ঢাকা ০৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
ভাঙ্গার দুই ইউনিয়ন ফরিদপুর-৪ আসনে ফিরিয়ে দিতে হাইকোর্টের রুল জারি টেকনাফে র‍্যাব-বিজিবির যৌথ অভিযানে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার-১ গাইবান্ধার ঘাঘট নদী থেকে শিক্ষিকার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ৯ পরিদর্শক কমলগঞ্জে বোনকে উত্যক্তের কারণে গলাকেটে লিটনকে হত্যা গনতন্ত্র রক্ষায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান: মাসুদুজ্জামানের তিন জেলার ডিসি বদলি-পদায়ন নারায়ণগঞ্জে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা মৌলভীবাজার পিবিআই’র হাজত খানায় ফাঁস লাগানো যুবকের মরদেহ উদ্ধার  জুড়ীতে আসন্ন দুর্গোৎসব উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা নারায়ণগঞ্জ জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত টেকনাফে বিজিবির যৌথ অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-২ টংঙ্গীবাড়ীতে সরকারি চিকিৎসা সেবা থাকতেও রোগীরা ঝুকছেন প্রাইভেট ক্লিনিকে টেকনাফে প্রদীপ-লিয়াকতের অন্ধকার সাম্রাজ্য: খুন,ধর্ষণ, ইয়াবাসহ ক্রসফায়ার বাণিজ্য টেকনাফ সীমান্তবর্তী নাফ নদীতে ২ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার এবার ডিসি নিজে রক্ত দিয়ে ‘তারুণ্যে উৎসব’ সেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন দেশবরেণ্য লালন সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই সুন্দরবনে ভ্রমণে এসে গোসলে নেমে পর্যটক নিখোঁজ ‘আগামী বর্ষায় নগরীতে জলাবদ্ধতা হবে না’ উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে এসে নাসিক প্রশাসক রূপগঞ্জে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে অস্ত্র ও মাদকসহ ৩ শীর্ষ সন্ত্রাসী আটক গাইবান্ধায় জামায়াতের মহাসমাবেশ: সরকার গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচনে লড়াই ঘোষণা মুন্সীগঞ্জের শীর্ষ নৌ ডাকাত শামীম গ্রেপ্তার সাগরপথে মানবপাচার: টেকনাফে বিজিবির অভিযানে পাচারকারী চক্রের ৫ সদস্য আটক শ্রীমঙ্গল পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিদেশী মদসহ আটক-১ উত্তাল বাগেরহাট: ফের তিন দিনের হরতালসহ ৬ দিনের কর্মসূচির ঘোষণা সোনারগাঁয়ে বিএনপি নেতার অবৈধ চুনা কারখানা গুড়িয়ে দিলেন তিতাস কর্তৃপক্ষ টেকনাফে বিজিবির প্রশিক্ষিত কুকুর ‘ডগ জ্যাক’র সহায়তা ইয়াবা জব্দ শ্রীনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নারীসহ ৪ জনকে কু*পি*য়ে আহত ঈশ্বরদীতে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিরাপত্তা বিষয়ক মতবিনিয় সভা অনুষ্ঠিত ভাঙ্গায় রেলপথ-মহাসড়ক অবরোধ, চরমদুর্ভোগে ২৫ জেলার জনজীবন সাংবাদিককে নির্যাতনসহ হত্যা চেষ্টা: কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানাকে বরখাস্ত এবারের শারদীয় দূর্গোৎসব হবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সেতুবন্ধন: জেলা প্রশাসক উখিয়ায় বিজিবির অভিযানে ২ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার ডাকসুতে ১২টি সম্পাদকীয় পদের ৯টিতেই ছাত্রশিবিরের নিরংকুশ জয় ডাকসুর নির্বাচনে ছাত্রশিবির