে শুরু এইচএসসি পরীক্ষা,পরীক্ষার্থীদের মানতে হবে বিশেষ গাইডলাইন নারায়ণগঞ্জে জোড়া খুন; সাবেক কাউন্সিলর হান্নান ও দুই পুত্রসহ আটক-৪ ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় খালাস পেলেন কুষ্টিয়ার দুই সাংবাদিক গ্লোবাল টিভির সাংবাদিক মনিরুল আলমকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি ‘মব জাস্টিস’ এক হিংস্র উন্মাদনা: তারেক রহমান দেশের সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা ফতুল্লায় তিতাসের অভিযান: অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ অর্থদন্ড রোটারি ক্লাব অব নারায়ণগঞ্জ মিডটাউনের বর্ষ সমাপ্তি সভা অনুষ্ঠিত ‘মব’ ঠেকাতে কঠোর বার্তা, ব্যর্থ হলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার সাবেক সিইসিকে ‘মব’ সৃষ্টি করে হেনস্থাকারী স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মুজাম্মেল আটক স্রোতের তোড়ে ২৮ যাত্রী নিয়ে মেঘনায় ডুবলো স্পিডবোট কর,কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগ‘ কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা এনসিপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত-৪ প্রধান উপদেষ্টাসহ দুদককে উকিল নোটিশ পাঠালেন টিউলিপ সিদ্দিক বিশ্ব পরিবেশ দিবসে মহিলা পরিষদের বৃক্ষরোপণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে ছদ্মবেশে গ্রেপ্তার করল পুলিশ সোনারগাঁয়ে প্রবাসীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার হুমকিদাতা বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার ‘মব’ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কড়া হুশিয়ারী দিলো সরকার সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন গ্রেপ্তার সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে ঘিরে ‘মব’ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার সাবেক আরেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার না’গঞ্জের প্রবেশমুখে স্থাপত্যশৈলীর ছোয়ায় নির্মিত হবে ‘গেট অব ড্যান্ডি’ শামীম ওসমানের ২টি প্লট ক্রোকসহ ২৯ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ সাবেক সিইসি কেএম নুরুল হুদা ডিবি হেফাজতে

ভারতের গণতন্ত্র কোন পথে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৩:০১:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪ ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

 

মানস বন্দ্যোপাধ্যায়,দিল্লি।।

এমন একটা সময় ছিল যখন ভারতের প্রকৃত গণতন্ত্র ও সৎ রাজনীতিবিদেরা সমাজের মুখ উজ্জ্বল করে গেছেন। সেই ট্র্যাডিশন ধরে রাখা গেল না। এটাই দুঃখের বিষয়।

ভারতের দুই মহান ব্যক্তির কাছ থেকেও কোন বর্তমান রাজনীতিবিদ শিক্ষা লাভ করলেন না। প্রথম জন প্রয়াত প্রধান মন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী, দ্বিতীয় জন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম আজাদ।লালবাহাদুর শাস্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর পর তার স্ত্রীর কোন ব্যাংক ব্যালেন্স ছিল না।
তিনি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন তার মাএকটি অজ গ্রামের স্টেশনে পুরো একটি দিন প্লাটফর্মে শুয়ে কাটালেন। পরবর্তী ট্রেন ২৪ ঘণ্টা পরে ছাড়ার কথা।তার পুত্র কী করেন তিনি জানতেন না। এক কুলি তাকে পুত্রের নাম জিজ্ঞেস করলে তিনি লাল বাহাদুর শাস্ত্রী বলেছিলেন। ব্যস, সারা স্টেশনে হুলুস্থুল। বিশেষ সেলুনে বসিয়ে তাকে দিল্লি পাঠানো হলে পুত্রকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ” হ্যাঁরে ,তুই কী চাকরি করিস রেলে?” উত্তরে শাস্ত্রীজী বলেছিলেন ” সামান্য একটা কাজ”.
লালবাহাদুরের দুই পুত্র অনিল এবং সুনীল যথাক্রমে কংগ্রেস এবং বিজেপির মুখপাত্র ছিলেন। আমার সঙ্গে গাভীর আন্তরিকতা ও ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক ছিল,বিশেষ করে সুনীল শাস্ত্রীর। একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে থাকতেন। মাঝে মাঝেই পায়ে হেঁটে দুজনেই ২৪ আকবর রোডে এবং ১১ অশোকা রোডের অফিসে আসতেন। পরবর্তীকালে পার্টি অফিস থেকে আসা যাওয়ার জন্য গাড়ি দেওয়া হয়েছিল।
দ্বিতীয় জন, বিশ্ব বরেণ্য বিজ্ঞানী ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ২০০২ সালে যখন রাষ্ট্রপতি ভবনে এলেন,সেদিন একটি হলুদ ট্যাক্সি থেকে নেমে ভবনে প্রবেশ করেন। সঙ্গে ছিল মাত্র একটি ট্রাংক ও একটি ব্রিফকেস। ট্র্যাংকটি  পুরো বই ও  কাগজপত্রে ঠাসা। পূর্বে পরিচয় সূত্রে সেদিন গিয়েছিলাম সেখানে। একগাল হাসি নিয়ে ব্রিফকেস হাতে এগিয়ে যাওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতি ভবনের কর্মীরা সেগুলি কেড়ে নিয়ে তার কামরার দিয়ে নিয়ে গেলেন।।j
২০০৭ সালে যেদিন বিদায় নিলেন তখন সরকার থেকে একটি প্রাইভেট কার ও তার পাওনা মালপত্র নিয়ে যাবার জন্য তিনটি ট্রাক দেওয়া হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়েই তিনি  অফিসারদের ডেকে ট্রাক তিনটি ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিলেন। তারা তো অবাক! এতো মালপত্র যাবে কীকরে!!!
কালাম বললেন,তার তো মাত্র একটি ট্রাঙ্ক ও একটি ব্রিফকেস রয়েছে। বাকি সমস্ত মাল তার নয়। রাষ্ট্রপতি থাকা কালীন দেশ বিদেশ থেকে তাকে অফুরন্ত উপহার দেওয়া হয়েছে,কিন্তু সেগুলি দেওয়া হয়েছে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে। সেই সম্পদ ভারতের। আমার নয়। এই বলে তিনি সটান প্রাইভেট গাড়িতে উঠে পড়লেন নিজের ট্রাঙ্ক ও একটি ব্রিফকেস নিয়ে। ইনি হলেন সেই এপিজে আবদুল কালাম।
এরা হলেন প্রকৃত সততা ও গণতন্ত্রের প্রতীক।কোন রাজনৈতিক নেতা ও কর্মী এদের কাছ থেকে কোন শিক্ষা গ্রহণ করলেন না।।
ঠিক এর আগে রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলকে দেখেছি। যখন এলেন,একটি প্রাইভেট কারে। যাবার সময় দুটি ট্রাক বোঝাই মাল নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবন ছেড়ে চলে গেলেন।
