ঢাকা ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
গনতন্ত্র রক্ষায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান: মাসুদুজ্জামানের তিন জেলার ডিসি বদলি-পদায়ন নারায়ণগঞ্জে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা মৌলভীবাজার পিবিআই’র হাজত খানায় ফাঁস লাগানো যুবকের মরদেহ উদ্ধার  জুড়ীতে আসন্ন দুর্গোৎসব উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা নারায়ণগঞ্জ জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত টেকনাফে বিজিবির যৌথ অভিযানে ইয়াবাসহ আটক-২ টংঙ্গীবাড়ীতে সরকারি চিকিৎসা সেবা থাকতেও রোগীরা ঝুকছেন প্রাইভেট ক্লিনিকে টেকনাফে প্রদীপ-লিয়াকতের অন্ধকার সাম্রাজ্য: খুন,ধর্ষণ, ইয়াবাসহ ক্রসফায়ার বাণিজ্য টেকনাফ সীমান্তবর্তী নাফ নদীতে ২ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার এবার ডিসি নিজে রক্ত দিয়ে ‘তারুণ্যে উৎসব’ সেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন দেশবরেণ্য লালন সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই সুন্দরবনে ভ্রমণে এসে গোসলে নেমে পর্যটক নিখোঁজ ‘আগামী বর্ষায় নগরীতে জলাবদ্ধতা হবে না’ উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে এসে নাসিক প্রশাসক রূপগঞ্জে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে অস্ত্র ও মাদকসহ ৩ শীর্ষ সন্ত্রাসী আটক গাইবান্ধায় জামায়াতের মহাসমাবেশ: সরকার গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচনে লড়াই ঘোষণা মুন্সীগঞ্জের শীর্ষ নৌ ডাকাত শামীম গ্রেপ্তার সাগরপথে মানবপাচার: টেকনাফে বিজিবির অভিযানে পাচারকারী চক্রের ৫ সদস্য আটক শ্রীমঙ্গল পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিদেশী মদসহ আটক-১ উত্তাল বাগেরহাট: ফের তিন দিনের হরতালসহ ৬ দিনের কর্মসূচির ঘোষণা সোনারগাঁয়ে বিএনপি নেতার অবৈধ চুনা কারখানা গুড়িয়ে দিলেন তিতাস কর্তৃপক্ষ টেকনাফে বিজিবির প্রশিক্ষিত কুকুর ‘ডগ জ্যাক’র সহায়তা ইয়াবা জব্দ শ্রীনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নারীসহ ৪ জনকে কু*পি*য়ে আহত ঈশ্বরদীতে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিরাপত্তা বিষয়ক মতবিনিয় সভা অনুষ্ঠিত ভাঙ্গায় রেলপথ-মহাসড়ক অবরোধ, চরমদুর্ভোগে ২৫ জেলার জনজীবন সাংবাদিককে নির্যাতনসহ হত্যা চেষ্টা: কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানাকে বরখাস্ত এবারের শারদীয় দূর্গোৎসব হবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সেতুবন্ধন: জেলা প্রশাসক উখিয়ায় বিজিবির অভিযানে ২ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার ডাকসুতে ১২টি সম্পাদকীয় পদের ৯টিতেই ছাত্রশিবিরের নিরংকুশ জয় ডাকসুর নির্বাচনে ছাত্রশিবির প্রার্থীর নিরংকুশ বিজয় জুড়ীর বটুলী সীমান্ত শুল্ক স্টেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ শেরপুরে ৮৫ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপদ ডাকসু নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকের মৃত্যু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই পালালেন সোনারগাঁ মহিলা আ’লীগ নেত্রী নূর জাহান ফতুল্লায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে নিহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলেন ইউএনও রাজনগর ইউএনও’র যোগসাজশে সরকারি বরাদ্দের ৯৪ শতাংশই আত্মসাৎ  না’গঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী শুটার মাসুদ ও ডাকাত আক্তার অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার যে কারনে পাম্পের ম্যানেজার ইকবালকে হাতুড়ি দিয়ে হত্যা যেভাবে খু*ন হলো তালিকাভুক্ত দূর্ধর্ষ কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী ইভান ফতুল্লার কুখ্যাত কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামী ইভন খুন টেকনাফে কোস্ট গার্ডের অভিযানে নিত্য পন্য সামগ্রীসহ ১০ পাচারকারী আটক