‘হয়রানিমূলক মামলা ও গ্রেপ্তার ঠেকাতে’ ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধনের অধ্যাদেশ জারি

- আপডেট সময়- ০৪:১৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫ ৭১ বার পড়া হয়েছে

এর ফলে তদন্ত চলাকালীন সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ‘নিরপরাধ মানুষকে ভুয়া মামলা থেকে’ অব্যাহতি দেওয়ার সুযোগ তৈরি হল…!
অনলাইন নিউজ ডেস্ক।।
ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করে নতুন একটি অধ্যাদেশ জারি হয়েছে, যার মাধ্যমে তদন্ত চলাকালে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ‘নিরপরাধ মানুষকে ভুয়া মামলা থেকে’ অব্যাহতি দেওয়ার সুযোগ তৈরি হল।
১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধনের এই প্রস্তাব গত ২৯ জুন অনুমোদন করেছিল সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বৃহস্পতিবার তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়।
‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর মাধ্যমে আইনে একটি নতুন ধারা (১৭৩ এ) যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে ‘অন্তর্বর্তীকালীন তদন্ত প্রতিবেদন ইত্যাদি’ শিরোনামে নতুন একটি বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
☞ ওই ধারায় বলা হয়েছে–
১. অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন তলব: এখন থেকে মামলার তদন্ত চলাকালে যে কোনো পর্যায়ে পুলিশ কমিশনার, জেলার পুলিশ সুপার বা সমমর্যাদার কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে মামলার অগ্রগতির বিষয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারবেন।
☞ ২. অব্যাহতি:
অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনে যদি কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে সেই প্রতিবেদন আদালতে (ম্যাজিস্ট্রেট বা ট্রাইব্যুনাল) দাখিল করা যাবে। আদালত ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সন্তুষ্ট হলে সেই ব্যক্তিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে পারবেন।
☞৩. পুনরায় অন্তর্ভুক্তির সুযোগ:
অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি অব্যাহতি পেলেও সেটি চূড়ান্ত নয়। যদি তদন্ত শেষে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে পুলিশ প্রতিবেদনে (ধারা ১৭৩ অনুযায়ী) তার নাম পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করতে কোনো বাধা থাকবে না।
এর আগে গত ২৯ জুন উপদেষ্টা পরিষদ এই সংশোনী প্রস্তাবে সায় দেওয়ার পর আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “আমাদের সরকারের কিছু জিনিস নিয়ে আমরা নিজেরাই বিব্রত। একটা হচ্ছে ভুয়া বা মিথ্যা মামলা করা; আরেকটা হচ্ছে মামলার ঘটনা সত্যি, কিন্তু সেখানে অনেক লোককে আসামি করে মামলা বাণিজ্য করা। সেজন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিআরপিসিতে একটা গুরুত্বপূর্ণ চেইঞ্জ এনেছি।”
আইন উপদেষ্টা বলেন, “আশা করছি, পুলিশ প্রশাসন ও আদালত যেসব মামলায় গ্রেপ্তার বাণিজ্য হচ্ছে, মামলা বাণিজ্য হচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তে কোনো রকম প্রমাণ পাওয়া যাবে না, তাদেরকে বিচার শুরুর আগেই মামলার তালিকা থেকে বাদ দিতে পারবে।
“এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কেউ যদি ভুয়া মামলা বা হয়রানিমূলক মামলার শিকার হন, তাদেরকে বিচার শুরুর আগেই রেহাই দেওয়া।”
নিউজটি শেয়ার করুন

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