প্রার্থীর নিরংকুশ বিজয় জুড়ীর বটুলী সীমান্ত শুল্ক স্টেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ শেরপুরে ৮৫ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপদ ডাকসু নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকের মৃত্যু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই পালালেন সোনারগাঁ মহিলা আ’লীগ নেত্রী নূর জাহান ফতুল্লায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে নিহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলেন ইউএনও রাজনগর ইউএনও’র যোগসাজশে সরকারি বরাদ্দের ৯৪ শতাংশই আত্মসাৎ  না’গঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী শুটার মাসুদ ও ডাকাত আক্তার অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার যে কারনে পাম্পের ম্যানেজার ইকবালকে হাতুড়ি দিয়ে হত্যা যেভাবে খু*ন হলো তালিকাভুক্ত দূর্ধর্ষ কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী ইভান ফতুল্লার কুখ্যাত কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামী ইভন খুন টেকনাফে কোস্ট গার্ডের অভিযানে নিত্য পন্য সামগ্রীসহ ১০ পাচারকারী আটক উখিয়ায় র‍্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণে ইয়াবা ও অর্থসহ ২ নারী পাচারকারী আটক আজ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, রাতের আকাশে ঘটবে বিরল দৃশ্য, এবার বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর টাঙ্গাইলের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর মৌলভীবাজারে ৩১৫ পিস ইয়াবা ও নগদ অর্থসহ গ্রেপ্তার-২ নারায়ণগঞ্জে জশনে জুলুসে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন টেকনাফে ২০৫ পিস ইয়াবাসহ তিন পাচারকারী আটক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নাসিক ১২নং ওয়ার্ড কামান্ড কমিটি গঠন, আহ্বায়ক-মহাব্বত হাসেম মৌলভীবাজারে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জুলুস মোবারক র‌্যালি সুন্দরবনে কোস্টগার্ডের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৪ বনদস্যু আটক নারায়ণগঞ্জে অস্থির নিত্যপণ্যের দাম, স্বস্তি নেই কাঁচা বাজারেও ক্যাসিনো কাণ্ডের আলোচিত রূপগঞ্জের ডন সেলিম প্রধানসহ গ্রেপ্তার-৯ সংসদীয় আসন পুনঃবিন্যাসের প্রতিবাদে ফরিদপুরে মহাসড়কে মানববন্ধন ‘দিদি ৬ মাস আওয়ামী লীগ, ৬ মাস বিএনপি’ ‘নুরাল পাগলা’র দরবারে হামলা, কবর থেকে লাশ তুলে আগুনের ঘটনায় ৩৫’শ জনের বিরুদ্ধে মামলা আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) জাপা কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনার নিন্দা বিএনপির গাইবান্ধায় ফুফা সেজে বিশ্বাস ভঙ্গ, বাঁশঝাড়ে নির্মম সংঘবদ্ধ ধর্ষণ নুরাল পাগলের লাশ তুলে আগুন, দরবারে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ রাজবাড়ীতে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা-সংঘর্ষ- অগ্নিসংযোগে নিহত-১, আহত অর্ধশত এবার গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জাপা’র মহাসচিবের মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপে ভয়াবহ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ-৮ ফের জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ফরিদগঞ্জে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী সাইফুর রহমানের ১৬তম শাহাদাত বার্ষিকী আজ নারায়ণগঞ্জে নবনিযুক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের যোগদান গ্রেপ্তারের ১ দিনের মাথায় রূপগঞ্জ থেকে শুটার রিয়াজের বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করলো র‍্যাব-১১ জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সোনারগাঁয়ে গ্যাসের চুলা জ্বালাতেই বিস্ফোরণ, শিশুসহ একই পরিবারের দগ্ধ-৫ রূপগঞ্জে ডিবি পরিচয়ে অপহৃত ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্ধার, আটক-১ পাথর মেরে মানুষ হত্যার ইতিহাস আর রচনা করতে চাইনা- মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম রাজধানীতে সোহাগ পরিবহন অফিসে হামলা: কুপিয়ে জখম  জাফলংয়ে ঘুরতে গিয়ে রূপগঞ্জের চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী শুটার রিয়াজ গ্রেপ্তার দেশের বাজারে আরও বাড়লো স্বর্ণের দাম না’গঞ্জের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জে একটি তুলার গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড না’গঞ্জের বৃহৎ দিগুবাবুর বাজারে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ড ৮০৪ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ টেকনাফে ৩০ হাজার ইয়াবাসহ তিন পাচারকারী আটক গাইবান্ধায় দুর্গাপূজার প্রতিমায় দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগ  পূর্ব সুন্দরবনের দু’সহস্রাধিক জেলেরা বনদস্যু আতঙ্কে বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ঈশ্বরদীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শতবর্ষী অদম্য ফজিলাতুন্নেছার পাশে না’গঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল জেলা প্রশাসকের নাম ভাঙিয়ে অধিগ্রহনের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নাসিকের প্রশাসক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ‘ডাকসু নির্বাচন’ বাম সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পিনাকীর এবার সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে রদবদল, নতুন দায়িত্বে ৬ কর্মকর্তা এবার ৩৮ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে বরখাস্ত হলেন সহকারী কর কমিশনার শরণখোলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনসহ ইউএনও’র উদ্যোগ সর্বমহলে প্রশংসিত ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করেছে হাইকোর্ট নারায়ণগঞ্জে ফ্রিজ বিস্ফোরণ; অগ্নিদগ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে মানবিক ডিসি জাহিদুল খুলনায় রূপসা নদী থেকে ফের সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার না’গঞ্জে মাথাবিহীন লাশের পরিচয় সনাক্তসহ হত্যাকান্ডে জড়িত গ্রেপ্তার-২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি থেকে বাদ রাজনৈতিক নেতারা, নতুন বিধান যুক্ত টেকনাফে পুলিশের অভিযানে ৪ হাজার ইয়াবাসহ আটক-১  গাইবান্ধায় বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ভাঙচুর কার্যালয়