এই প্রতিভা পাতিলই হয়ে গেলেন সকলের অনুকরণীয়। বিহারের লালু প্রসাদ যাদব যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, সারা রেলের সম্পত্তিই হয়ে গেল তার বাপের সম্পত্তি। এমনকি রেল লাইনের ধারে রেলের জমি গুলিও রক্ষা পেলো না। সেগুলিও জলের দরে বিক্রি করে দিলেন পরিচিত এবং আত্মীয় স্বজনের কাছে।
তারপর থেকে অনবরত চলেছে লুট,আত্মসাতের ঘটনা।
ওড়িশার প্রাক্তন সাংসদ  আচারিয়া প্রসন্ন পাতসানি পরপর তিনবার সাংসদ হলেন ভোটে জিতে। নির্বাচনে তার খরচ হয়েছিল মাত্র ৫ হাজার টাকা করে। বিশাল লোকসভা কেন্দ্রের আনাচে কানাচে পায়ে হেঁটে প্রচার করতেন। কোন হোর্ডিং,ফেস্টুন ছাপেন নি। কিছু ভক্ত নিজের টাকায় কিছু লিফলেট ছেপে ছিলেন। জনতা তার নামেই ভোট দিয়েছেন। বারবার জিতে এসেছেন। দিল্লিতে তার সরকারি ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেছি তিনি মাটিতে চাদর বিছিয়ে শুয়ে রয়েছেন। দেখা হতেই উঠে দাঁড়িয়ে হাসি মুখে অভ্যর্থনা জানান। অনেক গল্প হতো। এক কাপ চা,সঙ্গে দুটি বিস্কুট খেতাম। বাইরে লনে বসে জাম গাছের দিকে তাকিয়ে কর্মীকে জাম আনতে বলতেন। একবাটি জাম খেতেন। এটাই নাকি তার জল খাবার। বিশ্বের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি থেকে ডাক আসতো বিভিন্ন বিষয়ে বক্তৃতা দেবার জন্য। দীর্ঘ একদশক পরেও দেখেছি সেই একই অবস্থা!! এমন মানুষ কজন হয়? পরে কিন্তু পার্টি থেকে তাকে নির্বাচনে লড়াই করার টিকিটই দেওয়া হয় নি। অথচ তিনি ছিলেন গণতন্ত্রের পূজারী। যেখানে ভোট জিততে কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হয় প্রার্থীকে, পার্টি থেকে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে, বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে, ব্যালট বাক্স তুলে নিয়ে ,বুথ দখল করে গণতন্ত্রের হত্যা হয়,সেখানে প্রসন্ন পাতাসনি খালি পায়ে হেঁটে প্রচার করতেন কোন প্রচার সামগ্রী ছাড়াই।  এদের অনুকরণ কেউ করেনি। গণতন্ত্রের ধ্বংস হচ্ছে জেনেও ভোটাররাও ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বসে পড়েছে।
অযোগ্য প্রার্থী জিতে সংসদে যাচ্ছেন। কেউ গুণ্ডামী করে,যে সিনেমার নায়ক,নায়িকার তকমা নিয়ে। এই সাংসদরা পার্লামেন্টে গিয়ে কি অভিনয় করবেন,নাকি গুন্ডামি করবেন!!!
জনতা যেখানে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বসে আছেন সেখানে তাদের অপকীর্তির জোরে জিতে আসা সাংসদরা কী পাবেন?
মাসে মাসে ৮০ হাজার টাকা বেতন। সংসদে দৈনিক হাজিরার জন্য দৈনিক ২ হাজার টাকা, বিশাল বাংলো। সবকিছুই বিলাসিতায় ভরা। টেলিফোন ফ্রি। বিদ্যুৎ , জল ফ্রি। অফিসের জন্য মাসে ৫০ হাজার টাকা। যাতায়াতের জন্য গাড়ি। পেট্রোল ফ্রি। ট্রেন সফর দলবল সহ ফ্রি। বছরে ৩৮ বার ফ্রিতে সঙ্গী নিয়ে বিমান সফর। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক সুবিধা। পার্লামেন্টে মাত্র ৩০ টাকায় আমিষ খাদ্য। চামচা ও সুবিধাবাদীদের কাছ থেকে মূল্যবান উপহার।
এই মহা বৈভবের ও বিলাসিতার জীবন তাদের দিতে গিয়ে যারা নিজের মানুষের মাথা ভাঙলেন, বাড়ি ভেঙে জ্বালিয়ে দিলেন,বোমা বিস্ফোরণ ঘটালেন তারা কী পেলেন? এক কান্দি কাঁচা কলা। এই কি গণতন্ত্র??

