ঢাকা ০৭:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
ভালুকায় পৌর শ্রমিকদলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত স্বপ্ন পূরন হলো না মৌলভীবাজারের লিটনের,বেলারুশে পিটিয়ে হত্যা  টংঙ্গীবাড়ীতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বীজ-আলু, মনিটরিংয়ে ইউএনও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য হলেন জাবি অধ্যাপক ভালুকার কৃত্তি সন্তান নতুন আইজিপি বাহারুল ও ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত নারায়ণগঞ্জে চুরির অভিযোগে একজনকে পিটিয়ে হত্যা ঈশ্বরদীতে এসডি টেলিভিশন ২য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত  বিআইডব্লিউটি’র সিভিল ও সার্ভেয়ার জটিলতার অবসান চায় কর্মকর্তারা মৌলভীবাজার পূজা উদযাপন পরিষদ সম্পাদক মহিম গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে হেলিকপ্টার দেখতে গিয়ে গুলিতে নিহত সুমাইয়ার মরদেহ উত্তোলন যাত্রবাড়ি থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র দৌলতপুরে উদ্ধার র‍্যাবের ২ অধিনায়ক এবং ৩ পরিচালককে নিজ বাহিনীতে ফেরত টংঙ্গীবাড়ীতে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু নির্মানে ধীরগতি গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকার যানজট নিরসনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  সাতক্ষীরা-শ্যামনগর মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে আটক-৮ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতির পদত্যাগ মৌলভীবাজারে কমলা চাষে অভূতপূর্ব সাফল্য  মিরপুরে মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে স্বামী-স্ত্রী  সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে ‘দ্য হিন্দু’কে ড. ইউনূস জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৩৭ জনের সদস্যপদ স্থগিত সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম উত্তরায় গ্রেপ্তার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বালুমহালে অভিযানে আটক-৫  রায়পুরায় পূজামণ্ডপের প্যান্ডেল ভাঙচুর নিয়ে গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কুষ্টিয়ায় ৮০ লাখ টাকা মুল্যের ভারতীয় কোকেন উদ্ধার নকলায় মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের ঝুঁলন্ত মরদেহ উদ্ধার ঈশ্বরদীতে গুলির পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে কুপিয়ে হত্যা ভালুকায় ইউএনও-এসিল্যান্ডের নেতৃত্বে বাজার মনিটরিং আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে আট মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে হাজির করা হলো ভালুকায় নয়াপাড়া স্কুলের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গসহ অনিয়মের অভিযোগ মেঘনাঘাটে টিস্যুর গোডাউনে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ঈশ্বরদীতে রুপপুর প্রকল্পের দোভাষীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসিসহ ৩ পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদের লীজকৃত জমি আত্মসাতের চেষ্টা বন বিভাগ খোদ জানেন না জমির পরিমাণ  কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু মৌলভীবাজারে এক জমিতে ১১জাতের ধানের চাষ ঈশ্বরদীতে সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন  সিদ্ধিরগঞ্জে ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত লম্পট হাকিম গ্রেপ্তার গিনেস বুকে বিশ্বের সবচেয়ে কৃপণ যে নারীর নাম রয়েছে জানা গেল পাকিস্তান থেকে আসা জাহাজের কন্টেইনারে কী আছে পুলিশকে জনগণের বাহিনী হিসেবে গড়তে হবে : আইজিপি মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ দেবহাটায় ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উৎযাপন মুন্সিগঞ্জে হতে হাত বদলে আলু বিক্রি হচ্ছে দেড়গুণ বেশি দামে শ্রীমঙ্গলে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক তিন আসামি গ্রেপ্তার মিরপুরে ট্রাকের ধাক্কায় স্কুল ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু মৌলভীবাজারে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সভায় সকল উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ‘গলি থেকে রাজপথ’ শ্যামবাজারের রক থেকে উঠে প্রাসাদে মিঠুন চক্রবর্তী  বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ না’গঞ্জের ১১তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত  দৌলতপুরে অস্ত্র-গুলি ককটেলসহ যুবদল ও যুবলীগ নেতা আটক ভালুকায় পৌর বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা ও  দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সাবেক ওয়াসার এমডি ও নাসিক মেয়রের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার কারন জানা গেলো এক কর্মস্থলে ৩ বছরের বেশি নয়, পরিপত্র জারি নাম-লোগো-পোশাকসহ বদলে যাচ্ছে র‍্যাব পরকীয়ার বলি হয়ে প্রেমিকার হাতেই খুন হন শিল্পপতি মাসুম ভালুকায় পৌর বিএনপির উদ্যোগে  আলোচনা ও দোয়া মাহফিল ভালুকায় স্কুল ছাত্রদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ  বহু গুনে গুণান্বিত কাঁচালঙ্কা অকাতরে খান চা শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি সহ এনটিসিএল’র বাগান চালুর দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুরে নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনারের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন সালাউদ্দিন চৌধুরী  মৌলভীবাজার কোর্টের বিপরীতে অবৈধ দখলদারদের দখলে সরকারি কোটি টাকার জমি  দৌলতপুরে অস্ত্র ও ১৩ রাউন্ড গুলিসহ দুই ভাই আটক মৌলভীবাজারে দ্রুতগামী মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক নারী নিহত ভারতীয় রেলওয়েতে টয়লেট চালুর অজানা ইতিহাস ঈশ্বরদীতে অনাড়ম্বর আয়োজনে বিআরইএল’র ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেবহাটায় মানববন্ধন না’গঞ্জে কর্ণফুলী শিপইয়ার্ড পরিদর্শনে নৌ-উপদেষ্টা মুন্সীগঞ্জে বাংলাবাজার ইউনিয়ন সভাপতি ঘিরে বিএনপির দু’গ্রুপে উত্তেজনা ফরিদপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত দূর্নীতির রাজত্বের রাজা কানুনগো শ্রীপদ দীর্ঘ ৪ বছরেও চালু হয়নি সুন্দরগঞ্জের পানি শোধনাগার টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ রোহিঙ্গা যুবক আটক ইসলামী শরী’য়ার দৃষ্টিতে উশরের বিধান ও বাংলাদেশের ভূমি সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলে ডিইউজের নিন্দা মৌলভীবাজার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে সেবাগ্রহীতা কর্মশালা অনুষ্ঠিত  উত্তরায় বিএনপি নেতা শিমুল-কামরুলের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল  মৌলভীবাজারে চিলের থাবায় ছাত্রী আহত ভালুকায় পৌর বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত গাজীপুরে আজও ১৪ কারখানা বন্ধ, ৩টিতে বিক্ষোভ-কর্মবিরতি চরভদ্রাসনে ইউএসএআইডি’র সবাই মিলে শিখি প্রকল্পের মেলা অনুষ্ঠিত মণিপুরিদের ঐতিহ্যবাহী রামলীলা উৎসব আগামী ১৫ নভেম্বর খাসি আদিবাসীদের ”খাসি সেং কুটস্নেম” উৎসব এবার হচ্ছে না  নবগঠিত উপদেষ্টা বশির বাণিজ্যে, ফারুকী সংস্কৃতি ও আসিফের দপ্তর পরিবর্তন ছয় উপদেষ্টার দপ্তর পুনর্বণ্টন, কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন জনগনের ভোটে সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অস্থিরতা কাটবে না: সিপিবি বিটিভির সাবেক জিএম মাহফুজাকে দুদকে তলব চিকন চাকার রিক্সা পালা করার সিদ্ধান্ত বন্ধ করনে মানববন্ধন বরগুনা-১’র সাবেক সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ঢাকায় গ্রেপ্তার তারেক রহমানের জন্মদিন অনুষ্ঠান পালন না করার নির্দেশ বিএনপির যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ আটক নরসিংদীর সাবেক এমপি ডলার সিরাজ গ্রেপ্তার ধর্মঘর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নারীসহ শিশু আহত আমি মৌলভীবাজারে “এনজয়” করতে আসিনি: পুলিশ সুপার ভালুকায় বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  কমলগঞ্জে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রবাসীর ঘরবাড়ি ভাংচুর,গাছ-গাছালি কর্তন সিদ্ধিরগঞ্জে ৮ দফা দাবীতে পিএম গার্মেন্টস’র শ্রমিক বিক্ষোভ বিপ্লব ও সংহিত দিবস উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জে বিএনপির ব্যাপক শোডাউন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কাদির গ্রেপ্তার

বাঙালিকে ধর্মের আফিম খাইয়ে দূর্বল ও ধ্বংস করা হয়েছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৬:৫৮:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪ ৯১ বার পড়া হয়েছে
~প্রতিকী ছবি>>
তারই ধারাবাহিকতায় বারবার বাংলাকে টুকরো করা হয়েছে..!