ভারতের গণতন্ত্র কোন পথে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৩:০১:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪ ২০১ বার পড়া হয়েছে

 

মানস বন্দ্যোপাধ্যায়,দিল্লি।।

এমন একটা সময় ছিল যখন ভারতের প্রকৃত গণতন্ত্র ও সৎ রাজনীতিবিদেরা সমাজের মুখ উজ্জ্বল করে গেছেন। সেই ট্র্যাডিশন ধরে রাখা গেল না। এটাই দুঃখের বিষয়।

ভারতের দুই মহান ব্যক্তির কাছ থেকেও কোন বর্তমান রাজনীতিবিদ শিক্ষা লাভ করলেন না। প্রথম জন প্রয়াত প্রধান মন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী, দ্বিতীয় জন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম আজাদ।লালবাহাদুর শাস্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর পর তার স্ত্রীর কোন ব্যাংক ব্যালেন্স ছিল না।
তিনি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন তার মাএকটি অজ গ্রামের স্টেশনে পুরো একটি দিন প্লাটফর্মে শুয়ে কাটালেন। পরবর্তী ট্রেন ২৪ ঘণ্টা পরে ছাড়ার কথা।তার পুত্র কী করেন তিনি জানতেন না। এক কুলি তাকে পুত্রের নাম জিজ্ঞেস করলে তিনি লাল বাহাদুর শাস্ত্রী বলেছিলেন। ব্যস, সারা স্টেশনে হুলুস্থুল। বিশেষ সেলুনে বসিয়ে তাকে দিল্লি পাঠানো হলে পুত্রকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ” হ্যাঁরে ,তুই কী চাকরি করিস রেলে?” উত্তরে শাস্ত্রীজী বলেছিলেন ” সামান্য একটা কাজ”.
লালবাহাদুরের দুই পুত্র অনিল এবং সুনীল যথাক্রমে কংগ্রেস এবং বিজেপির মুখপাত্র ছিলেন। আমার সঙ্গে গাভীর আন্তরিকতা ও ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক ছিল,বিশেষ করে সুনীল শাস্ত্রীর। একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে থাকতেন। মাঝে মাঝেই পায়ে হেঁটে দুজনেই ২৪ আকবর রোডে এবং ১১ অশোকা রোডের অফিসে আসতেন। পরবর্তীকালে পার্টি অফিস থেকে আসা যাওয়ার জন্য গাড়ি দেওয়া হয়েছিল।
দ্বিতীয় জন, বিশ্ব বরেণ্য বিজ্ঞানী ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ২০০২ সালে যখন রাষ্ট্রপতি ভবনে এলেন,সেদিন একটি হলুদ ট্যাক্সি থেকে নেমে ভবনে প্রবেশ করেন। সঙ্গে ছিল মাত্র একটি ট্রাংক ও একটি ব্রিফকেস। ট্র্যাংকটি  পুরো বই ও  কাগজপত্রে ঠাসা। পূর্বে পরিচয় সূত্রে সেদিন গিয়েছিলাম সেখানে। একগাল হাসি নিয়ে ব্রিফকেস হাতে এগিয়ে যাওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতি ভবনের কর্মীরা সেগুলি কেড়ে নিয়ে তার কামরার দিয়ে নিয়ে গেলেন।।j
২০০৭ সালে যেদিন বিদায় নিলেন তখন সরকার থেকে একটি প্রাইভেট কার ও তার পাওনা মালপত্র নিয়ে যাবার জন্য তিনটি ট্রাক দেওয়া হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়েই তিনি  অফিসারদের ডেকে ট্রাক তিনটি ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিলেন। তারা তো অবাক! এতো মালপত্র যাবে কীকরে!!!
কালাম বললেন,তার তো মাত্র একটি ট্রাঙ্ক ও একটি ব্রিফকেস রয়েছে। বাকি সমস্ত মাল তার নয়। রাষ্ট্রপতি থাকা কালীন দেশ বিদেশ থেকে তাকে অফুরন্ত উপহার দেওয়া হয়েছে,কিন্তু সেগুলি দেওয়া হয়েছে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে। সেই সম্পদ ভারতের। আমার নয়। এই বলে তিনি সটান প্রাইভেট গাড়িতে উঠে পড়লেন নিজের ট্রাঙ্ক ও একটি ব্রিফকেস নিয়ে। ইনি হলেন সেই এপিজে আবদুল কালাম।
এরা হলেন প্রকৃত সততা ও গণতন্ত্রের প্রতীক।কোন রাজনৈতিক নেতা ও কর্মী এদের কাছ থেকে কোন শিক্ষা গ্রহণ করলেন না।।