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

ভারতের গণতন্ত্র কোন পথে

আপডেট সময়- ০৩:০১:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

 

মানস বন্দ্যোপাধ্যায়,দিল্লি।।

এমন একটা সময় ছিল যখন ভারতের প্রকৃত গণতন্ত্র ও সৎ রাজনীতিবিদেরা সমাজের মুখ উজ্জ্বল করে গেছেন। সেই ট্র্যাডিশন ধরে রাখা গেল না। এটাই দুঃখের বিষয়।

ভারতের দুই মহান ব্যক্তির কাছ থেকেও কোন বর্তমান রাজনীতিবিদ শিক্ষা লাভ করলেন না। প্রথম জন প্রয়াত প্রধান মন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী, দ্বিতীয় জন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম আজাদ।লালবাহাদুর শাস্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর পর তার স্ত্রীর কোন ব্যাংক ব্যালেন্স ছিল না।
তিনি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন তার মাএকটি অজ গ্রামের স্টেশনে পুরো একটি দিন প্লাটফর্মে শুয়ে কাটালেন। পরবর্তী ট্রেন ২৪ ঘণ্টা পরে ছাড়ার কথা।তার পুত্র কী করেন তিনি জানতেন না। এক কুলি তাকে পুত্রের নাম জিজ্ঞেস করলে তিনি লাল বাহাদুর শাস্ত্রী বলেছিলেন। ব্যস, সারা স্টেশনে হুলুস্থুল। বিশেষ সেলুনে বসিয়ে তাকে দিল্লি পাঠানো হলে পুত্রকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ” হ্যাঁরে ,তুই কী চাকরি করিস রেলে?” উত্তরে শাস্ত্রীজী বলেছিলেন ” সামান্য একটা কাজ”.
লালবাহাদুরের দুই পুত্র অনিল এবং সুনীল যথাক্রমে কংগ্রেস এবং বিজেপির মুখপাত্র ছিলেন। আমার সঙ্গে গাভীর আন্তরিকতা ও ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক ছিল,বিশেষ করে সুনীল শাস্ত্রীর। একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে থাকতেন। মাঝে মাঝেই পায়ে হেঁটে দুজনেই ২৪ আকবর রোডে এবং ১১ অশোকা রোডের অফিসে আসতেন। পরবর্তীকালে পার্টি অফিস থেকে আসা যাওয়ার জন্য গাড়ি দেওয়া হয়েছিল।
দ্বিতীয় জন, বিশ্ব বরেণ্য বিজ্ঞানী ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ২০০২ সালে যখন রাষ্ট্রপতি ভবনে এলেন,সেদিন একটি হলুদ ট্যাক্সি থেকে নেমে ভবনে প্রবেশ করেন। সঙ্গে ছিল মাত্র একটি ট্রাংক ও একটি ব্রিফকেস। ট্র্যাংকটি  পুরো বই ও  কাগজপত্রে ঠাসা। পূর্বে পরিচয় সূত্রে সেদিন গিয়েছিলাম সেখানে। একগাল হাসি নিয়ে ব্রিফকেস হাতে এগিয়ে যাওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতি ভবনের কর্মীরা সেগুলি কেড়ে নিয়ে তার কামরার দিয়ে নিয়ে গেলেন।।j
২০০৭ সালে যেদিন বিদায় নিলেন তখন সরকার থেকে একটি প্রাইভেট কার ও তার পাওনা মালপত্র নিয়ে যাবার জন্য তিনটি ট্রাক দেওয়া হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়েই তিনি  অফিসারদের ডেকে ট্রাক তিনটি ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিলেন। তারা তো অবাক! এতো মালপত্র যাবে কীকরে!!!
কালাম বললেন,তার তো মাত্র একটি ট্রাঙ্ক ও একটি ব্রিফকেস রয়েছে। বাকি সমস্ত মাল তার নয়। রাষ্ট্রপতি থাকা কালীন দেশ বিদেশ থেকে তাকে অফুরন্ত উপহার দেওয়া হয়েছে,কিন্তু সেগুলি দেওয়া হয়েছে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে। সেই সম্পদ ভারতের। আমার নয়। এই বলে তিনি সটান প্রাইভেট গাড়িতে উঠে পড়লেন নিজের ট্রাঙ্ক ও একটি ব্রিফকেস নিয়ে। ইনি হলেন সেই এপিজে আবদুল কালাম।
এরা হলেন প্রকৃত সততা ও গণতন্ত্রের প্রতীক।কোন রাজনৈতিক নেতা ও কর্মী এদের কাছ থেকে কোন শিক্ষা গ্রহণ করলেন না।।