উখিয়ায় র‍্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণে ইয়াবা ও অর্থসহ ২ নারী পাচারকারী আটক আজ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, রাতের আকাশে ঘটবে বিরল দৃশ্য, এবার বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর টাঙ্গাইলের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর মৌলভীবাজারে ৩১৫ পিস ইয়াবা ও নগদ অর্থসহ গ্রেপ্তার-২ নারায়ণগঞ্জে জশনে জুলুসে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন টেকনাফে ২০৫ পিস ইয়াবাসহ তিন পাচারকারী আটক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নাসিক ১২নং ওয়ার্ড কামান্ড কমিটি গঠন, আহ্বায়ক-মহাব্বত হাসেম মৌলভীবাজারে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জুলুস মোবারক র‌্যালি সুন্দরবনে কোস্টগার্ডের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৪ বনদস্যু আটক নারায়ণগঞ্জে অস্থির নিত্যপণ্যের দাম, স্বস্তি নেই কাঁচা বাজারেও ক্যাসিনো কাণ্ডের আলোচিত রূপগঞ্জের ডন সেলিম প্রধানসহ গ্রেপ্তার-৯ সংসদীয় আসন পুনঃবিন্যাসের প্রতিবাদে ফরিদপুরে মহাসড়কে মানববন্ধন ‘দিদি ৬ মাস আওয়ামী লীগ, ৬ মাস বিএনপি’ ‘নুরাল পাগলা’র দরবারে হামলা, কবর থেকে লাশ তুলে আগুনের ঘটনায় ৩৫’শ জনের বিরুদ্ধে মামলা আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) জাপা কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনার নিন্দা বিএনপির গাইবান্ধায় ফুফা সেজে বিশ্বাস ভঙ্গ, বাঁশঝাড়ে নির্মম সংঘবদ্ধ ধর্ষণ নুরাল পাগলের লাশ তুলে আগুন, দরবারে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ রাজবাড়ীতে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা-সংঘর্ষ- অগ্নিসংযোগে নিহত-১, আহত অর্ধশত এবার গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জাপা’র মহাসচিবের মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপে ভয়াবহ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ-৮ ফের জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ফরিদগঞ্জে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী সাইফুর রহমানের ১৬তম শাহাদাত বার্ষিকী আজ নারায়ণগঞ্জে নবনিযুক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের যোগদান গ্রেপ্তারের ১ দিনের মাথায় রূপগঞ্জ থেকে শুটার রিয়াজের বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করলো র‍্যাব-১১ জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সোনারগাঁয়ে গ্যাসের চুলা জ্বালাতেই বিস্ফোরণ, শিশুসহ একই পরিবারের দগ্ধ-৫ রূপগঞ্জে ডিবি পরিচয়ে অপহৃত ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্ধার, আটক-১ পাথর মেরে মানুষ হত্যার ইতিহাস আর রচনা করতে চাইনা- মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম রাজধানীতে সোহাগ পরিবহন অফিসে হামলা: কুপিয়ে জখম  জাফলংয়ে ঘুরতে গিয়ে রূপগঞ্জের চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী শুটার রিয়াজ গ্রেপ্তার দেশের বাজারে আরও বাড়লো স্বর্ণের দাম না’গঞ্জের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জে একটি তুলার গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড না’গঞ্জের বৃহৎ দিগুবাবুর বাজারে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ড ৮০৪ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ টেকনাফে ৩০ হাজার ইয়াবাসহ তিন পাচারকারী আটক গাইবান্ধায় দুর্গাপূজার প্রতিমায় দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগ  পূর্ব সুন্দরবনের দু’সহস্রাধিক জেলেরা বনদস্যু আতঙ্কে বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ঈশ্বরদীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শতবর্ষী অদম্য ফজিলাতুন্নেছার পাশে না’গঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল জেলা প্রশাসকের নাম ভাঙিয়ে অধিগ্রহনের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নাসিকের