সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আন্তর্জাতিক, খুলনা, চট্টগ্রাম, জাতীয়, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, ঢাকা, দেশজুড়ে, নারায়ণগঞ্জ, ফতুল্লা, বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী, সিদ্ধিরগঞ্জ, সিলেট
ট্যাংকলরী ও পেট্রোলিয়াম ওনার্স এসোসিয়েশনের ৩ দফা দাবি, অনাদায়ে ধর্মঘট
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ১১:৫৯:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩ ২০৫ বার পড়া হয়েছে
দাবি আদায় না হলে ১লা আগষ্ট থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন অনিদৃিষ্টকালরে জন্য বন্ধ !
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি।।
বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটর এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন ঢাকা বিভাগ সহ সমগ্র বিভাগীয় কমিটির যৌথ উদ্যোগ তিন দফা দাবি উত্থাপ করেছেন। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন।
শনিবার(২২ জুলাই) দুপুর ১২.৩০ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাস্থ যমুনা ডিপো ও থানা সংলগ্ন শাহ্ ফতে উল্লাহ কনভেনশন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ-সব কথা বলেন। এবং তিন দফা দাবী অনাদায়ে কঠোরভাবে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারির কথা তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশন ও পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস এন্ড ওনার্স এসোসিয়েশনের,কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি,সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল,বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটর এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান রতন, বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশন,কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব -শেখ ফরহাদ হেসেন,বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটর এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন,পদ্মা ডিপো গোদনাইল,সিদ্ধিরগঞ্জ শাখার সভাপতি, আলহাজ্ব আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী,বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশন, সিদ্ধিরগঞ্জ গোদনাইল শাখার সভাপতি, মো. আনোয়ার হোসেন মেহেদী, বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশন, ফতুল্লা ডিপো যমুনা ও মেঘনা শাখার সভাপতি, মীর সোহেল আলী, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটর এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন,পদ্মা ডিপো গোদনাইল,সিদ্ধিরগঞ্জ শাখা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, আলহাজ্ব ফজলুল হক মনি,বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশন, সিদ্ধিরগঞ্জ গোদনাইল পদ্মা ডিপো শাখা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ প্রমূখ।
সংস্থা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি,সংবাদ সম্মেলনে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে তিনটি দাবী তুলে ধরেছেন, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি এমনকি কোন সফলতাও আসেনি। ২০১৯ সাল থেকে এ সংস্থাগুলো অসংখ্যবার এসকল সামান্য দাবি পেশ করলে আজও তারা তা আমলে নেয়নি। একারণে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান আজ তাদের অস্তিত্ব হারাতে বসেছে।এমতাবস্থায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনটি দাবী উপস্থিত করলাম।
১নং দাবী হচ্ছে, জাপানী তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরীর ইকোনমিক লাইফ ৫০% বছরে কমানোর দাবি
২নং দাবি,জালানী তেল বিক্রির উপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭.৫% করার দাবী
এছাড়াও, ৩নং দাবী হিসেবে জালানী তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট বিধায় সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সুস্পষ্ট গ্যাজেট প্রনয়ন।
ট্যাংকলরী জালানী তেল পরিবহন ছাড়া অন্য কোনো পন্য পরিবহন করার সুযোগ নেই। এগুলো একবার তেল পরিবহন করে খালি চলে আসে,সপ্তাহে ২/৩ দিন চলাচল করে।সকল দিক বিবেচনা করে বাস,ট্রাক যদি ২৫ বছর লাইফ পায়, সে হিসেবে ট্যাংকলরী ৭৫ বছর লাইফ পায়।
দীর্ঘদিন পুঞ্জিভূত এ সমস্যা ও সংকর আবর্ত হতে বের হয়ে স্থায়ী সমাধানকল্পে বিক্রির উপর ১৭% নয় মাত্র ৭.৫ % করার জোর দাবি জানান তারা।জালানী ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত মূল্যে তেল ক্রয় পূর্বক নির্ধারিত মূল্যে সামান্য ৩% কমিশন পেয়ে থাকে।এসকল কারনে জালানী তেল বিপননের কাজে স্থায়ী সমাধানে সুস্পষ্ট গ্যাজেটের মাধ্যমে কমিশন এজেন্ট ঘোষণা জোর দাবী জানানো হয়।
তারা জানান তার কখনোই হরতাল ধর্মঘটের মধ্যে যেতে চান না।তাদের জোর দাবি সুস্পষ্ট আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, সমগ্রিক আন্দোলন ছাড়া দাবী আদায় সম্ভব নয় বিধায় আমাদের সকলের উত্থাপিত তিন দফা দাবি আগামী ৩১ জুলাইয়ে মধ্যে বাস্তবায়িত না হলে আগামী ১লা আগস্ট থেকে সকল জালানি ব্যবসায়ীরা তেল উত্তোলন, পরিবহনে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে হুশিয়ারি করেন।এবং দেশ ব্যাপী কঠোর আন্দোলনে যাবেন এ সংস্থা।