সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আন্তর্জাতিক, আবহাওয়া ও জলবায়ু, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, মুন্সিগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদের লীজকৃত জমি আত্মসাতের চেষ্টা
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৫:১৯:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৮ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ থেকে লীজ নেওয়া ভোগদখলকৃত সম্পত্তি আত্মাসাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।সম্পত্তি দখল করতে কয়েক দফায় লিজ পাওয়া ভোগ দখলদারদের স্থাপনা ভাংচুরের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে।এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে জেলা পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী মো:ফারুক আহমেদ।তবে পৌরসভা বলছে আর এস রেকর্ডে এই জমির মালিক পৌরসভা ও এস এ রেকর্ডে মালিক জেলা পরিষদ।জানা যায়,২০১১ সালের ১৮ অক্টোবর মন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদের সিএস ৭৩নং পূর্বমুক্তারপুর মৌজার সি,এস ২২৩ দাগের ১১ শতাংশ সম্পত্তি জেলা পরিষদ থেকে লিজ পায় শহরের হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকার মৃত পীর মোহাম্মদের তিন সন্তান হাজী মো:ফারুক আহম্মেদ,গোলেনুর বেগম ও আলীনুর বেগম।লিজ মূলে ভোগদখলকার থেকে ২০২৪-২৫ সাল পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করেছেন তারা।বর্তমানে ঐ জমিতে ১২ টি দোকানঘর রয়েছে।অভিযোগ রয়েছে চলতি বছরের ১০ আগস্টের পর থেকে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা ও কিছু কতিপয় দুস্কৃতিকারী যোগসাযোগে উক্ত মৌজার ১১ শতাংশ জমি বেদখল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।জায়গা উচ্ছেদ বা ভাংচুর করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বা হামলার মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন অনেকেই।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী হাজী ফারুক আহম্মেদ জানান, ১১ শতাংশ জমি আমরা তিন ভাইবোন জেলা পরিষদ থেকে লীজ নেই।বর্তমানে ১২টি দোকান ঘর রয়েছে।যেখানে শতাধিক লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।বর্তমানে এই সম্পত্তি নিয়ে জেলা পরিষদ ও পৌরসভার মধ্যে মালিকানাধীন রেকর্ডের বিরোধ নিয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত,মুন্সীগঞ্জ সদর আদালতে দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে।যার মামলা নং-১৫২/২৪।মুন্সীগঞ্জ পৌরসভাকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন জেলা পরিষদ।যা চলমান আছে।তিনি আরো বলেন,এমন অবস্থায় পৌরসভার কিছু কর্মকর্তা ও অজ্ঞাতানামা লোকজন গত ১৩ আগস্ট থেকে শুরু করে কয়েক দফায় পৌরসভা ও জেলা পরিষদের দাবীকত মালিকানাধীন ভূমিতে জোরপূর্বক অবৈধ উপায়ে দোকান ঘর স্থাপনা ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করছেন।সবশেষ ১১ নভেম্বর সোমবার একইভাবে অজ্ঞাতনামা লোকজন সম্পত্তির স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে রোববার পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয়।এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী জানান,এই সম্পত্তি আর এস রেকর্ডে ১১ শতাংশের মালিক মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা।সিএস এ মালিক হচ্ছে জেলা পরিষদ।আগের যেই টাউন কমিটি ছিল।ওই টাউন কমিটির যত জায়গা ছিল সব মন্সীগঞ্জ পৌরসভাকে হস্তান্তর করেছিল। সেই সূত্রে পৌরসভা খাজনা দিয়ে আসছে এবং দোকানের ভাড়াও দীর্ঘদিন যাবৎ নিছে।মাঝখানে ফারুক আহম্মেদ কীভাবে জানি লিজ আনছেন জেলা পরিষদ থেকে।এ বিষয়ে জেলা পরিষদ পৌরসভার বিরুদ্ধে একটি সংশোধনী মামলাও করেছেন।এখানে অনেকবার জমি মাপাও হয়েছে। কিছু জায়গা রাস্তায় গেছে আর বাকী জায়গাগুলো ঐখানে রয়ে গেছে।তিনি আরো বলেন,আমাদের সাথে কিছু হলে,হবে জেলা পরিষদের সাথে। ফারুক আহম্মেদের সাথে না।এখন সংশোধনী মামলায় যা হয় যারা পায় তারাই পাবে।যেহেত আমরা খাজনা দেই সেহেতু দখলে যাওয়ার একটা আমাদের সম্ভাবনা রয়েছে।পৌরসভার প্রশাসক চিন্তাভাবনা করতেছে আমাদের যেইটকু আছে সেই জায়গা দখলে যাবো।আমরা আজ রোববার সেখানে পরিদর্শন করতে যাবো।পরে একটা সিদ্ধান্তে পৌছাবো।