সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় এফবিজেও’র তীব্র নিন্দা
- আপডেট সময়- ০৫:৪৩:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুলাই ২০২৩ ১৩২ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধি।।
সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের একটি মসজিদের বাইরে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন (এফবিজেও)।
‘মত প্রকাশের স্বাধীনতার’ নামে মুসলমানদের পবিত্র মূল্যবোধ ও ধর্মীয় প্রতীককে অপমান করার এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শীর্ষ স্থানীয় সাংবাদিক সংগঠন এফবিজেও।
শনিবার (১ জুলাই ) সাংবাদিকদের একটি শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন (এফবিজেও)পক্ষ থেকে ফেডারেশনের মহাসচিব মো. শামছুল আলম বলেছে, সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের স্বার্থে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত উসকানি বন্ধে বাংলাদেশ ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির তথ্য অনুসারে, সুইডেনে বসবাসরত ইরাকি নাগরিক সালওয়ান মোমিকা বুধবার স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে ইসলাম ধর্মের অন্যতম ধর্মীয় পবিত্র গ্রন্থের একটি কপিতে আগুন ধরিয়ে দেয় ও নাগরিক।
এরপর অনেক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কোরআন পোড়ানোর নিন্দা জানিয়েছে।
বুধবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে দুই ব্যক্তি আগে থেকে ঘোষণা দিয়ে পবিত্র কুরআনের একটি কপিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই ন্যক্কারজনক বাক স্বাধীনতার নামে কাজের অনুমতি দেয় একটি সুইডিশ আদালত। কুরআন অবমাননা করার জন্য ওই ইসলাম বিদ্বেষী ব্যক্তিরা পবিত্র ঈদুল আজহার দিনটিকে বেছে নেয়।
উপস্থিত বেশ কয়েকজন বিরোধী তাকে আরবি ভাষায় গালাগাল করে। তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে।
পাকিস্তান এ বিষয়ে জারি করা এক বিবৃতিত বলেন, স্টকহোমে কোরআন অবমাননার এই ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্চি।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি এক বিবৃতিতে নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, সুইডিশ সরকার এই প্রথম ইসলাম অবমাননাকারীদের প্রশ্রয় দেয়নি বরং অতীতেও বহুবার দেশটির মাটিতে কুরআন অবমাননার ব্যাপারে চোখ বন্ধ করে রেখেছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুইডেনে ইসলাম অবমাননার এই ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, যে বিষয়টি এই বিকৃতরুচির মানসিকতাকে আরো বেশি ন্যক্কারজনক করে তুলেছে তা হলো সুইডিশ সরকারের অনুমোদন ও আশ্রয়-প্রশ্রয়।
তিনি বলেন, বিশেষ করে যখন কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান পবিত্র হজ্ব পালনে ব্যস্ত এবং সারা বিশ্বের প্রায় দুইশ’ কোটি মুসলমান যখন পবিত্র ঈদুল আজহা পালন করছেন তখন সুইডিশ সরকারের এই ঘৃণ্য তৎপরতা মেনে নেয়া যায় না।
কানয়ানি বলেন, একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থের অবমাননার মাধ্যমে শুধু যে একটি ধর্মের বিরুদ্ধে আগ্রাসন ও ঘৃণা ছড়ানো হয়েছে তাই নয় সেইসঙ্গে একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর মৌলিক মানবাধিকারও লঙ্ঘন করা হয়েছে। তিনি এ ধরনের ন্যক্কারজনক তৎপরতার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্টকহোমের প্রতি আহ্বান জানান।
এছাড়াও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এ ন্যাক্কারজনক তীব্র নিন্দা সহ ন্যাটোর সদস্য পদে সমর্থন না দেয়ার কথা হুশিয়ার করেন।