মানস বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।
অতীতের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় অবিভক্ত ভারতের অর্ধেক জুড়েই ছিল বাঙালির বিস্তীর্ণ ভূমি। আজকের দুই বাংলা, বিহার,আসাম, ওড়িশা, ত্রিপুরা বাংলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। বাঙালির প্রগতি, বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পেয়ে প্রথম ব্রিটিশ শাসক বাঙালির বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করে।
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ চক্রান্ত ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের তীব্র বিরোধিতার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসাবে  চিহ্নিত। ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জন বিস্তীর্ণ প্রদেশে শাসন ব্যবস্থার উন্নতির একটি উপায় হিসেবে বিভাজনের প্রস্তাব করেছিলেন। ১৭৬৫  সাল থেকে বাংলা, বিহার এবং উড়িষ্যা একটি ঐক্যবদ্ধ অঞ্চল ছিল, কিন্তু ১৯০০ সাল নাগাদ এর আয়তন নিয়ন্ত্রণের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
বঙ্গভঙ্গের পটভূমি>>
বাংলা, প্রদেশের মধ্যে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, বাংলাদেশ এবং আসাম অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই বিশাল বাংলা ১৭৬৫ সাল থেকে ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ছিল।
প্রদেশটি তার বৃহৎ আকার এবং দ্রুত বর্ধমান জনসংখ্যার কারণে প্রশাসনের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে।
বাংলার পূর্বাঞ্চলের গ্রামীণ এলাকাগুলি শিল্প, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের দিক থেকে অবহেলিত ছিল। কিন্তু বেশির ভাগ উন্নয়ন ছিল কলকাতাকে কেন্দ্র করে।
লর্ড কার্জন ভারতে আসার আগেই প্রশাসনিক সুবিধার জন্য প্রদেশটিকে বিভক্ত করার ধারণাটি বিদ্যমান ছিল। ১৮৭৪  সালে আসামকে পৃথক করা হয়েছিল।
প্রাথমিকভাবে, কার্জন একটি সম্পূর্ণ প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসাবে বিভাজনের প্রস্তাব করেছিলেন কিন্তু পরে এটিকে ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদকে দুর্বল করার একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে দেখেছিলেন।
তার প্রস্তাবিত বিভাজনের ফলে দুটি প্রদেশ হবে: বাংলা (পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং বিহার সহ) এবং দ্বিতীয়টি পূর্ববঙ্গ ও আসাম।
বাংলা কেন্দ্রীয় প্রদেশের কাছে পাঁচটি হিন্দি-ভাষী রাজ্য হারাবে কিন্তু একই অঞ্চল থেকে ওড়িয়া-ভাষী রাজ্যগুলি পাবে।
পূর্ব বাংলায় পার্বত্য ত্রিপুরা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী এবং ঢাকা বিভাগ থাকবে যার রাজধানী হবে ঢাকা।
বাংলায় হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে, আর পূর্ব বাংলা এবং আসামে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে। কলকাতা থাকবে  বাংলার রাজধানী। পূর্ব বাংলার রাজধানী হবে ঢাকা।
লর্ড কার্জনের ফর্মুলা অনুযায়ী গায়ের জোরে বাংলাকে প্রথম দু টুকরো করা হলো।
বঙ্গভঙ্গের কারণ>>