ঠিক এর আগে রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলকে দেখেছি। যখন এলেন,একটি প্রাইভেট কারে। যাবার সময় দুটি ট্রাক বোঝাই মাল নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবন ছেড়ে চলে গেলেন।
এই প্রতিভা পাতিলই হয়ে গেলেন সকলের অনুকরণীয়। বিহারের লালু প্রসাদ যাদব যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, সারা রেলের সম্পত্তিই হয়ে গেল তার বাপের সম্পত্তি। এমনকি রেল লাইনের ধারে রেলের জমি গুলিও রক্ষা পেলো না। সেগুলিও জলের দরে বিক্রি করে দিলেন পরিচিত এবং আত্মীয় স্বজনের কাছে।
তারপর থেকে অনবরত চলেছে লুট,আত্মসাতের ঘটনা।
ওড়িশার প্রাক্তন সাংসদ  আচারিয়া প্রসন্ন পাতসানি পরপর তিনবার সাংসদ হলেন ভোটে জিতে। নির্বাচনে তার খরচ হয়েছিল মাত্র ৫ হাজার টাকা করে। বিশাল লোকসভা কেন্দ্রের আনাচে কানাচে পায়ে হেঁটে প্রচার করতেন। কোন হোর্ডিং,ফেস্টুন ছাপেন নি। কিছু ভক্ত নিজের টাকায় কিছু লিফলেট ছেপে ছিলেন। জনতা তার নামেই ভোট দিয়েছেন। বারবার জিতে এসেছেন। দিল্লিতে তার সরকারি ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেছি তিনি মাটিতে চাদর বিছিয়ে শুয়ে রয়েছেন। দেখা হতেই উঠে দাঁড়িয়ে হাসি মুখে অভ্যর্থনা জানান। অনেক গল্প হতো। এক কাপ চা,সঙ্গে দুটি বিস্কুট খেতাম। বাইরে লনে বসে জাম গাছের দিকে তাকিয়ে কর্মীকে জাম আনতে বলতেন। একবাটি জাম খেতেন। এটাই নাকি তার জল খাবার। বিশ্বের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি থেকে ডাক আসতো বিভিন্ন বিষয়ে বক্তৃতা দেবার জন্য। দীর্ঘ একদশক পরেও দেখেছি সেই একই অবস্থা!! এমন মানুষ কজন হয়? পরে কিন্তু পার্টি থেকে তাকে নির্বাচনে লড়াই করার টিকিটই দেওয়া হয় নি। অথচ তিনি ছিলেন গণতন্ত্রের পূজারী। যেখানে ভোট জিততে কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হয় প্রার্থীকে, পার্টি থেকে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে, বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে, ব্যালট বাক্স তুলে নিয়ে ,বুথ দখল করে গণতন্ত্রের হত্যা হয়,সেখানে প্রসন্ন পাতাসনি খালি পায়ে হেঁটে প্রচার করতেন কোন প্রচার সামগ্রী ছাড়াই।  এদের অনুকরণ কেউ করেনি। গণতন্ত্রের ধ্বংস হচ্ছে জেনেও ভোটাররাও ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বসে পড়েছে।
অযোগ্য প্রার্থী জিতে সংসদে যাচ্ছেন। কেউ গুণ্ডামী করে,যে সিনেমার নায়ক,নায়িকার তকমা নিয়ে। এই সাংসদরা পার্লামেন্টে গিয়ে কি অভিনয় করবেন,নাকি গুন্ডামি করবেন!!!
জনতা যেখানে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বসে আছেন সেখানে তাদের অপকীর্তির জোরে জিতে আসা সাংসদরা কী পাবেন?
মাসে মাসে ৮০ হাজার টাকা বেতন। সংসদে দৈনিক হাজিরার জন্য দৈনিক ২ হাজার টাকা, বিশাল বাংলো। সবকিছুই বিলাসিতায় ভরা। টেলিফোন ফ্রি। বিদ্যুৎ , জল ফ্রি। অফিসের জন্য মাসে ৫০ হাজার টাকা। যাতায়াতের জন্য গাড়ি। পেট্রোল ফ্রি। ট্রেন সফর দলবল সহ ফ্রি। বছরে ৩৮ বার ফ্রিতে সঙ্গী নিয়ে বিমান সফর। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক সুবিধা। পার্লামেন্টে মাত্র ৩০ টাকায় আমিষ খাদ্য। চামচা ও সুবিধাবাদীদের কাছ থেকে মূল্যবান উপহার।
এই মহা বৈভবের ও বিলাসিতার জীবন তাদের দিতে গিয়ে যারা নিজের মানুষের মাথা ভাঙলেন, বাড়ি ভেঙে জ্বালিয়ে দিলেন,বোমা বিস্ফোরণ ঘটালেন তারা কী পেলেন? এক কান্দি কাঁচা কলা। এই কি গণতন্ত্র??