সর্বশেষঃ
ভেড়ামারায় হুমকির মুখে রায়টা ও মসলেমপুর বেড়িবাঁধ
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৬:২১:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪ ৪০ বার পড়া হয়েছে
হৃদয় রায়হান,কুষ্টিয়া প্রতিনিধি।।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বাঁধ ধসে যাওয়ার আশঙ্কায় মসলেমপুর বেড়িবাঁধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বালুর বস্তা।
ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া আর উজান থেকে ধেয়ে আসা বৃষ্টির পানিতে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের কাছে পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে রায়টা এবং মসলেমপুর বেড়িবাঁধ। স্থানীয়দের আশঙ্কা, ফারাক্কার বাঁধ যদি খুলে দেয়, তাহলে যে কোনো সময় বাঁধ ভেঙে ভেড়ামারার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এ দিকে বাঁধ ভেঙে বা ধসে যাওয়ার আশঙ্কায় কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড মসলেমপুর বাঁধের ৩টি পয়েন্টে প্রায় ১ হাজার বালুর বস্তা ফেলেছে।
বাহিরচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার মসলেমপুর এলাকার বাসিন্দা শরিয়ত উল্লাহ জানান, হঠাৎ করেই অস্বাভাবিকভাবে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের কাছে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মসলেমপুর বেড়িবাঁধ ছুঁই ছুঁই করছে পানি। এছাড়া বাঁধের ৩টি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ফয়জুল্লাহপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেনজির আহমেদ জানিয়েছেন, উজান থেকে ধেয়ে আসা পানিতে হুমকির মুখে পড়েছে রায়টা বেড়িবাঁধ। পদ্মা এখন নব যৌবন লাভ করে হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারত যদি ফারাক্কার গেট খুলে দেয় তাহলে মুহূর্তেই তলিয়ে যাবে ভেড়ামারার নিম্নাঞ্চল।
জুনিয়াদহ ইউপি মেম্বার জামসেদ কবিরাজ জানিয়েছেন, হুমকির মুখে রয়েছে রায়টা বেড়িবাঁধ। প্রতি বছর ভাঙনের কারণে বিলীন হতে হতে কিছু জায়গায় বাঁধ নদীতে চলে গেছে। বাঁধ সংস্কারের জন্য ২ বছর আগে বালুর বস্তা ফেলা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর পানি বৃদ্ধির কারণে সেই বালুর বস্তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পদ্মার পানি বাঁধ ভেঙে এখন বাড়ির দেয়ালে ধাক্কা লাগছে। পানি বৃদ্ধি পেতে থাকলে যে কোনো সময় পদ্মায় বিলীন হতে পারে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ইতোমধ্যে কয়েকটি বাড়ি ঘরের মালামাল সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এ দিকে ভেড়ামারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান এবং পাবনা হাইড্রোলজি বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী ইলিয়াস হোসেন জানিয়েছেন, পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে বিপদসীমার অনেক নিচে রয়েছে। বিপদসীমা ধরা হয় ১৪.২৫ সেন্টিমিটারকে। আর বর্তমানে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির লেবেল ১১.৯ সেন্টিমিটার। তারা আশঙ্কা করেন, ফারাক্কার গেট খুলে দিলে পদ্মা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে। প্লাবিত হতে পারে ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া, পাবনার নিম্নাঞ্চল।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্ভেয়ার প্রকৌশলী রুবেল হোসেন জানিয়েছেন, পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বাঁধ এলাকায় ভাঙন এবং ধস দেখা দিয়েছে। দ্রুত আপতকালীন অবস্থা মোকাবেলায় ভেড়ামারার মসলেমপুর পয়েন্টের ৩টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে প্রায় ১ হাজার বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে।