ভোলার ইলিশা দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র স্বীকৃতি পাচ্ছে
![](https://samakalinkagoj.com/wp-content/themes/newspaper-pro/assets/images/reporter.jpg)
- আপডেট সময় : ০৬:৩৩:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩ ৯৫ বার পড়া হয়েছে
![](https://samakalinkagoj.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
বাংলাদেশের বৃহত্তম দীপ,ভোলার ইলিশা-১ কূপটি দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে শীগ্রই স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে।
আগামীকাল সোমবার(২২ মে) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা দিবেন।
এটি হবে বৃহত্তম দীপ এলাকা ভোলা জেলার তৃতীয় গ্যাসক্ষেত্র। অন্য দুটি হলো শাহবাজপুর ও ভোলা নর্থ গ্যাসক্ষেত্র।
সম্প্রতি রাশিয়ান রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম বাপেক্সের হয়ে এ গ্যাস কূপটি খনন করে।
গত মার্চে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের মালের হাটসংলগ্ন এলাকায় খননের কাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু করা হয়। তিন হাজার ৪৭৫ মিটার গভীর পর্যন্ত খননকাজের সমাপ্তি হয় ২৪ এপ্রিল। কূপের তিন স্তরে ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ আছে বলে ধারণা করছেন বাপেক্স।
বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন,ভোলার ইলিশা-১ কূপ থেকে দিনে প্রায় ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন।আগামী ২৫ থেকে ২৭ বছর ধরে এই গ্যাস উত্তোলন করা যাবে বলে দাবি তাদের।
বাপেক্স সূত্র মতে,ভোলার ইলিশা গ্যাসক্ষেত্রের পূর্ণাঙ্গ কাঠামো চিহ্নিত করতে আরো কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে পাওয়া গ্যাসের গ্রাহক পর্যায়ে আনুমানিক মূল্য প্রায় ছয় হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা। এলএনজি আমদানি বিবেচনায় দাম প্রায় ২৪ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ১৯৯৩-৯৪ সালে প্রথম ভোলার বোরহানউদ্দিনে শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়। এর পর ২০১৮ সালে আবিষ্কৃত হয় ভোলা নর্থ গ্যাসক্ষেত্র।
এ দুই গ্যাসক্ষেত্রে আটটি কূপ খনন করা হয়। প্রস্তাবিত নতুন ক্ষেত্রটিসহ ভোলায় গ্যাসের মজুতের পরিমাণ প্রায় ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।