১৯০৫  সালে, ভারতে ব্রিটিশ প্রশাসক লর্ড কার্জন ১৬  অক্টোবর বঙ্গভঙ্গ কার্যকর করেন। এই বিভাজনের পিছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল বাঙালির নেতৃত্বে ক্রমবর্ধমান অশান্তির ফলে বাঙালিকে দুর্বল করা। যদিও প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে প্রশাসনিক শাসন ব্যবস্থার সুবিধার কথা।  বাংলা, একটি উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার একটি বিশাল প্রদেশ হওয়ায়, পূর্বাঞ্চলে আরও সুগম ও দক্ষ শাসন কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য বিভক্ত করা হয়েছিল।এই বিভাজনের ফলে তীব্র বিক্ষোভের সূচনা হয়।
বাংলা বিভাগ সমগ্র অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছিল।
বাঙালিরা বিভক্তিকে তাদের দেশের অপমান হিসেবে দেখে এবং বাংলার পুনর্মিলনের আহ্বান জানায়।
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, সেই সময়ের একটি বিশিষ্ট রাজনৈতিক সংগঠন, জাতিগত ভিত্তিতে বিভাজনের নিন্দা করেছিল।
প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিরা এই পরিবর্তনের বিরোধিতা করেছিল কারণ এটি তাদের প্রদেশের মধ্যে একটি ভাষাগত সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে।
অনেক বাঙালি মুসলমান দেশভাগকে সমর্থন করেছিলেন , কারণ তারা বিশ্বাস করেছিলেন যে এটি নতুন প্রদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে তাদের শিক্ষাগত, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য লর্ড কার্জনের প্রতিশ্রুতি মুসলমানদের জন্য তাদের শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের একটি সুযোগ হিসেবে দেখা হয়েছিল।
বঙ্গভঙ্গকে ব্রিটিশ সরকার তাদের “ভাগ করো এবং শাসন করো”  অর্থাৎ ” Divide  and Rule” কৌশল বাস্তবায়নের জন্য নিযুক্ত একটি কৌশল হিসাবে গ্রহণ করেছিল, যা বাঙালি এবং জাতীয়তাবাদীদের মধ্যে দেশপ্রেমিক অনুভূতিকে দুর্বল করে দিয়েছিল।
 তারপর থেকেই বাঙালিকে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী এক স্থান থেকে ভিন্ন স্থানে ধাক্কা দিতে দিতে দুর্বল ও আরো বিভাজনের দিকে ঠেলে নিয়ে গেছে। শুধু আসাম,বিহার, ত্রিপুরা ওড়িশাই নয়, এর বাইরেও ছোট্ট অবিভক্ত বাংলাকে ব্রিটিশের পদ লেহানকারী  জওহারলাল নেহরু, কায়েদি আজম জিন্নাহ ও গান্ধী ধারালো ধর্মের করাত দিয়ে দুটুকরো করলেন। বাঙালির মেরুদন্ডকে ভেঙে দেওয়া হলো। বাঙালির পরিচয় আর বাঙালি হিসাবে রইলো না। বাঙালি হিন্দু,বাঙালি মুসলমান। রাম এবং রহিমের মধ্যে লড়াই। বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম এবং বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মধ্যে যেন একটা প্রাচীর ঘেরা হলো।
ছোট বেলায় যে চাচার কোলে বসে আম খেয়েছি, যে চাচা আমাদের বাড়িতে এসে ঢেঁকি শাক, লাউ শাক দিয়ে গেছেন। অঙ্গনে বসে দৈ চিড়া খেয়ে গেছেন,সেই মুসলিম চাচা ও হিন্দু ভাতিজার সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। গ্রামের হাটখোলার অদূরে বিকালের স্তব্ধ পরিবেশকে প্রাঞ্জল করে যখন আজানের শব্দ কানে আসতো, তখন মসজিদের আসে পাশে রোহন, আসিফের সঙ্গে আমরা ঘুরতাম। আমাদের চা বাগানের দুর্গা ও কালী মূর্তি তৈরি করতেন রহমত আলী চাচা। পুজোয় আসতেন পরিবার নিয়ে।