ঢাকা ০৯:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া মতপার্থক্য ভূলে ফের ঐক্যের ডাক দিলেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী: মাসুদুজ্জামান না’গঞ্জে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আবু জাফর বাবুলের নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগ শুরু সাবরাংয়ে ‘মাদক সম্রাট’ জুবাইরের বিলাসবহুল বাড়িতে অভিযান রাকসু’তেও ভরাডুবি ছাত্রদলের, শিবিরের একচেটিয়া জয় হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষের আস্তা ফিরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য: ডিসি  চাকসুতে ভিপি-জিএস শিবির সমর্থিত প্যানেল,এজিএস ছাত্রদলের টেকনাফের ইকো-ট্যুরিজম কমপ্লেক্সে হামলা ও ভাঙচুর, আতঙ্কে স্থানীয়রা গাইবান্ধায় স্কুলছাত্রী অপহরণের ১৭ দিনেও উদ্ধার হয়নি আদুরী রানী নারীরা পিছিয়ে থাকলে সমাজের উন্নয়ন সম্ভব না: আবু জাফর বাবুল নারায়ণগঞ্জের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ হবে তারুণ্যের হাত ধরে: মাসুদুজ্জামান ফের ৪ জেলায় নতুন ডিসি বিচার প্রক্রিয়াকে প্রযুক্তিনির্ভর করতে দেশে প্রথম ই-বেইল বন্ড প্রবর্তন: আইন উপদেষ্টা উখিয়ার শীর্ষ অস্ত্র ও মাদক কারবারি এনায়েত উল্লাহ গ্রেপ্তার টেকনাফে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যের নিষিদ্ধ ইয়াবা জব্দ  কেন্দ্রীয় নেতা বকুলকে ‘ধানের শীষ’ ছিনিয়ে নেয়ার হুমকি স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর অর্ধগলিত বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার চার ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি রূপনগরের ভয়াবহ আগুন, নিহত-৯ মিরপুরে দুই কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৬ ইউনিট স্ত্রী সম্বোধন করে পোষ্ট, তনির তৃতীয় স্বামী কে এই সিদ্দিক উখিয়ায় শীর্ষ মাদক কারবারি তাজ উদ্দিন গ্রেপ্তার না’গঞ্জের ‘কিং মেকার’ বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আলী এবার মাসুদুজ্জামানের পাশে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মাসুদুজ্জামানকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমর্থন ফ্যাক্ট ফুটপাত দোকান বসানো: মধ্যরাতে ঢাবি ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ নারায়ণগঞ্জে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন চট্টগ্রামে যমুনা টিভির সাংবাদিককে ‘ফ্যাসিস্ট’ তকমা দিয়ে মারধর করলো পুলিশ না’গঞ্জের মাদকের হট স্পষ্টগুলো চিহৃিত করে গুরিয়ে দেয়া হবে: ডিসি চট্টগ্রামের জিইসি’তে কনসার্টে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের জেরে ভাঙচুর, গোলাগুলি কাকরাইলে জাপা’র নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষে রনক্ষেত্র  টেকনাফে অপহরণচক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে এবার দেশজুড়ে প্রশংসিত নারায়ণগঞ্জের ডিসি অভিযুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে সেনাসদর, মিসিং-১ শান্তিতে নোবেল জয়ী নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ ভেনেজুয়েলার কোরিনা মাচাদো দেশের ১৭ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়ের পূর্বাভাস দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ এখনো স্বাস্থ্য সচেতন নয়: সচিব জাহেদী টেকনাফে বার্লিন’র তৎপরতায় ঢাকাগামী বাসে লুকিয়ে রাখা ৫’শ ইয়াবাসহ আটক-১ রাজনীতি আমার কাছে মানুষের আস্থা ও দায়িত্বের প্রতীক: মাসুদুজ্জামান টেকনাফে র‍্যাবের অভিযানে দেশীয় ও নকল বিদেশি মদসহ আটক-৩ টেকনাফে গাঁজাসহ তিন নারী মাদক কারবারি আটক ক্ষুদে কারাতে প্রতিযোগীদের আর্থিক সহায়তায় এগিয়ে আসলেন জেলা প্রশাসক রূপগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাজাহান ভুইঁয়া আর নেই  না’গঞ্জে পরকীয়ার জেরে হত্যাযজ্ঞ, লাশ গুম করতে হেক্সো ব্লেড দিয়ে দু’পা বিচ্ছিন্ন বিসিবি নির্বাচন ঘিরে চরম উত্তেজনা, ক্রিকেট বর্জনের ঘোষণা ৪৮ ক্লাবের বিজয়ার বেদনায় আনন্দের কোজাগরী শান্তি সমৃদ্ধির দেবী মা লক্ষ্মী ঈশ্বরদীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত ঈশ্বরদীতে নতুন ইউএনও’র যড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মানববন্ধন টেকনাফে ১৭১ রোহিঙ্গার অবৈধ ক্যাম্পের বাইরে চলাচল রোধ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ অক্টোবরের বিএ-বিএসএস পরীক্ষা স্থগিত না’গঞ্জ প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের সাথে এসপি’র সৌহার্দ্যপূর্ণ সৌজন্য সাক্ষাৎ উখিয়ায় বিজিবির অভিযানে ইয়াবা গডফাদার মনির আটক সুন্দরগঞ্জে ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারি; ৮০ পয়সার ভ্যাকসিন, ৩০ টাকার বিল কুমিল্লার মেঘনায় চাঁদাবাজদের হামলায় টেটাবিদ্ধ ৩ নৌ-পুলিশ  পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা: পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের গভীর উদ্বেগ ইতিহাসে নজিরবিহীন’ বিজ্ঞপ্তি, অপমানে পদত্যাগ করলেন মাউশির ডিজি নারায়ণগঞ্জে ড্রামে ভর্তি পা বিচ্ছিন্ন অর্ধগলিত যুবকের মরদেহ উদ্ধার নারায়ণগঞ্জে শালিসের নামে হাতুড়িপেটায় আলমগীর হত্যাকান্ড, গ্রেপ্তার-২ দৃষ্টিহীন আলভীর পাশে মানবতার হাত বাড়ালেন: মানবিক ডিসি কানের দুল ছিনিয়ে নিতে ৪ বছরের শিশু হত্যা, দুই আসামির আদালতে স্বীকারোক্তি গাইবান্ধায় অ্যানথ্রাক্সে নারীর মৃত্যু: স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি এটা গুজব সিদ্ধিরগঞ্জে মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবা ও হেরোইনসহ ৪ মাদক কারবারি আটক শুধু নিজের ভালো চিন্তা করলেই হবে না, রাষ্ট্রের ভালোও চিন্তা করতে হবে: বসতি দিবসে ডিসি নারায়ণগঞ্জে মৌমিতা বাসের ধাক্কায় অটোরিকশা চালক নিহত, আহত-২ ঈশ্বরদী জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক কোটি টাকা নিয়ে উধাও নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ৪টি ফগার মেশিনসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রদানের আস্বাস মাসুদুজ্জামানের টেকনাফে নিখোঁজের ২২ ঘণ্টা পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার টেকনাফে রাজমিস্ত্রির ছদ্মবেশে রোহিঙ্গা দম্পতির ইয়াবা বাণিজ্য, আটক-২ রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে দাশুড়িয়া পথসভা জনসমুদ্রে পরিনত টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ৬ মানবপাচারকারী আটক: নস্যাৎ হলো বড় পাচারের ছক মাসুদুজ্জামানের মনোনয়ন ঠেকাতে মিশন: মামলায় ফাঁসাতে বড় অংকের চুক্তি ক্লাব সংগঠকদের দেশের ক্রিকেট বয়কটের হুমকি কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে দলের স্বার্থে’ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মাসুদুজ্জামানের বন্দর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সানুর ভাই যুবলীগ কর্মী ফকির উল্ল্যাহ গ্রেপ্তার সাত শতাধিক দৌড়বিদের অংশগ্রহণে রায়পুরা ম্যারাথন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক আর নেই.!  গাইবান্ধায় দুই শতাধিক শ্রমিকদলের নেতাকর্মীর জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান নারায়ণগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জন ঘাটের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনে ডিসি-এসপি সিদ্ধিরগঞ্জে সাত কেজি গাঁজাসহ এক কারবারি গ্রেপ্তার ঈশ্বরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাক চালক নিহত  মহেশখালীতে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ তিন সন্ত্রাসী আটক টেকনাফে গহীন পাহাড়ে নারী ও শিশুসহ ২১ জন উদ্ধার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর সেতুতে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় ২ট্রাক চালক নিহত এনসিপি নেতাকর্মী কর্তৃক সাংবাদিক লাঞ্ছনা, বয়কট সংবাদ সম্মেলন আজ বিজয়া দশমী, দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব উত্তাল সাগর, দুপুরের মধ্যে ৮ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস কক্সবাজারে ১৬ হাজার ৪০০ ইয়াবাসহ তিন তৃতীয় লিঙ্গের হিজরা আটক আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশকে কামড়ে পালানো সেই আসামি র‍্যাবের জালে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট ১৯ কি: মি: মহাসড়কে ভয়াবহ যানজট না’গঞ্জে র‍্যাবের হাতে আটক আসামীকে ছিনিয়ে নিল সহযোগীরা, র‍্যাব সদস্যসহ আহত-৪ শারদীয় দুর্গাপূজার মহানবমী আজ মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে যে নিয়মের কথা জানালেন পুলিশ প্রধান আমরা কোনো ধরণের দলীয় পদ ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করতে চাই না: মাসুদুজ্জামান টেকনাফে ২৪ হাজার ইয়াবা ও সিএনজিসহ পাচারকারী আটক  আ’লীগের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা যেকোনো সময় তুলে নেওয়া হতে পারে আজ শারদীয় দুর্গাপুজার মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা টিসিবির পণ্য তালিকায় নতুন যুক্ত হচ্ছে চা-লবণ-ডিটারজেন্ট ও সাবান রাজধানীতে অনাবিল বাসে নারী যাত্রীকে শ্লীলতাহানি, চালক-হেলপার আটক উখিয়ায় সাংবাদিক তানভীর শাহরিয়ার গ্রেপ্তার, সংবাদকর্মীদের কণ্ঠরোধের অভিযোগ পর্যটনবান্ধব নগরী গড়তে সবার ঐক্য চাই : কক্সবাজারের নতুন জেলা প্রশাসক গাইবান্ধার স্বাস্থ্যসেবায় অন্ধকার: ফুলছড়িতে সিজার বন্ধ, জনবল সংকট চরমে না’গঞ্জের আরএস কম্পোজিটে বিশ্বমানের কমপ্লায়েন্সের ভূয়সী প্রশংসা করেন শিল্প পুলিশ প্রধান

ভারতের গণতন্ত্র কোন পথে..?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৫:৪৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪ ১৯৫ বার পড়া হয়েছে

 

দ্বিতীয় পর্ব:
মানস বন্দ্যোপাধ্যায়,দিল্লি
এর আগে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের গণতন্ত্রের কাছে তিনটি বড় রকমের চ্যালেঞ্জের কথা লিখেছিলাম। আজ গণতন্ত্রের চতুর্থ এবং অন্যান্য কিছু সংকট তুলে ধরছি।
প্রথমটি হলো নির্বাচন শুরু হওয়ার ৬ মাস আগে থেকেই চাঁদা তোলার হিড়িক।
শুধু বৃহৎ শিল্পপতি,ব্যবসায়ীরাই নয়, পাইকারি এবং খুচরো বিক্রেতাদের কাছ থেকেও ভয় দেখিয়ে মোটা টাকা আদায় করা হয় সবকটি দলের পক্ষ থেকে। ফলে সেই চাঁদার অংক সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে সুদে আসলে তুলতে গিয়ে সমস্ত বাজারে বস্তুর দাম আঁকাশ ছোঁয়া হয়ে যায়। কলকাতায় দেখেছি নির্বাচনের দুমাস আগে যে সব্জির দাম ছিল কিলো প্রতি ২০ টাকা, নির্বাচনের সময় এবং পরে তারই দাম ১২০ টাকা। বেগুন ৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, আলু ২২ টাকা থেকে ৩০ টাকা, পেয়াঁজ ২০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, টমেটো ২০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, ক্যাপ্সিকাম ৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা ছাড়াও আটা ময়দা,সুজি, ছাতু সহ ২০০ বস্তুর অগ্নিমূল্য মধ্যবিত্তের মাথায় হাত। মাথা থেকে হাত নামবেনা আগামী ৬ মাসেও।
এটাও গণতন্ত্রের অভিশাপ। রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা নির্বাচারের আগে শাসক দলকে ৪৯০ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে। ফলে বিদ্যুতের মাশুল ইউনিট প্রতি ৯.৫০ টাকা গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকেই।
ওদিকে কেন্দ্রের বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করে এবং ব্যাপক হিন্দু ধর্মের প্রচার করেও ভোটারদের কাছে থেকে বড় রকমের প্রত্যাঘাত খেয়েছে। অযোধ্যাতেই বিজেপি প্রার্থী ভোটে হেরেছে। প্রায় ২০ টি তীর্থস্থানে বিজেপির প্রার্থী মুখ থুবড়ে পড়েছে। হিন্দু ধর্ম নিয়ে মোদি যতোটা আশাবাদী ছিলেন বাস্তব চিত্রটি ছিল উল্টো।