ঠিক এর আগে রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলকে দেখেছি। যখন এলেন,একটি প্রাইভেট কারে। যাবার সময় দুটি ট্রাক বোঝাই মাল নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবন ছেড়ে চলে গেলেন।
এই প্রতিভা পাতিলই হয়ে গেলেন সকলের অনুকরণীয়। বিহারের লালু প্রসাদ যাদব যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, সারা রেলের সম্পত্তিই হয়ে গেল তার বাপের সম্পত্তি। এমনকি রেল লাইনের ধারে রেলের জমি গুলিও রক্ষা পেলো না। সেগুলিও জলের দরে বিক্রি করে দিলেন পরিচিত এবং আত্মীয় স্বজনের কাছে।
তারপর থেকে অনবরত চলেছে লুট,আত্মসাতের ঘটনা।
ওড়িশার প্রাক্তন সাংসদ  আচারিয়া প্রসন্ন পাতসানি পরপর তিনবার সাংসদ হলেন ভোটে জিতে। নির্বাচনে তার খরচ হয়েছিল মাত্র ৫ হাজার টাকা করে। বিশাল লোকসভা কেন্দ্রের আনাচে কানাচে পায়ে হেঁটে প্রচার করতেন। কোন হোর্ডিং,ফেস্টুন ছাপেন নি। কিছু ভক্ত নিজের টাকায় কিছু লিফলেট ছেপে ছিলেন। জনতা তার নামেই ভোট দিয়েছেন। বারবার জিতে এসেছেন। দিল্লিতে তার সরকারি ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেছি তিনি মাটিতে চাদর বিছিয়ে শুয়ে রয়েছেন। দেখা হতেই উঠে দাঁড়িয়ে হাসি মুখে অভ্যর্থনা জানান। অনেক গল্প হতো। এক কাপ চা,সঙ্গে দুটি বিস্কুট খেতাম। বাইরে লনে বসে জাম গাছের দিকে তাকিয়ে কর্মীকে জাম আনতে বলতেন। একবাটি জাম খেতেন। এটাই নাকি তার জল খাবার। বিশ্বের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি থেকে ডাক আসতো বিভিন্ন বিষয়ে বক্তৃতা দেবার জন্য। দীর্ঘ একদশক পরেও দেখেছি সেই একই অবস্থা!! এমন মানুষ কজন হয়? পরে কিন্তু পার্টি থেকে তাকে নির্বাচনে লড়াই করার টিকিটই দেওয়া হয় নি। অথচ তিনি ছিলেন গণতন্ত্রের পূজারী। যেখানে ভোট জিততে কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হয় প্রার্থীকে, পার্টি থেকে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে, বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে, ব্যালট বাক্স তুলে নিয়ে ,বুথ দখল করে গণতন্ত্রের হত্যা হয়,সেখানে প্রসন্ন পাতাসনি খালি পায়ে হেঁটে প্রচার করতেন কোন প্রচার সামগ্রী ছাড়াই।  এদের অনুকরণ কেউ করেনি। গণতন্ত্রের ধ্বংস হচ্ছে জেনেও ভোটাররাও ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বসে পড়েছে।
অযোগ্য প্রার্থী জিতে সংসদে যাচ্ছেন। কেউ গুণ্ডামী করে,যে সিনেমার নায়ক,নায়িকার তকমা নিয়ে। এই সাংসদরা পার্লামেন্টে গিয়ে কি অভিনয় করবেন,নাকি গুন্ডামি করবেন!!!
জনতা যেখানে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বসে আছেন সেখানে তাদের অপকীর্তির জোরে জিতে আসা সাংসদরা কী পাবেন?
মাসে মাসে ৮০ হাজার টাকা বেতন। সংসদে দৈনিক হাজিরার জন্য দৈনিক ২ হাজার টাকা, বিশাল বাংলো। সবকিছুই বিলাসিতায় ভরা। টেলিফোন ফ্রি। বিদ্যুৎ , জল ফ্রি। অফিসের জন্য মাসে ৫০ হাজার টাকা। যাতায়াতের জন্য গাড়ি। পেট্রোল ফ্রি। ট্রেন সফর দলবল সহ ফ্রি। বছরে ৩৮ বার ফ্রিতে সঙ্গী নিয়ে বিমান সফর। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক সুবিধা। পার্লামেন্টে মাত্র ৩০ টাকায় আমিষ খাদ্য। চামচা ও সুবিধাবাদীদের কাছ থেকে মূল্যবান উপহার।
এই মহা বৈভবের ও বিলাসিতার জীবন তাদের দিতে গিয়ে যারা নিজের মানুষের মাথা ভাঙলেন, বাড়ি ভেঙে জ্বালিয়ে দিলেন,বোমা বিস্ফোরণ ঘটালেন তারা কী পেলেন? এক কান্দি কাঁচা কলা। এই কি গণতন্ত্র??