কেউ আপত্তি তোলেনি। কিন্তু ক্রমশ একশ্রেনীর ব্রাহ্মণ ও মোল্লারা ধর্মের অপব্যাখ্যা করে এমন নেশাগ্রস্ত করে দিলেন,যার জন্য আজো ফেলে আসা নিজের মাটির জন্য চোখ ফেলা হিন্দু বাঙালিকে শুনতে হচ্ছে, জমি গেছে,ভিটে গেছে,  বিভক্ত বাঙালি হিন্দুর পুরোহিতের গলা কাটা হচ্ছে। মহিলাদের গনিমতের মাল করা হচ্ছে। মন্দির পুড়ছে,মূর্তি ভাঙচুর হচ্ছে। তাই মনে হচ্ছে বাঙালি শুধু দু টুকরোই হয়নি, নিজেরাও একদিন ইতিহাস হয়ে যাবে।
দুই বাংলা যদি ভাগ না হতো তাহলে জনসংখ্যার এবং আয়তনের বিচারে ভারতে বাংলার লোকসভা আসনের সংখ্যা ১০০ হয়ে যেতো। বর্তমানে উত্তর প্রদেশের আসন সংখ্যা ৮০ টি। তাই ভারতীয় রাজনীতিতে উত্তর প্রদেশের আসল চাবিকাঠি। এটা অবিভক্ত ভারত হলে বাঙালি ভারতে প্রধান মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হতেন। আর সেটিকে চিরকালের জন্য রুখে দিতে  উত্তর প্রদেশের জওহরলাল নেহরু বাঙালিকে কেটেছিলেন। হায়রে বাঙালি সেই চক্রান্ত ধরতে পারে নি ধর্মের কালো চশমা পড়ায়। ঠিক পাকিস্তানও একই ফর্মুলা অনুযায়ী কাজ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাকিস্তানের সংসদে সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্য নির্বাচনে জয়ী হওয়া সত্বেও শাসন ক্ষমতা তুলে দেয় নি। নির্মম অত্যাচার করে ইসলামকে কলুষিত করেছে।
বাঙালি তবুও জাগবে না। হিন্দু ,মুসলীম বাঙালির পরিচয়ে স্বত্বা ও আসল অস্তিত্ব হারাতে চলেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

বাঙালিকে ধর্মের আফিম খাইয়ে দূর্বল ও ধ্বংস করা হয়েছে

আপডেট সময়- ০৬:৫৮:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪
~প্রতিকী ছবি>>
তারই ধারাবাহিকতায় বারবার বাংলাকে টুকরো করা হয়েছে..!
মানস বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।
অতীতের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় অবিভক্ত ভারতের অর্ধেক জুড়েই ছিল বাঙালির বিস্তীর্ণ ভূমি। আজকের দুই বাংলা, বিহার,আসাম, ওড়িশা, ত্রিপুরা বাংলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। বাঙালির প্রগতি, বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পেয়ে প্রথম ব্রিটিশ শাসক বাঙালির বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করে।
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ চক্রান্ত ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের তীব্র বিরোধিতার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসাবে  চিহ্নিত। ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জন বিস্তীর্ণ প্রদেশে শাসন ব্যবস্থার উন্নতির একটি উপায় হিসেবে বিভাজনের প্রস্তাব করেছিলেন। ১৭৬৫  সাল থেকে বাংলা, বিহার এবং উড়িষ্যা একটি ঐক্যবদ্ধ অঞ্চল ছিল, কিন্তু ১৯০০ সাল নাগাদ এর আয়তন নিয়ন্ত্রণের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
বঙ্গভঙ্গের পটভূমি>>
বাংলা, প্রদেশের মধ্যে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, বাংলাদেশ এবং আসাম অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই বিশাল বাংলা ১৭৬৫ সাল থেকে ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ছিল।