মুসলিমদের ৯৮ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে ভিড় করেছেন এবারে। অপরদিকে হিন্দুদের ভোটাররা ভোটের কেন্দ্রে হাজির হয়েছেন মাত্র ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। মুসলিম ভোটাররা পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃনমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। মুর্শিদাবাদ এবং বহরমপুরে বরাবর কংগ্রেসের ঘাঁটিতে তৃনমূল জয়ী হয়েছে। কংগ্রেসের দীর্ঘ দিনের বাহুবলী ও জনপ্রিয় নেতা অধীর চৌধুরী এবারে পরাজিত হয়েছেন।
মুসলিমদের রণনীতি হলো একেক রাজ্যে একেকটি পার্টিকে ঢালাও ভোট শুধু বিজেপিকে হারানোর জন্য। উত্তর প্রদেশে  অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি, এবং রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস পার্টিকে, বিহারে লালু প্রসাদ যাদবের আর জে ডি দলকে, অসমে কংগ্রেসকে, মধ্যপ্রদেশে ও ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসকে, পাঞ্জাবে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিকে ভোট ,দিয়েছেন তারা।
মিডিয়ার ভূমিকা: গণতন্ত্রের আরো একটি অভিশাপ হলো মিডিয়া। ভারতের অধিকাংশ মিডিয়া দ্বিধাবিভক্ত। কেন্দ্রে এবং বিভিন্ন রাজ্যে মিডিয়াকে ক্রীতদাস বানানোর চেষ্টা চলেছে। মিডিয়াকে ভিক্ষা দেওয়ার প্রতিযোগিতা চলেছে।টাকার জোরে ,বিজ্ঞাপনের জোরে, ও ভয় দেখিয়ে মিডিয়াকে বিক্রিত ও বিকৃত করা হয়েছে। নির্বাচনকালে মিথ্যা প্রচারের ফুলঝুড়ি ছুটেছে। ভোটারদের বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করেছে এই মিডিয়া।
এই পাঁচটি ছাড়াও গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক আরো ঘটনা রয়েছে। ফলে এবারে ভোটের ফলাফলে আমূল পরিবর্তন এসেছে। কেন্দ্রে সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২ টি আসন। গতবার বিজেপি একাই সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে ৩০০ পার করেছিল।কার্যত অসম্ভব অহংকার ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে এবারে মোদি ঘোষনা করেছিলেন এই বার ৪০০ পার। কিন্তু বিজেপিকে থামতে হয়েছে মাত্র ২৪০ টি আসন নিয়ে। সহযোগী দলগুলি নিয়ে অবশ্যই এনডিএ সংখ্যা গরিষ্ঠ। কিন্তু সরকার গড়লেও মোদি কিন্তু এবারে স্থিতিশীল অবস্থায় থাকছেন না। সরকার চালাতে তাকে নির্ভর করতে হবে জনতা দল ইউনাইটেডের নেতা বিহারের প্রাক্তন মুখ্য মন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং অন্ধ্র প্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টির চন্দ্রবাবু নাইডুর উপর। মোদির আগের সেই বিষদাঁত ভেঙে গেছে। ইচ্ছেমত কাজ তিনি করতে পারবেন না। পদে পদে বাধার মুখে পড়তে হবে।
ইতিমধ্যেই নীতিশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডু এক কথায় সর্ত আরোপ করে চলেছেন। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক গুলির ওপর হাত বাড়িয়েছেন।
তবে যারা প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জানেন তারা হতাশ হন নি। কারণ ভারতের গণতন্ত্রে অসম্ভব বলে কিছুই নেই। যে গোষ্ঠীই সরকার গঠন করে পর্দার আড়ালে থাকা অন্যান্য দলগুলি মন্ত্রী মণ্ডলিতে স্থান পাওয়ার আশায় তাদের নিজেদের ভোটারদের আশা আকাঙ্ক্ষাকে জলাঞ্জলি দিয়ে উচ্ছিষ্ট নিতে এগিয়ে আসেন। নির্বাচনে বিজেপি বিরোধীতা করে ভোট নিয়েও শাসক দলে ভিড়ে যান। কোটি কোটি টাকার খেলাও চলে এসেছে দীর্ঘ বছর ধরে।
সামনেই লোকসভার অধিবেশন। জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে। এবারে প্রায় অবলুপ্ত কংগ্রেস সঞ্জীবনী সুধা পান করে অনেক শক্তি অর্জন করেছে। কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর সঙ্গে রয়েছেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, বিহারের আর জে ডি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃনমূল কংগ্রেস। কাজেই অধিবেশনের শুরু থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠবে সংসদ। বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচাগ্র মেদিনী ,এই মনোভাব নিয়েই এগোচ্ছে বিরোধীরা।
ক্রমশ:

নিউজটি শেয়ার করুন..

