কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কী করছে দানব আকৃতির ভয়ংকর রোবট
- আপডেট সময়- ০৪:১৯:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
অনলাইন নিউজ ডেস্ক।।
দেশের শীর্ষ পর্যটন নগরী চট্টগ্রামের কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে নামতেই সিগাল পয়েন্টে চোখে পড়ছে রোবট আকৃতির এক বিশাল দানবের। যার উচ্চতা ৬২ ফুট। এটি বানাতে ব্যবহৃত হয়েছে ১০ টন পরিত্যক্ত প্লাস্টিক। যা কক্সবাজার, ইনানী ও টেকনাফ সমুদ্রসৈকত থেকে পুরোটাই সংগ্রহ করা হয়েছে। ভাস্কর্য শিল্পীদের দাবি, এটি ওসান প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি যা বিশ্বের সর্ববৃহৎ রোবট দানব। ১০ টন পরিত্যক্ত প্লাস্টিক দিয়ে রোবট দানব তিনটিকে তৈরি করা হয়েছে।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সীগাল পয়েন্টের বালিয়াড়িতে দাঁড়িয়ে আছে এই প্লাস্টিকের তৈরি ভয়ংকর এক দানব রোবট। যে দানবটি রক্ত-মাংসহীন প্রতীকী হলেও যার হিংস্র থাবায় প্রতিনিয়ত ক্ষত-বিক্ষত মানবদেহ, প্রকৃতি ও প্রাণবৈচিত্র্য। সৈকতে ঘুরতে আসা যে কেউ এটি প্রথম দর্শনে মনে ভয় বিরাজ করলেও কাছে যেতেই সে ভয় কেটে যাবে নজর কাড়ে সকল পর্যটক ভ্রমণ পিপাসুদের। আর সকল পর্যটকগন জানবে দানবটির দেহে বয়ে বেড়ানো প্লাস্টিক দূষণে প্রাণ-প্রকৃতির ক্ষতির মাত্রা।
সূত্রে জানা গেছে, প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই সমাগম ঘটে দেশে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা লাখো পর্যটকের। যারা অপার সৌন্দর্যের সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ি ও সাগরের পানিতে ফেলছেন ক্ষতিকর প্লাস্টিক পণ্য সামগ্রীর বর্জ্য। এতে করে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে দূষণ এবং হুমকির মুখে পড়ছে সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য ও মানবজীবন। আর প্রাণ-প্রকৃতির দূষণ রোধে ও সচেতনতা সৃষ্টিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্রচেষ্টা নিয়ে প্লাস্টিক বর্জ্যে তৈরি দানব ভাস্কর্যের প্রদর্শনীর মত ভিন্নধর্মী এ উদ্যোগ।
মূলত,পরিত্যক্ত ‘প্লাস্টিক দিয়ে রোবট দানবটি তৈরি করেছে ঢাবির চারুকলা বিভাগের একদল শিল্পী। এতে তারা প্লাস্টিক বর্জ্যের পাশাপাশি ব্যবহার করেছেন কাঠ, পেরেক ও আঁঠাসহ আরও কয়েকটি উপকরণ। এটির উচ্চতা ৬২ ফুট। এটি বানাতে ১০ টন প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয়েছে। বিশাল রোবট দানবের দুপাশে আরও দুটি ছোট রোবট দানব তৈরি করা হয়েছে।
নিউজটি শেয়ার করুন
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