প্রশাসক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ‘ডাকসু নির্বাচন’ বাম সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পিনাকীর এবার সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে রদবদল, নতুন দায়িত্বে ৬ কর্মকর্তা এবার ৩৮ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে বরখাস্ত হলেন সহকারী কর কমিশনার শরণখোলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনসহ ইউএনও’র উদ্যোগ সর্বমহলে প্রশংসিত ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করেছে হাইকোর্ট নারায়ণগঞ্জে ফ্রিজ বিস্ফোরণ; অগ্নিদগ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে মানবিক ডিসি জাহিদুল খুলনায় রূপসা নদী থেকে ফের সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার না’গঞ্জে মাথাবিহীন লাশের পরিচয় সনাক্তসহ হত্যাকান্ডে জড়িত গ্রেপ্তার-২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি থেকে বাদ রাজনৈতিক নেতারা, নতুন বিধান যুক্ত টেকনাফে পুলিশের অভিযানে ৪ হাজার ইয়াবাসহ আটক-১  গাইবান্ধায় বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ভাঙচুর কার্যালয় না’গঞ্জে ভ্রাম্যমাণ অভিযানে অর্থদন্ডসহ ১১১ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ আলোচিত মেরুন টি-শার্ট পরা সেই ব্যক্তি ছিলেন পুলিশের কনস্টেবল না’গঞ্জে এনআর গার্মেন্টস’র ছাঁদ থেকে লাফিয়ে পরে নারী শ্রমিকের আত্মহনন ফতুল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু থমথমে পরিস্থিতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, সব পরীক্ষা স্থগিত

ভারতের গণতন্ত্র কোন পথে..?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৫:৪৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪ ১৮০ বার পড়া হয়েছে

 

দ্বিতীয় পর্ব:
মানস বন্দ্যোপাধ্যায়,দিল্লি
এর আগে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের গণতন্ত্রের কাছে তিনটি বড় রকমের চ্যালেঞ্জের কথা লিখেছিলাম। আজ গণতন্ত্রের চতুর্থ এবং অন্যান্য কিছু সংকট তুলে ধরছি।
প্রথমটি হলো নির্বাচন শুরু হওয়ার ৬ মাস আগে থেকেই চাঁদা তোলার হিড়িক।
শুধু বৃহৎ শিল্পপতি,ব্যবসায়ীরাই নয়, পাইকারি এবং খুচরো বিক্রেতাদের কাছ থেকেও ভয় দেখিয়ে মোটা টাকা আদায় করা হয় সবকটি দলের পক্ষ থেকে। ফলে সেই চাঁদার অংক সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে সুদে আসলে তুলতে গিয়ে সমস্ত বাজারে বস্তুর দাম আঁকাশ ছোঁয়া হয়ে যায়। কলকাতায় দেখেছি নির্বাচনের দুমাস আগে যে সব্জির দাম ছিল কিলো প্রতি ২০ টাকা, নির্বাচনের সময় এবং পরে তারই দাম ১২০ টাকা। বেগুন ৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, আলু ২২ টাকা থেকে ৩০ টাকা, পেয়াঁজ ২০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, টমেটো ২০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, ক্যাপ্সিকাম ৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা ছাড়াও আটা ময়দা,সুজি, ছাতু সহ ২০০ বস্তুর অগ্নিমূল্য মধ্যবিত্তের মাথায় হাত। মাথা থেকে হাত নামবেনা আগামী ৬ মাসেও।
এটাও গণতন্ত্রের অভিশাপ। রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা নির্বাচারের আগে শাসক দলকে ৪৯০ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে। ফলে বিদ্যুতের মাশুল ইউনিট প্রতি ৯.৫০ টাকা গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকেই।
ওদিকে কেন্দ্রের বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করে এবং ব্যাপক হিন্দু ধর্মের প্রচার করেও ভোটারদের কাছে থেকে বড় রকমের প্রত্যাঘাত খেয়েছে। অযোধ্যাতেই বিজেপি প্রার্থী ভোটে হেরেছে। প্রায় ২০ টি তীর্থস্থানে বিজেপির প্রার্থী মুখ থুবড়ে পড়েছে। হিন্দু ধর্ম নিয়ে মোদি যতোটা আশাবাদী ছিলেন বাস্তব চিত্রটি ছিল উল্টো।
মুসলিমদের ৯৮ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে ভিড় করেছেন এবারে। অপরদিকে হিন্দুদের ভোটাররা ভোটের কেন্দ্রে হাজির হয়েছেন মাত্র ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। মুসলিম ভোটাররা পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃনমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। মুর্শিদাবাদ এবং বহরমপুরে বরাবর কংগ্রেসের ঘাঁটিতে তৃনমূল জয়ী হয়েছে। কংগ্রেসের দীর্ঘ দিনের বাহুবলী ও জনপ্রিয় নেতা অধীর চৌধুরী এবারে পরাজিত হয়েছেন।
মুসলিমদের রণনীতি হলো একেক রাজ্যে একেকটি পার্টিকে ঢালাও ভোট শুধু বিজেপিকে হারানোর জন্য। উত্তর প্রদেশে  অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি, এবং রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস পার্টিকে, বিহারে লালু প্রসাদ যাদবের আর জে ডি দলকে, অসমে কংগ্রেসকে, মধ্যপ্রদেশে ও ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসকে, পাঞ্জাবে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিকে ভোট ,দিয়েছেন তারা।
মিডিয়ার ভূমিকা: গণতন্ত্রের আরো একটি অভিশাপ হলো মিডিয়া। ভারতের অধিকাংশ মিডিয়া দ্বিধাবিভক্ত। কেন্দ্রে এবং বিভিন্ন রাজ্যে মিডিয়াকে ক্রীতদাস বানানোর চেষ্টা চলেছে। মিডিয়াকে ভিক্ষা দেওয়ার প্রতিযোগিতা চলেছে।টাকার জোরে ,বিজ্ঞাপনের জোরে, ও ভয় দেখিয়ে মিডিয়াকে বিক্রিত ও বিকৃত করা হয়েছে। নির্বাচনকালে মিথ্যা প্রচারের ফুলঝুড়ি ছুটেছে। ভোটারদের বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করেছে এই মিডিয়া।
এই পাঁচটি ছাড়াও গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক আরো ঘটনা রয়েছে। ফলে এবারে ভোটের ফলাফলে আমূল পরিবর্তন এসেছে। কেন্দ্রে সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২ টি আসন। গতবার বিজেপি একাই সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে ৩০০ পার করেছিল।কার্যত অসম্ভব অহংকার ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে এবারে মোদি ঘোষনা করেছিলেন এই বার ৪০০ পার। কিন্তু বিজেপিকে থামতে হয়েছে মাত্র ২৪০ টি আসন নিয়ে। সহযোগী দলগুলি নিয়ে অবশ্যই এনডিএ সংখ্যা গরিষ্ঠ। কিন্তু সরকার গড়লেও মোদি কিন্তু এবারে স্থিতিশীল অবস্থায় থাকছেন না। সরকার চালাতে তাকে নির্ভর করতে হবে জনতা দল ইউনাইটেডের নেতা বিহারের প্রাক্তন মুখ্য মন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং অন্ধ্র প্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টির চন্দ্রবাবু নাইডুর উপর। মোদির আগের সেই বিষদাঁত ভেঙে গেছে। ইচ্ছেমত কাজ তিনি করতে পারবেন না। পদে পদে বাধার মুখে পড়তে হবে।
ইতিমধ্যেই নীতিশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডু এক কথায় সর্ত আরোপ করে চলেছেন। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক গুলির ওপর হাত বাড়িয়েছেন।
তবে যারা প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জানেন তারা হতাশ হন নি। কারণ ভারতের গণতন্ত্রে অসম্ভব বলে কিছুই নেই। যে গোষ্ঠীই সরকার গঠন করে পর্দার আড়ালে থাকা অন্যান্য দলগুলি মন্ত্রী মণ্ডলিতে স্থান পাওয়ার আশায় তাদের নিজেদের ভোটারদের আশা আকাঙ্ক্ষাকে জলাঞ্জলি দিয়ে উচ্ছিষ্ট নিতে এগিয়ে আসেন। নির্বাচনে বিজেপি বিরোধীতা করে ভোট নিয়েও শাসক দলে ভিড়ে যান। কোটি কোটি টাকার খেলাও চলে এসেছে দীর্ঘ বছর ধরে।
সামনেই লোকসভার অধিবেশন। জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে। এবারে প্রায় অবলুপ্ত কংগ্রেস সঞ্জীবনী সুধা পান করে অনেক শক্তি অর্জন করেছে। কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর সঙ্গে রয়েছেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, বিহারের আর জে ডি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃনমূল কংগ্রেস। কাজেই অধিবেশনের শুরু থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠবে সংসদ। বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচাগ্র মেদিনী ,এই মনোভাব নিয়েই এগোচ্ছে বিরোধীরা।
ক্রমশ:

নিউজটি শেয়ার করুন..

