সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, উপজেলা প্রশাসন, কুড়িগ্রাম, ক্যাম্পাস নিউজ, গণমাধ্যম, গাইবান্ধা, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, শিক্ষা ও সাহিত্য, শিক্ষাঙ্গন
গাইবান্ধার দুই স্কুলে এসএসসি পরীক্ষায় শূন্য পাসের রেকর্ড

প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৬:২৫:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫ ৯১ বার পড়া হয়েছে

ফেরদৌস আলম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি।।
গাইবান্ধার দুইটি এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এবং সাঘাটা উপজেলার গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয়—এই দুই প্রতিষ্ঠানের মোট ৩০ জন পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছে, যা শিক্ষাব্যবস্থায় নতুন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৪ জন শিক্ষার্থী (১০ জন বিজ্ঞান ও ১৪ জন মানবিক বিভাগের) অংশ নিলেও কেউই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে, বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ জন মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরাও একই পরিণতি ভোগ করেছে। বিদ্যালয় দুটির প্রধান শিক্ষকরা ব্যর্থতার কারণ হিসেবে প্রশ্নপত্রের কঠিন মাত্রা এবং প্রতিষ্ঠানের নতুনত্বকে দায়ী করলেও জেলা শিক্ষা অফিসের তরফে সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহেদা বেগমের দাবি, “প্রশ্নপত্র অত্যন্ত কঠিন হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ফেল করেছে।” তবে বিশ্বনাথপুরের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসাইনের ব্যাখ্যা ভিন্ন—তাদের বিদ্যালয়টি এসএসসি পরীক্ষার অনুমোদন পেয়েছে ২০২৩ সালে, তাই প্রথম ব্যাচের দুর্বল প্রস্তুতিই এই ফলাফলের কারণ।
জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আতাউর রহমান এই ঘটনাকে “অত্যন্ত দুঃখজনক” আখ্যা দিয়ে বলেন, “বোর্ড থেকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করা হবে এবং শিক্ষকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে।”
এ ঘটনায় স্থানীয় অভিভাবক ও শিক্ষাবিদদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকের মতে, শুধু প্রশ্নের কঠিন মাত্রাই নয়, শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীনতাও সমানভাবে দায়ী। এখন প্রশ্ন উঠেছে—এই ব্যর্থতার মূল কারণ কী? শিক্ষার্থীদের অদক্ষতা, নাকি ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা? উত্তর খোঁজার দাবি জানাচ্ছেন সবাই।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