ট্যাগস:-

ভারতের গণতন্ত্র কোন পথে..?

আপডেট সময়- ০৫:৪৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

 

দ্বিতীয় পর্ব:
মানস বন্দ্যোপাধ্যায়,দিল্লি
এর আগে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের গণতন্ত্রের কাছে তিনটি বড় রকমের চ্যালেঞ্জের কথা লিখেছিলাম। আজ গণতন্ত্রের চতুর্থ এবং অন্যান্য কিছু সংকট তুলে ধরছি।
প্রথমটি হলো নির্বাচন শুরু হওয়ার ৬ মাস আগে থেকেই চাঁদা তোলার হিড়িক।
শুধু বৃহৎ শিল্পপতি,ব্যবসায়ীরাই নয়, পাইকারি এবং খুচরো বিক্রেতাদের কাছ থেকেও ভয় দেখিয়ে মোটা টাকা আদায় করা হয় সবকটি দলের পক্ষ থেকে। ফলে সেই চাঁদার অংক সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে সুদে আসলে তুলতে গিয়ে সমস্ত বাজারে বস্তুর দাম আঁকাশ ছোঁয়া হয়ে যায়। কলকাতায় দেখেছি নির্বাচনের দুমাস আগে যে সব্জির দাম ছিল কিলো প্রতি ২০ টাকা, নির্বাচনের সময় এবং পরে তারই দাম ১২০ টাকা। বেগুন ৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, আলু ২২ টাকা থেকে ৩০ টাকা, পেয়াঁজ ২০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, টমেটো ২০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, ক্যাপ্সিকাম ৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা ছাড়াও আটা ময়দা,সুজি, ছাতু সহ ২০০ বস্তুর অগ্নিমূল্য মধ্যবিত্তের মাথায় হাত। মাথা থেকে হাত নামবেনা আগামী ৬ মাসেও।
এটাও গণতন্ত্রের অভিশাপ। রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা নির্বাচারের আগে শাসক দলকে ৪৯০ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে। ফলে বিদ্যুতের মাশুল ইউনিট প্রতি ৯.৫০ টাকা গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকেই।
ওদিকে কেন্দ্রের বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করে এবং ব্যাপক হিন্দু ধর্মের প্রচার করেও ভোটারদের কাছে থেকে বড় রকমের প্রত্যাঘাত খেয়েছে। অযোধ্যাতেই বিজেপি প্রার্থী ভোটে হেরেছে। প্রায় ২০ টি তীর্থস্থানে বিজেপির প্রার্থী মুখ থুবড়ে পড়েছে। হিন্দু ধর্ম নিয়ে মোদি যতোটা আশাবাদী ছিলেন বাস্তব চিত্রটি ছিল উল্টো।
মুসলিমদের ৯৮ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে ভিড় করেছেন এবারে। অপরদিকে হিন্দুদের ভোটাররা ভোটের কেন্দ্রে হাজির হয়েছেন মাত্র ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। মুসলিম ভোটাররা পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃনমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। মুর্শিদাবাদ এবং বহরমপুরে বরাবর কংগ্রেসের ঘাঁটিতে তৃনমূল জয়ী হয়েছে। কংগ্রেসের দীর্ঘ দিনের বাহুবলী ও জনপ্রিয় নেতা অধীর চৌধুরী এবারে পরাজিত হয়েছেন।
মুসলিমদের রণনীতি হলো একেক রাজ্যে একেকটি পার্টিকে ঢালাও ভোট শুধু বিজেপিকে হারানোর জন্য। উত্তর প্রদেশে  অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি, এবং রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস পার্টিকে, বিহারে লালু প্রসাদ যাদবের আর জে ডি দলকে, অসমে কংগ্রেসকে, মধ্যপ্রদেশে ও ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসকে, পাঞ্জাবে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিকে ভোট ,দিয়েছেন তারা।