ট্যাগস:-

ভারতের গণতন্ত্র কোন পথে..?

আপডেট সময়- ০৫:৪৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

 

দ্বিতীয় পর্ব:
মানস বন্দ্যোপাধ্যায়,দিল্লি
এর আগে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের গণতন্ত্রের কাছে তিনটি বড় রকমের চ্যালেঞ্জের কথা লিখেছিলাম। আজ গণতন্ত্রের চতুর্থ এবং অন্যান্য কিছু সংকট তুলে ধরছি।
প্রথমটি হলো নির্বাচন শুরু হওয়ার ৬ মাস আগে থেকেই চাঁদা তোলার হিড়িক।
শুধু বৃহৎ শিল্পপতি,ব্যবসায়ীরাই নয়, পাইকারি এবং খুচরো বিক্রেতাদের কাছ থেকেও ভয় দেখিয়ে মোটা টাকা আদায় করা হয় সবকটি দলের পক্ষ থেকে। ফলে সেই চাঁদার অংক সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে সুদে আসলে তুলতে গিয়ে সমস্ত বাজারে বস্তুর দাম আঁকাশ ছোঁয়া হয়ে যায়। কলকাতায় দেখেছি নির্বাচনের দুমাস আগে যে সব্জির দাম ছিল কিলো প্রতি ২০ টাকা, নির্বাচনের সময় এবং পরে তারই দাম ১২০ টাকা। বেগুন ৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, আলু ২২ টাকা থেকে ৩০ টাকা, পেয়াঁজ ২০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, টমেটো ২০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, ক্যাপ্সিকাম ৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা ছাড়াও আটা ময়দা,সুজি, ছাতু সহ ২০০ বস্তুর অগ্নিমূল্য মধ্যবিত্তের মাথায় হাত। মাথা থেকে হাত নামবেনা আগামী ৬ মাসেও।
এটাও গণতন্ত্রের অভিশাপ। রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা নির্বাচারের আগে শাসক দলকে ৪৯০ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে। ফলে বিদ্যুতের মাশুল ইউনিট প্রতি ৯.৫০ টাকা গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকেই।
ওদিকে কেন্দ্রের বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করে এবং ব্যাপক হিন্দু ধর্মের প্রচার করেও ভোটারদের কাছে থেকে বড় রকমের প্রত্যাঘাত খেয়েছে। অযোধ্যাতেই বিজেপি প্রার্থী ভোটে হেরেছে। প্রায় ২০ টি তীর্থস্থানে বিজেপির প্রার্থী মুখ থুবড়ে পড়েছে। হিন্দু ধর্ম নিয়ে মোদি যতোটা আশাবাদী ছিলেন বাস্তব চিত্রটি ছিল উল্টো।
মুসলিমদের ৯৮ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে ভিড় করেছেন এবারে। অপরদিকে হিন্দুদের ভোটাররা ভোটের কেন্দ্রে হাজির হয়েছেন মাত্র ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। মুসলিম ভোটাররা পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃনমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। মুর্শিদাবাদ এবং বহরমপুরে বরাবর কংগ্রেসের ঘাঁটিতে তৃনমূল জয়ী হয়েছে। কংগ্রেসের দীর্ঘ দিনের বাহুবলী ও জনপ্রিয় নেতা অধীর চৌধুরী এবারে পরাজিত হয়েছেন।
মুসলিমদের রণনীতি হলো একেক রাজ্যে একেকটি পার্টিকে ঢালাও ভোট শুধু বিজেপিকে হারানোর জন্য। উত্তর প্রদেশে  অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি, এবং রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস পার্টিকে, বিহারে লালু প্রসাদ যাদবের আর জে ডি দলকে, অসমে কংগ্রেসকে, মধ্যপ্রদেশে ও ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসকে, পাঞ্জাবে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিকে ভোট ,দিয়েছেন তারা।
মিডিয়ার ভূমিকা: গণতন্ত্রের আরো একটি অভিশাপ হলো মিডিয়া। ভারতের অধিকাংশ মিডিয়া দ্বিধাবিভক্ত। কেন্দ্রে এবং বিভিন্ন রাজ্যে মিডিয়াকে ক্রীতদাস বানানোর চেষ্টা চলেছে। মিডিয়াকে ভিক্ষা দেওয়ার প্রতিযোগিতা চলেছে।টাকার জোরে ,বিজ্ঞাপনের জোরে, ও ভয় দেখিয়ে মিডিয়াকে বিক্রিত ও বিকৃত করা হয়েছে। নির্বাচনকালে মিথ্যা প্রচারের ফুলঝুড়ি ছুটেছে। ভোটারদের বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করেছে এই মিডিয়া।
এই পাঁচটি ছাড়াও গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক আরো ঘটনা রয়েছে। ফলে এবারে ভোটের ফলাফলে আমূল পরিবর্তন এসেছে। কেন্দ্রে সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২ টি আসন। গতবার বিজেপি একাই সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে ৩০০ পার করেছিল।কার্যত অসম্ভব অহংকার ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে এবারে মোদি ঘোষনা করেছিলেন এই বার ৪০০ পার। কিন্তু বিজেপিকে থামতে হয়েছে মাত্র ২৪০ টি আসন নিয়ে। সহযোগী দলগুলি নিয়ে অবশ্যই এনডিএ সংখ্যা গরিষ্ঠ। কিন্তু সরকার গড়লেও মোদি কিন্তু এবারে স্থিতিশীল অবস্থায় থাকছেন না। সরকার চালাতে তাকে নির্ভর করতে হবে জনতা দল ইউনাইটেডের নেতা বিহারের প্রাক্তন মুখ্য মন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং অন্ধ্র প্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টির চন্দ্রবাবু নাইডুর উপর। মোদির আগের সেই বিষদাঁত ভেঙে গেছে। ইচ্ছেমত কাজ তিনি করতে পারবেন না। পদে পদে বাধার মুখে পড়তে হবে।
ইতিমধ্যেই নীতিশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডু এক কথায় সর্ত আরোপ করে চলেছেন। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক গুলির ওপর হাত বাড়িয়েছেন।
তবে যারা প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জানেন তারা হতাশ হন নি। কারণ ভারতের গণতন্ত্রে অসম্ভব বলে কিছুই নেই। যে গোষ্ঠীই সরকার গঠন করে পর্দার আড়ালে থাকা অন্যান্য দলগুলি মন্ত্রী মণ্ডলিতে স্থান পাওয়ার আশায় তাদের নিজেদের ভোটারদের আশা আকাঙ্ক্ষাকে জলাঞ্জলি দিয়ে উচ্ছিষ্ট নিতে এগিয়ে আসেন। নির্বাচনে বিজেপি বিরোধীতা করে ভোট নিয়েও শাসক দলে ভিড়ে যান। কোটি কোটি টাকার খেলাও চলে এসেছে দীর্ঘ বছর ধরে।
সামনেই লোকসভার অধিবেশন। জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে। এবারে প্রায় অবলুপ্ত কংগ্রেস সঞ্জীবনী সুধা পান করে অনেক শক্তি অর্জন করেছে। কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর সঙ্গে রয়েছেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, বিহারের আর জে ডি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃনমূল কংগ্রেস। কাজেই অধিবেশনের শুরু থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠবে সংসদ। বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচাগ্র মেদিনী ,এই মনোভাব নিয়েই এগোচ্ছে বিরোধীরা।
ক্রমশ: