ঢাকা ০২:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
অবশেষে গিয়াসউদ্দিনের কাছে দোয়া নিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ এর বিএনপির মনোনিত প্রার্থী মান্নান বিজয় ও রাশমিকা মান্দানার বিয়ের গুঞ্জন বিশ্বজুড়ে চাউর ৮ ডিসিকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদায়ন ঈশ্বরদীতে শাহ্ সুফি কালাচাঁদ ফকিরের ১৪তম ওফাত দিবসে ওরশ মোবারক মোংলার পশুর নদীতে ইঞ্জিন চালিত বোট উল্টে  আমেরিকা প্রবাসী নারী পর্যটক নিখোঁজ সেন্টমার্টিনের ছেড়া দ্বীপে কোস্ট গার্ডের অভিযান: ট্রলিং বোট ও থাই জালসহ ১৯ জেলে আটক চকরিয়ায় হাইয়েস গাড়ি নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৪ ডাকাত গ্রেফতার দেশের ১৫ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দিয়ে মধ্যরাতে প্রজ্ঞাপন জারি শীতলক্ষ্যা নদীতে নিখোঁজের ১২ ঘন্টা পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার অঘোষিত নারায়ণগঞ্জ-৪, আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিতে মরিয়া শাহ্ আলম সোনারগাঁয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ: এটি পারিবারিক বিবাদ,এর দায় বিএনপি নিবেনা: মান্নান “এআই যুগে মানুষের সৃজনশীলতার নতুন সংজ্ঞা”–সাদিয়া ইসলাম ইরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ডন হারুন টেকনাফে প্রকাশ্যে দেদারসে ঘুরে বেড়াচ্ছে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে সাবেক এমপি কালামপুত্র আশা’র নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র‍্যালী জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে মাসুদুজ্জামানের পক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত শরণখোলায় শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভায় বিএনপি নেতা ড.ওবায়দুল ইসলাম বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ফরিদপুর জেলা পশ্চিমের শাখা প্রতিনিধি বৈঠক অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়ি থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার সেনাপ্রধান ও নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার, যা জানালো সেনাবাহিনী সেনাপ্রধানকে ঘিরে মিথ্যা অপপ্রচারণা: সতর্ক করলো সেনাবাহিনী শিক্ষা আলো ছড়িয়ে দিতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে ল্যাপটপ উপহার দিলেন জেলা প্রশাসক  বাইউস্টে অনুষ্ঠিত হলো “সি.এস.ই ফল ফেস্ট  পানির ট্যাঙ্কে লুকিয়েও রক্ষা হলো না সাবেক ছাত্রদল নেতা এনামুল হক মোল্লার স্বপ্ন পূরণে দুই প্রমিলা ফুটবলারের পাশে ডিসি জাহিদুল ইসলাম মিঞা  বন্দরের মুছাপুরে ধানের শীষের পক্ষে মাসুদুজ্জামানের জনসংযোগে জনতার ঢল নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদল নেতা ও বাবার নেতৃত্বে সংবাদকর্মীর ওপর হামলা জনসংযোগে হামলা: চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, নিহত-১ অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে দেশ স্থিতিশীল হবে: সেনাসদরের বার্তা না’গঞ্জ জেলা প্রশাসকের তথ্য ব্যবহার করে প্রতারণার দায়ে যুবক আটক টেকনাফে সাবেক ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার গাইবান্ধার ৫টি আসনে ধানের শীষ নিয়ে লড়বেন যারা নরসিংদীর পাঁচ আসনের ৪টিতে বিএনপি’র মনোনয়ন পেলেন যারা টেকনাফের গহীন পাহাড়ে নারী-শিশুসহ ২৫ জন উদ্ধার,২ পাচারকারী আটক ভাঙ্গায় স্কুল পড়ুয়া মেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় মায়ের ট্রেনে নিচে আত্মহনন কুষ্টিয়ার রেলসেতুর নিচ থেকে দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার আমার মনোনয়ন আপাতত ‘অন হোল্ড’ রয়েছে: রুমিন ফারহানা বেগম জিয়াসহ ধানের শীষের মনোনয়ন পেলেন ১০ নারী বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নাম নেই যেসব আলোচিত হেভিওয়েট নেতাদের মনোনয়ন ঘোষণার পর সহিংসতা, মধ্যরাতে বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার নারায়ণগঞ্জে পাঁচটির আসনের মধ্যে ৪টিতে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা নারায়ণগঞ্জ-৫’এ বিএনপির চুড়ান্ত মনোনয়ন পেলেন মাসুদুজ্জামান মীরসরাইয়ে শিশুধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি উখিয়া থেকে গ্রেফতার আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে অন্তর্বর্তী সরকার নারায়ণগঞ্জ-৫’এ বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে মাসুদুজ্জামান দালালের ছত্রছায়ায় কক্সবাজার পাসপোর্ট অফিস, ফাইল চলে ‘গোপন টিপস’-এ গাইবান্ধায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ টেকনাফে যৌথবাহিনীর অভিযানে ২০ হাজার ইয়াবাসহ ২ পাচারকারী আটক টেকনাফে বিজিবির চেকপোস্টে ‘মেঘলার’ ঘ্রাণেই সনাক্ত চোলাই মদ,আটক-১ নরসিংদীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চাচা হাতে ভাতিজা খুন  টেকনাফে শীর্ষ সন্ত্রাসী মোহাম্মদ আমিন গ্রেফতার জান্নাতের টিকেট বিক্রি কইরেন না, জান্নাত এতো সস্তা না: মাসুদুজ্জামান কুষ্টিয়ায় নারীর মরদেহ উদ্ধার, আলামতে পুলিশের সন্দেহ ধর্ষণের পর হত্যা প্যারোলে মুক্তি পেয়ে স্ত্রী জানাজায় অঝোরে কাঁদলেন সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মতি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণীকে হেনস্তাকারী বাসের হেলপার গ্রেপ্তার নির্বাচনী প্রচারণায় প্রথম প্রকাশ্যে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যবসায়ী শাহ্ আলম টেকনাফে কোস্টগার্ডের পৃথক অভিযানে ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার টেকনাফ সরকারি কলেজে অধ্যক্ষের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত অসহায়দের মাঝে ১ টাকায় গরুর গোশত বিক্রি করলেন মুফতি রায়হান জামিল না’গঞ্জ ৩’শ শয্যা হাসপাতালের দৈনন্দিন সেবা কার্যক্রম তুলে ধরতে ডিজিটাল ডিসপ্লের উদ্বোধন সিআইডির অ্যাডিশনাল এসপি মশিউর গ্রেপ্তার না’গঞ্জ আদালতে বাদীর পরিবারকে মারধর,অবশেষ ৩ দিন পর মামলা নিলো পুলিশ নারায়ণগঞ্জের মাদকস্পট খ্যাত চাঁদমারীতে যৌথ অভিযান, আটক-১৬ বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের পাশে দাঁড়ানোই মানবতার প্রকৃত রূপ”: ডিসি  আদালত থেকে আগাম জামিন পেতে মরিয়া সামিরা বাজার সিন্ডিকেটের ফলে আমরা মানুষের আস্থার জায়গা তৈরি করতে পারছি না: ডিসি পুলিশের পাশাপাশি মাদক স্পটগুলোতে যৌথ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে: তারেক আল মেহেদী কুষ্টিয়ায় পদ্মায় ভাসছিল যুবকের লাশ,শরীরে কোপের আঘাত গাইবান্ধায় স্ত্রীর ওপর অভিমান করে যুবকের আত্মহননের চেষ্টা বর্ণাঢ্য আয়োজনে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)-এর ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন চট্টগ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, যুবক নিহত বিচারক ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে দুদকের অনুমতি লাগবে না কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে দুদক ও স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান, অবরুদ্ধ আরএমও না’গঞ্জবাসীর মেট্রোরেলের দাবি যথাযথ ও অবশ্যই যৌক্তিক: ফাহিমুল ইসলাম জুলাই আন্দোলনে ভুয়া মামলায় ৩৭২ জনকে অব্যাহতি, রিভার জামিন নামঞ্জুর শামীম ওসমানের অন্যতম সহযোগী আজিজ গ্রেপ্তার রেলওয়ের যাত্রীসেবায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে শ্রীমঙ্গলে অনিয়ম প্রতিরোধে অভিযান মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাডের আঘাতে নিহত যুবক কালাম নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধসহ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশবক্স স্থাপন করা হবে আজমেরী ফুডকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানাসহ কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে বিএনপি নেতার নির্দেশে বাদীর উপর হামলার অভিযোগ রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খূলে যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু টেকনাফের গহীন পাহাড়ে অভিযানে নারী ও শিশুসহ ৫ জনকে উদ্ধার,আটক-১ রাউজানে ফের যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা দল যার হাতে ধানের শীষ তুলে দেবে, আমরা তার জন্যই কাজ করব: মন্তু মঞ্চে খোরশেদ না’গঞ্জে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মাসুদুজ্জামান’কে সমর্থন করলেন ব্যবসায়ীদের একাংশ কদম-রসুল সেতুর দাবি শুধুমাত্র আবেগের নয়, এটি বন্দরবাসীর প্রাণের দাবি: মাসুদুজ্জামান মানুষের অসাধ্য কিছু নেই, মনোবল দৃঢ় থাকলে সফলতা আসবেই: জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়ায় নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগে সিভিল সার্জন অফিসে তালা মাদক সনাক্তকারী কুকুর ‘মেঘলা’র ঘ্রাণে ধরা চোলাই মদের চালানসহ আটক-৪ না’গঞ্জ কেবল শিল্প ও ব্যবসার শহর নয়, এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃদস্পন্দন: মাসুদুজ্জামান উখিয়ায় র‍্যাব ও ডিজিএফআই’র যৌথ অভিযান: ১ লক্ষ ১২হাজার ইয়াবাসহ নারী আটক কেবল নয় ফলাফলমুখী শিক্ষা বিকশিত হোক মানবতার দীক্ষা’- জাহিদুল ইসলাম মিঞা ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে ফরিদপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা রাজধানীর মিরপুরে পোশাক কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১০ ইউনিট নরসিংদীতে যাত্রীবাহী বাসের সাথে অটোরিকশার সংর্ঘষে নিহত-৩ টেকনাফের পাহাড়ে কোস্ট গার্ডের অভিযান: নারী-শিশুসহ উদ্ধার-৪৪ টেকনাফে পুলিশের অভিযানে অপহৃত কিশোর উদ্ধার সেনা অভিযানে ৭ দিনে আগ্নেয়াস্ত্র,গোলাবারুদ ও মাদকদ্রব্যসহ গ্রেপ্তার-১৫১ আত্মসমর্পণ করা ১৫ সেনা কর্মকর্তারা নির্দোষ: আইনজীবী আড়াইহাজারে চাঞ্চল্যকর ইমন হত্যার দুই পলাতক আসামি পিবিআই’র জালে

ভারতের গণতন্ত্র কোন পথে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৩:০১:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪ ২৩৩ বার পড়া হয়েছে

 

মানস বন্দ্যোপাধ্যায়,দিল্লি।।

এমন একটা সময় ছিল যখন ভারতের প্রকৃত গণতন্ত্র ও সৎ রাজনীতিবিদেরা সমাজের মুখ উজ্জ্বল করে গেছেন। সেই ট্র্যাডিশন ধরে রাখা গেল না। এটাই দুঃখের বিষয়।

ভারতের দুই মহান ব্যক্তির কাছ থেকেও কোন বর্তমান রাজনীতিবিদ শিক্ষা লাভ করলেন না। প্রথম জন প্রয়াত প্রধান মন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী, দ্বিতীয় জন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম আজাদ।লালবাহাদুর শাস্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর পর তার স্ত্রীর কোন ব্যাংক ব্যালেন্স ছিল না।
তিনি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন তার মাএকটি অজ গ্রামের স্টেশনে পুরো একটি দিন প্লাটফর্মে শুয়ে কাটালেন। পরবর্তী ট্রেন ২৪ ঘণ্টা পরে ছাড়ার কথা।তার পুত্র কী করেন তিনি জানতেন না। এক কুলি তাকে পুত্রের নাম জিজ্ঞেস করলে তিনি লাল বাহাদুর শাস্ত্রী বলেছিলেন। ব্যস, সারা স্টেশনে হুলুস্থুল। বিশেষ সেলুনে বসিয়ে তাকে দিল্লি পাঠানো হলে পুত্রকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ” হ্যাঁরে ,তুই কী চাকরি করিস রেলে?” উত্তরে শাস্ত্রীজী বলেছিলেন ” সামান্য একটা কাজ”.
লালবাহাদুরের দুই পুত্র অনিল এবং সুনীল যথাক্রমে কংগ্রেস এবং বিজেপির মুখপাত্র ছিলেন। আমার সঙ্গে গাভীর আন্তরিকতা ও ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক ছিল,বিশেষ করে সুনীল শাস্ত্রীর। একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে থাকতেন। মাঝে মাঝেই পায়ে হেঁটে দুজনেই ২৪ আকবর রোডে এবং ১১ অশোকা রোডের অফিসে আসতেন। পরবর্তীকালে পার্টি অফিস থেকে আসা যাওয়ার জন্য গাড়ি দেওয়া হয়েছিল।
দ্বিতীয় জন, বিশ্ব বরেণ্য বিজ্ঞানী ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ২০০২ সালে যখন রাষ্ট্রপতি ভবনে এলেন,সেদিন একটি হলুদ ট্যাক্সি থেকে নেমে ভবনে প্রবেশ করেন। সঙ্গে ছিল মাত্র একটি ট্রাংক ও একটি ব্রিফকেস। ট্র্যাংকটি  পুরো বই ও  কাগজপত্রে ঠাসা। পূর্বে পরিচয় সূত্রে সেদিন গিয়েছিলাম সেখানে। একগাল হাসি নিয়ে ব্রিফকেস হাতে এগিয়ে যাওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতি ভবনের কর্মীরা সেগুলি কেড়ে নিয়ে তার কামরার দিয়ে নিয়ে গেলেন।।j
২০০৭ সালে যেদিন বিদায় নিলেন তখন সরকার থেকে একটি প্রাইভেট কার ও তার পাওনা মালপত্র নিয়ে যাবার জন্য তিনটি ট্রাক দেওয়া হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়েই তিনি  অফিসারদের ডেকে ট্রাক তিনটি ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিলেন। তারা তো অবাক! এতো মালপত্র যাবে কীকরে!!!
কালাম বললেন,তার তো মাত্র একটি ট্রাঙ্ক ও একটি ব্রিফকেস রয়েছে। বাকি সমস্ত মাল তার নয়। রাষ্ট্রপতি থাকা কালীন দেশ বিদেশ থেকে তাকে অফুরন্ত উপহার দেওয়া হয়েছে,কিন্তু সেগুলি দেওয়া হয়েছে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে। সেই সম্পদ ভারতের। আমার নয়। এই বলে তিনি সটান প্রাইভেট গাড়িতে উঠে পড়লেন নিজের ট্রাঙ্ক ও একটি ব্রিফকেস নিয়ে। ইনি হলেন সেই এপিজে আবদুল কালাম।
এরা হলেন প্রকৃত সততা ও গণতন্ত্রের প্রতীক।কোন রাজনৈতিক নেতা ও কর্মী এদের কাছ থেকে কোন শিক্ষা গ্রহণ করলেন না।।
ঠিক এর আগে রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলকে দেখেছি। যখন এলেন,একটি প্রাইভেট কারে। যাবার সময় দুটি ট্রাক বোঝাই মাল নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবন ছেড়ে চলে গেলেন।
এই প্রতিভা পাতিলই হয়ে গেলেন সকলের অনুকরণীয়। বিহারের লালু প্রসাদ যাদব যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, সারা রেলের সম্পত্তিই হয়ে গেল তার বাপের সম্পত্তি। এমনকি রেল লাইনের ধারে রেলের জমি গুলিও রক্ষা পেলো না। সেগুলিও জলের দরে বিক্রি করে দিলেন পরিচিত এবং আত্মীয় স্বজনের কাছে।
তারপর থেকে অনবরত চলেছে লুট,আত্মসাতের ঘটনা।
ওড়িশার প্রাক্তন সাংসদ  আচারিয়া প্রসন্ন পাতসানি পরপর তিনবার সাংসদ হলেন ভোটে জিতে। নির্বাচনে তার খরচ হয়েছিল মাত্র ৫ হাজার টাকা করে। বিশাল লোকসভা কেন্দ্রের আনাচে কানাচে পায়ে হেঁটে প্রচার করতেন। কোন হোর্ডিং,ফেস্টুন ছাপেন নি। কিছু ভক্ত নিজের টাকায় কিছু লিফলেট ছেপে ছিলেন। জনতা তার নামেই ভোট দিয়েছেন। বারবার জিতে এসেছেন। দিল্লিতে তার সরকারি ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেছি তিনি মাটিতে চাদর বিছিয়ে শুয়ে রয়েছেন। দেখা হতেই উঠে দাঁড়িয়ে হাসি মুখে অভ্যর্থনা জানান। অনেক গল্প হতো। এক কাপ চা,সঙ্গে দুটি বিস্কুট খেতাম। বাইরে লনে বসে জাম গাছের দিকে তাকিয়ে কর্মীকে জাম আনতে বলতেন। একবাটি জাম খেতেন। এটাই নাকি তার জল খাবার। বিশ্বের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি থেকে ডাক আসতো বিভিন্ন বিষয়ে বক্তৃতা দেবার জন্য। দীর্ঘ একদশক পরেও দেখেছি সেই একই অবস্থা!! এমন মানুষ কজন হয়? পরে কিন্তু পার্টি থেকে তাকে নির্বাচনে লড়াই করার টিকিটই দেওয়া হয় নি। অথচ তিনি ছিলেন গণতন্ত্রের পূজারী। যেখানে ভোট জিততে কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হয় প্রার্থীকে, পার্টি থেকে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে, বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে, ব্যালট বাক্স তুলে নিয়ে ,বুথ দখল করে গণতন্ত্রের হত্যা হয়,সেখানে প্রসন্ন পাতাসনি খালি পায়ে হেঁটে প্রচার করতেন কোন প্রচার সামগ্রী ছাড়াই।  এদের অনুকরণ কেউ করেনি। গণতন্ত্রের ধ্বংস হচ্ছে জেনেও ভোটাররাও ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বসে পড়েছে।
অযোগ্য প্রার্থী জিতে সংসদে যাচ্ছেন। কেউ গুণ্ডামী করে,যে সিনেমার নায়ক,নায়িকার তকমা নিয়ে। এই সাংসদরা পার্লামেন্টে গিয়ে কি অভিনয় করবেন,নাকি গুন্ডামি করবেন!!!
জনতা যেখানে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বসে আছেন সেখানে তাদের অপকীর্তির জোরে জিতে আসা সাংসদরা কী পাবেন?
মাসে মাসে ৮০ হাজার টাকা বেতন। সংসদে দৈনিক হাজিরার জন্য দৈনিক ২ হাজার টাকা, বিশাল বাংলো। সবকিছুই বিলাসিতায় ভরা। টেলিফোন ফ্রি। বিদ্যুৎ , জল ফ্রি। অফিসের জন্য মাসে ৫০ হাজার টাকা। যাতায়াতের জন্য গাড়ি। পেট্রোল ফ্রি। ট্রেন সফর দলবল সহ ফ্রি। বছরে ৩৮ বার ফ্রিতে সঙ্গী নিয়ে বিমান সফর। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক সুবিধা। পার্লামেন্টে মাত্র ৩০ টাকায় আমিষ খাদ্য। চামচা ও সুবিধাবাদীদের কাছ থেকে মূল্যবান উপহার।
এই মহা বৈভবের ও বিলাসিতার জীবন তাদের দিতে গিয়ে যারা নিজের মানুষের মাথা ভাঙলেন, বাড়ি ভেঙে জ্বালিয়ে দিলেন,বোমা বিস্ফোরণ ঘটালেন তারা কী পেলেন? এক কান্দি কাঁচা কলা। এই কি গণতন্ত্র??

নিউজটি শেয়ার করুন..

ট্যাগস:-

ভারতের গণতন্ত্র কোন পথে

আপডেট সময়- ০৩:০১:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

 

মানস বন্দ্যোপাধ্যায়,দিল্লি।।

এমন একটা সময় ছিল যখন ভারতের প্রকৃত গণতন্ত্র ও সৎ রাজনীতিবিদেরা সমাজের মুখ উজ্জ্বল করে গেছেন। সেই ট্র্যাডিশন ধরে রাখা গেল না। এটাই দুঃখের বিষয়।

ভারতের দুই মহান ব্যক্তির কাছ থেকেও কোন বর্তমান রাজনীতিবিদ শিক্ষা লাভ করলেন না। প্রথম জন প্রয়াত প্রধান মন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী, দ্বিতীয় জন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম আজাদ।লালবাহাদুর শাস্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর পর তার স্ত্রীর কোন ব্যাংক ব্যালেন্স ছিল না।
তিনি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন তার মাএকটি অজ গ্রামের স্টেশনে পুরো একটি দিন প্লাটফর্মে শুয়ে কাটালেন। পরবর্তী ট্রেন ২৪ ঘণ্টা পরে ছাড়ার কথা।তার পুত্র কী করেন তিনি জানতেন না। এক কুলি তাকে পুত্রের নাম জিজ্ঞেস করলে তিনি লাল বাহাদুর শাস্ত্রী বলেছিলেন। ব্যস, সারা স্টেশনে হুলুস্থুল। বিশেষ সেলুনে বসিয়ে তাকে দিল্লি পাঠানো হলে পুত্রকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ” হ্যাঁরে ,তুই কী চাকরি করিস রেলে?” উত্তরে শাস্ত্রীজী বলেছিলেন ” সামান্য একটা কাজ”.
লালবাহাদুরের দুই পুত্র অনিল এবং সুনীল যথাক্রমে কংগ্রেস এবং বিজেপির মুখপাত্র ছিলেন। আমার সঙ্গে গাভীর আন্তরিকতা ও ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক ছিল,বিশেষ করে সুনীল শাস্ত্রীর। একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে থাকতেন। মাঝে মাঝেই পায়ে হেঁটে দুজনেই ২৪ আকবর রোডে এবং ১১ অশোকা রোডের অফিসে আসতেন। পরবর্তীকালে পার্টি অফিস থেকে আসা যাওয়ার জন্য গাড়ি দেওয়া হয়েছিল।
দ্বিতীয় জন, বিশ্ব বরেণ্য বিজ্ঞানী ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ২০০২ সালে যখন রাষ্ট্রপতি ভবনে এলেন,সেদিন একটি হলুদ ট্যাক্সি থেকে নেমে ভবনে প্রবেশ করেন। সঙ্গে ছিল মাত্র একটি ট্রাংক ও একটি ব্রিফকেস। ট্র্যাংকটি  পুরো বই ও  কাগজপত্রে ঠাসা। পূর্বে পরিচয় সূত্রে সেদিন গিয়েছিলাম সেখানে। একগাল হাসি নিয়ে ব্রিফকেস হাতে এগিয়ে যাওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতি ভবনের কর্মীরা সেগুলি কেড়ে নিয়ে তার কামরার দিয়ে নিয়ে গেলেন।।j
২০০৭ সালে যেদিন বিদায় নিলেন তখন সরকার থেকে একটি প্রাইভেট কার ও তার পাওনা মালপত্র নিয়ে যাবার জন্য তিনটি ট্রাক দেওয়া হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়েই তিনি  অফিসারদের ডেকে ট্রাক তিনটি ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিলেন। তারা তো অবাক! এতো মালপত্র যাবে কীকরে!!!
কালাম বললেন,তার তো মাত্র একটি ট্রাঙ্ক ও একটি ব্রিফকেস রয়েছে। বাকি সমস্ত মাল তার নয়। রাষ্ট্রপতি থাকা কালীন দেশ বিদেশ থেকে তাকে অফুরন্ত উপহার দেওয়া হয়েছে,কিন্তু সেগুলি দেওয়া হয়েছে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে। সেই সম্পদ ভারতের। আমার নয়। এই বলে তিনি সটান প্রাইভেট গাড়িতে উঠে পড়লেন নিজের ট্রাঙ্ক ও একটি ব্রিফকেস নিয়ে। ইনি হলেন সেই এপিজে আবদুল কালাম।
এরা হলেন প্রকৃত সততা ও গণতন্ত্রের প্রতীক।কোন রাজনৈতিক নেতা ও কর্মী এদের কাছ থেকে কোন শিক্ষা গ্রহণ করলেন না।।
ঠিক এর আগে রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলকে দেখেছি। যখন এলেন,একটি প্রাইভেট কারে। যাবার সময় দুটি ট্রাক বোঝাই মাল নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবন ছেড়ে চলে গেলেন।
এই প্রতিভা পাতিলই হয়ে গেলেন সকলের অনুকরণীয়। বিহারের লালু প্রসাদ যাদব যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, সারা রেলের সম্পত্তিই হয়ে গেল তার বাপের সম্পত্তি। এমনকি রেল লাইনের ধারে রেলের জমি গুলিও রক্ষা পেলো না। সেগুলিও জলের দরে বিক্রি করে দিলেন পরিচিত এবং আত্মীয় স্বজনের কাছে।
তারপর থেকে অনবরত চলেছে লুট,আত্মসাতের ঘটনা।
ওড়িশার প্রাক্তন সাংসদ  আচারিয়া প্রসন্ন পাতসানি পরপর তিনবার সাংসদ হলেন ভোটে জিতে। নির্বাচনে তার খরচ হয়েছিল মাত্র ৫ হাজার টাকা করে। বিশাল লোকসভা কেন্দ্রের আনাচে কানাচে পায়ে হেঁটে প্রচার করতেন। কোন হোর্ডিং,ফেস্টুন ছাপেন নি। কিছু ভক্ত নিজের টাকায় কিছু লিফলেট ছেপে ছিলেন। জনতা তার নামেই ভোট দিয়েছেন। বারবার জিতে এসেছেন। দিল্লিতে তার সরকারি ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেছি তিনি মাটিতে চাদর বিছিয়ে শুয়ে রয়েছেন। দেখা হতেই উঠে দাঁড়িয়ে হাসি মুখে অভ্যর্থনা জানান। অনেক গল্প হতো। এক কাপ চা,সঙ্গে দুটি বিস্কুট খেতাম। বাইরে লনে বসে জাম গাছের দিকে তাকিয়ে কর্মীকে জাম আনতে বলতেন। একবাটি জাম খেতেন। এটাই নাকি তার জল খাবার। বিশ্বের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি থেকে ডাক আসতো বিভিন্ন বিষয়ে বক্তৃতা দেবার জন্য। দীর্ঘ একদশক পরেও দেখেছি সেই একই অবস্থা!! এমন মানুষ কজন হয়? পরে কিন্তু পার্টি থেকে তাকে নির্বাচনে লড়াই করার টিকিটই দেওয়া হয় নি। অথচ তিনি ছিলেন গণতন্ত্রের পূজারী। যেখানে ভোট জিততে কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হয় প্রার্থীকে, পার্টি থেকে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে, বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে, ব্যালট বাক্স তুলে নিয়ে ,বুথ দখল করে গণতন্ত্রের হত্যা হয়,সেখানে প্রসন্ন পাতাসনি খালি পায়ে হেঁটে প্রচার করতেন কোন প্রচার সামগ্রী ছাড়াই।  এদের অনুকরণ কেউ করেনি। গণতন্ত্রের ধ্বংস হচ্ছে জেনেও ভোটাররাও ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বসে পড়েছে।
অযোগ্য প্রার্থী জিতে সংসদে যাচ্ছেন। কেউ গুণ্ডামী করে,যে সিনেমার নায়ক,নায়িকার তকমা নিয়ে। এই সাংসদরা পার্লামেন্টে গিয়ে কি অভিনয় করবেন,নাকি গুন্ডামি করবেন!!!
জনতা যেখানে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বসে আছেন সেখানে তাদের অপকীর্তির জোরে জিতে আসা সাংসদরা কী পাবেন?
মাসে মাসে ৮০ হাজার টাকা বেতন। সংসদে দৈনিক হাজিরার জন্য দৈনিক ২ হাজার টাকা, বিশাল বাংলো। সবকিছুই বিলাসিতায় ভরা। টেলিফোন ফ্রি। বিদ্যুৎ , জল ফ্রি। অফিসের জন্য মাসে ৫০ হাজার টাকা। যাতায়াতের জন্য গাড়ি। পেট্রোল ফ্রি। ট্রেন সফর দলবল সহ ফ্রি। বছরে ৩৮ বার ফ্রিতে সঙ্গী নিয়ে বিমান সফর। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক সুবিধা। পার্লামেন্টে মাত্র ৩০ টাকায় আমিষ খাদ্য। চামচা ও সুবিধাবাদীদের কাছ থেকে মূল্যবান উপহার।
এই মহা বৈভবের ও বিলাসিতার জীবন তাদের দিতে গিয়ে যারা নিজের মানুষের মাথা ভাঙলেন, বাড়ি ভেঙে জ্বালিয়ে দিলেন,বোমা বিস্ফোরণ ঘটালেন তারা কী পেলেন? এক কান্দি কাঁচা কলা। এই কি গণতন্ত্র??