সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, উপজেলা প্রশাসন, গজারিয়া, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দেশজুড়ে, নারায়ণগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ সদর, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, মুন্সিগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত-৮
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৫:৪০:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫ ১৩৬ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন।বুধবার সকাল আটটার দিকে উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চর কুমারিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।থেমে থেমে সকাল দশটা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে বলে স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়।সংঘর্ষে আহতরা হলেন-চর কুমারিয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সাফিক প্রধান(৪৬), জয়নাল আবেদীন মমিন(৫২),মায়া বেগম(৪৫), সোহেল মমিন(২২),কাদির খাঁ(৩৫) ও শাহ আলম (৪০)।বাউশিয়া পূর্ব নয়াকান্দি গ্রামের জামাল(৩০) ও জিলানী(৩৫)।স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়,মঙ্গলবার ঈদের দ্বিতীয় দিন বাউশিয়া ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী দুই গ্রাম চর কুমারিয়া ও পোড়াচক বাউশিয়া পূর্ব নয়কান্দি গ্রামের মধ্যে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।চর কুমারিয়া গ্রামের মাঠে অনুষ্ঠিত এই খেলায় চর কুমারিয়া জয়লাভ করে।খেলা চলাকালীন চর কুমারিয়া গ্রামের কয়েকজন তরুণের সাথে পোড়াচক বাউশিয়া পূর্ব নয়কান্দি গ্রামের কয়েকজন তরুণের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়।এই ঘটনার জের ধরে বুধবার সকালে বাউশিয়া পূর্ব নয়াকান্দি গ্রামের দুই শতাধিক মানুষ হামলায় চালায় চর কুমারিয়া গ্রামে।হামলায় দুটি বসত ঘর ভাঙচুর এবং উভয়পক্ষের ৮ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।সংঘর্ষে আহত চর কুমারিয়া গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য সাফিক প্রধান বলেন, গতকালের ঘটনাটি আমরা বসে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করে দেওয়ার কথা দিয়েছিলাম।কিছু অতি উৎসাহী লোকের প্ররোচনায় তা আর হলো না।বুধবার সকালে অন্তত দুই শতাধিক মানুষ আমাদের গ্রামে হামলা এবং লুটপাট চালায়।রআরেক প্রত্যক্ষদর্শী চর কুমারিয়া গ্রামের বাসিন্দা সোহেল মমিন বলেন বলেন,সকাল সাতটা থেকে তারা সংঘটিত হতে শুরু করে।সকাল আটটার দিকে আমাদের বাড়ি ঘরে হামলা করে।তাদের হামলায় আমার মা-সহ আমাদের পরিবারের তিন সদস্য আহত হয়েছে।শুধুমাত্র ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে নয় পূর্ব শত্রুতার জেরও এ হামলার পিছনে কাজ করেছে বলে আমার মনে হয়।এদিকে অপরপক্ষ পূর্ব নয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মো:জিলানী বলেন, সকালে আমাদের গ্রামের কিছু পোলাপান চর কুমারিয়া গ্রামে যায়।আমরা তাদেরকে বুঝিয়ে নিয়ে আসতে সেখানে গিয়েছিলাম।কিন্তু চর কুমারিয়া গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়।এই ঘটনায় আমাদের গ্রাম থেকে নারী-পুরুষ বের হয়ে চর কুমারিয়া গ্রামে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.আশ্রাফুল আলম শুভ বলেন,সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়ে আমাদের হাসপাতালে ৮ জন রোগী এসেছে।তাদের মধ্যে জামাল খাঁ-এর আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।বাকিদের মধ্যে এক নারীসহ তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আনোয়ার আলম আজাদ বলেন,এরকম একটি খবর আমিও পেয়েছি।খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।





































































