নিউজটি শেয়ার করুন..

ট্যাগস:-

ভারতের গণতন্ত্র কোন পথে

আপডেট সময়- ০৩:০১:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

 

মানস বন্দ্যোপাধ্যায়,দিল্লি।।

এমন একটা সময় ছিল যখন ভারতের প্রকৃত গণতন্ত্র ও সৎ রাজনীতিবিদেরা সমাজের মুখ উজ্জ্বল করে গেছেন। সেই ট্র্যাডিশন ধরে রাখা গেল না। এটাই দুঃখের বিষয়।

ভারতের দুই মহান ব্যক্তির কাছ থেকেও কোন বর্তমান রাজনীতিবিদ শিক্ষা লাভ করলেন না। প্রথম জন প্রয়াত প্রধান মন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী, দ্বিতীয় জন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম আজাদ।লালবাহাদুর শাস্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর পর তার স্ত্রীর কোন ব্যাংক ব্যালেন্স ছিল না।
তিনি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন তার মাএকটি অজ গ্রামের স্টেশনে পুরো একটি দিন প্লাটফর্মে শুয়ে কাটালেন। পরবর্তী ট্রেন ২৪ ঘণ্টা পরে ছাড়ার কথা।তার পুত্র কী করেন তিনি জানতেন না। এক কুলি তাকে পুত্রের নাম জিজ্ঞেস করলে তিনি লাল বাহাদুর শাস্ত্রী বলেছিলেন। ব্যস, সারা স্টেশনে হুলুস্থুল। বিশেষ সেলুনে বসিয়ে তাকে দিল্লি পাঠানো হলে পুত্রকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ” হ্যাঁরে ,তুই কী চাকরি করিস রেলে?” উত্তরে শাস্ত্রীজী বলেছিলেন ” সামান্য একটা কাজ”.
লালবাহাদুরের দুই পুত্র অনিল এবং সুনীল যথাক্রমে কংগ্রেস এবং বিজেপির মুখপাত্র ছিলেন। আমার সঙ্গে গাভীর আন্তরিকতা ও ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক ছিল,বিশেষ করে সুনীল শাস্ত্রীর। একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে থাকতেন। মাঝে মাঝেই পায়ে হেঁটে দুজনেই ২৪ আকবর রোডে এবং ১১ অশোকা রোডের অফিসে আসতেন। পরবর্তীকালে পার্টি অফিস থেকে আসা যাওয়ার জন্য গাড়ি দেওয়া হয়েছিল।
দ্বিতীয় জন, বিশ্ব বরেণ্য বিজ্ঞানী ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ২০০২ সালে যখন রাষ্ট্রপতি ভবনে এলেন,সেদিন একটি হলুদ ট্যাক্সি থেকে নেমে ভবনে প্রবেশ করেন। সঙ্গে ছিল মাত্র একটি ট্রাংক ও একটি ব্রিফকেস। ট্র্যাংকটি  পুরো বই ও  কাগজপত্রে ঠাসা। পূর্বে পরিচয় সূত্রে সেদিন গিয়েছিলাম সেখানে। একগাল হাসি নিয়ে ব্রিফকেস হাতে এগিয়ে যাওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতি ভবনের কর্মীরা সেগুলি কেড়ে নিয়ে তার কামরার দিয়ে নিয়ে গেলেন।।j
২০০৭ সালে যেদিন বিদায় নিলেন তখন সরকার থেকে একটি প্রাইভেট কার ও তার পাওনা মালপত্র নিয়ে যাবার জন্য তিনটি ট্রাক দেওয়া হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়েই তিনি  অফিসারদের ডেকে ট্রাক তিনটি ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিলেন। তারা তো অবাক! এতো মালপত্র যাবে কীকরে!!!
কালাম বললেন,তার তো মাত্র একটি ট্রাঙ্ক ও একটি ব্রিফকেস রয়েছে। বাকি সমস্ত মাল তার নয়। রাষ্ট্রপতি থাকা কালীন দেশ বিদেশ থেকে তাকে অফুরন্ত উপহার দেওয়া হয়েছে,কিন্তু সেগুলি দেওয়া হয়েছে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে। সেই সম্পদ ভারতের। আমার নয়। এই বলে তিনি সটান প্রাইভেট গাড়িতে উঠে পড়লেন নিজের ট্রাঙ্ক ও একটি ব্রিফকেস নিয়ে। ইনি হলেন সেই এপিজে আবদুল কালাম।
এরা হলেন প্রকৃত সততা ও গণতন্ত্রের প্রতীক।কোন রাজনৈতিক নেতা ও কর্মী এদের কাছ থেকে কোন শিক্ষা গ্রহণ করলেন না।।
ঠিক এর আগে রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলকে দেখেছি। যখন এলেন,একটি প্রাইভেট কারে। যাবার সময় দুটি ট্রাক বোঝাই মাল নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবন ছেড়ে চলে গেলেন।
এই প্রতিভা পাতিলই হয়ে গেলেন সকলের অনুকরণীয়। বিহারের লালু প্রসাদ যাদব যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, সারা রেলের সম্পত্তিই হয়ে গেল তার বাপের সম্পত্তি। এমনকি রেল লাইনের ধারে রেলের জমি গুলিও রক্ষা পেলো না। সেগুলিও জলের দরে বিক্রি করে দিলেন পরিচিত এবং আত্মীয় স্বজনের কাছে।
তারপর থেকে অনবরত চলেছে লুট,আত্মসাতের ঘটনা।
ওড়িশার প্রাক্তন সাংসদ  আচারিয়া প্রসন্ন পাতসানি পরপর তিনবার সাংসদ হলেন ভোটে জিতে। নির্বাচনে তার খরচ হয়েছিল মাত্র ৫ হাজার টাকা করে। বিশাল লোকসভা কেন্দ্রের আনাচে কানাচে পায়ে হেঁটে প্রচার করতেন। কোন হোর্ডিং,ফেস্টুন ছাপেন নি। কিছু ভক্ত নিজের টাকায় কিছু লিফলেট ছেপে ছিলেন। জনতা তার নামেই ভোট দিয়েছেন। বারবার জিতে এসেছেন। দিল্লিতে তার সরকারি ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেছি তিনি মাটিতে চাদর বিছিয়ে শুয়ে রয়েছেন। দেখা হতেই উঠে দাঁড়িয়ে হাসি মুখে অভ্যর্থনা জানান। অনেক গল্প হতো। এক কাপ চা,সঙ্গে দুটি বিস্কুট খেতাম। বাইরে লনে বসে জাম গাছের দিকে তাকিয়ে কর্মীকে জাম আনতে বলতেন। একবাটি জাম খেতেন। এটাই নাকি তার জল খাবার। বিশ্বের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি থেকে ডাক আসতো বিভিন্ন বিষয়ে বক্তৃতা দেবার জন্য। দীর্ঘ একদশক পরেও দেখেছি সেই একই অবস্থা!! এমন মানুষ কজন হয়? পরে কিন্তু পার্টি থেকে তাকে নির্বাচনে লড়াই করার টিকিটই দেওয়া হয় নি। অথচ তিনি ছিলেন গণতন্ত্রের পূজারী। যেখানে ভোট জিততে কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হয় প্রার্থীকে, পার্টি থেকে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে, বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে, ব্যালট বাক্স তুলে নিয়ে ,বুথ দখল করে গণতন্ত্রের হত্যা হয়,সেখানে প্রসন্ন পাতাসনি খালি পায়ে হেঁটে প্রচার করতেন কোন প্রচার সামগ্রী ছাড়াই।  এদের অনুকরণ কেউ করেনি। গণতন্ত্রের ধ্বংস হচ্ছে জেনেও ভোটাররাও ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বসে পড়েছে।
অযোগ্য প্রার্থী জিতে সংসদে যাচ্ছেন। কেউ গুণ্ডামী করে,যে সিনেমার নায়ক,নায়িকার তকমা নিয়ে। এই সাংসদরা পার্লামেন্টে গিয়ে কি অভিনয় করবেন,নাকি গুন্ডামি করবেন!!!
জনতা যেখানে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বসে আছেন সেখানে তাদের অপকীর্তির জোরে জিতে আসা সাংসদরা কী পাবেন?
মাসে মাসে ৮০ হাজার টাকা বেতন। সংসদে দৈনিক হাজিরার জন্য দৈনিক ২ হাজার টাকা, বিশাল বাংলো। সবকিছুই বিলাসিতায় ভরা। টেলিফোন ফ্রি। বিদ্যুৎ , জল ফ্রি। অফিসের জন্য মাসে ৫০ হাজার টাকা। যাতায়াতের জন্য গাড়ি। পেট্রোল ফ্রি। ট্রেন সফর দলবল সহ ফ্রি। বছরে ৩৮ বার ফ্রিতে সঙ্গী নিয়ে বিমান সফর। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক সুবিধা। পার্লামেন্টে মাত্র ৩০ টাকায় আমিষ খাদ্য। চামচা ও সুবিধাবাদীদের কাছ থেকে মূল্যবান উপহার।
এই মহা বৈভবের ও বিলাসিতার জীবন তাদের দিতে গিয়ে যারা নিজের মানুষের মাথা ভাঙলেন, বাড়ি ভেঙে জ্বালিয়ে দিলেন,বোমা বিস্ফোরণ ঘটালেন তারা কী পেলেন? এক কান্দি কাঁচা কলা। এই কি গণতন্ত্র??