সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আইন-আদালত, দেশজুড়ে, নারায়ণগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ সদর, নারী ও শিশু, বন্দর
বন্দরে যৌতুক মামলা মীমাংসার পরেও হত্যার হুমকিতে মা-মেয়ে
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৭:০০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪ ৬৫ বার পড়া হয়েছে
ইদ্রিস আলী,বন্দর(নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি।।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার মুছাপুর ইউনিয়নে নিরজনা (১৯) নামে এক নারীকে বিবাহর পর থেকেই যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ অত্যাচার করতেন স্বামী রনি ও তাঁর পরিবার। তাই বাদীপক্ষ যৌতুকের মামলা করেন ও তাহা শালিসের মাধ্যমে মিমাংসার পর ও কাবিনের টাকা না দেওয়ার জন্য মামলা তুলে নেওয়া, হত্যার হুমকি দেওয়া সহ মোবাইল ফোন ছিনতাই করার অভিযোগ উঠেছে বন্দর থানার লাঙ্গলবন্দ পিছকামতাল এলাকার আব্দুল বাতেন এবং তার ছেলে রনি (২৬) সহ রাব্বি (২৪) ও তার স্ত্রী শিউলি (৪৪) এর বিরুদ্ধে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ জুন শনিবার দুপুরে বন্দর থানায় মামলার বাদী একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছেন। এর আগে অভিযুক্ত আব্দুল বাতেন ও তার ছেলে রনি দুজনেই নারী ও শিশু নির্যাতন সহ যৌতুক মামলার আসামি।
বাদী নিরজনা বলেন, আমার সাবেক স্বামী দীর্ঘ ২ বছর পূর্বে আমার সাথে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে ইসলামিক শরিয়াহ মোতাবেক পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিবাহর পর থেকেই সকল বিবাদীরা যৌতুকের টাকার জন্য আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো এবং যৌতুকের টাকা না দিলে দ্বিতীয় বিবাহ করে আমাকে তালাক দেওয়ার কথা বলতো। পরে আমি জানতে পারি তার অন্য এক মেয়ের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যার কারনে সে আমাকে বরন পোষণ ঠিক মতো দিত না। অনেক দিন পরপর বাসায় আসতো তাই বাধ্য হয়ে এক বছর পূর্বে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে বিবাহবিচ্ছেদ করার জন্য আসামিদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। যাহার নারী ও শিশু মামলা নং :- ৬৫৬/১৩। এই মামলার জেড় ধরে গত ২১/০৬/২০২৪ তারিখে রাত ৮:৩০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দ স্ট্যান্ডে বাড়ি যাওয়ার পথে আমার রিক্সা থামিয়ে চর থাপ্পড় ঘুসি দিয়ে আমার কাজ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং আমি তার পিছু নিয়ে তার বাসায় গেলে রনি ও তার বাবা, মা, ভাই মিলে আমাকে মারধর করে ফেলে রাখে। পরে আমার আত্মীয় স্বজনরা খবর পেয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার পর বাসায় নিয়ে যায়। বাসায় যাওয়ার পরে ও আমাকে ও আমার মাকে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে যেন তাদের কাছ থেকে কাবিনের টাকা দাবি না করি এবং মামলা তুলে নেই।
এ বিষয়ে বন্দর থানার এএসআই জাহিদ রহমান বলেন, ‘বাদী এবং আসামির বাড়ি পাশাপাশি। আগের মামলার চলমান আদালতে । বাদী থানায় যে জিডি করেছেন, তার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ যাহার জিডি নং :- ৯৮১।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