প্রদেশটি তার বৃহৎ আকার এবং দ্রুত বর্ধমান জনসংখ্যার কারণে প্রশাসনের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে।
বাংলার পূর্বাঞ্চলের গ্রামীণ এলাকাগুলি শিল্প, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের দিক থেকে অবহেলিত ছিল। কিন্তু বেশির ভাগ উন্নয়ন ছিল কলকাতাকে কেন্দ্র করে।
লর্ড কার্জন ভারতে আসার আগেই প্রশাসনিক সুবিধার জন্য প্রদেশটিকে বিভক্ত করার ধারণাটি বিদ্যমান ছিল। ১৮৭৪  সালে আসামকে পৃথক করা হয়েছিল।
প্রাথমিকভাবে, কার্জন একটি সম্পূর্ণ প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসাবে বিভাজনের প্রস্তাব করেছিলেন কিন্তু পরে এটিকে ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদকে দুর্বল করার একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে দেখেছিলেন।
তার প্রস্তাবিত বিভাজনের ফলে দুটি প্রদেশ হবে: বাংলা (পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং বিহার সহ) এবং দ্বিতীয়টি পূর্ববঙ্গ ও আসাম।
বাংলা কেন্দ্রীয় প্রদেশের কাছে পাঁচটি হিন্দি-ভাষী রাজ্য হারাবে কিন্তু একই অঞ্চল থেকে ওড়িয়া-ভাষী রাজ্যগুলি পাবে।
পূর্ব বাংলায় পার্বত্য ত্রিপুরা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী এবং ঢাকা বিভাগ থাকবে যার রাজধানী হবে ঢাকা।
বাংলায় হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে, আর পূর্ব বাংলা এবং আসামে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে। কলকাতা থাকবে  বাংলার রাজধানী। পূর্ব বাংলার রাজধানী হবে ঢাকা।
লর্ড কার্জনের ফর্মুলা অনুযায়ী গায়ের জোরে বাংলাকে প্রথম দু টুকরো করা হলো।
বঙ্গভঙ্গের কারণ>>
১৯০৫  সালে, ভারতে ব্রিটিশ প্রশাসক লর্ড কার্জন ১৬  অক্টোবর বঙ্গভঙ্গ কার্যকর করেন। এই বিভাজনের পিছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল বাঙালির নেতৃত্বে ক্রমবর্ধমান অশান্তির ফলে বাঙালিকে দুর্বল করা। যদিও প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে প্রশাসনিক শাসন ব্যবস্থার সুবিধার কথা।  বাংলা, একটি উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার একটি বিশাল প্রদেশ হওয়ায়, পূর্বাঞ্চলে আরও সুগম ও দক্ষ শাসন কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য বিভক্ত করা হয়েছিল।এই বিভাজনের ফলে তীব্র বিক্ষোভের সূচনা হয়।
বাংলা বিভাগ সমগ্র অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছিল।
বাঙালিরা বিভক্তিকে তাদের দেশের অপমান হিসেবে দেখে এবং বাংলার পুনর্মিলনের আহ্বান জানায়।
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, সেই সময়ের একটি বিশিষ্ট রাজনৈতিক সংগঠন, জাতিগত ভিত্তিতে বিভাজনের নিন্দা করেছিল।
প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিরা এই পরিবর্তনের বিরোধিতা করেছিল কারণ এটি তাদের প্রদেশের মধ্যে একটি ভাষাগত সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে।
অনেক বাঙালি মুসলমান দেশভাগকে সমর্থন করেছিলেন , কারণ তারা বিশ্বাস করেছিলেন যে এটি নতুন প্রদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে তাদের শিক্ষাগত, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য লর্ড কার্জনের প্রতিশ্রুতি মুসলমানদের জন্য তাদের শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের একটি সুযোগ হিসেবে দেখা হয়েছিল।
বঙ্গভঙ্গকে ব্রিটিশ সরকার তাদের “ভাগ করো এবং শাসন করো”  অর্থাৎ ” Divide  and Rule” কৌশল বাস্তবায়নের জন্য নিযুক্ত একটি কৌশল হিসাবে গ্রহণ করেছিল, যা বাঙালি এবং জাতীয়তাবাদীদের মধ্যে দেশপ্রেমিক অনুভূতিকে দুর্বল করে দিয়েছিল।
 তারপর থেকেই বাঙালিকে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী এক স্থান থেকে ভিন্ন স্থানে ধাক্কা দিতে দিতে দুর্বল ও আরো বিভাজনের দিকে ঠেলে নিয়ে গেছে। শুধু আসাম,বিহার, ত্রিপুরা ওড়িশাই নয়, এর বাইরেও ছোট্ট অবিভক্ত বাংলাকে ব্রিটিশের পদ লেহানকারী  জওহারলাল নেহরু, কায়েদি আজম জিন্নাহ ও গান্ধী ধারালো ধর্মের করাত দিয়ে দুটুকরো করলেন। বাঙালির মেরুদন্ডকে ভেঙে দেওয়া হলো। বাঙালির পরিচয় আর বাঙালি হিসাবে রইলো না। বাঙালি হিন্দু,বাঙালি মুসলমান। রাম এবং রহিমের মধ্যে লড়াই। বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম এবং বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মধ্যে যেন একটা প্রাচীর ঘেরা হলো।
ছোট বেলায় যে চাচার কোলে বসে আম খেয়েছি, যে চাচা আমাদের বাড়িতে এসে ঢেঁকি শাক, লাউ শাক দিয়ে গেছেন। অঙ্গনে বসে দৈ চিড়া খেয়ে গেছেন,সেই মুসলিম চাচা ও হিন্দু ভাতিজার সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। গ্রামের হাটখোলার অদূরে বিকালের স্তব্ধ পরিবেশকে প্রাঞ্জল করে যখন আজানের শব্দ কানে আসতো, তখন মসজিদের আসে পাশে রোহন, আসিফের সঙ্গে আমরা ঘুরতাম। আমাদের চা বাগানের দুর্গা ও কালী মূর্তি তৈরি করতেন রহমত আলী চাচা। পুজোয় আসতেন পরিবার নিয়ে।কেউ আপত্তি তোলেনি। কিন্তু ক্রমশ একশ্রেনীর ব্রাহ্মণ ও মোল্লারা ধর্মের অপব্যাখ্যা করে এমন নেশাগ্রস্ত করে দিলেন,যার জন্য আজো ফেলে আসা নিজের মাটির জন্য চোখ ফেলা হিন্দু বাঙালিকে শুনতে হচ্ছে, জমি গেছে,ভিটে গেছে,  বিভক্ত বাঙালি হিন্দুর পুরোহিতের গলা কাটা হচ্ছে। মহিলাদের গনিমতের মাল করা হচ্ছে। মন্দির পুড়ছে,মূর্তি ভাঙচুর হচ্ছে। তাই মনে হচ্ছে বাঙালি শুধু দু টুকরোই হয়নি, নিজেরাও একদিন ইতিহাস হয়ে যাবে।
দুই বাংলা যদি ভাগ না হতো তাহলে জনসংখ্যার এবং আয়তনের বিচারে ভারতে বাংলার লোকসভা আসনের সংখ্যা ১০০ হয়ে যেতো। বর্তমানে উত্তর প্রদেশের আসন সংখ্যা ৮০ টি। তাই ভারতীয় রাজনীতিতে উত্তর প্রদেশের আসল চাবিকাঠি। এটা অবিভক্ত ভারত হলে বাঙালি ভারতে প্রধান মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হতেন। আর সেটিকে চিরকালের জন্য রুখে দিতে  উত্তর প্রদেশের জওহরলাল নেহরু বাঙালিকে কেটেছিলেন। হায়রে বাঙালি সেই চক্রান্ত ধরতে পারে নি ধর্মের কালো চশমা পড়ায়। ঠিক পাকিস্তানও একই ফর্মুলা অনুযায়ী কাজ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাকিস্তানের সংসদে সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্য নির্বাচনে জয়ী হওয়া সত্বেও শাসন ক্ষমতা তুলে দেয় নি। নির্মম অত্যাচার করে ইসলামকে কলুষিত করেছে।
বাঙালি তবুও জাগবে না। হিন্দু ,মুসলীম বাঙালির পরিচয়ে স্বত্বা ও আসল অস্তিত্ব হারাতে চলেছে।