মিডিয়ার ভূমিকা: গণতন্ত্রের আরো একটি অভিশাপ হলো মিডিয়া। ভারতের অধিকাংশ মিডিয়া দ্বিধাবিভক্ত। কেন্দ্রে এবং বিভিন্ন রাজ্যে মিডিয়াকে ক্রীতদাস বানানোর চেষ্টা চলেছে। মিডিয়াকে ভিক্ষা দেওয়ার প্রতিযোগিতা চলেছে।টাকার জোরে ,বিজ্ঞাপনের জোরে, ও ভয় দেখিয়ে মিডিয়াকে বিক্রিত ও বিকৃত করা হয়েছে। নির্বাচনকালে মিথ্যা প্রচারের ফুলঝুড়ি ছুটেছে। ভোটারদের বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করেছে এই মিডিয়া।
এই পাঁচটি ছাড়াও গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক আরো ঘটনা রয়েছে। ফলে এবারে ভোটের ফলাফলে আমূল পরিবর্তন এসেছে। কেন্দ্রে সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২ টি আসন। গতবার বিজেপি একাই সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে ৩০০ পার করেছিল।কার্যত অসম্ভব অহংকার ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে এবারে মোদি ঘোষনা করেছিলেন এই বার ৪০০ পার। কিন্তু বিজেপিকে থামতে হয়েছে মাত্র ২৪০ টি আসন নিয়ে। সহযোগী দলগুলি নিয়ে অবশ্যই এনডিএ সংখ্যা গরিষ্ঠ। কিন্তু সরকার গড়লেও মোদি কিন্তু এবারে স্থিতিশীল অবস্থায় থাকছেন না। সরকার চালাতে তাকে নির্ভর করতে হবে জনতা দল ইউনাইটেডের নেতা বিহারের প্রাক্তন মুখ্য মন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং অন্ধ্র প্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টির চন্দ্রবাবু নাইডুর উপর। মোদির আগের সেই বিষদাঁত ভেঙে গেছে। ইচ্ছেমত কাজ তিনি করতে পারবেন না। পদে পদে বাধার মুখে পড়তে হবে।
ইতিমধ্যেই নীতিশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডু এক কথায় সর্ত আরোপ করে চলেছেন। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক গুলির ওপর হাত বাড়িয়েছেন।
তবে যারা প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জানেন তারা হতাশ হন নি। কারণ ভারতের গণতন্ত্রে অসম্ভব বলে কিছুই নেই। যে গোষ্ঠীই সরকার গঠন করে পর্দার আড়ালে থাকা অন্যান্য দলগুলি মন্ত্রী মণ্ডলিতে স্থান পাওয়ার আশায় তাদের নিজেদের ভোটারদের আশা আকাঙ্ক্ষাকে জলাঞ্জলি দিয়ে উচ্ছিষ্ট নিতে এগিয়ে আসেন। নির্বাচনে বিজেপি বিরোধীতা করে ভোট নিয়েও শাসক দলে ভিড়ে যান। কোটি কোটি টাকার খেলাও চলে এসেছে দীর্ঘ বছর ধরে।
সামনেই লোকসভার অধিবেশন। জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে। এবারে প্রায় অবলুপ্ত কংগ্রেস সঞ্জীবনী সুধা পান করে অনেক শক্তি অর্জন করেছে। কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর সঙ্গে রয়েছেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, বিহারের আর জে ডি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃনমূল কংগ্রেস। কাজেই অধিবেশনের শুরু থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠবে সংসদ। বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচাগ্র মেদিনী ,এই মনোভাব নিয়েই এগোচ্ছে বিরোধীরা।
ক্রমশ: