সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আন্তর্জাতিক, আবহাওয়া ও জলবায়ু, উপজেলা প্রশাসন, কুষ্টিয়া, খুলনা, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর পদ্মার চরে ফের বেপরোয়া লালচাঁদ বাহিনী

প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৬:১৬:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৭১ বার পড়া হয়েছে

হৃদয় রায়হান,কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরাঞ্চলে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে লালচাঁদ বাহিনী। গরু-মহিষ লুট থেকে শুরু করে যুবককে গুলি করে হত্যাসহ প্রতিদিন চরাঞ্চলে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে বলেও অভিযোগ এই বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে। এদিকে লালচাঁদ বাহিনী নতুন করে সক্রিয় হয়ে ওঠায় চরবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। এদের দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা দাবি করেছেন তারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর দৌলতপুর এলাকায় পদ্মার চরাঞ্চলে গড়ে ওঠে লালচাঁদ বাহিনী। এরপর প্রায় একদশক দৌলতপুর এবং পার্শ্ববর্তী নাটোরের লালপুর ও রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরে রাজত্ব করে এই বাহিনী। নদীপথে চোরাকারবারিদের কাছ থেকে বখরা আদায়, ডাকাতি, ছিনতাই-লুটপাট ছিল আয়ের প্রধান উৎস। ২০০৯ সালের ২৮ এপ্রিল বাহিনী র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে লালচাঁদ নিহত হওয়ার পর এই বাহিনীর হাল ধরেন লালচাঁদের ছোট ভাই সুকচাঁদ। সে সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে তাদের তৎপরতা অনেকটা কমে আসে। বাহিনীর অনেকেই তখন ভারতে পালিয়ে যায়। এর আগে প্রকাশ্য দিবালোকে নিজ কার্যালয়ে দুর্বৃত্তের গুলিতে খুন হন ফিলিপনগর ইউপি চেয়ারম্যান নইমুদ্দিন সেন্টু। স্থানীয়দের দাবি এই বাহিনীকে দমনে চেয়ারম্যান সেন্টু বেশ তৎপর ছিলেন। তার প্রচেষ্টায় এলাকায় সে সময় র্যাব ক্যাম্প বসানো হয়েছিল। গত ৫ আগস্ট দেশের ক্ষমতার পালাবদলের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা কম থাকার সুযোগে বাহিনীর অনেকেই এখন এলাকায় ফিরে এসেছে। বর্তমানে লালচাঁদ বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন নাহারুল নামে স্থানীয় একজন। থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাতে উপজেলার বৈরাগীর চর এলাকায় রাজু নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন মঙ্গলবার রাতে আবেদের ঘাট এলাকায় পদ্মা নদীর চরে কালু কবিরাজ নামে এক ব্যক্তির বাথান থেকে ছোটবড় ৩৪টিরও বেশি গরু লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আগের রাতেও ওই এলাকার সাঈদের বাথান থেকে থেকে অন্তত ৫০টি মহিষ ও ১৫টি গরু লুটের ঘটনাও ঘটে। কালু কবিরাজ জানান, বাথানে রাতের বেলা হানা দেয় অস্ত্রধারীরা। তারা রাখালদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গরুগুলো লুট করে নেয়। তবে আরেকটি সূত্র বলছে রাজু হত্যার বদলা হিসেবে এই গরু-মহিষ লুট করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, রাজুর চাচা স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে এ গরু-মহিষ লুট করা হয়। তবে সাইদুর রহমান এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কোনো খারাপ কাজের সঙ্গে জড়িত নই। বেশ কিছুদিন ধরে এলাকায় অস্ত্রধারীদের আনাগোনা বেড়েছে। তারা রাতে অস্ত্র হাতে পদ্মা চরে ঘুরে বেড়ায়। এর মধ্যে অস্ত্রধারীদের গুলিতে আমার ভাতিজা রাজু খুন হয়েছেন। এই অস্ত্রধারীরাই গরু-মহিষ লুট করেছে। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ বলেন, একটি খুনের পর পদ্মা চরাঞ্চলে গরু-মহিষ লুটের খবর পেয়েছি। তবে এখনও কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ করলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া কোনো সন্ত্রাসী বাহিনী সেখানে সক্রিয় হওয়র চেষ্টা করলে আমরা তাদের দমন করব।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