সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আন্তর্জাতিক, আবহাওয়া ও জলবায়ু, উপজেলা প্রশাসন, জুড়ী, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, মৌলভীবাজার, সিলেট
দায়িত্বে অবহেলায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত জুড়ী উপজেলাবাসী
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৫:৪৬:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ ৯ বার পড়া হয়েছে
তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।।
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে কমিউনিটি ক্লিনিকের (সি এইচ সিপি) কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রোভাইডারদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার ফলে, অত্রাঞ্চলের দিন মজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষ ও বিভিন্ন পেশার সাধারণ রোগী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ওইসব ক্লিনিক ও সি এইচ সিপির নাম হলো খাগটেকা কমিউনিটি ক্লিনিক। দায়িত্বপ্রাপ্ত সি এইচ সিপি রুমি রাণী আচার্য্য। পশ্চিম শিলুয়া(সোয়াগীর পার) কমিউনিটি ক্লিনিক। দায়িত্বপ্রাপ্ত কল্পনা দাশ। ছোট ধামাই কমিউনিটি ক্লিনিক। দায়িত্বপ্রাপ্ত রোভনা বেগম।
জানা গেছে, জুড়ী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ১টি করে মোট ১৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। ওই সব ক্লিনিকে প্রত্যকটিতে ১জন করে সি এইচ সিপি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ দেওয়ার পর সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ হতে তাদের আগমন সকাল ৯টায় এবং প্রস্থান বিকেল ৩টার সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট হতে সময় নির্ধারণ করলেও ওইসব ক্লিনিকে চাকুরীরত সি এইচ সিপিদের অনেকেই কর্তৃপক্ষের নির্দেশকে উপেক্ষা করে নিজেদের খেয়াল ও খুশিমতো ক্লিনিকে আসা যাওয়া করেন। সম্প্রতি সরেজমিনে ওই সব ক্লিনিক পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ৩টি ক্লিনিক যথাক্রমে খাগটেকা কমিউনিটি ক্লিনিকের রুমি রাণী আচার্য্য সকাল ১১টায় আগমন করেন। পশ্চিম শিলুয়া (সোয়াগীর পার) কমিউনিটি ক্লিনিকে কল্পনা দাশ সকাল ১০টা ১০মিনিটে গিয়েও পাওয়া যায়নি এবং বিকেল ২টা ২০মিনিটে গিয়ে পাওয়া যায়নি ক্লিনিকটি ওই সময় তালাবদ্ধ ছিলো। ছোট ধামাই কমিউনিটি ক্লিনিকের রোভনা বেগম বিকেল ২টায় গিয়ে পাওয়া যায়নি। ক্লিনিকটি ওই সময় তালাবদ্ধ ছিলো।
ওইসব এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা হলে ভুক্তভোগীরা বলেন, সরকার আমাদের চিকিৎসার জন্য ক্লিনিক হাসপাতাল তৈরী করে দিয়েছেন। ডাক্তারও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ডাক্তাররা সময়মতো আসে না। এই কারণে ঔষধ পাইনা। আমরা ওই ডাক্তারদের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকেরা জানান, আমরা সেবা পাই না রোগীরা এসে ক্লিনিক বন্ধ পায়। আমাদের দাবি সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ক্লিনিকটি খোলা হোক এবং বন্ধ হোক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাঃ সমরজিৎ সিংহ বলেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, মৌলভীবাজার জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোঃ মামুনুর রহমান ক্লিনিকের বিষয়টি অবগত করানোর কারণে সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান, আগমন ও প্রস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানান। তিনি ইতিপূর্বে তাদের চিঠি দিয়েছেন যাতে তারা সঠিক সময়ে সিসি গুলো খুলে জনগণকে সেবা দেয় তারপরও যদি ওনারা মানেন না, তাহলে আমি অফিসিয়ালি পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